গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ
রাস্তা বন্ধের ঘটনায় জিএমপি কমিশনারকে শোকজ করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাস্তা বন্ধ করে চলাচলের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনারকে শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তাকে শোকজ করা হবে এবং তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময়ে লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গুলির সন্ধানদাতাদের পুরস্কৃত করা হবে এবং তথ্যদাতাদের পরিচয়ও গোপন রাখা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এ ক্ষেত্রে তথ্য বা সন্ধানদাতাদের বিভিন্ন হারে পুরস্কার প্রদান করা হবে। পিস্তল ও শর্টগানের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা, চায়না রাইফেলের ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকা, এসএমজি'র ক্ষেত্রে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও এলএমজি'র ক্ষেত্রে পাঁচ লক্ষ টাকা হারে সন্ধানদাতাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রতি রাউন্ড গুলির ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা হারে পুরস্কৃত করা হবে।
পড়ুন: হারানো এলএমজি ও অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
পুলিশসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরে এবার স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্তভাবে নিয়োগ হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আগে দুর্নীতির অন্যতম ক্ষেত্র ছিল পুলিশ, আনসার, বিজিবি সহ বিভিন্ন বাহিনীতে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য। এবার সেটা দূর হয়েছে, বিশেষ করে নিয়োগের ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, এখন পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীতে অনেক নিয়োগ চলমান রয়েছে। এসব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি না হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়েছে বলেই সাংবাদিকরা এ নিয়ে কোনো রিপোর্ট করতে পারেননি। উপদেষ্টা এ সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতির খোঁজ পেলে সে সম্পর্কে রিপোর্ট করা ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। তবে ভুল তথ্য দিয়ে কাউকে হয়রানি না করার অনুরোধ করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১০২ দিন আগে
সাংবাদিক তুহিনের শরীরে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে পুলিশের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির— গলা, ঘাড়, বুক, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতগুলো আকারে ছোট-বড় হলেও প্রতিটিই সমান, গুরুতর ও গভীর ছিল।
পাশাপাশি, সোমবার (১১ আগস্ট) তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাত আসামি দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে গ্রেপ্তারদের মধ্যে আসামি শাহজালাল দুপুরে তুহিনকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই আসামি গাজীপুরের মেট্রোপলিটন আদালত-৩ এর বিচারক ওমর হায়দাররের আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে রিমান্ডে থাকা সাতজনকেই জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
পড়ুন: গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার ৭ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুলাল চন্দ্র দাস জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় রিমান্ডে থাকার সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা তুহিনকে হত্যার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
এ ছাড়া আসামিদের মধ্য থেকে একজন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ থেকে শনাক্ত করে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হত্যা মামলায় পুলিশ ও র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত আসামি হলেন-—মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল-আমীন, স্বাধীন, মো. শাহজালাল, মো. ফয়সাল হাসান, সুমন ওরফে সাব্বির।
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ও শহিদুল কে অন্য একটি মামলা চালান করা হয়েছে। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় তার ভাই মোঃ সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট জিএমপির বাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১১৬ দিন আগে
গাজীপুরে মাদরাসাছাত্রকে যৌন নিযার্তনের অভিযোগে ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার
গাজীপুর মহানগরে এক মাদরাসাছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে চার মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বুধবার পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রধান আসামি হলেন শান্ত ইসলাম ওরফে এ রহমান (২২)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ছেলেটির বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ সেপ্টেম্বর গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর মাদরাসার কক্ষে শান্ত ছেলেটিকে যৌন হয়রানি করে। পরে ছেলেটি বাড়ি ফিরে তার বাবাকে ঘটনা জানায়।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর ছেলেটির বাবা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার বিচার চাইতে যান। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তার বাবা গাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।’
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করতে গেলে মাদরাসার অধ্যক্ষসহ অন্য দুই শিক্ষক তাদের বাধা দেন।
পরে পুলিশ তাদের সবাইকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পড়ুন: শেয়ার কারসাজিতে সাকিবের কোম্পানি জড়িত: ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদন
ভারতে ২ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ তরুণী
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১১৭৮ দিন আগে
গাজীপুরে স্কুলের ভেতর নিয়ে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ
গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় এক কিশোরী মাদরাসাছাত্রীকে স্থানীয় একটি স্কুলের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৮৮৪ দিন আগে