রিট
বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখে হাতিকে সার্কাসে ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন এবং বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র্যালিতে ও বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদনের কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় মৃত হাতি উদ্ধার
তাদের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানান কর্মসূচি দিয়ে আসছে।
এর মধ্যে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু
এসময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বিভাগটির পক্ষ থেকে।
এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
হাতির উপর নির্যাতন বন্ধ, বিনোদনের কাজে মহাবিপন্ন প্রাণীর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি বন্ধ করতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন রিটকারীরা।
ফটিকছড়ি আসনে বিজয়ী সনির সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে রিট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিজয়ী সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সদস্য পদ বাতিল চেয়ে আদালতে রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিট আবেদনে ওই আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ এ রিট করেছেন।
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদের পক্ষের আইনজীবী শাহ আলম অভি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল আওয়ামী লীগ
তিনি জানান, নির্বাচনি হলফনামায় খেলাপি ঋণসংক্রান্ত অর্থঋণ আদালতের মামলাসহ আটটি ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপন করে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন খাদিজাতুল আনোয়ার ৃসনি।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। একতারা প্রতীকে সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৮ ভোট।
আরও পড়ুন: স্থগিত নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ চলছে
পুনঃতফসিল দিয়ে সেনাবাহিনীর অধীনে ভোট চেয়ে করা রিট খারিজ
সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবিতে করা রিট খারিজ (নট প্রেসড রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম, এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও তাহমিনা পলি।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, রিট আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতার (মেনটেইনেবলিটি) গ্রাউন্ডে খারিজ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
আদালত বলেছেন, রিটকারী সঠিকভাবে আসেনি।
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কোনো নোটিশ না পাঠিয়ে সরাসরি রিট দায়ের করেছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল।
দলটির চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিট আবেদনে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
রিটে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়।
রিট দায়েরের পর ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত সেদিন বলেছিলেন, গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
তিনি আরও বলেছিলেন, সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে রিট আবেদন করেছি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ৮ মে উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। তাদের নিবন্ধন নম্বর-৪৬। দলটির নির্বাচনী প্রতীক আপেল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে নির্দেশনা চেয়ে মেজর হাফিজের রিট
চিকিৎসার জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে ভারতে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য মেজর হাফিজ ও তার স্ত্রীকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি যেতে ও দেশে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার রিটটি জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনের উপর বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে।
রিটে বলা হয়েছে, হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার দেশত্যাগে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়। এমন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ রিটটি করেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার হাফিজ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দিল্লির ফোর্টিস হাসপাতালে বুধবার তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ধরতে স্ত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দরে যান। মালপত্র উড়োজাহাজে তোলা হলেও ইমিগ্রেশন পুলিশ অপেক্ষায় রেখে জানায়, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পরে বাসায় ফিরে আসেন। অবশ্য হাফিজের স্ত্রীকে যেতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে তিনি চিকিৎসা নেবেন।
কেন যেতে দেওয়া হলো না- জানতে চাইলে হাফিজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কিছু বলতে পারেনি। আমি এ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। চিকিৎসার জন্যও সরকার আমাকে দিল্লি যেতে দিল না। আমি মর্মাহত।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে রেললাইন কাটাকে নাশকতা বলে তদন্তের দাবি বিএনপির
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্পেনের ব্যবসায়ীরা: বিদায়ী রাষ্ট্রদূত
মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
দেশে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
আগামী রবিবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের সই করা তালিকা দাখিলের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
এছাড়া, জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব দলিলে সইকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন জানানো হয়েছে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দলিলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিষিদ্ধ করার পক্ষে বাংলাদেশ সইকারী দেশ। সে হিসেবে সেসব দলিল অনুসরণ করাই আন্তর্জাতিক আইনের রীতি। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদেও আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডের বিধান আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব কারণে রিটটি দায়ের করেছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিট আবেদনটির পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপিপন্থী আাইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এর আগে রবিবার আমিনুর রহমানের স্ত্রী রাহাত আরা খানের পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রিট আবেদনটি দাখিল করেন। রিটে ওই যুবদল নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গত ২৯ নভেম্বর ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে যুবদল নেতাকে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী এক আইনজীবী।
এসময় স্বপ্রণোদিত আদেশ চাইলে আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বিষয়টি রিট আবেদন হিসেবে দায়ের করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার রিটটি করা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট এলাকায় বাসে আগুন
ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক।
অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা। এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ১৩ নভেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
একাদশ জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন ঠিক করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
এছাড়া রিটে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন পেছানোর সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিটের বিষয়টি তিনি নিজেই সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, যেকোনো দিন রিট আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
এর আগে মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর দাবিতে প্রধান নির্বাচন কশিনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এই নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পেদক্ষেপ না নেওয়ায় বুধবার রিট করেন এই আইনজীবী।
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, ঘোষিত তফসিল পেছানোর জন্য রিটে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অনুপস্থিত রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় সেক্ষেত্রে ভোটের তারিখ পেছানো উচিত। এ ছাড়া নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশিদের চাপও রয়েছে।
রিটটি বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে এই আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন— না, বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, জনস্বার্থে এই রিট করেছি।
তিনি বলেন, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনগত (হাইকোর্টে রিট) পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ রিট আবেদন করা হয়।
ভোট গ্রহণের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন রিটটি দায়ের করেন।
বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য ৫৬ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে দানকর দিতে হবে: হাইকোর্ট
অন্যরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান এবং পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
এই মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান। একই বছরের ১৯ আগস্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দেওয়া হয়।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে ৬৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এছাড়া কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির পাঁচ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান বিচারিক আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মুনাফা-লোভভিত্তিক আমাদের এই সভ্যতা নিশ্চিত আত্মহননের পথে এগিয়ে চলেছে: ড. ইউনূস
থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন দায়ের করে।
রিট আবেদনকারীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী এবং অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে।
রিটে থ্যালাসেমিয়া রোগ বিস্তার রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং বিবাহ রেজিস্ট্রি ফরমে বর-কনের থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কিত তথ্য কেন লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে।
এছাড়া রিটে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ বন্ধে গাইডলাইন তৈরি করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং কমিটির ড্রাফট গাইডলাইন ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
থ্যালাসেমিয়া রোগ বিস্তার রোধে ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ জনগণ, সরকারি কর্মচারী ও অন্যান্য পেশার মানুষদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য বিবাদীদের ওপর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকসহ মোট ৮ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া জিনগত অর্থাৎ বংশানুক্রমিক রোগ। এই রোগ থ্যালাসেমিয়ার জিনবহনকারী দুই বাবা-মায়ের মাধ্যমে সন্তানের দেহে সংক্রমিত হয়। তবে সচেতনতার অভাব এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অপ্রতুলতার কারণে দুই থ্যালাসেমিয়া জিন বাহকের বিয়ে বন্ধ করতে না পারায় এই রোগ ক্রমেই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিস্তার লাভ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগ সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুই থ্যালাসেমিয়া জিন বাহকের বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বন্ধ করতে না পারলে আগামীতে এই রোগ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, বাবা-মায়ের একজনও যদি থ্যালাসেমিয়া জিনের বাহক না থাকে বা সুস্থ থাকে তা হলে তাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে এই রোগ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ ১ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ থ্যালাসেমিয়া বাহক বা রোগী। এছাড়াও প্রতি বছর আরও ৭ হাজারের বেশি নতুন শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগের জিনসহ জন্মগ্রহণ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানের মাত্র ১০ শতাংশ বাহককে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী ৫০ বছরে এই সংখ্যা ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। দেশ ও জাতি হবে মেধাশূন্য, কমে যাবে মানুষের কর্মক্ষমতা।
থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক পরিবারের পক্ষেই তা বহন করা সম্ভব হয় না। কারণ চিকিৎসায় রোগীকে প্রায় প্রতি মাসেই এক বা একাধিকবার রক্ত দিতে হয়। ২০১৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য শুধু রক্ত সঞ্চালনের জন্য তার পরিবারকে বছরে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। আরেক ধরনের চিকিৎসা হলো অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত মাত্র দুজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
অর্পিত সম্পত্তির তদারকি-লিজের ক্ষমতা ডিসিদের: হাইকোর্ট
বাফুফের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অনুসন্ধান চেয়ে রিট
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফের) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ মে) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন।
রিটে যুব ও ক্রীড়াসচিব,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাফুফের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদককে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানান আইনজীবী।
বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। এতে ফল না পেয়ে তিনি আজ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হচ্ছে না। ফুটবলকে বাঁচাতে হলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ কারণে রিট দায়ের করেছি। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান