মানবাধিকার লঙ্ঘন
সীমান্তে উত্তেজনা: বাংলদেশের প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুশ-ইন অব্যাহত
‘বাংলাদেশি’ ট্যাগ দিয়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে শিশু, নারী-পুরুষদের ঠেলে দিচ্ছে (পুশ-ইন) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে প্রতিবেশী এই দুই দেশের অভিন্ন সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
বিএসএফের পুশ-ইন করা মানুষের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও পরিচয় না জানাও অনেকে রয়েছেন। বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও জনসম্পৃক্ততায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো হলেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রামগড় সীমান্ত দিয়ে এক পরিবারকে পুশ-ইন করল বিএসএফ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সূত্র জানায়, শুধু বৃহস্পতিবারই (২২ মে) একশর বেশি মানুষ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে। পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, ফেনী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ির সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
সরকারি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ থেকে ১৫ মের মধ্যে ভারতে থেকে অন্তত তিন শতাধিক মানুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে।
বিজিবি ও সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মতে, ভারতের দিক থেকে ‘পুশ-ইন’ কিংবা ‘পুশ-ইনের চেষ্টা’ ক্রমেই বাড়ছে। এ ছাড়া সীমান্তে চলাচলের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএসএফ, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বলে জানা যায়।
অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত ও বাংলাদেশ আইনি কাঠামোর পাশাপাশি চুক্তি করলেও সেসব উপেক্ষা করেই পুশ-ইন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পরিপন্থী।
বিএসএফের পুশ-ইনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, কিছু বাংলা ভাষাভাষী ব্যক্তিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর পর আটক করেছে বিজিবি। তারা কোনো পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট দেখাতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করছেন যে তারা এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন।
আইজিপি জানান, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা তাদের পরিচয় যাচাইয়ের পর পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আটকদের মধ্যে অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের চোখ বেঁধে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে এনে নির্জন সীমান্ত এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়েছে।
বিজিবি তাদের আটক করে পরিচয় জানতে ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত বুধবার (২১ মে) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং নির্ধারিত পদ্ধতির বাইরে যাতে কিছু না ঘটে, তার জন্য ঢাকার পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে।
নির্ধারিত কার্যপ্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা (ভারত) তাদের অবস্থান কিছুটা জানিয়েছে, আমরাও আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি যে এটা সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় পুশ-ইন: শিশুসহ আটক ৭
উপদেষ্টা জানান, ভারত একটি তালিকা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাচাই করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হলো, প্রত্যেকটি ঘটনা পৃথকভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রকৃত বাংলাদেশি হিসেবে প্রমাণ থাকলেই কেবল তাদের গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, যেকোনো প্রত্যাবাসনই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
১৯৫ দিন আগে
শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সংবিধানে শ্রমিকদের অধিকার থাকতে হবে সর্বাগ্রে। তাই শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, মানবাধিকারের জন্য যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদের অধিকাংশই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে না। শ্রমিকদের জন্য কিছু হলেও যেন শুরু করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
গার্মেন্টস শ্রমিকসহ অনেক শ্রমিকের শোষণ আমরা চোখে দেখলেও কৃষি শ্রমিকের শোষণ আমরা চোখে দেখি না বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিরডাপ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘বৈশ্বিক মানদণ্ডের সমমান সম্পন্ন অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রম আইন এবং কৃষি ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির শ্রমিকদের আইনি স্বীকৃতি’ বিষয়ক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত সরকার কৃষিতে আধুনিকায়নের ব্যাপারে জোরেশোরে বললেও কৃষকের মজুরি বেশি বলে তারা হারভেস্টার মেশিন এনেছে। এর ফলে কৃষকরা বেকার হয়ে যাচ্ছে। এমনকি আগাছা পরিষ্কারের জন্য আগাছানাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা যে কী ভয়াবহ সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগী কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। এর কারণ মহিলারা কীটনাশক মেশাচ্ছে আর কৃষকরা তা স্প্রে করছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না, তাই প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। এছাড়া কৃষি আইনে কৃষক বলে কোনো শব্দ নাই আছে কন্টাক্ট ফার্মার( চুক্তিভিত্তিক চাষি)।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা, ২০১৭ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ নয় বরং শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আজিজুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম এবং দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।
৩৪০ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে এমআইটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
মঙ্গলবার তথ্য ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রেও যে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয় তার প্রমাণ এই হত্যাকাণ্ড।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে, তদন্ত চলছে। আমরা আশা করি যে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের বিচার হবে। কেউ যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। বিশ্বের কোথাও যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় তাও আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান হত্যা: বিচারের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার বলেছেন যে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী ও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।।’
বুধবার বিএনপির দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার সব সময় সহযোগিতা করেছে এবং করবে। তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে তারা সর্বদা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের জানমাল ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব, আমাদের দল সতর্ক পাহারায় থাকবে যাতে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। যদি করার চেষ্টা করা হয় তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে, আমাদের দল জনগণের সঙ্গে থাকবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিনে মুক্তি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের আদালত স্বাধীন। সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশের আদালত খুব স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাই তারা মুক্তি পেয়েছে। তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আশা করি সুস্থ থেকে তারা সরকারের বিরোধিতা চালিয়ে যেতে পারবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ বাড়ি থেকে ৫ শিশুসহ ৮জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
১০৫৯ দিন আগে
র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিলেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
১৮৬০ দিন আগে