চিকিৎসা
রাঙ্গামাটিতে চিকিৎসার অভাবে দেড় মাসে ৫ জনের মৃত্যু
রাঙামাটির সীমান্তবর্তী বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের ঠেগা চান্দবী ঘাট এলাকায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসার অভাবে তীব্র জ্বর, পেটব্যথা ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণে গত দেড় মাসে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছেন। এ রোগে আরও ১৪ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মৃতরা হলেন- চিত্তি মোহন চাকমা, বিমলেশ্বর চাকমা, ডালিম কুমার চাকমা, পত্ত রঞ্জন চাকমা, সোনি চাকমা।
এরমধ্যে ডালিম কুমার চাকমা ও সোনি চাকমা বাবা-মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে আগর বাগান থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, মৃত্যুর আগে প্রত্যেকেরই তীব্র জ্বর ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া আরও ১৪ জনের পেটব্যথা, জ্বর দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়।
প্রথমদিকে সাধারণ জ্বর মনে করলেও দেড় মাসে পরপর ৫ জনের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মনে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ গত ১৭ মার্চ ডালিম কুমার চাকমার মেয়ে সোনি চাকমা জ্বরে আক্রান্ত হয়। এর সঙ্গে পেট ব্যথা ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়। পরে মারা যায়। এর দুই দিন আগে ১৫ মার্চ চিত্তি মোহন চাকমা একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ডালিম কুমার চাকমা, ৭ ফেব্রুয়ারি বিমলেশ্বর চাকমা এবং সর্বপ্রথম গত ১০ জানুয়ারি পত্ত রঞ্জন চাকমা পেট ব্যথা, জ্বর ও বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণে মারা যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৫ জনের মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর দুর্গম এলাকায় বৃহস্পতিবার একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়।
বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মংক্যসিং রাখাইন সাগর বলেন, এলাকাটি অতি দুর্গম। সেখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। আশেপাশে কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। এতগুলো মানুষ মারা গেছে, সে খবর এতদিন আমাদের কেউ দেয়নি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা মেডিকেল টিম গঠন করে সেখানে গিয়ে খোঁজখর নিচ্ছি। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, আমার ধারণা খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। মেডিকেল টিম নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মংক্যসিং রাখাইন সাগরের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি মেডিকেল টিম চান্দবীঘাট এলাকায় গেছে। এলাকাটি অতি দুর্গম। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেল টিম গঠন করে চান্দবীঘাটে পাঠিয়েছি। আর যেন কোনো প্রাণহানি না হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে রোগীদের রাঙ্গামাটি এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
রাঙ্গামাটিতে সিএনজিতে লরির ধাক্কা, খাদে পড়ে নিহত ৩
ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়াদি নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রজনন ও বিস্তার কীভাবে হয় সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে। আমরা প্রিভেনশন নেব প্রতি ওয়ার্ডে, মানুষকে সচেতন করা ও মানুষকে বোঝানো যে ডেঙ্গু কীভাবে হয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়। রোগীরা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন বা জ্বর হয় তারা যেন অতি দ্রুত হাসপাতালে আসেন। অনেক সময় দেখা যায় অনেক দেরিতে আসেন। তখন কিছু করা যায় না। এই ম্যাসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোর্ড সভা
চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসা গবেষণায় আরও সময় দিন: চিকিৎসকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার মানসিকতাকে কবর দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় আরও সময় দিতে দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা একটি সেক্টরে পিছিয়ে আছি। আর সেটি হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা। চিকিৎসকরা প্র্যাকটিস করে অর্থ উপার্জনে নিয়োজিত থাকেন এবং তারা গবেষণার কাজে আগ্রহী না।’
'বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ', 'জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ' এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের বিশেষ গবেষণার অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার(১১ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনা শ্রোতাদের মধ্যে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিষয়ে জানতে চান।
তিনি বলেন, ‘এটি ঠিক যে, এখানে চিকিৎসকরাও আছেন, আমি সরাসরি তাদের জিজ্ঞাসা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী এখন থেকেই গবেষণা কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা কার্যক্রমে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশের মানুষকে সুস্থ, সবল ও মেধাবী হতে হবে। তাদের মেধা বিকশিত করার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য গবেষণা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় যারা সম্পৃক্ত হবেন তাদের সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দেবে।
তিনি বলেন, 'আমি আবারও অনুরোধ করবো সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণা কাজে আরও বেশি সময় দিন।’
তিনি বলেন, গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করতে যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করে। আমাদের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো ধরনের গবেষণায় সব ধরনের বাধা দূর করতে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গবেষণার জন্য বিনিয়োগের অর্থ দেশের গণমানুষের পকেট থেকে আসছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভার সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের এই অর্থ অবশ্যই জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে।’
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি নির্মাণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মাটি খুবই নরম। আমরা প্রতিটি দ্বীপে মাটি পরীক্ষা করেছি, কিন্তু সেখানে এ ধরনের প্লান্ট নির্মাণ করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হলে সরকার রূপপুরে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে প্রথমটি শেষ করার পরপরই দ্বিতীয়টি শুরু করতে বলেছি এবং এখন থেকেই আমাদের তার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আলী হোসাইন এতে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
গ্লুকোমা: চিকিৎসা পায় ১০% রোগী, অন্ধত্বের ঝুঁকিতে ৯০%
দেশে গ্লুকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখের মতো। এর মধ্যে ১৮ লাখ রোগীই চিকিৎসার আওতার বাইরে থাকায় অন্ধত্বের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর গ্রিন গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত আসন্ন বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
হারুন আই ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্লকোমা সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. শেখ এমএ মান্নাফ বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৫টি উপজেলায় ১৭ হাজার মানুষের মধ্যে আমরা একটি জরিপ করেছি। এতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের মধ্যে গ্লুকোমা রোগ পাওয়া যায়, যা মোট জনসংখ্যা বিবেচনায় প্রায় ২০ লাখের মতো।’
তিনি বলেন, ‘আশঙ্কাজনক বিষয় হলো ২০ লাখ মানুষ গ্লুকোমায় আক্রান্ত হলেও রোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। অর্থাৎ চিকিৎসার বাইরে এখনও ১৮ লাখ গ্লুকোমা রোগী। জরিপে আমরা দেখেছি শহরাঞ্চলে গ্লুকোমা রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক একটু বেশি। ছেলে মেয়েদের মধ্যে দুই লিঙ্গেরই গ্লুকোমা হতে পারে। তবে প্রকারভেদে আক্রান্তের হার ভিন্ন রকম পাওয়া গেছে।’
ডা. এমএ মান্নাফ বলেন, গ্লুকোমার দুটি বিস্তৃত প্রকার আছে। একটি হলো ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা, যার অগ্রগতি বেশ ধীর। অন্যটি হলো তীব্র অ্যাঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা, যা দ্রুত অগ্রসর হয়। এরমধ্যে ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা ছেলেদের ৪ শতাংশ আর মেয়েদের ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অ্যাঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা মেয়েদের ৬ শতাংশ, ছেলেদের ১ দশমিক ৫ শতাংশ। আর বাইরেও আরও ১০ শতাংশ মানুষ পেয়েছি, যাদের গ্লুকোমা হতে পারে এমন প্রবণতা আছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, গ্লুকোমা হলো এমন একটি রোগ, যার ফলে মানুষ নিরবেই অন্ধত্বের দিকে এগুতে থাকে। মানুষ বুঝতেই পারে না। সাধারণত চোখে ছানি পড়লে তা অপারেশনের মাধ্যমে ভালো হয়। কিন্তু কারো গ্লুকোমা হয়ে গেলে তা আর পুরোপুরি ভালো হয় না।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশ্বে ৭.৭ মিলিয়ন মানুষ গ্লোকোমায় আক্রান্ত। চোখে প্রেশারে প্রথমে নার্ভ নষ্ট হয়। পরেশার যদি যাওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত হয়, তখনই নার্ভগুলো ভিন্ন কোনো পথ খুঁজে। একটা সময়ে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।
এই চিকিৎসক বলেন, গ্লুকোমা হলে সাধারণত মানুষ শুরুর দিকে বুঝতে পারে না। ফলে চিকিৎসাও নিতে আসে না। আর যখন অন্ধত্বের কাছাকাছি চলে যায়, তখন চিকিৎসা নিতেও ভয় পায়। মানুষ চিকিৎসা না নেওয়ার আরেকটি কারণ হলো, গ্লুকোমা হলে কোনো ধরনের ব্যথা নেই। তাই আর্লি স্টেজে রোগটি ধরাও পড়ে না।
ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সাধারণত চল্লিশোর্ধ মানুষের গ্লুকোমা বেশি হয়। রোগটি হলে একেবারে ভালো হয় না, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এজন্য আমাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করতে হবে। রোগী ও ডাক্তারের উভয়ের মধ্যে ধারণা থাকতে হবে।
বাংলাদেশ চক্ষুচিকিৎসক সমিতির (ওএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা যদি কাউকে অন্ধত্ব নিরসন করতে চাই, বৈষম্যটা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ অনেকেই সমস্যা নিয়েও আমাদের কাছে আসতে পারছে না। কাজ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে পারলে ধীরে ধীরে ঝুঁকি কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের আমরা কাজ করছি। আমাদের চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসা সেবা দেন। আমাদের সুবিধা অনেক। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থ্য সেবা বিদ্যৃমান রয়েছে। সেখানে গ্লোকুমা চিকিৎসাটাকেও আমাদের নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ক্যান্সারে আক্রান্ত রাজা চার্লস: বাকিংহাম প্যালেস
বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জানানো হয়েছে, রাজা তৃতীয় চার্লস এক ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
বাকিংহাম প্যালেস বলছে, রাজার সাম্প্রতিক প্রোস্টেট চিকিৎসার সঙ্গে ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ৭৫ বছর বয়সী রাজা কি ধরনের ক্যান্সার হয়েছে তা জানানো হয়নি।
প্যালেস বলেছে, গত মাসে প্রোস্টেট বেড়ে যাওয়ায় চার্লসের চিকিৎসার সময় ‘উদ্বেগজনক পৃথক একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল’। ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায় ক্যান্সারের একটি রূপ শনাক্ত হয়েছে।
প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মহামান্য রাজার আজ নিয়মিত চিকিৎসার সময়সূচি ছিল। তখন ডাক্তাররা তাকে জনসাধারণের মুখোমুখি হতে হয় দায়িত্ব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। এই সময়ের মধ্যে মহামান্য রাজা যথারীতি রাষ্ট্রীয় বিষয় ও সরকারি কাগজপত্র গ্রহণ করতে থাকবেন।’
এতে আরও বলা হয়, চার্লস তার চিকিৎসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ইতিবাচক রয়েছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পূর্ণ তার দায়িত্বে ফিরে আসার প্রত্যাশায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়ে মাথায় রাজমুকুট পড়লেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস
রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসায় অবহেলায় ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃতদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ইউনাইটেড গ্রুপ পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় এ পর্যন্ত কত রোগী মারা গেছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
এছাড়া শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাখিল করা তদন্ত প্রতিদবেদন এফিডেভিট আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপতালে চিকিৎসা করাতে এসে এ পর্যন্ত কত রোগী মারা গেছেন তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে সেদিন মৌখিক আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
একইসঙ্গে রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। পাশাপাশি দেশের সব অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল ক্লিনিকের তালিকা ১ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
ওই আদেশ অনুযায়ী রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ান চাইল্ডহুড অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিল। শ্বাসকষ্টের জন্য আয়ানকে মাঝে মাঝে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া লাগত। সুন্নতে খতনার অপারেশনের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।
প্রতিবেদনের মতামত অংশে আরও বলা হয়, শিশু আয়ানের অপারেশনের সময় স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপপরিচালক (আইন) ডা. পরিমল কুমার পাল এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আদালত প্রতিবেদনটি এফিডেভিট আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন এবং শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান। এরপর গত ৯ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে শিশু আয়ানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের ডাক্তারি সনদ বাতিল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোটের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। পরে শিশু আয়ানেরর বাবা রিটে পক্ষভূক্ত হন। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষের দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে মানুষের আস্থার অভাব আছে। এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি মাত্র। আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের হাসপাতালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আস্থা না পেয়ে ঢাকায় চলে আসছে। ঢাকা থেকে মানুষ বিদেশে যাচ্ছে চিকিৎসা নিতে। সবখানেই একটা আস্থাহীনতা কাজ করছে।’
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরা, সায়মা ওয়াজেদ এর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগদান, এবং সমসাময়িক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণসহ বেশ কিছু জরুরি কাজ শুরু করে দিচ্ছি যাতে স্বাস্থ্যখাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান, ভালো চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় মেশিন বা যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে দেওয়া গেলে তৃণমূলে মানুষের আস্থা চলে আসবে। সেটাই আমরা শুরু করে দিচ্ছি।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পদে যোগ দেবেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিরাট অর্জন আমাদের দেশের জন্য। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করতে সার্বিক দিক নির্দেশনাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
সুইজারল্যান্ডের মিটিংয়ে যোগদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি (এনসিএল) পরিদর্শনে বাংলাদেশে আসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশে টিকা পরীক্ষার সক্ষমতা পরীক্ষা করবে। বাংলাদেশে টিকা ও ওষুধ পরীক্ষার জন্য পরিপূর্ণ সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে কি না তা তারা জানাবেন।
দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ডাব্লিউএইচও ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সবচেয়ে জরুরি বলে আমরা একমত হয়েছি। পোড়ার চিকিৎসা ও সচেতনতার কাজে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজি। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার একটি দলও এসেছিল। তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে ২০২৬ সালে বার্নের উপরে একটি আন্তজার্তিক সম্মেলন করতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে করোনার বিষয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিতে হবে’
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি করতে হলে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, এ এই তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করাই হবে আমার প্রথম কাজ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা নিয়েই আমি ডাক্তার হয়েছি। মন্ত্রীও হয়েছি। সুতরাং এই চট্টগ্রাম থেকেই আমার কাজ শুরু হলো।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদের
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকদের তৃণমূলে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসকদের তৃণমূলে পাঠাতে ও রাখতে কাজ করব। তবে একইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথাটিও ভালো করে মনে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার হাসপাতাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের পটুয়াখালীর একটি মেয়ের উপর আক্রমণ হলো। কিছুদিন আগেই সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালে আক্রমণ হলো।
মন্ত্রী বলেন, এগুলোও আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবে, আমরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আর পিছিয়ে থাকব না, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি, আমরা এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করব। এটা করতে পারলে ঢাকা শহরে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামন্ত লাল বলেন, আমি প্রতিটি হাসপাতালে যাব। কী কী সমস্যা আছে জেনে একটা কর্মপরিকল্পনা করব।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি অসম্ভব কিছু না। পাঁচ থেকে ৫০০ বেডে (বার্ন ইউনিট) নিয়ে আসতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গিয়েছি প্রথম প্রথম। আমাকে অনেকেই ফিরিয়ে দিয়েছে এবং ফাইল ছুড়ে মেরেছে, এ রকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে সবার সহযোগিতা পেয়েই এ জায়গায় এসেছি।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং যারা বাইরে আছেন, আপনারা যেকোনো সময় আমার অফিসে চলে আসবেন। আপনাদের জন্য আমার দরজায় কোনো প্রটোকল থাকবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্ধারিতভাবে কাজ করতে পারব।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জ-৩: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্বাচিত
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি দূর করতে আপনি কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি চেষ্টা করব। দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামে ডাক্তাররা কেন থাকেন না তার কারণ বের করতে হবে। তাদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। সব দেখে আমি ব্যবস্থা নেব। প্রতিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করব। সমস্যা কোথায় খুঁজে বের করব।
আরও পড়ুন: মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে ৫০০ সরকারি স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সেবা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসা করাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন গৃহবধূ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় রোকেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) শাহজাদপুর-পোতাজিয়া আঞ্চলিক সড়কের মাদলা বেইলি সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকেয়া শাহজাদপুর পৌর শহরের খঞ্জনদিয়ার মহল্লার আব্দুল মতিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন রোকেয়া।
তিনি বলেন, চিকিৎসা করে ফেরার পথে মাদলা বেইলি সেতুর কাছে এলে ট্রাকচাপায় রোকেয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে এবং রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সহপাঠিদের সড়ক অবরোধ