সনদ
সিভিল এভিয়েশন একাডেমির বর্ণাঢ্য সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সহযোগিতায় এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বোয়িং কোম্পানির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় সিভিল এভিয়েশন একাডেমির বর্ণাঢ্য সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ৫ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত তিন সপ্তাহব্যাপী আইকাও গভর্নমেন্ট সেফটি ইন্সপেক্টর-এয়ারওর্দিনেস (জিএসআই-এয়ার) কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, আইকাওয়ের সহযোগিতায় ‘বিহেভিয়ার ডিটেকশন’-শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী এভিয়েশন সিকিউরিটি কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল এভিয়েশনের ক্যাপাসিটি বিল্ড আপের জন্য আন্তর্জাতিক কোর্সগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনে নতুন যোগদানকারী ২৫৬ জন প্রশিক্ষণার্থীদের ১২টি বিষয়ভিত্তিক ট্রেড কোর্সসহ মোট ১৮টি কোর্সের আওতায় ২৮৭জন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্যক ভূমিকা পালন করবে।
সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়িং কোম্পানির প্রতিনিধি রিতিশ পিল্লাই।
তাছাড়া, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরের সদস্য, পরিচালক, সহকারী পরিচালক, কোর্সের প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনায় সফলতার জন্য এটুআই পেল ‘আইএসও সনদ’
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সিভিল এভিয়েশন একাডেমির সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং যুগোপযোগী আধুনিক প্রশিক্ষণ দান নিশ্চিত করার মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশন খাতকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন খাতকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সিভিল এভিয়েশন হাব-এ পরিণত করার লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন একাডেমিকে কার্যকরী ভূমিকা পালনের সার্বিক নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) তার সমাপনী বক্তব্যে সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে আইকাও গোল্ড সদস্য সনদপত্র সংগ্রহের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তার বক্তব্য শেষ করেন।
এতে বিগত ছয় মাসের ১৮টি কোর্সের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ২৮৭জন প্রশিক্ষণর্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্যক ভূমিকা পালন করবে।
উক্ত কোর্স পরিচালনার জন্য ৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন ও আর্থিক ব্যয় মঞ্জুরী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। যা স্থানীয় প্রশিক্ষণ খাত থেকে ব্যয় করা হবে।
অতএব, ওই কোর্সের অনুকূলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ টাকা মো. মজিবুর রহমান মিয়াজী, সহকারী পরিচালক (মিটিওরলজি) এর অনুকূলে অগ্রিম দেওয়া যেতে পারে। অগ্রিম গ্রহণকৃত টাকার প্রকৃত খরচ বিল ভাউচারের মাধ্যমে পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে।
সিভিল এভিয়েশনের ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ জোন- এ ইন্সট্রাক্টর্স ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ জোন এর জন্য আইকাও ট্রেইনার প্লাস এর সহযোগিতায় আইকাও-টিআইসি কোর্স, পার্ট-২ অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল এভিয়েশনের ক্যাপাসিটি বিল্ড আপের জন্য এই তিনটি আন্তর্জাতিক কোর্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার কোর্সের সনদ বিতরণ
সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিজেএস-ইএমকে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ তুলতে এসে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
বগুড়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপত্র তুলতে এসে বাস চাপায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী ফাইয়াদ আলম (২৭) বগুড়ার গাবতলী উপজেলার লস্করীপাড়ার জহুরুল আলমের ছেলে। তিনি বগুড়ার পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কয়েকদিন আগে পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চিকিৎসকের
স্থানীয়রা জানান, ফাইয়াদ আলম শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখান থেকে দুপুর ১টার দিকে তিনি বের হয়ে মোটরসাইকেল করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
মহাসড়কে বগুড়ার বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় পৌঁছালে গাইবান্ধা থেকে বগুড়াগামী যাত্রীবাহী একটি বাস পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এতে তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় বাসচালক কিছুদূরে গিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাস রেখে পালিয়ে যান।
হাইওয়ে পুলিশের গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাস এবং মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ছাত্রলীগ কর্মীর
সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়ায় প্রাণ গেল ২ জনের, আক্রান্ত শতাধিক
পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে অপারেশন, কথিত চিকিৎসকের কারাদণ্ড
বাগেরহাটে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক কথিত চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে নিয়মবর্হির্ভূতভাবে পাইলস ও পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশন করার অপরাধে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট শহরের রেলরোড এলাকায় ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রোহান সরকার ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. দেলোয়ার হোসেনকে।
এসময়, বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রোহান সরকার বলেন, পল্লী চিকিৎকের সনদ নিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামের এই ব্যাক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে বাগেরহাট সদর ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় চেম্বার খুলে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এর আগেও অভিযান চালিয়ে তাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছিলো, কিন্তু তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় তার অপচিকিৎসা চালিয়ে যেতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। ওই সনদ দিয়ে তিনি পাইলস, অর্শ, ভগন্দার, গেজ ও নাকের পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশনে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তার পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং অপারেশন করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ৩ বালু উত্তোলনকারীর কারাদণ্ড
ফেনীতে মাদক মামলায় পুলিশ-আইনজীবীসহ ১৩ জনের কারাদণ্ড
১ মার্চ থেকে টিকা সনদ না পেলে ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
আগামী ১ মার্চ থেকে দোকানপাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টিকা সনদ না পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দোকানের মালিক-কর্মচারীদের টিকা না নেয়া থাকলে ১ মার্চ থেকে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোকানপাট বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে স্থাপিত ডিএনসিসির গণটিকা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় গত ৩ দিনে এক লাখ ২৫ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। আজও টিকা কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।
আরও পড়ুন: যথাযথ নিয়মে গাড়ি না চালালে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
একজন লোকও টিকা কেন্দ্রে থাকা পর্যন্ত টিকা কেন্দ্র চালু রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যাতে টিকা বঞ্চিত না হয়। রাত যতই হোক উপস্থিত সবাইকেই টিকা দিতে হবে।’মেয়র আতিক বলেন,‘পর্যাপ্ত টিকা আছে। বিনে পয়সার টিকা না নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’মেয়র আরও বলেন,‘আগে কাগজপত্রের ঝামেলা ছিল। টিকা কেন্দ্রে যেতে ভয় পেতো। সেই সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে।সবাইকে তিনি নির্ভয়ে টিকা নিয়ে সনদপত্র সংগ্রহ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর খননকাজ পুনরায় শুরু হবে: মেয়র তাপস
নির্মাণে ত্রুটির কারণেই ফ্লাইওভারে ফাটল: চসিক মেয়র
সনদ প্রদানের ক্ষমতা চেয়ে ৩ সংরক্ষিত কাউন্সিলরের রিট
আইন অনুসারে মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের দেয়ার সুযোগ না রেখেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জারি করা দাপ্তরিক আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সংরক্ষিত আসনের তিনজন কাউন্সিলরের পক্ষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এ রিট করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
তিন আবেদনকারী হলেন-কাউন্সিলর খালেদা আলম, সাহেদা বেগম ও নাসরিন রশিদ পুতুল।
গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করেন। সেখানে বলা হয়, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র দেয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশন (কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের দায়িত্ব, কার্যাবলি ও সুযোগ সুবিধা) বিধিমালা-২০১২ অনুচ্ছেদ নম্বর ৩(৩) অনুসারে সাধারণ কাউন্সিলরদের ওপর অর্পিত। এ জাতীয় সনদপত্র সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলরদের দেয়ার আইনগত/বিধিগত সুযোগ নেই। বিধিমালায় কাউন্সিলরদের দায়িত্ব ও কার্যাবলির ৩ ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদান।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধান অনুসারে সবার সমান অধিকার। কিন্তু সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের সনদ প্রদান না করতে আদেশ জারি করে করপোরেশন। তাই বিধিমালার ৩(৩) এবং সিটি করপোরেশনের দাপ্তরিক আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। আবেদনে বিধিমালার ৩(৩) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২৮ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের দাপ্তরিক আদেশ কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জনতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। আবেদনে আইন সচিব, এলজিআরডি সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মানহানিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক জমিলা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিক্ষিক জমিলা খাতুন মৌলভী পদে আস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। পরে এই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেন এবং তার বোন জমিলা খাতুনের সনদ ব্যবহার করে শুধুমাত্র নাম ও স্বামীর নাম দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: হলে স্মাটফোন ব্যবহার: এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
অভিযোগে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর তিনি তিনবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। প্রথম আবেদন নামুঞ্জুর হলেও পরের বার তার নাম পরিবর্তন করে সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম দেন এবং তৃতীয়বার তিনি জন্ম তারিখ ০৯/০৫/১৯৬২ এর জায়গায় ০১/০৫/১৯৬২ পরিবর্তন করেন। মূলত তিনি তার বোন মোসাম্মাৎ জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেটের নামের সাথে তার ব্যক্তিগত তথ্যের যাতে গড়মিল না থাকে সেই চেষ্টা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নিয়ে ১৯৮৭ সালে থেকে আজ পর্যন্ত চাকরি করে আসছেন।
এ ব্যাপারে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোহাম্মদ শফিউল নামে এক ব্যক্তি। অনুলিপির কপি দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমিলা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়ার সময় ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ জমা দেন তাতে দেখা যায়, ১ বছর বয়সে জমিলা খাতুন ১ম শ্রেণি, দশ বছর বয়সে দশম শ্রেণি (দাখিল) ও ১২ বছর বয়সে দ্বাদশ (আলিম) পাস করেন। এমনকি তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সুকৌশলে তিনি বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করেননি। এত অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীপুরে ৭ মাদরাসাছাত্রের চুল কর্তন, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফিউল বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট যদি জাল হয় আপনারা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, বোর্ড আমার সার্টিফিকেট দিয়েছে। পরে আবার দুইটা মিনিস্ট্রিতে অডিট হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদর্শন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমরা পাইনি। এ রকম কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে শাবি শিক্ষকের নিজের লেখা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা
জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
করোনার সনদ পেতে বৃহত্তর কুমিল্লার ৬ জেলার মানুষের ভোগান্তি
করোনাভাইরাসের সনদ পেতে প্রায় প্রতিদিনই নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বৃহত্তর কুমিল্লার বিদেশগামীদের।
বিদেশ যাত্রীরা ১০ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাবেন করোনার সনদ
বিদেশ যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের কোভিড-১৯ না থাকার সনদ দেয়ার জন্য ১০ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আরটি-পিসিআর ল্যাবকে মনোনয়ন দিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।