নথিপত্র
তাইওয়ানে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের ওপর ধরপাকড়
চীনা নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে তাইওয়ানে বসবাস করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ জন তাইওয়ানের নাগরিকত্ব বাতিলসহ চীনা বংশোদ্ভূত কয়েক হাজার তাইওয়ানবাসীর নথিপত্রের তদন্ত চলমান রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন বলা হয়েছে।
তাইওয়ানের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের চীনের নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি নেই। যেকারণে গত কয়েক দশকে চীনের নাগরিকত্ব থাকায় শত শত বাসিন্দার তাইওয়ানিজ নাগরিকত্ব কার্যত্ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া এই অভিযান বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রকাশ্যে তিনজন নারীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে তাইওয়ান সরকার। পাশাপাশি দেশটির ১০ হাজারের বেশি নাগরিক; যারা চীনে জন্মগ্রহণ করলেও তাইওয়ানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাদের একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়ায় এই অভিযানের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নাগরিকদের পরিচয়, আনুগত্য, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও দেশের নিরাপত্তার মধ্যে সরকার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেক তাইওয়ানিজ।
এই অভিযান ও বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রামাণ্যচিত্রকে ঘিরে। চীন গোপনে তাইওয়ানের মানুষকে তাদের দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করছে বলে দেখানো হয় সেখানে।
প্রামাণ্যচিত্রে তিনজন ব্যক্তির তথ্য উপস্থাপন করা হয়, যারা চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে গিয়ে বাস করতে শুরু করেছিলেন এবং চীনের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।
এই প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর চীনের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানায় তাইওয়ান সরকার। তাইওয়ানের ওপর চীনা কর্তৃত্ব বজায় রাখার অপচেষ্টা থেকেই এই কাজ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে দেশটির মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি)।
আরও পড়ুন: অবৈধ অভিবাসীদের বসবাস ও কাজের অনুমতি দেবে স্পেন
প্রামাণ্যচিত্রের সেই তিনজনের মধ্যে একজন সু শিহ। তার ভাষ্যে, ফুজিয়ান প্রদেশে অনেক তাইওয়ানিজ রয়েছে, পাশাপাশি সেখানকার সরকারও উদ্যোক্তাদের নানা রকম ভর্তুকি দিয়ে সহায়তা করেন— এমনটা শুনেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
সু জানান, সেখানে গিয়ে চীনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন বলে জেনেছিলেন তিনি। এটি তার ব্যবসার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে ভেবে তিনি আবেদন করেছিলেন বলে দাবি করেন।
তবে তাইওয়ানের আইনে এই নাগরিকত্ব অবৈধ। যদিও সুয়ের দাবি, অনেক তাইওয়ানিজেরই ফুজিয়ানের নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা মূলত এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার।
চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব কেন?
তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে দাবি করে বেইজিং। অন্যদিকে নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি তাইওয়ানের। এ নিয়ে এই অঞ্চলগুলোর বৈরিতা বহু পুরনো।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বেড়েছে আরও কয়েকগুণে। তাইওয়ান শান্তিপূর্ণভাবে চীনের সঙ্গে একীভূত না হলে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সরকার। এমনকি তাইওয়ানের অভ্যন্তরেও সাধারণ নাগরিকসহ সরকার ও সামরিক বাহিনীতে সিসিপি সমর্থিত অনেকে গুপ্তচরবৃত্তি ও তৎপরতা চালান বলে তাইওয়ানের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চীনা নাগরিকসহ নিহত ৫, আহত ৯
তবে অঞ্চল দুটির মধ্যে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও চীনের অনেক নাগরিকই তাইওয়ানে বসবাস করে আসছিলেন, আবার তাইওয়ানেরও প্রায় এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ চীনে বাস করেন।
তবে গত মার্চে দেশটির অভ্যন্তরে চীনের চলমান গোপন তৎপরতা বন্ধের দাবিতে দুই অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণ ও পুনর্বাসনে কড়াকড়ি আরোপ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। সে সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীনের কর্তৃত্ব নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তিন চীনা বংশোদ্ভূত নারীর ভিসা বাতিল করে তাইওয়ান সরকার। পরে ওই নারীর তাইওয়ানিজ স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে তাকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়।
তাইওয়ানের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, তাড়াহুড়ো করে নথিপত্র ঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করেই লোকজনকে নির্বাসিত করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু মানুষজন অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট লাই বাক স্বাধীনতা সীমিত করছেন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট লাই।
লাই জানান, নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সেনা সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে— তাদের কখনো চীনের নাগরিকত্ব ছিল না। তাছাড়া ১০ হাজারের বেশি সাধারণ জনগণকেও চীনের হুকু (স্থায়ীভাবে চীনের থাকার জন্য এটি দরকার) বাতিলের নথি দাখিল করতে বলা হয়। যারা দাখিল করেনি তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
চলতি মাসের শুরুর দিকে হুকু বাতিলের প্রমাণ দাখিল না করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে তাইওয়ানের জাতীয় অভিবাসন সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ জানায়, যারা হুকু বাতিল করার কাগজ জমা দিয়েছেন, তারা পুনরায় তাইওয়ানের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।
তবে তাইওয়ানের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লিও মেই জুন বলেন, এই নির্বাসন অভিযানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে চীনা সরকারকে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে পারে। এতে বেইজিংয়ের প্রপাগান্ডারই বিজয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২২২ দিন আগে
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও দলিল-দস্তাবেজের সংরক্ষণাগার জাতীয় আরকাইভস: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও দলিল-দস্তাবেজের সংরক্ষণাগার জাতীয় আরকাইভস। আর এসব নথিপত্র ও দলিল-দস্তাবেজ ইতিহাসের আকর উপাদান। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে এবং সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আরকাইভস এর গুরুত্ব অপরিসীম। সেটি বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার পুরনো জাতীয় আরকাইভস অধ্যাদেশ ১৯৮৩ রহিতক্রমে সময়োপযোগী ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন ২০২১’- প্রণয়ন করেছে।
বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে এদিন বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত ‘অ্যাডভান্সড আরকাইভাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট ও আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’- শীর্ষক দশ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
প্রধান অতিথি বলেন, ‘অ্যাডভান্সড আরকাইভাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট’- বিষয়ে দুই মাসের সার্টিফিকেট কোর্স চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এ সেক্টরে প্রশিক্ষিত আর্কিভিস্ট তৈরি হবে ও জনবল সংকট দূর হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং প্রশিক্ষণ ভাতা সময়োপযোগী করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম আরশাদ ইমাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উপপরিচালক তাহমিনা আক্তার। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ‘আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’- কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী তামান্না আফরিন ও ‘অ্যাডভান্সড আরকাইভাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট’- কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, ‘আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’- প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৫ জন ও ‘অ্যাডভান্সড আরকাইভাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট’- কোর্সে ২১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: আপাতত বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ব্রিটেনসহ মিত্র দেশের সহায়তা স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
১২৭৬ দিন আগে
সরিষাবাড়ী ইউএনও কার্যালয়ে আগুন, নথিপত্র পুড়ে ছাই
জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আগুন লেগে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও ফার্নিচার পুড়ে গেছে। রবিবার সকালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে চলন্ত গাড়িতে আগুন
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সকাল ৭টার দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, আসবাবপত্রসহ বেশ সবকিছু জিনিস পুড়ে গেছে।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: নাটোরে আগুনে পুড়ে ১০৫ বছর বয়সী নারীর মৃত্যু
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উপমা ফারিসা বলেন, সকালে আনসার সদস্যরা উপজেলা পরিষদের তৃতীয় তলায় আগুন লাগার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। পরে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।
১৩২৮ দিন আগে
হাসপাতালেও নথিপত্র স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী
করোনায় আক্রান্ত হয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র স্বাক্ষর করছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ।
১৮৭১ দিন আগে