চিকিৎসা
চিকিৎসক সংকটে বন্ধ হয়ে গেল চাঁদপুরের শতবর্ষী দাতব্য চিকিৎসালয়
অবশেষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘প্রাথমিক চিকিৎসার বাতিঘর’ খ্যাত চাঁদপুর পৌরসভার শতবর্ষী দাতব্য চিকিৎসালয়। চিকিৎসক সংকটের কারণে এটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ১ মাস ধরে বন্ধ রাখা রয়েছে মেঘনাপাড়ে অবস্থিত গরীবের চিকিৎসাসেবার এই অন্যতম এই কেন্দ্রটি। এতে করে নদীভাঙন-কবলিত ও চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা মানুষেরা আরও বিপাকে পড়েছেন। ফলে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। ১০৫ বছর পুরনো এই চিকিৎসাকেন্দ্রটি ফের চালু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজারের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে একশ বছরের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় পৌর দাতব্য চিকিৎসালয়টি।
ব্রিটিশ সরকার, পাকিস্তান সরকার এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শাসনামলে সগৌরবে এই প্রতিষ্ঠানটি নামমাত্র মূল্যে (২ টাকা) মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সরবরাহ করে আসছিল। সবশেষ চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে মাত্র ২ টাকার টিকিটে চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়ে ‘মানবতার বাতিঘর’ হিসেবে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে ব্যাপক সুনাম কুড়ায় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ফি আছে, চিকিৎসা নেই!
হাবিবুর রহমানসহ (৭৫) স্থানীয় কয়েকজন বর্ষীয়ানের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম দিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে অস্ত্রোপচারসহ গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা দেওয়া হতো। পরবর্তীতে অর্থ সংকটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকলেও পৌরসভার ২ জন স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এতে হতদরিদ্র মানুষের ছোটখাট অসুখের চিকিৎসার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠে দাতব্য চিকিৎসালয়টি। দৈনিক প্রায় ৮০/৯০ জন রোগী এখানে সেবা নিতে আসতেন বলে জানান তারা।
তবে হঠাৎ করেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকটের কারণ দেখিয়ে গত মাসে চিকিৎসালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হতদরিদ্র মানুষজন পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
৯২ দিন আগে
অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায় বিপুল অর্থ বিদেশ চলে যায়: ড. ইউনূস
অসংক্রামক রোগ হলে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ দেশের বাইরে চলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এসব রোগ যাতে না হয় কিংবা কম হয়, সে জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ ঘোষণাপত্র সই অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অসংক্রামক রোগ হলে মানুষ উচ্চ চিকিৎসা ব্যয়ের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়। কোনো ব্যক্তির ক্যান্সার হলে তার পরিবারকে আর্থিক সামর্থ্যের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে হয় এবং প্রায় ক্ষেত্রেই সহায়হীন-সম্বলহীন হয়ে পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে অতি উচ্চ মূল্যে চিকিৎসা নেওয়ারও প্রয়োজন হয়। আমাদের বিপুল অঙ্কের টাকা চলে যায় বিদেশে এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে।’
‘তাই অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা যেমন উন্নত হওয়া জরুরি, তেমনি রোগগুলো যেন কম হয় অথবা না হয়, সে জন্য উপযুক্ত জনসচেতনতা এবং প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করে তোলা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এজন্য সব মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা দরকার। খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত—এমন প্রত্যেকটি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
‘প্রত্যেক খাত থেকে দরকার সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও নিবিড় উদ্যোগ। তাই এসব মন্ত্রণালয় চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবুও আমি যৌথ ঘোষণা বাস্তবায়নে কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব চাষাবাদে মৎস্যখাতকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব: ড. ইউনূস
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘যৌথ ঘোষণা বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি দরকার বেসরকারি উদ্যোগ। দরকার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক কারিগরি সহযোগিতা। আমি বিশ্বাস করি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল প্রয়োগ করে এ সংক্রান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে যৌথ ঘোষণা বাস্তবায়ন সহজ হবে।’
‘আশা করছি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। স্বাক্ষরকারী মন্ত্রণালয়গুলো সহযোগিতা করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।’
১০৬ দিন আগে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ফি আছে, চিকিৎসা নেই!
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ জেলার একটি সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চিকিৎসার জন্য অর্থ নেওয়া হলেও তারা কোনো সেবা পান না—এমন অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকলেও প্রতিবছর একবার করে ‘চিকিৎসা বাবদ’ অর্থ নিচ্ছে কলেজ প্রশাসন।
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ কলেজের শিক্ষার্থী প্রায় ২৮ হাজার। ভর্তির সময় একজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য ২০ টাকা দিতে হয়। হিসাব অনুযায়ী, এই বাবদ প্রতিবছর আদায় হয় প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ বছরের ভর্তি রসিদেও চিকিৎসা বাবদ ২০ টাকা নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
তবে বিগত বছরগুলোতে চিকিৎসা খাতে কত টাকা নেওয়া হয়েছে, তার কোনো হিসাব প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, কলেজে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা জরুরি বলে মনে করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাসার ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কলেজে খুব দ্রুত একটি মেডিকেল সেন্টার হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।’
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, একজন শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কলেজকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: প্রভোস্টবিহীন জাবির কাজী নজরুল হল, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
তাদের ভাষ্য, এ কলেজে গুরুত্বপূর্ণ অনেক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন। এছাড়াও নিয়মিত ক্লাস, টেস্ট ও ইনকোর্স পরীক্ষা চলে।
বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল-বিকেলে কলেজে যাতায়াত করেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। পাশাপাশি কলেজের চারটি আবাসিক হলে নিয়মিত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী থাকেন।
কলেজ সূত্রে আরও জানা যায়, আগে প্রতি সপ্তাহে সোমবার কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস থেকে একজন মেডিকেল অফিসার কলেজের একটি কক্ষে বসতেন। কিন্তু কী কারণে বর্তমানে সেই সেবা বন্ধ হয়েছে, তা শিক্ষার্থীরা জানেন না।
তবে কলেজে আবাসিক হল ও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময় চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা জরুরি বলে মনে করেন কলেজের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী।
১২৬ দিন আগে
তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বন্ধে কমবে ক্যান্সার ও চিকিৎসা ব্যয়: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে ক্যান্সারসহ তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে যে রাজস্ব দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ আমাদের ব্যয় করতে হয় স্বাস্থ্য খাতে। তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার যদি আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে ক্যান্সারসহ তামাকজনিত যে সব রোগ হয়, সেগুলোর পেছনে আমাদের এত ব্যয় করতে হবে না। রোগ প্রতিরোধে নজর দিতে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ আমাদের গড়তেই হবে।’
শনিবার (৩১ মে) সকালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন’ (ডব্লিউএইচও এফসিটিসি)-এ আমরা সই করেছি। অথচ একইসঙ্গে তামাক কোম্পানিগুলোর বোর্ডেও সরকার আছে—যাতে তাদের ব্যবসা ভালোভাবে চলে। এই বৈপরীত্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের এসব কথা স্পষ্টভাবে বলা উচিত। এখন যদি আমরা এসব বলতে না পারি, তাহলে আর কখনোই পারব না।
আরও পড়ুন: তামাক পণ্যের কার্যকর কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি
তামাক কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের শোষণ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, তারা আমাদের শ্রমিকদের শোষণ করে, দেশের মাটি, আলো-বাতাসে বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে—এটা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না।
তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে কার্যকর করতে হলে সংশোধন করতে হবে। এ নিয়ে কাজ চলছে। তামাক কোম্পানিগুলো কোমলপ্রাণ কিশোর-তরুণদের নানা উপায়ে তাদের পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করছে, নানা রকম বাধা সৃষ্টি করছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এসব বাধা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে দেশকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ হলেও তামাক কোম্পানিগুলো দেশে উৎপাদনের চেষ্টা করছে। তাদের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের শোষণ করা হচ্ছে। তারা এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন বাংলাদেশ সরকার তামাক কোম্পানির টাকায় চলে—এটি ভুল তথ্য। আমাদের সরকার চলে জনগণের টাকায়। তামাক কোম্পানিগুলো সাধারণত নদীর পাশের উর্বর জমিতে তামাক চাষ করে, এতে বনজ সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মাছের প্রজনন হ্রাস পাচ্ছে, গরু পালনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে শিশু, কিশোর ও নারীদের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমি আশা করি, আমাদের তরুণরা এই ধ্বংসযজ্ঞ রুখে দেবে।
স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৫’ দেওয়া হয়।
১৮৭ দিন আগে
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া
দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, তাদের মেয়ে জাইমা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গে।
লন্ডন থেকে ইউএনবির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে গিয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ‘দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তিনি মানসিকভাবে বেশ প্রাফুল্ল ও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া লন্ডনের ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকদের একটি দল নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খবরাখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।’
বাংলাদেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ঈদের পর যেকোনো সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চিকিৎসক দলের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।’
‘তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল, তাই আমি আশা করছি, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’
যুক্তরাজ্যে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রবিবার অথবা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সেখানে।
২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে তিনি তিন মাস অবস্থান করেছিলেন এবং সেসময় ঈদুল আজহা তার পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে তিনি আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি।
৭৯ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস এবং বাতের সমস্যায় ভুগছেন।
২৫০ দিন আগে
ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সোমবার (১০ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাফিজ উদ্দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
উপপ্রেস সচিব আজাদ আরও জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় ‘কমার লেবেল ৩ থেকে ৫’ এ উন্নীত হয়েছে। সিএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আজ সকালে প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। শ্বাসরোধের অপচেষ্টার কারণে অক্সিজেন লেভেল কমে মস্তিষ্কে পানি জমেছে। যা এখনও অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল তা অপসারণ করা গেছে। হয়তো দু-একদিনের মধ্যে শিশুটির স্বাস্থ্যের আরও কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
রবিবার দিবাগত রাতে মাগুরা আদালতে অভিযুক্তদের রিমান্ড শুনানি হয়। বিচারক আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুলী গ্রামের ভুক্তভোগীর বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ(৫০), বড় বোনের শ্বাশুরী জায়েদা খাতুন এবং তাদের দুই ছেলে সজিব ও রাতুল শেখ।
২৬৯ দিন আগে
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই বন্দির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক বিডিআর সদস্যসহ দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে (৮ মার্চ) তাদের মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার উলুপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে শামসুল আলম (৪৪) ও সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাইপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সাবেক বিডিআর সদস্য শেখ জোবায়ের হোসেন (৬৫)।
হাসপাতাল ও কারাগার সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শামসুল হককে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসলে নেমে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। চাটখিল থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
অপরদিকে একই দিন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে শেখ জোবায়ের হোসেন ইন্তেকাল করেন। গত ৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
২৭০ দিন আগে
আরেফিন সিদ্দিকের সার্বিক অবস্থা ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সার্বিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে এখন যেকোনো পরিবর্তনের জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রবিবার (৮ মার্চ) ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চিকিৎসকরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তবে এয়ার এম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতাল কিংবা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। ওই সূত্র বলেছে, সিঙ্গাপুরে জেনারেল হাসপাতাল আর মাউন্ট এলিজাবেথে ডকুমেন্টস পাঠানো হয়েছে। ঢাকার ডাক্তাররা অনুমতি দিলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে তাকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধীনে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, গেল বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ৩টার পরে আরেফীন সিদ্দিকী ঢাকা ক্লাবে অবস্থানকালে হঠাৎ দাঁড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যান। এরপর তার জ্ঞানের মাত্রায় পরিবর্তন হওয়ায় এবং বমি হওয়ায় তাকে কাছের বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরপর ইমার্জেন্সি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিকবাবে তার মস্তিষ্কের পরীক্ষায় ‘রাইট সাইডেড অ্যাকিউট অন ক্রোনিক সাব ডিউরাল হেমাটোনা উইথ ফ্রন্টাল লব আইসিএইচ ও সিএএইচ দেখা দেওয়ায় দ্রুত তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে রেফার করা হয়।
তাকে সেদিন বিকাল ৪টা ২১ মিনিটে সরাসরি নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নজরুল হোসেইনের অধীনে নিউরো আইসিউতে ভর্তি করা হয়। তখন তার জ্ঞানের মাত্রা ছিল ১৩/১৫। ভর্তির অল্প সময় পরেই হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, চোখের মনি বড় হয়ে যায়, হার্টরেট কমতে থাকে এবং জ্ঞানের মাত্রা ৪/১৫ হয়ে যায়। দ্রুত তার স্বজনদের জানিয়ে তাকে তৎক্ষনাৎ লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আরেফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি। এর প্রায় সাড়ে চার বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়।
আরও পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক
নির্বাচনের পর ২০১৩ সালের ২৫ অগাস্ট প্যানেলে থাকা তিনজনের মধ্যে আরেফিন সিদ্দিককে বেছে নেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আবদুল হামিদ। ১৯৫৩ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকায় জন্ম নেওয়া আরেফিন সিদ্দিক ১৯৬৯ সালে এসএসসি এবং ১৯৭১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
১৯৭৩ সালে বিএ এবং ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এমএ করেন তিনি। ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেওয়ার আগে বুয়েটের পিআর ছিলেন আরেফিন সিদ্দিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের নীল দলের নেতা আরেফিন সিদ্দিক দুই মেয়াদে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সদস্যও ছিলেন তিনি।
উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।দুঃখপ্রকাশ: ‘চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে আরেফিন সিদ্দিককে’ বলে ভুলবশত খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। মূল বিষয় হচ্ছে, তার চিকিৎসাসংক্রান্ত নথি সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতাল, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল এবং ভারতের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তাকে এসব দেশে পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
২৭১ দিন আগে
রাজশাহীতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আর তিনজন।
সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনায় আহত এক নারীসহ তিনজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতরা হলেন— অ্যাম্বুল্যান্সের চালক রাজশাহী নগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকার জাফর ইকবাল জুয়েল (৪৫), গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ঠাকুর জৌবন গ্রামের সুন্দরী রানী (৬৫) ও আদরী রানী (৩৮)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত ঠাকুর জুবন গ্রামের সুন্দরী রানীকে নিয়ে গোদাগাড়ী থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের রাজাবাড়ি বিজিবি চেকপোস্টের বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চালক জুয়েলসহ ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক রাস্তার উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সংকর কে বিশ্বাস জানান, সকালে দিকে তিনজনকে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
২৭৬ দিন আগে
অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেওয়ার চিন্তায় সরকার
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় অভ্যুত্থানে হতাহতদের সহায়তা নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি বেশি সহানুভূতিপ্রবণ। তাদের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার ।’
তিনি বলেন, ‘শহীদদের ব্যাপারেও সরকার অতি দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আহতদের ব্যাপারে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তালিকা হচ্ছে। এই সপ্তাহের মধ্যে সেই তালিকা সম্পন্ন করতে পারব।’
এ সপ্তাহের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘অধিদপ্তরের অধীনে একটা নীতিমালা হচ্ছে। এই নীতিমালার অধীনে হতাহতদের যাবতীয় সহায়তা দেবে সরকার।’
‘সরকার এ কাজগুলো যতটা দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সঙ্গে জাতিসংঘের গোয়েন লুইসের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি তাদের এ ত্যাগ ইতিহাসে অমোচনীয় এবং এই গৌরব জাতি সমভাবে তাদের সঙ্গে ধারণ করে। তাদের আত্মত্যাগের গৌরব আমরা অমলিন করে রাখতে চাই—এটা যেন অনাগতকালেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।’
চলতি অর্থবছরে নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়া হবে এবং আহতদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সহায়তা দেওয়া হবে। আহত-নিহতদের সহায়তায় চলতি অর্থবছরে ২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ফারুক-ই আজম।
তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের সারা জীবনের জন্য চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।’
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন।
৩০৫ দিন আগে