এনআইডি
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়াই ১৪-১৮ বছর বয়সী তরুণদের মোবাইল ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট (এমএফএস ) খোলার সুযোগ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব পেমেন্ট সিস্টেম মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে, তা তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের জন্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪-১৮ বছর বয়সী ব্যক্তি তার নিজের এনআইডি ছাড়াই বাবা-মায়ের গ্যারান্টির মাধ্যমে এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
তবে, অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী ব্যক্তি ও বাবা-মা উভয়কেই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আবেদনকারীর বাবা-মা/অভিভাবককে অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্ম শংসাপত্র দিতে হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবা-মায়ের এমএফএস অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলকভাবে একটি লিঙ্কযুক্ত এমএফএস অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
বাবা-মা বা অভিভাবকদের এমএফএস অ্যাকাউন্টের সত্যতা নিশ্চিত করে এই অ্যাকাউন্টটি খোলা উচিত।
পিতামাতা বা আইনী অভিভাবকের সম্মতিতে এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবা-মায়ের সম্মতি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, তাদের অবশ্যই তাদের মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠাতে হবে।
এছাড়াও, এই অ্যাকাউন্টগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টধারীর মোবাইল ফোন নম্বরে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সময়ে, লেনদেনের তথ্য অভিভাবকদের জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডলারের বিনিময় হার না বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আবারও বেড়েছে
সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এনআইডি সার্ভার কখন চালু হবে তা জানাল ইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার মঙ্গলবার সকাল থেকেই ডাউন রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট উইং (এনআইডি) এর সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম বলেছেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের কারণে আগামী বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত এনআইডি সার্ভারের পরিষেবা পাওয়া যাবে না।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট একই কারণে এনআইডি সার্ভার ডাউন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
ইসি প্রথমবারের মতো ২০০৭ সালে ছবিসহ একটি সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে। এরপর, ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর মাধ্যমে তথ্য হালনাগাদ করা হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটারদের তথ্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার সকাল থেকে এনআইডি সার্ভার ডাউন: নির্বাচন কমিশন
এনআইডি সেবা ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসতে সময় লাগবে: মন্ত্রী
এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন
এনআইডি সেবা কবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা করতে সময় লাগবে। মাত্র আইন হলো। আইন অনুযায়ী যেসব কর্মকাণ্ড সেগুলো হতে একটু সময় লাগবে। যে পর্যন্ত না হবে সে পর্যন্ত পুরোনো ব্যবস্থাই চালু থাকবে। পুরোনো ব্যবস্থায়ই এনআইডি সংশোধন কিংবা নতুন করে এনআইডি দেওয়া হবে, যারা করছেন, তারাই করবেন।
তিনি বলেন, আমরা যখন ফুল ফেজে দায়িত্ব নিতে পারব, তখন ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দেব যে আজ থেকে আমরা পুরোপুরিভাবে এনআইডির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ২১ থেকে ২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা উদযাপন হবে। প্রতি বছরই পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। এবারও তা বাড়বে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি গত বছর যতগুলো পূজামণ্ডপ ছিল, এবারও যেন সেখানেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়। মণ্ডপের সংখ্যা আর না বাড়াতে আমরা অনুরোধ করেছি। তারা বলেছেন চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা জনগণের ‘উহ’ শব্দটিও শুনতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপ ছিল জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৪০৭টির ঘোষণা আমরা পেয়েছি। সে হিসেবে এবার ২৩৯টি বেড়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছি, এ সংখ্যা আর যেন না বাড়ে। পূজামণ্ডপ বাড়লে সেখানে নিরাপত্তারও প্রশ্ন আছে।
মন্ত্রী বলেন, পূজামণ্ডপগুলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে থাকবে। আমরা বলেছি পূজা কমিটিগুলো যেন প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী রাখে। আমাদের দুই লাখ আনসার সদস্য সেখানে মোতায়েন হবে। কোনো পূজামণ্ডপ থেকে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সহযোগিতার জন্য ফোনকল এলে তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা দিতে এবং স্পেশাল কেয়ার নিতে বলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরার সঙ্গে আইপি ক্যামেরাও সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে কেউ যেন গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজরদারি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও জেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার সকাল থেকে এনআইডি সার্ভার ডাউন: নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
তিনি জানান, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এনআইডি সেবা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ আছে। গতকাল রাতে কিছু কাজ করা হয়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হবে। এরপরই এনআইডি সেবা আবার চালু হবে।
দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভাণ্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভাণ্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও সম্প্রতি বিষয়টি উঠে আসে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। ভোটারদের তথ্যগুলো ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস নিয়ে সাইবার ইউনিটের দল কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘সাইবার ইউনিটের দলগুলো এটি নিয়ে কাজ করছে,কারণ এনআইডি পরিষেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের অধীনে নয় এবং এটি এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে এবং পরিষেবাটি শিগগিরই সমস্ত সমস্যা সমাধানের পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের অধীনে থাকবে এবং তারপরে আমরা এনআইডির সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ স্কেলে কাজ করতে পারি।’
রবিবার সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
উচ্চ প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপগুলোর ওপর নজর রাখা একটি আমেরিকান অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম টেকক্রাঞ্চের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নাম, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং এনআইডি সহ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে কিছু নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে এবং তারপর তারা যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে কারণ তারা কোনো তথ্য মনগড়া দিয়ে দেবে না।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
তিনি বলেন, ‘আমাদের এটি যাচাই করতে হবে - কত তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে হবে।’
তথ্য সুরক্ষার বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আগস্টে সরকার উৎখাতে বিএনপির এক দফা আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ষড়যন্ত্রকারীরাসহ স্বার্থান্বেষী মহল আগস্ট মাসকে তাদের প্রিয় মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি তারা (বিএনপি) তারা জানে যে তারা এমন সংকেত দিচ্ছে কিনা।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ তারা (জনগণ) বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করেনি, সহায়তাও করেনি।
তিনি বলেন, ‘যখন কোনো আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা থাকে না এবং যখন জনগণ আন্দোলনে যোগ দেয় না, তখন এটি মোটেই আন্দোলন নয়।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে বা মানুষ হত্যার কোনো পরিকল্পনা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা দেখবে।
আরও পড়ুন: এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
এনআইডি মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম হুমায়ুন কবির বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার নিরাপদ।
রবিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন যে তারা তাদের সার্ভারের সঙ্গে জড়িত কোনো হুমকি দেখেননি।
তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি নিবন্ধন ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মহাপরিচালক বলেন, ১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে সেবা নেয়, আমাদের কাছ থেকে যারা সেবা নেয় তাদের কেউ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করব এবং যে ওয়েবসাইটগুলো থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে তাদের চিহ্নিত করব।’
তিনি আরও বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে দায়ীরা চুক্তি হারাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, এনআইডির সার্ভার হ্যাক হয়নি। সার্ভিস প্রোভাইডারদের সার্ভার হ্যাক হয়ে থাকতে পারে।
এনআইডি সার্ভারের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টে হবে একই নম্বর: মন্ত্রীপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টে একই নম্বর হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন থেকে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। আর এই নিবন্ধন নম্বরটিই হবে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর অর্থাৎ এনআইডি কার্ড হিসাবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিপরিষদে ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয়ের অনুমোদন
শুক্রবার সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধনের সময় যে নম্বর থাকবে সেটিই তার এনআইডি হবে এবং এটিই পাসপোর্ট নম্বর হবে।
এছাড়া এটির জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, দুই বছরের মধ্যেই এর সকল প্রক্রিয়া শেষ হবে।
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বরিশাল পুলিশ লাইন্স মসজিদে পবিত্র জুমআর নামাজ আদায় করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এসময় সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক, বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ, জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিপরিষদের সভায় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
কুড়িগ্রামে স্ত্রীকে বোন বানানো আনিছুর গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা সুবিধা পেতে নিজের স্ত্রীকে বোন বানানো এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে চাকরি নিয়ে দেয়ার আলোচিত ঘটনায় আনিছুর রহমানকে সিআর মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আনিছুর রহমান রংপুর বেতারের অফিস সহকারী এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হকের সন্তান।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান জানান, আনিছুর রহমানের নামে রংপুর আদালতে চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত এনআই এ্যাক্ট ১৩৮ ধারায় মামলা রয়েছে। সে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাকে শনিবার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধ মামলায় কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার ১৩
উল্লেখ্য, আনিছুর রহমান ২০১৪ সালে নিজের শিক্ষা সনদ ও এনআইডি তথ্য গোপন করে ছোট ভাইকে রেলওয়েতে চাকরি নিয়ে দেন। তখন তিনি শিক্ষা সনদের সাথে ঠিক রেখে ছোট ভাই আজিজুল হকের জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতি করে নাম পরিবর্তন করে আনিছুর রহমান করেন। বিষয়টি ২০২০সালে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে নাগেশ্বরী এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় জামিনে রয়েছেন এই দুই ভাই।
অপরদিকে স্ত্রী সোনালী খাতুনকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সুযোগ-সুবিধা এবং সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা পাওয়ার জন্য বোন বানিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করানোয় আবারও আলোচনায় আসেন আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: বিশেষ অভিযানে কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার ৩৪, মামলা ১১
টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার
এক এনআইডিতে ১৫টির বেশি সিমকার্ড বন্ধ করছে বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) শিগগিরই একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ডের অধীনে ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) কার্ড নিষ্ক্রিয় করতে যাচ্ছে।
বিটিআরসি-এর ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র রবিবার ইউএনবিকে বলেছেন, বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন গ্রাহককে তার এনআইডি দিয়ে সর্বাধিক ১৫ টি সিমকার্ড নিবন্ধন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা, গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে একটি এনআইডি’র বিপরীতে ১৫টির অতিরিক্ত সিমকার্ড নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার উপায়
এছাড়া ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসি এক এনআইডিতে নিবন্ধিত এ ধরনের সিম কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করছে।
২০১৬ সালের ২০ জুন বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নেয় যে একটি এনআইডি কার্ডের বিপরীতে ২০টি সিমকার্ড নিবন্ধন করা যেতে পারে এবং পরে ২০১৭ সালের আগস্টে এ সংখ্যা ৫টি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কমিশন তার সিদ্ধান্ত সংশোধন করে এবং এক এনআইডির বিপরীতে ১৫ টি সিমকার্ড নিবন্ধনের বিষয়টি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
ঈদ উদযাপনে ৪ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৭৩ লাখের বেশি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী
এনআইডির সঙ্গে থ্যালাসেমিয়ার তথ্য অন্তর্ভুক্ত কেন নয়: হাইকোর্ট
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থ্যালাসেমিয়া রোগীদের তথ্য সংযুক্ত করার বিধান তৈরির পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৭ আগস্ট) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলনী আকন্দ বলেন, রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতি থ্যালাসেমিয়া আছে কি না তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে এ তথ্য কেন যুক্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতি থ্যালাসেমিয়া আছে কি-না তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে এ তথ্য যুক্ত করার জন্য বিধি প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জাতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মে রিট দায়ের করেন আইজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে ২৫ মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি। লিগ্যাল নোটিশে এই রোগের ভয়াবহ থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি না মেডিকেল প্রতিবেদন অনুযায়ী অপশন যুক্ত করতে দাবি করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করেন, তাহলে তাদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে একজন সুস্থ মানুষ আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করতে পারবে কারণ তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা ততটা থাকে না।
এই কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি-না এ ধরনের অপশন যুক্ত থাকলে তা দেখে সহজেই দুইজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে থেকে ঠেকানো সম্ভব।
এজন্য বিয়ের আগেই বর এবং কনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেককে জানতে হবে তারা থ্যালাসেমিয়া বাহক কি-না। দুজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিবাহ বন্ধ করা গেলেই থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।
পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন?
স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন