রায়হান হত্যা
সিলেটে রায়হান হত্যা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের পর নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে জামিন পাওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ গতকাল (রোববার) আমাদের কাছে পৌঁছায়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলেই এসআই আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বেরিয়ে যান।’
তিনি আরও জানান, এর আগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন এসআই আকবর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কার্যক্রম শুরু হলে ২৫ মার্চ তাকে সেখানে আনা হয়। জামিনে মুক্তির আগ পর্যন্ত আকবর এই কারাগারেই ছিলেন।
এদিকে, আকবরের জামিনের খবর পেয়ে নিহত রায়হানের মা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এখন এই আসামি দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তার জামিনে আমরা হতাশ হয়েছি।’
রায়হানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং রায় ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল। তবে প্রধান আসামির জামিন পাওয়ায় তার দ্রুত দেশ ত্যাগের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
মামলার অন্য আসামি আশেক এলাহীও কয়েক দিনের মধ্যে জামিন পেতে পারেন বলে জানা গেছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন আমেরিকায়, একজন ফ্রান্সে এবং দুইজন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন (১১ অক্টোবর) তিনি মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছিল। এ ঘটনার পর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
পরে ১২ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসআই আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। সেখানে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।
১১৬ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার বাদী ও রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী সাক্ষ্য প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমেদ চৌধুরী জানান, আজকে বাদীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা প্রস্তুতি নেই মর্মে সময় চেয়েছেন। আদালত তাদেরকে একদিন সময় দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা জেরা করবেন। জেরা শেষ হওয়ার পর আরও দুজন সাক্ষী স্ট্যান্ডবাই আছেন, তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু
তারা হলেন, রায়হানের মা সালমা বেগম ও তার চাচা।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রায়হান হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পিটিশন দিয়েছেন। তারা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে আদালতে আবেদন জানান।
এ প্রসঙ্গে পিপি নওশাদ চৌধুরী বলেন, ‘আসামিপক্ষ যে হাইকোর্টে গিয়েছেন, সেটার ওপর দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। আমি বলেছি, এই মুহূর্তে এটা স্থগিত রাখার কোনো আইন নাই। হাইকোর্ট থেকে তারা যদি স্টে অর্ডার আনতেন, তাহলে আমরা সবাই মানতে বাধ্য। এটাতে তো আমরা অহেতুল বিলম্ব করতে পারি না। যদি হাইকোর্ট কোনো আদেশ দেন, উনারা (আসামিপক্ষ) কিছু যদি নিয়ে আসেন, তাহলে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ রাখা হবে। মূলত এরপর আজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।’
তিনি জানান, এই মামলায় ৬৯ জন সাক্ষী রয়েছেন।
এদিকে, রায়হান হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ‘স্টেট ডিফেন্স’ করবে বলে জানিয়েছেন পিপি নওশাদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বুধবার দুপুরে রায়হান হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
১৩০৪ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিমের আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়।আদালতের সরকারি কৌশলী নওশাদ আহমদ বিচার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী ১০ মে বাদির সাক্ষ্যের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।অভিযোগ গঠনকালে মামলার মূল আসামি সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছেএর আগে কয়েকদফা পিছিয়ে যায় অভিযোগ গঠনের তারিখ। সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল ও তা শুনানি না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে ধরে নিয়ে যায় বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন সকালে তিনি মারা যান।পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় ফাঁড়িতে নির্যাতন চালিয়ে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতাও মিলে। এরপর এসআই আকবরসহ ফাঁড়িতে কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণএদিকে, এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। গত বছরের ৫ মে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)।এতে বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন।চলতি বছরের ৮ মার্চ সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়।
১৩২৭ দিন আগে
রায়হান হত্যা: অভিযোগ গঠন ফের পেছাল
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ফের পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুত না থাকায় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ধার্য তারিখে মামলার চার্জ গঠন হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সুমন পারভেজ। আদালত আগামী ১৮ এপ্রিল চার্জ গঠনের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (বরখাস্তকৃত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ সকল আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে সিলেট নগরীর কাস্টঘর এলাকা থেকে পুলিশ ধরে এনে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। পুলিশের দাবি ছিল রায়হান ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হলে পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পরই হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পিবিআই গত বছরের ৫ মে রায়হান হত্যার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। চলতি বছরের ৮ মার্চ সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচার আবদুল মোমেনের আদালতে বহুল আলোচিত এ মামলাটি উপস্থাপন করা হলে বিচারক মামলার বিচার কাজ পরিচালনার জন্য সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
রায়হান হত্যার এক বছর: এখনও শুরু হয়নি বিচার কাজ
১৩৩২ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়ির হেফাজতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
এর আগে, সকালে কড়া নিরাপত্তায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল।
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে পুলিশ পলাতক নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি। এমতাবস্থায়, তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যার এক বছর: এখনও শুরু হয়নি বিচার কাজ
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালামাল ক্রোকের বিষয়ে পরোয়ানার শুনানির দিন ধার্য ছিল ৫ ডিসেম্বর। ওইদিন সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জারি করা ক্রোক পরোয়ানা তামিল হয়ে না আসায় পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোররাতে নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এরপর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি।
হত্যাকাণ্ডের পর চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল মো. হারুণ অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, ফাঁড়ির টুআইসি এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) মো. হাসান উদ্দিন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
১৪৪৪ দিন আগে
রায়হান হত্যার এক বছর: এখনও শুরু হয়নি বিচার কাজ
সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হান আহমদের মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ সোমবার (১১ অক্টোবর)। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শুরুই হয়নি বিচার কাজ। এছাড়া এ ঘটনায় দায়ের করা পুলিশের বিভাগীয় মামলার তদন্তও শেষ হয়নি গত এক বছরে।
এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগের দিন রবিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে রায়হানের মা ও স্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে একটি মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় রায়হানের দেড় বছর বয়সী শিশুকন্যা আলফাকেও নিয়ে আসেন তারা।
সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে (৩৩) গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে তুলে নিয়ে আসে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। সেখানে তাকে রাতভর নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে মারা যান রায়হান। সিলেট নগরের স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারি হিসেবে কাজ করতেন রায়হান।
রায়হানের মৃত্যুর ঘটনাকে প্রথমে 'ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু' বলে প্রচার করে পুলিশ। তবে প্রথম থেকেই রায়হানের পরিবার নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ করে। সিলেট মহানগর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে।
এ ঘটনায় গত বছরের ১২ অক্টোবর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তান্নি বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
১৫১৬ দিন আগে
রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
সিলেটের নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। এছাড়া পলাতক আরেক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযোগপত্র গ্রহণকালে প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিল।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: আরও ২ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
এর আগে গত ৫ মে আলোচিত এই মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন-সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির ‘টুইআইসি’(সেকেন্ড-ইন-কমান্ড) পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে এসআই মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী।
আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আকবর। পলাতক আকবরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠলে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫২৭ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: আরও ২ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
সিলেটে রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিস্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূইয়াকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে আরও দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
১৮৩৫ দিন আগে
রায়হানের মা’কে অর্ধলক্ষ টাকা দিল পুলিশ
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত যুবক রায়হান আহমেদের মা সালমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ।
১৮৪৫ দিন আগে
রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা সাইদুর রিমান্ডে
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ মারা যাওয়া রায়হান আহমদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা শেখ সাইদুর রহমানকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
১৮৪৬ দিন আগে