মাগুরা
মাগুরায় শিশুকে বালিশচাপায় হত্যার অভিযোগে মা গ্রেপ্তার
সাবিনা ইয়াসমিন রাণী (২৮) নামে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত এক মা নিজের শিশু সন্তানকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছ পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দিনগত রাত ১টার দিকে সেখানেই এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তৌহিদুল আভান (৩) মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দাতিয়াদহ গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। পুলিশ শিশুটির মা সাবিনা ইয়াসমিন রাণীকে গ্রেপ্তার করেছে।
একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরিরত মোস্তাফিজুর রহমান স্ত্রী এবং এক মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে শহরের শান্তিনগর এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন।
নিহত শিশুর চাচা মফিজুর রহমান থানায় লিখিত অভিযেগ করে জানান, ৫ বছর আগে প্রথম সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকেই মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। ঘটনার রাতে ভাই মোস্তাফিজ পেশাগত কাজে বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় সাবিনা বালিশচাপা দিয়ে শিশুটিকে হত্যার পর নিজেই ওই বাড়ির মালিকের বাসায় গিয়ে ঘটনা জানায়।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মৃধা জানান, শনিবার সকালে অভিযুক্ত মাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
৯৬ দিন আগে
খাবার আনতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীকে ‘গরম খুন্তির ছ্যাঁকা’ দিলেন মাদরাসা সুপার
মাগুরা জেলার শ্রীপুরে খাবার আনতে দেরি হওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদারাসা সুপার মাওলানা আবু সাইদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে উপজেলার নাকোল-কমলাপুর দারুল উলুম ইসলামি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম জুনায়েদ হোসেন (১২)। সে মাগুরা শহরের আদর্শপাড়ার ভাড়া বাড়ির বাসিন্দা সুজন মিয়ার ছেলে।
নাকোল থানা পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতনের পর শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, বরং কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে মাদরাসায় আটকে রাখা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) জুনায়েদ পালিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে তার বাবা সুজন মিয়া নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
সুজন মিয়া জানান, চার বছর আগে ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তুচ্ছ ঘটনায়ও মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদের নির্যাতনের শিকার হতে হতো তার ছেলেকে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে বাংলাদেশি যুবকের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি
তিনি বলেন, গত রাতে সুপারের খাবার আনতে জুনায়েদকে মাদরাসার পাশে একটি বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে গৃহস্থের খাবার প্রস্তুতে দেরি হওয়ায় জুনায়েদের ফিরতেও দেরি হয়। কিন্তু এ জন্য জুনায়েদকে অপরাধী করে নির্যাতন করা হয়।
শিশু জুনায়েদ জানায়, রাত ৯টার দিকে খাবার নিয়ে মাদরাসায় ফিরলেও সুপারের ঘনিষ্ট দুই ছাত্র ওয়ালিদ ও সিজান তার হাত বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে পরনের কাপড় খুলে ফেলে। এরপর মোমবাতির আগুনে স্টিলের খুন্তি গরম করে শরীরে ছ্যাঁকা দেয়। নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করলে আরও মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।
এ বিষয়ে এ ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদ বলেন, রাতে তাদের মাদরাসায় তালা দিয়ে নিজ ঘরে যাই। কিন্তু কখন এটি ঘটেছে জানা নেই।
নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯৮ দিন আগে
মাগুরায় সোনালী ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ৮৭ লাখ টাকা গায়েব
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, মাগুরা শাখা থেকে এক গ্রাহকের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে জমা থাকা ৮৭ লাখ টাকা কে বা কারা উত্তোলন করেছে, তা এখনও অজানা। গ্রাহক ব্যাংকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
গ্রাহক মো. টিটুল জানান, ‘তিনি উষা এস.সি. লিমিটেডের মালিক ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তার প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংকে একটি চলতি হিসাব রয়েছে, যার নম্বর ২৪১৪২০০০১৮৩৫২। তিনি নিজে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওই হিসাব নম্বরে মোট ৮৭ লাখ টাকা জমা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি কোনো চেক গ্রহণ করিনি। দীর্ঘদিন পর জানতে পারি যে, কে বা কারা আমার হিসাব থেকে ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে।’
‘আমার কাছে অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র আছে। আমার ধারণা, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে কোনো প্রতারক চক্র এই টাকা তুলে নিয়েছে। সেখানে যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, তা আমার নয়। হিসাব খোলার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বর ছিল ০১৬৮৫-৫৫৭৬৫৬।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকিং নিয়ম অনুসারে কোনো গ্রাহক ৫০ হাজার টাকার চেক দিলেও অ্যাকাউন্টধারীকে ফোনে জানাতে হয়। কিন্তু এখানে ১০ লাখ বা ২০ লাখ টাকা একবারে উত্তোলন করা হয়েছে, অথচ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো যোগাযোগ করেনি। সোনালী ব্যাংকের মতো স্বনামধন্য ব্যাংকে এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো, তা অজানা।’
আরও পড়ুন: খসড়া অর্ডিন্যান্স: কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গভর্নর নিয়োগ দেবে রাষ্ট্রপতি, বাড়বে মেয়াদ
সোনালী ব্যাংক মাগুরা শাখার ম্যানেজার জানান, এই ঘটনা আগের ম্যানেজারের সময় সংঘটিত হয়েছে, তাই দায়ভার তার ওপর বর্তায়। লিখিত অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি বলেন, গ্রাহককে বারবার ব্যাংকে আসার অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তিনি আসেননি।
টিটুল আরও জানান, তার অনুমতি ছাড়া ব্যাংকের চেক বই ইস্যু করা হয়েছে এবং ধাপে ধাপে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে কোনো সতর্কতা দেওয়া হয়নি।
তিনি এই প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে ফৌজদারি আইনে মামলা করার জন্য ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করেছেন। আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় গ্রাহক নিজেই ব্যাংকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
১১৪ দিন আগে
মাগুরায় সাপের কামড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
মাগুরা সদরের শ্রীকান্তপুর গ্রামে সাপের কামড়ে শাওন শিকদার নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাওন শ্রীকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, শাওন বাড়ির পাশে মোবাইলে গেম খেলছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে বাড়ির দিকে ফেরার পথে একটি সাপ তাকে কামড় দেয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
এরপর প্রথমে তাকে স্থানীয় দুই ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতাল পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩০ দিন আগে
মাগুরায় কলা ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা, একজন আটক
মাগুরায় শহরের ছায়াবিথী সড়কে ভজন গুহ (৫৫) নামের এক কলা ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আবি হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সড়কের পাশে তার লাশটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
নিহত ভজন গুহ ওই এলাকার সন্তোষ কুমার গুহের ছেলে। তিনি একজন ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই রথিন গুহ বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কে বা কারা ভজনকে গলা কেটে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বৃদ্ধা ও যুবতীকে গলা কেটে হত্যা, কিশোরীকে জখম
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, ভজন নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেয়। পরে লাশটি উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবির হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কীভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৩১ দিন আগে
মাগুরায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এডহক কমিটির নতুন সভাপতি জিনাত সুলতানার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদনে বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মো. কামরুজ্জামানের সই করা ৩ জুনের প্রজ্ঞাপনে জিনাত সুলতানাকে চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মণ্ডল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে সময়ক্ষেপণ করছেন।
আরও পড়ুন: নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে গাছের সঙ্গে বাঁধল গ্রামবাসী
সভাপতি জিনাত সুলতানা জানান, বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী এখনও কোনো সভা আহ্বান করা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের পছন্দের ব্যক্তি সভাপতি না হওয়ায় দায়িত্ব হস্তান্তরে বাধা দিচ্ছেন। বরং তিনি নিজের মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায়ও কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চাইছেন এবং বিভিন্ন স্থানে লবিং করছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময়ে তিনি নিজের অনুগত ব্যক্তিদের কমিটিতে বসিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ লেনদেন করেছেন। বর্তমানে আমি দায়িত্ব নিলে সে সুযোগ আর থাকবে না বলেই হয়তো বাধা সৃষ্টি করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘গত ২ জুলাই আমি সভা আহ্বান করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। তারা বিষয়টি নিজেরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি শিগগিরই সমাধান হবে।’
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গণি বলেন, ‘যেহেতু বোর্ড কর্তৃক সভাপতি মনোনীত হয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের উচিত সভা আহ্বান করে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর তাকে তা জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করছেন, যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী।’
এ ঘটনায় বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত বোর্ডের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে স্বচ্ছ প্রশাসনিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
১৪৪ দিন আগে
মাগুরায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানচালকসহ নিহত ৩, আহত ১৫
মাগুরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সাগর হোসেন (৩০) নামে এক ভ্যানচালক ও রেশমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মাগুরা ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ভ্যানচালক সাগর মাগুরা সদর উপজেলার গৌরিচরণপুর গ্রামের আওয়াল মোল্ল্যার ছেলে।
নিহত রেশমা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের দোড়ামতনা গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপর নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন— তানিয়া (২০), সোহাগ (২৭), সামসুল (৩৪) এবং সামিহা (৩০)। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতাল ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (রবিবার) সকালে মাগুরার আলমখালী বাজার থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান যাত্রী নিয়ে হাটগোপালপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। পথে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের রামনগর এলাকার ঢালব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানচালক সাগর ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
দুর্ঘটনার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে উল্টে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মহাসড়কের গর্ত এড়িয়ে চলতে গিয়ে ভ্যানটি রাস্তার মাঝখানে উঠে যায়, যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে হাইওয়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এ বিষয়ে রামনগর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন জানান, রবিবার সকালে মেহেরপুর থেকে যাত্রীবাহী গোন্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসে। পথে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের রামনগর পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস ব্যাটারিচালিত ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে মাগুরা ও ঝিনাইদহ হাসপাতালে পাঠান।
তিনি আরও জানান, এ দুর্ঘটনায় বাসটিকে পুলিশ আটক করেছে। তাছাড়া, মাগুরা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসআই মাহবুব।
১৪৪ দিন আগে
মাগুরায় পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু
মাগুরার ছোনপুর গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে আজমির (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার ছোনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজমীর ওই গ্রামের কামরিল ইসলামের ছেলে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে পরিবারের সবার অজান্তে আজমীর বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পুকুরে ভাসতে দেখে। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশু নিহত
১৪৬ দিন আগে
মাগুরায় স্বামীর শাবলের আঘাতে স্ত্রী নিহত
মাগুরার শালিখায় স্বামী মিজানুর মোল্যা নামের এক ব্যক্তির শাবলের আঘাতে সোনালী বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে শালিখা থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী জুয়েল বলেন, ‘আজ সকালে আমার কাকা মিজানুরকে দেখি বাড়ির সিড়ির ওপর বসে আছে। কাকা ঘরে ঢুকবে, কিন্তু কাকি (সোনালী) ঘর খুলছে না। আমি কাকাকে বললাম, বকাবকির দরকার নেই। তাই বলে কাজে চলে যাচ্ছিলাম, বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তা পর্যন্ত গেলে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে বাড়ি ফিরে এসে কাকাতো বোন মদিনার কাছে শুনতে পাই, তার আব্বা মাকে মেরে ফেলেছে।’
সোনালী বেগমের মেয়ে মদিনা খাতুন (১১) বলে, ‘চট্রগ্রাম রডের কাজ করে আজ সকালে আব্বা বাড়ি আসে। এরপর তিনি মাকে ঘর খুলতে বললে মা বলে, আমার মাকে খবর দাও; তার সামনে ঘর খুলব, না হলে তুমি আমাকে মারবে। মা ঘর না খুললে আব্বা রান্নাঘরের দেওয়ালের ওপর বাঁশের বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে মার মাথায় বাড়ি দেয়।’
শালিখা থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলি মিয়া জানান, আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মিজানুর মোল্যার স্ত্রীর সোনালী বেগমের নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মিজানুর মোল্যা শিশুসন্তান মদিনার সামনে সোনালী বেগমকে রড দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় শালিখা থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৪৬ দিন আগে
মাগুরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
মাগুরা সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে মনিরা আক্তার মীম (১৮) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শামিম শেখের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৫ জুন) বিকালে সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এক লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
ঘটনার পর মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, প্রায় চার বছর আগে সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক শামিম শেখের সঙ্গে আলিধানী গ্রামের আরজু শেখের মেয়ে মনিরা আক্তার মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শামিম মীমের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। বুধবার বিকালে আবারও যৌতুকের জন্য মারধর করলে মীম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরপরই শামিম শেখ পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
স্বামী শামিমকে ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
১৬২ দিন আগে