বাকস্বাধীনতা
আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে অন্যদের বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না, সরকারের আশ্বাস
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও অন্য রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না। এতে কারো বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না, সবাই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে, সোমবার (১২ মে) আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ সম্পর্কিত বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। ওই আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগকে পরিপূর্ণ নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই আহতের অবস্থান কর্মসূচি
তবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এই আইন কিংবা প্রজ্ঞাপন ক্ষুণ্ন করবে না বলে বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে সরকার।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনানুগ বিশ্লেষণ বা মতামত দেওয়ার অধিকার এই প্রজ্ঞাপনে হরণ করা হয়নি।
অন্তবর্তী সরকার জানায়, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হামলা গুম, খুন, অমানবিক নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
এসব অপরাধের অভিযোগে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের ফৌজদারি আদালতে অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে গেল ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হামলা ও উসকানি দেওয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নিষিদ্ধ করায় নেতিবাচক আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করে না সরকার: প্রেস সচিব
এতে এই সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গতকালের প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০৬ দিন আগে
ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নত, বাকস্বাধীনতা বেশি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র অনেক উন্নত এবং বাকস্বাধীনতাও বেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে বিরোধী দল সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা, মাঝে মাঝে রাতের বেলাতেও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে, যেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে, তার উদাহরণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও নেই।
এছাড়া আমি বিএনপিকে বেশি দূরে যেতে বলব না। তারা যেন ভারতের দিকে একটু তাকিয়ে দেখে।
আরও পড়ুন: ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতে বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্যের কারণে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। সংসদ সদস্য পদ চলে গেছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন সদস্য। বিজেপির এমপি ছিলেন।
আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য রাখা হয়, সে জন্য কি আমরা আদালতে গিয়েছি?
এখান থেকেই বোঝা যায়, তাদের বাকস্বাধীনতা ও দেশে গণতন্ত্র কতটুকু আছে।
এ সময়ে চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বছরে যদি ১০টি ভারতীয় ছবি মুক্তি পায়, এতে আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বরং মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে, তখন আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি হবে।
এছাড়া আমাদের ছবি, আমাদের চলচ্চিত্র উপকৃত হবে।
পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের দুর্দশা থেকে উঠে আসার কথা তুলে ধরতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ত্রিশ-পয়ত্রিশটিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি শুরু করে দেয়।
এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২০০ হয়েছে। তাদের চলচ্চিত্রের মানও অনেক উন্নত হয়েছে।
আমাদের দেশেও ভালো ভালো ছবি হচ্ছে। সামাজিক ছবি প্রচুর হচ্ছে। ছবি থেকে অশ্লীলতা বিদায় নিয়েছে। সামাজিক ও অ্যাকশনধর্মী ছবি হচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
করোনা মহামারি না হলে এরমধ্যে আরও অনেক সিনেমা হল চালু হয়ে যেতো। দেশে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যাও বাড়ছে।
এ সময়ে একটি চলচ্চিত্র যাদুঘর করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি যাদুঘর হতে পারে। এফডিসিতে নতুন ভবন হওয়ার পর সেটা করা হবে।
মতবিনিময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন-পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, সদস্য এইচডি রুবেল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সেক্রেটারি চিত্রনায়িক নিপুণ, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
৯৫৪ দিন আগে
বাকস্বাধীনতার নামে অপপ্রচার চালানো উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
বাকস্বাধীনতার নামে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া ও মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পাশাপাশি যে কোনো ঘটনার সত্যিকারের তথ্য উত্থাপন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৮৫৯ দিন আগে