এশিয়া
ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
ঈদের ছুটি মানেই বিরামহীন কর্মব্যস্ততা থেকে বড় সময়ের জন্য অব্যাহতি। কর্মচাঞ্চল্যে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো মুখিয়ে থাকে এই মৌসুমের জন্য। ছুটির পরিসরটা পর্যাপ্ত হওয়ায় অনেকেই চিন্তা করেন দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু যখন ভিসা জটিলতার ব্যাপার আসে, তখনই ছুটিকে ঘিরে যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাছাড়া ট্যুর শেষ করে অফিস শুরুর আগেই তাড়া থাকে দেশে ফেরার। এই দুটো শর্ত পূরণেই অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে এশিয়ার ভিসামুক্ত দেশগুলো। হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স অনুসারে ২০২৪ সালে এশিয়ার ৪টি দেশের ভিসা নিয়মনীতি শিথিল রয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। চলুন, সেই দেশগুলোর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এই ঈদে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন এশিয়ার যে দেশগুলোতে
ভুটান
পূর্ব হিমালয়ে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত এই দেশটির উত্তরে চীন এবং দক্ষিণে ভারত। একদিকে স্থাপত্যশিল্পের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ, অন্যদিকে রাফটিংয়ের জন্য এশিয়ার সেরা গন্তব্যগুলোর একটি এই ভুটান। দেশটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গাংখার পুয়েনসাম বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া, যেটি এখন পর্যন্ত আরোহণ করা সম্ভব হয়নি। ভুটানের বিশেষত্বের মাঝে আরও রয়েছে এর বৈচিত্র্যপূর্ণ বন্যপ্রাণী, যার মধ্যে রয়েছে হিমালয় টাকিন এবং সোনালি ল্যাঙ্গুর।
ভুটানের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা
পারো
বিমান বন্দর থেকে নেমেই সোজা চলে যেতে হবে ভুটানের সর্বোচ্চ রাস্তা লা পাসে’তে। কেননা এখান থেকে দেখা মিলবে জলমহরি পর্বতের মোহনীয় দর্শন। অন্যান্য দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে টাইগারস নেস্ট, কিচু মনস্ট্রি, পারো চু, রিনপুং জং, পারো মনস্ট্রি এবং তাং সাং।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
থিম্পু
সমদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ৩৭৫ থেকে ৮ হাজার ৬৮৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত রাজধানী শহর থিম্পুর সর্পিলাকার রাস্তা উন্মাদকতা তৈরি করে পর্যটকদের মনে। রংবেরঙ্গের বাড়িগুলো যেন রঙের ফেরিওয়ালা।
শহরেই ঘোরার মাঝেই চোখে পড়ে মেমোরিয়াল চর্টেন, সিটি ভিউ পয়েন্ট, ক্লক টাওয়ার, থিম্পু জং, থিম্পু নদী, পার্লামেন্ট হাউস ও থিম্পু ডিজং।
পুনাখা
যাওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ হলেও বিস্ময়কর সুন্দর দোচুলা পাস থেকে ফেরার পথে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে পুনাখার অন্যান্য সৌন্দর্য্যগুলোও। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পুনাখা জং, ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম, আর্ট স্কুল ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি। রাফটিংয়ের জন্য ভুটানের খ্যাতিটি মূলত এই পুনাখার কারণেই।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ভুটানের ভিসামুক্ত ভ্রমণ রীতি
ভুটানে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ বাংলাদেশ প্রস্থানের তারিখ থেকে অন্তত ৬ মাস বেশি থাকতে হয়। সেই সঙ্গে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকা আবশ্যক। ভুটানে প্রবেশের আগ মুহূর্তে কাস্টমস কর্মকর্তা এগুলোর একটিতে ভিসা স্ট্যাম্প যুক্ত করে দেন।
এ সময় এসডিএফ (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি) হিসেবে প্রতি দিনের জন্য ২০০ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশি টাকায় এটি ২১ হাজার ৮৫২ টাকার (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ২৬ বাংলাদেশি টাকা) সমান। ৪ দিনের এসডিএফ দিয়ে অতিরিক্ত আরও ৪ তথা মোট ৮ দিন থাকা যায়।
ভুটান ভ্রমণ খরচ
ভিসা ছাড়া ঢাকা থেকে ভুটান গমনের আকাশপথই একমাত্র উপায়। রাউন্ড ট্রিপের টিকিট কেটে রাখলে খরচ হবে ৬৭৩ থেকে ৮৪২ মার্কিন ডলার, যা ৭৩ হাজার ৫৩৫ থেকে ৯২ হাজার টাকার সমান। বিমানে মাত্র ১ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ভুটানের পারোতে পৌঁছা যায়।
৫ দিনের ভ্রমণের জন্য এখানে খরচ হতে পারে জনপ্রতি কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ থেকে থেকে ৩৭ হাজার ৮৮০ গুলট্রাম। বাংলাদেশি টাকায় যেটি ২১ হাজার ৮৫৪ থেকে ৪৯ হাজার ৭১৮ টাকার (১ ভুটানি গুলট্রাম = ১ দশমিক ৩২ টাকা) সমতূল্য। এর মধ্যেই থাকা-খাওয়াসহ অভ্যন্তরীণ যাতায়াত খরচ অন্তর্ভূক্ত।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
মালদ্বীপ
ভারত মহাসাগরে মাঝে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রটি এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর স্থলভাগের উচ্চতা ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং সর্বোচ্চ প্রাকৃতিক বিন্দু মাত্র ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি। যে কারণে মালদ্বীপ বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশ হিসেবে পরিচিত।
মালদ্বীপে কোথায় ঘুরবেন
মালে
মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় এই শহরের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে দেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর সঙ্গে। এখানকার আকর্ষণ প্রবাল পাথরে বানানো হুকুরু মস্ক বা ওল্ড ফ্রাইডে, ভারুনুলা রালহুগান্ধু, মালে মাছ বাজার, সুনামি স্মৃতিস্তম্ভ, মালে জাতীয় জাদুঘর এবং মুলি আজ প্যালেস। স্নোর্কেলিং ও সার্ফিংয়ের স্বর্গরাজ্য এই মালে দ্বীপ।
হুলহুমালে দ্বীপ
মালদ্বীপের বৃহত্তম এই দ্বীপটি মূলত বাজেট হোটেল বা রেস্তোঁরার জন্য বিখ্যাত। রাজধানী মালে থেকে কাছাকাছি হওয়াতে নিমেষেই চলে আসা যায় হুলহুমলে সেন্ট্রাল পার্ক, হুলহুমলে বিচ, হুকুরু মিসকি এবং এইচডিসি বিল্ডিং দেখতে।
আরও পড়ুন: দিল্লি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ভবিনফারু দ্বীপ
এখানে ভিড়ের প্রধান কারণ হলো সৈকতের বন্যান ট্রি ভবিনফারুর ঘরগুলো। ঘুরে দেখার সময় পর্যটকগণ জেট স্কিইং, প্যারাসেইলিং এবং স্নোর্কেলিং করতে কখনই ভোলেন না।
বুসান: ‘অটোবায়োগ্রাফি’ দেখে হল ভর্তি দর্শকের উচ্ছ্বাস
এশিয়ার অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮তম আসরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ বা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার।
চরকি অরিজিনাল এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বাংলাদেশ সময় রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টা ৩০মিনিটে বুসান সিনেমা সেন্টারের সিনেমাথেক-এ ‘অটোবায়োগ্রাফি’র প্রথম শো প্রদর্শিত হয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত সিনেমা নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এই প্রদর্শনীতে।
সোমবার ৯ ও ১১ অক্টোবর লোটে-তে প্রদর্শিত হবে ‘অটোবায়োগ্রাফি’-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শো।
আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহে দর্শকে মাতিয়ে এবার চরকিতে ‘সুড়ঙ্গ’
সিনেমা দেখা শেষে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও প্রযোজক রেদওয়ান রনি দর্শক ও উপস্থাপকের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন।
হল ভর্তি দর্শকের সঙ্গে ইলহাম ও নুসরাত ইমরোজ তিশাকে নিয়ে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ দেখার অনুভূতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর জন্য ছিল একদম ভিন্ন।
তিনি বলেন, ‘দ্যা শো ওয়াজ গ্রেট। শো-তে অডিয়েন্সের রিয়েকশন অনেক এনগেজিং ছিল। প্রশ্ন-উত্তর পর্ব, সবার নানান মন্তব্য, প্রশংসা আমাদেরকে অনেক উৎসাহিত করেছে।’
চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘দিনটি বাংলা সিনেমার জন্য যেমন গৌরবের তেমন চরকির জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
অটোবায়োগ্রাফি দেখার আগে পরে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সকলে প্রশংসা করছে। বাংলা ভাষার কনটেন্ট বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে সমাদৃত হবে এই লক্ষ্যে নিয়েই চরকি প্রথম থেকে কাজ করছে। নিজেস্ব ও লোকাল গল্প দিয়ে কনটেন্ট নির্মাণ করে পৃথিবীর সকল দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে তবেই আমাদের সার্থকতা।’
‘অটোবায়োগ্রাফি’ বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘কিম জিসোক (KIM Jiseok)’ প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে। এই বিভাগে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ এশিয়ার প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নির্মিত এ বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যার মধ্যে ফিলিপিনো মাস্টার ফিল্মমেকার ব্রিলান্টে মেন্ডোজা, শ্রীলঙ্কার পাওয়ার হাউস প্রসন্ন ভিটানেজ, ইন্দোনেশিয়ার ইয়োসেপ অ্যাঙ্গি নোয়েনসহ আরও অনেকে।
৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন জনপ্রিয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজেই নির্মাণ করছেন ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’-বা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ বা ‘মনোগামী’ নামে দুইটি সিনেমা।
‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমায় ফারুকী- তিশা এক সঙ্গে অভিনয় করার পাশাপাশি চিত্রনাট্যে লেখার কাজটিও করেছেন দু’জন মিলে।
আরও পড়ুন: পাতালঘর: চরকিতে আসছে নুসরাত ফারিয়ার ওয়েব ফিল্ম
সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নস: পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ
ষষ্ঠ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর এ গ্রুপ থেকে নিজেদের সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল। শনিবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে (রঙ্গশালা) দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে পরাজিত করার মধ্যদিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় সাবিনাদের।
বাংলাদেশ প্রথমার্ধে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ৪-০ গোলের ব্যবধান গড়ে তোলে।
বাংলাদেশ গত বুধবার তাদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করার পর টানা দুটি গ্রুপ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট অর্জন করে সর্বজয় রেকর্ডের সঙ্গে দিনের দুর্দান্ত জয়ের মধ্যদিয়ে, ‘গ্রুপ-এ’-তে তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিনের অন্য ম্যাচে মালদ্বীপকে হারাতে পারলে একটি ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ এবং ভারত উভয়েই গ্রুপ এ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে।
মালদ্বীপের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচে ৩-০ গোলের জয়ে দু’বার গোল করা বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ৩১, ৩৫ ও ৫৮ মিনিটে টানা তিনটি গোল করে হ্যাটট্রিক করেন।
২০১৬ সালে ভারতের শিলিগুড়িতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলের সঙ্গে তার প্রথম হ্যাটট্রিকের পরে ‘সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে’ সাবিনা খাতুনের এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক।
আরও পড়ুন: ফিফা নারী ফুটবল: মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করল বাংলাদেশ
এর আগে, ম্যাচের শুরুতে মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় সাবিনা খাতুনের ব্যাক পাসে (১-০) রানিং প্লেসিং শটে বাংলাদেশের হয়ে ঝড় তোলেন মনিকা চাকমা।
স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না ২৮তম মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের (২-০) একটি রেডিমেড পাস কাজে লাগিয়ে প্লেসিং শটে বাংলাদেশের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৩১তম মিনিটে মনিকা চাকমার পাসে কাছ থেকে হালকা ধাক্কায় তৃতীয় গোল করেন সাবিনা (৩-০), ৩৫তম মিনিটের মাথায় ৪র্থ গোলটি করেন সানজিদা আক্তার পাস থেকে হ্যান্ডশেক দূরত্ব থেকে হালকা ধাক্কায় (৪-০)। এবং ৫৮ মিনিটে মারিয়া মান্ডার ক্রস থেকে হেডারে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন (৫-0)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
অবশেষে ৭৭তম মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে ৬ষ্ঠ গোল করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করেন রিতু পর্ণা চাকমা (৬-০)।
১৩ সেপ্টেম্বর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
গ্রুপ ম্যাচের পর, ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দু’টি দল সেমিফাইনালে খেলবে।
ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনায় রাজধানীতে ‘গলি গ্রাফিতি’
প্রত্যাশা কম রেখেই এশিয়া কাপ খেলতে উড়াল টাইগার দলের
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কম প্রত্যাশা নিয়েই দুবাইয়ের এশিয়া কাপে খেলতে উড়াল দিয়েছে। আগামী ২৭ আগস্ট দুবাইয়ে এ বছরের এশিয়া কাপে খেলতে মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব সদস্যরা যখন ফ্লাইটে, তখন ভিসা জটিলতায় তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক চৌধুরী পরবর্তী ফ্লাইটে যাত্রা করবেন।
বিসিবি’র এক কর্মকর্তা বলেন, তারা দুজন বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি ফ্লাইটে যাওয়ার চিন্তা করছে।
দুবাই যাওয়র আগে বাংলাদেশের টি২০ ক্যাপ্টেইন সাকিব-আল হাসান বলেন, এ বছরের এশিয়া কাপ থেকে তারা খুব বেশি কিছু আশা করছে না। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ এ ধরনের খেলায় প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে আসছে।
এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশসহ আরও পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করবে যারা দ্বিতীয়বারের মতো এই টি২০ পদ্ধতিতে ক্রিকেট খেলবে।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো টি২০ এশিয়া কাপ খেলা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে ফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা অর্জন করেছিল ভারত।
ওই আসরে বাংলাদেশ প্রথমে আফগানিস্তানের সঙ্গে এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিল।
টি২০ ক্যাপ্টেইন নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমরা যদি এশিয়া কাপের ভালো কয়েকটি ক্রিকেট দেখি, তখন দেখা যায় বিগত কয়েক বছর আমরা ভালো করেছি, যা একটি অর্জন।’ ‘আমরা ফাইনালে যাবো, আমাদের সেই প্রত্যাশা করা উচিৎ হবে না।’
এশিয়া কাপে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কোন সেবা পাবে না বাংলাদেশ। আপাতত শুধু টেস্ট ও ওয়ানডেতেই বাংলাদেশ দলের কোচিং করবেন ডমিঙ্গো।
ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার শ্রীধরণ শ্রীরামকে বাংলাদেশ টি২০ দলের কারিগরি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিনি এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রধান পরামর্শ দাতা হবেন। সোমবার বিসিবির প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান এটি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ: আগামীকাল ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা
নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছে টাইগাররা
তৃতীয় ম্যাচেও আধিপত্য ধরে রাখতে চায় টাইগাররা
প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়ানোর আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও হুয়াওয়ের আয়োজিত ‘স্ট্র্যাটেজি ফর অ্যাড্রেসিং দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ড্রাইভ-ইনক্রিজিং কানেক্টিভিটি টু ড্রাইভ ইকোনোমি রিকোভারি’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তারা।
গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের খরচ কমাতে ও ডিজিটাল শিক্ষার বিকাশে সকল খাতের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রয়োজন; যা বৈশ্বিক মহামারিকালীন সময়ে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুনঃ থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ ডিজিটাল অফিসার মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘এটা শুরুই হবে যারা এখনও ডিজিটাল মাধ্যমে সংযুক্ত নয়, তাদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে।’
তিনি এ অঞ্চলে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে তিনটি প্রধান স্তম্ভকে একত্রিত করে হুয়াওয়ের এজেন্ডা তুলে ধরেছেন। সেগুলো হলোআইসিটি সংযোগ, দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা ও সবুজ প্রযুক্তি।
সাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্টাই কলেজ অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ইয়িন হাইতাও এর বক্তব্যেও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব উঠে এসেছে। সম্প্রতি, তার অর্থনৈতিক বিকাশ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে আইসিটি সমাধান ব্যবহারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রফেসর ইন ও কর্নেল ইউনিভার্সিটির স্যামুয়েল সি জনসন কলেজ অব বিজনেসের প্রফেসর ক্রিস মারকুইস ‘ডিজিটাল ইনভলবমেন্ট অ্যান্ড প্রোভার্টি অ্যালেভিয়েশন: এ হুয়াওয়ে অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির সহ-রচয়িতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুরালস্টার প্রোগ্রামের লক্ষ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে আইসিটি ব্যয় হ্রাস করা, যাতে স্থানীয় ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে টেকসই ডিজিটাল সংযোগ সেবা সরবরাহ করতে সক্ষম হন।
অনুন্নত অঞ্চলে পৌঁছাতে ও ডিজিটাল কভারেজ উন্নত করতে হুয়াওয়ে ২০১৭ সাল থেকে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী স্থানীয় অপারেটরদের সাথে রুরালস্টার প্রোগ্রাম শুরু করে। এ সমাধানটি আগের টাওয়ারগুলোর পরিবর্তে সাধারণ টাওয়ার প্রতিস্থাপন করে এবং ডিজেল জেনারেটর শক্তি থেকে সৌরবিদ্যুতে স্থানান্তরিত করে। ২০২০ সালের মধ্যে, ৬০টিরও বেশি দেশে রুরালস্টার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এবং ৫ কোটি মানুষ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে।
ডিজিটাল বৈষম্যের অন্যতম মূল কারণ আইসিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিভার সঙ্কট। ডিজিটাল অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ সম্পর্কে হুয়াওয়ের কৌশলের সাথে সহমত হওয়া ছাড়াও শ্রম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) লি কুয়ান ইইউ সেন্টার ফর ইনোভেটিভ সিটির পরিচালক পুন কিং ওয়াং মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও সময়পোযোগী করতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও টেকসই সহযোগিতা এবং ডিজিটাল রূপান্তরে শ্রমিকদের সুস্থতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা ।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইকোনোমিক প্রোগ্রামের পরিচালক সোফিয়া শাকিল নারী বেকারত্বের ওপর মহামারির নেতিবাচক প্রভাব এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
২০১৭ সালে হুয়াওয়ে, বাংলাদেশ সরকার (আইসিটি বিভাগ) ও রবি আজিয়াটা যৌথভাবে দেশের গ্রামীণ পর্যায়ের কেন্দ্রে নারীদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধিতে ডিজিটাল ট্রেনিং বাস প্রকল্প চালু করে। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি নারী এখান থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার জন এর থেকে উপকৃত হবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মাইকেল ম্যাকডোনাল্ডের মতে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আসন্ন শ্রম ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য হুয়াওয়ের শিক্ষা বিষয়ক ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে আরও ৪ লাখ ডিজিটাল দক্ষ ব্যক্তি তৈরি হবে হবে আশা করা যায়। এমন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সিডস ফর দ্য ফিউচার, আসিয়ান অ্যাকাডেমি ইত্যাদি।
সেমিনারে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকার, সংশ্লিষ্ট খাত, তৃতীয় পক্ষের চিন্তাশীল নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে একসাথে ইকোসিস্টেম তৈরির বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
বিদ্রোহ রুখতে মিয়ানমারে গ্রাম পোড়ালো জান্তা বাহিনী
মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন রুখতে পুরো একটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এমনটাই জানানো হয়েছে কয়েকটি স্বাধীন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।বুধবার দেশটির কেন্দ্রে অবস্থিত মাগউয়ি বিভাগের পাউক শহরতলীর কিনমা গ্রামটি প্রায় পুরোটাই আগুনে দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় সেনা সদস্যরা।
আরও পড়ুন: আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান
তবে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় সশস্ত্র জঙ্গীরা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার এবং বিরোধীপক্ষ উভয়েই একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করে জঙ্গী হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিকট ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন জটিল হয়ে উঠছে: জাতিসংঘ
গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচতি অং সাং সুকি সরকারের ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই মিয়ানমারে অহিংস জান্তা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু জান্তা সরকারের হত্যা ও নির্যাতনের মুখে এই আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফাই রাইটসের
মিয়ানমারের কিনমা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বর্বরতা আরও গভীরবাবে ফুটে উঠেছে। দেশব্যাপী জান্তা সরকারের প্রতি বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর বর্বরতা চালিয়েই যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিনমা গ্রামের অনেক ছবিতে দেখা যায়, পুরো গ্রাম জ্বলে গেছে। আর কিছু গৃহপালিত পশুর পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের আহ্বান বাংলাদেশের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামটিতে প্রায় এক হাজার লোকের বসবাস ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মোট ২৩৭ টি বাড়ির মধ্যে বর্তমানে শুধু ১০টি ঘর টিকে আছে।
তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
চীন প্রথমবাবের মতো নিজেদের মহাকাশ গবেষণার অংশ হিসেবে তিনজন মানুষসহ মহাকাশে যান প্রেরণ করলো।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, যৌথ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বৃহস্পতিবার চীনের স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ২২ মিনিটে জিকুয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে লং মার্চ টুএফ রকেটের মাধ্যমে তিন চীনা নভোচারী সফলভাবে যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে আসার মুহূর্তে চীনের রকেটের অধিকাংশ পুড়ে যায়
এসময় এই নভোচারীদের মহাকাশ গবেষণা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা ও শিশুরা শুভেচ্ছা ও বিদায় জানায়।বর্তমান অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার তিয়ানহে তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবে। এসময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ স্পেস সেন্টারটিকে আরও দু’টি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে চীনের এক নাগরিক নিহত, আটক ১
যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী বিরোধিতার পরেও চীন তার মহাকাশ গবেষণায় সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমালোচনা থাকলেও ইতোমধ্যেই বেশ সফলতা লাভ করেছে দেশটি। চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা, মঙ্গল গ্রহে সফল রোবট প্রেরণ ইত্যাদি চীনের সফলতার নমুনা।
এশিয়ার সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় তিন বাংলাদেশি
গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এশিয়ার শীর্ষ ১০০ জন বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিন বাংলাদেশি নারী।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ বাংলাদেশেরআন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান ড. ফেরদৌসী কাদরী, লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এমএএলএফ) চেয়ারম্যান সালমা সুলতানা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সায়মা সাবরিনাকে তাদের ষষ্ঠ সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞানীদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছে কোভিড-১৯ টিকা
তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরাও স্থান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন ধরনের করোনা নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা
কোভিড-১৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ এ সময়ের মূল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকদের এবারের তালিকায় বেছে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ধরন আরও প্রাণঘাতী হতে পারে: যুক্তরাজ্যের প্রধান বিজ্ঞানী
তিনজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী এর আগে নেতৃত্ব এবং কার্যকর আবিষ্কারে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছিলেন।
তালিকায় স্থান পাওয়া তিন বাংলাদেশির একজন ড. ফেরদৌসী কাদরী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে অনন্য ভূমিকার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। কলেরা মহামারি থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ সালে ল’রিয়েল-ইউনেসকো ফর ওমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে পশু চিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষাবিস্তারে ভূমিকা রেখেছেন ড. সালমা সুলতানা। প্রান্তিকপর্যায়ের কৃষকদের পশুর চিকিৎসায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য ২০২০ সালে নরম্যান ই বোরল্যাগ অ্যাওয়ার্ড এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
বুয়েটের অধ্যাপক সায়মা সাবরিনা ন্যানোম্যাটেরিয়্যালের ব্যবহার নিয়ে গবেষণার জন্য ২০২০ সালে ওডব্লিউএসডি এলসেভিয়ের ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর আর্লি ক্যারিয়ার ওমেন সায়েন্টিস্ট ইন দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড পেয়েছেন।
করোনাকালে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের মহামারি চলাকালে এশিয়ার সবগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।