ফরেন সার্ভিস একাডেমি
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হঠাৎ ফায়ার এলার্ম, সাময়িক স্থগিত সংলাপ
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মূল ভবনের শাপলা হলে চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২০তম দিনের সংলাপ। সোমবারের (২৮ জুলাই) এই বৈঠকে দুপুর সোয়া ১২টার পরে হঠাৎ করে বেজে উঠে ফায়ার এলার্ম।
এতে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন সংলাপে অংশ নেওয়া সকলে। এলার্ম বাজার কিছুক্ষণ পরে সাময়িক সময়ের জন্য সংলাপ স্থগিত করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, এখানে ফায়ার এলার্ম বেজে উঠেছে। তাই আমাদের কিছু সময়ের জন্য বের হতে হবে। এরপর সবাই সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। নেতারা মূল ভবন ছেড়ে বাইরে চলে যান। ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ফায়ার এলার্ম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আলোচনা শুরু হতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
এরআগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে চার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনা থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াক আউট করে বিএনপি। দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার শুরুতেই বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বৈঠক থেকে বের হয়ে যান।
দলটি আগেই বলেছিল এ বিষয়ে আলোচনায় তারা অংশ নেবে না। তবে কিছু সময় পর বিএনপির প্রতিনিধি দল আবার আলোচনায় যোগ দেয়। প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিরীক্ষক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংক্রান্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপি অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিল।
১৩০ দিন আগে
ঢাকায় দপ্তর স্থাপন করতে যাচ্ছে ওএইচসিএইচআর
বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক সহযোগিতা জোরদারে তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) দপ্তর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) এ সংক্রান্ত খসড়া সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
পরবর্তীতে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের আলোচনার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য তাদের দপ্তর চালু করা হবে। প্রয়োজন হলে পরে দুপক্ষের সম্মতিতে মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা আরও একবার খসড়া এমওইউ পর্যালোচনা করবেন এবং তারপর চূড়ান্ত খসড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের কাছে পাঠানো হবে।
‘ওই পক্ষ (জাতিসংঘ) সম্মতি দিলে দ্রুতই চুক্তি স্বাক্ষর এবং দপ্তর স্থাপন করা হবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের কঠোরতায় ‘মব সন্ত্রাস’ কমে এসেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল আশা প্রকাশ করেন, গত বছর জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক সহিংসতার পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরকে স্বাধীন তদন্ত মিশন পরিচালনার আমন্ত্রণ জানায়। সেই মিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জুলাই-আগস্ট সময়কালে সহিংসতায় প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হন।
জাতিসংঘের দপ্তরটি দেশে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, পুলিশ ও বিচার বিভাগীয় সংস্কারসহ বিভিন্ন চলমান প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
গত ৪ জুন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছিলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সরকার ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করেছে। খুব দ্রুত সই হওয়ার পর বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের দপ্তর চালু হবে।’
১৫৯ দিন আগে
ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সহযোগিতাবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে একাডেমিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশ্ফী বিন্তে শাম্স এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারকটি সই করেন।
আরও পড়ুন: কাতার আমিরের সফরে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাক্ষী হিসেবে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন খান ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম স্মারকটিতে সই করেন।
সমঝোতা স্মারকটির আওতায় প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী আদান প্রদানে সক্ষম হবে দুই প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দুই প্রতিষ্ঠান গবেষণাসংক্রান্ত বিভিন্ন ধাপে এবং কার্যক্রমে একে অপরের সহযোগিতা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাশ্ফী বিন্তে শাম্স, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ বক্তৃতা করেন। তারা স্মারকের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট পারস্পরিক সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্মারকটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চীনের আনহুই প্রদেশের সঙ্গে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই
কাতারে কর্মী পাঠাতে সোমবার সমঝোতা স্মারক সই হবে: প্রবাসীকল্যাণ সচিব
৫৮৪ দিন আগে
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’- প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে।’
জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরীব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানে শিশুদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতির পিতা ছিলেন শিশুমনের অধিকারী একজন মানুষ। শিশুদের সঙ্গে তিনি গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি নিজের জন্মদিনে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তোমরা জীবনে অনেক বড় হও, ভাল মানুষ হয়ে গড়ে ওঠো, সৃজনশীলতা ও নতুনের আহ্বানে এগিয়ে যাও সামনে।’
মাসুদ বিন মোমেন নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, অধ্যবসায় আর সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। আজকের শিশুরাই হাল ধরবে আগামীর বাংলাদেশের, শিশুরাই হবে ভবিষ্যতে সোনার বাংলার কাণ্ডারি।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহ।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। একইসাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব:) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস এবং ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর সভাপতি মিজ ফাহমিদা জেরিন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) পরিবারের শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পিএসডি (প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট) পরিচালিত স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর পক্ষ হতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পিএসডি পরিচালিত স্কুলের সহায়তার জন্য প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (পিএসডি) এর সাধারণ সম্পাদক শিরিন রহমানের কাছে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজ ফাহমিদা জেরিন।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকল শিশুকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে উপস্থিত সকল শিশুকে বঙ্গবন্ধুর বই উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তারা, ফোসা পরিবারের সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
৯৯৪ দিন আগে
বঙ্গবন্ধু জাতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সরকারে ছিলেন, কিন্তু জাতির পিতা হিসেবে এই সাড়ে তিন বছরে জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে যা যা দরকার সবগুলো তিনি সমাধা করে গেছেন। আর সেই সাথে আমাদের দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেছেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘জাতির ভিত্তি রচনার জন্য দরকার একটা শাষণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মাথায় একটা অপূর্ব শাষণতন্ত্র আমাদের দিয়ে গেছেন। অথচ পাকিস্তানের শাষণতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে নয় বছর, আর আমেরিকার শাষণতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে তেরো বছর।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কার্যকর নেতৃত্বের জন্যেই মাত্র দুই মাসের মাথায় আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সৈন্য ফিরে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কারণেই সাড়ে তিন বছরেই আমরা ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, প্রত্যকের সদস্যপদ এমনকি জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন করি। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্বের কারণে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ প্রতিপাদ্যের উক্ত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, পোয়েট অব পলিটিক্স খ্যাত বঙ্গবন্ধু কেবল এ দেশের নয়- তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নেতা, দেশে দেশে নিপীড়িত জনতার সংগ্রামী চেতনার এক জীবন্ত কিংবদন্তি। আর তাই, বঙ্গবন্ধুকে হারানোর বেদনা কেবল এ দেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে ধ্বনিত হয়, বিশ্বের নেতৃবৃন্দও শোকার্ত হন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য যা যা করার, আমি যতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছি এই প্রচেষ্টা অবশ্যই চালিয়ে যাবো।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের একটি ফাউন্ডেশন আছে- বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল তাদেরও বিচারের আওতায় আনার জন্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আন্দোলন করে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ‘নন-এলাইন্ড ফরেন পলিসি’ গ্রহণ করেন। এটা যে আমাদের জন্যে কত মঙ্গলজনক, আমরা আজও তাঁর ফরেন পলিসি নিয়ে চলছি। বঙ্গবন্ধু সে সময়ে অনেক ধরনের চাপের মধ্যেও ‘নন-এলাইন্ড পলিসি’ অবলম্বন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন- পিস ইজ ইম্পারেটিভ ফর ডেভেলপমেন্ট। সে জন্য তিনি সবসময় শান্তির জয়গান গেয়েছেন। আমরা শান্তি চাই। শান্তি উন্নয়নের একটি বড় সহায়ক। আমরা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বঙ্গবন্ধুর এই শান্তির প্রচেষ্টাকে জোর দিতে চাই।’
‘বিশ্বব্যাপী যে সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে আছে সেগুলো যাতে কমানো যায় সেজন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করার সুযোগ আছে’ বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষকে সবচেয়ে ভালবেসেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষকে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে কোন কিছুই দাবায়ে রাখতে পারে না।’
‘বঙ্গবন্ধু সবক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, আর তার দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছেন। এর ফলে আমরা বিশ্বে একটা বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছি, একটা ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। সম্প্রতি আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিরাট সেতু নিজেদের পয়সায় তৈরি করেছি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে দেশে অভাব অনটন দূর করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তখনই কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে হয়তো আমরা বহু বছর আগেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতাম।’
পড়ুন: এটি খুবই অন্যায়: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১২০৭ দিন আগে
বাংলাদেশ-মেক্সিকোর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং মেক্সিকোর মাতিয়াস রোমেরো ইন্সটিটিউটের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সহযোগীতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর মাতিয়াস রোমেরো ইন্সটিটিউট-এর পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কারম্যান মোরেনো টস্কানো এবং বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির পক্ষে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
ভাইস মিনিস্টার কারম্যান মোরেনো টস্কানো তার বক্তব্যে আশা প্রকাশ করে বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও নতুন মাত্রা পাবে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্কের দিকে দৃষ্টি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার
এই সমঝোতা স্মারকটি স্মাক্ষরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের অংশগ্রহণে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি তরুণ কূটনীতিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, দুই দেশের মধ্যে প্রভাষক ও রিসোর্স পার্সন বিনিময় এবং তথ্যাদি ও প্রকাশনা আদান- প্রদান করা সহজতর হবে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষানবীশ কূটনীতিকদের জন্য এই স্মারকটি স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহনাজ রানুসহ দূতাবাসের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের মহাপরিচালক ক্লডিয়া ফ্রাংকো ইহুলস ও মাতিয়াস রোমেরো ইন্সটিটিউটের পরিচালক আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস আরব আমিরাতের
১৩৮৬ দিন আগে
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের শপথ গ্রহণ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীর সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা শপথ গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ বাক্য পাঠ করান। এসময় দেশবাসীর সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই শপথ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
ক্যানবেরায় বিজয় দিবসে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
১৪৫০ দিন আগে
শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দিনব্যাপী শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট-২০২১ এর আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার সকালে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ ও গ্রান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের ওপর প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১৫১১ দিন আগে
মোদির সফরের বিরোধিতা নিয়ে চিন্তিত নই: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন শনিবার বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে একটি গ্রুপের বিরোধিতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
১৭২১ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা জানালেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফরে আসা মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লা শহীদ জানিয়েছেন, একটি চুক্তির ভিত্তিতে দৃঢ় কাঠামো তৈরি করে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দেবে মালদ্বীপ।
১৭৬০ দিন আগে