মানুষ
যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জিএম কাদের
বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বন্যাদুর্গতরা আমাদের ভাই। যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠনবিষয়ক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি ও পাশে থাকব। এমন মানবিক বিপর্যয়ে ভাইদের পাশে আমরা সবসময় থাকব। একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজেও জাতীয় পার্টি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে।’
আরও পড়ুন: আগে আওয়ামী লীগ গাছের মতো ছিল কিন্তু এখন পরগাছা হয়ে গেছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীরা স্থানীয়ভাবে বন্যাদুর্গতদের পাশে আছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে আমরা তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলেন, ‘যারা বন্যায় নিহত হয়েছেন তাদের যেন মহান আল্লাহ শহিদী মর্যাদা দান করেন।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোনো সতর্কীকরণ ছাড়া ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো রাষ্ট্র যদি নদীর গেট খুলে দেয় তাহলে অবশ্যই ভাটির দেশগুলোকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ভারত সরকার বাংলাদেশকে সতর্ক করেনি।’
এই সভা থেকে ভারতের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আইনজীবী মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, মোস্তফা আল মাহমুদ, শেরীফা কাদের, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. নুরুল আজহার শামীমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান জিএম কাদের
সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
১ মাস আগে
বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বাংলাদেশে চলমান বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১১টি জেলায় ৪৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.কামরুল হাসান জানান, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে ব্যাপক বন্যাসহ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ২ হাজার জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী
বন্যায় ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে।
দুই নারীসহ ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সচিব। হতাহতদের মধ্যে কুমিল্লার চারজন, ফেনীর একজন, চট্টগ্রামে দুজন, নোয়াখালীর একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন রয়েছেন।
সংকট মোকাবিলায় সরকার ৩ হাজার ১৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। এসব কেন্দ্রে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৬৩৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
দুর্গতদের সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয় নগদ ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ টন চাল এবং ১৫ হাজার খাদ্যের প্যাকেট বিতরণ করেছে। চলমান দুর্যোগ মোকাবিলায় সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেন সচিব।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল' গঠন
১ মাস আগে
ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
ভারী বৃষ্টি ও উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফেনীর সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
জেলার সদর উপজেলা,পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া বন্যার কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় ডুবছে একের এক জনপদ। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
জানা গেছে, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরশুরামের স্থানীয় সাংবাদিক মহি উদ্দিন বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে ঠিকভাবে উদ্ধার কাজও করতে পারছেন না। তারমধ্যে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।
ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবন গুলোর নিচ তলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নামা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কত মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন এই হিসাব তিনি দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বন্যার কবলে ৮ জেলা, বিস্তৃত হতে পারে আরও
১ মাস আগে
শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।
শনিবার বিকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নানা পেশাজীবীরা আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
এতে শিল্পী, শিক্ষার্থী, রিকশাচালকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন বলে ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবির এই ফটো সাংবাদিক জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগ চেয়ে শহীদ মিনার থেকে এক দফা দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা আন্দোলনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
২ মাস আগে
দেশের মানুষকে কোটা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীসহ সকল রাজনৈতিক দলে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বেডে শুয়ে রক্তাক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের রক্ষা করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের আন্দোলনের সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের আহ্বান জানাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আবেদন... আমি মনে করি পুরো জাতির এই আহ্বানে সাড়া দেওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী ও ভয়ানক শাসন থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে অংশ নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমানের (যাদু মিয়া) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান ফখরুল। তিনি বলেন, 'গতকাল (সোমবার) এই সরকার যা করেছে, বাংলাদেশে এর আগে তা কখনো দেখিনি। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের কখনো হাসপাতালে ঢুকে আহতদের ওপর হামলা করতে দেখিনি। এটা আমরা কখনো ভাবতে পারি না, এমনকি পাকিস্তান আমলেও না।’আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান নৃশংসতা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের জন্য তার সশস্ত্র ক্যাডারদের নামিয়েছে। ‘তারা (সরকার) ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে তাদের তথাকথিত শক্তি এবং আমলা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
মানুষের উপকারে আসবে এমন হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মানুষের উপকারে আসবে এমন প্রকল্প বা হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে বার্ন ইউনিট, ক্যান্সার, কার্ডিয়াক, নেফ্রোলজির যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করাটা আমার লক্ষ্য। একজন দরিদ্র মানুষ রংপুর থেকে ডায়ালাইসিসের জন্য ঢাকা আসবেন, সেটা তো হয় না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এমন প্রকল্প নিয়েই কাজ করব, যেটা শেষ করতে পারব। সেটা এখন থেকেই করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) কর্তৃক আয়োজিত বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য অভিঘাতের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বিগত ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক সব জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা যদি নিশ্চিত করতে না পারি, আমি ঢাকায় বসে যতই লেকচার দিই না কেন কোনও লাভ হবে না। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ও প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করাটাকে আমি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি নিজে প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে চেকআপ করি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখি মেশিন ঠিক আছে কিনা। আমি ওখানে গিয়ে দেখলাম হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিসের রোগী অনেক বেশি। আমি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, সব জায়গায় রোগীদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আমরা যদি ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিসের যথাযথ চিকিৎসা ও ওষুধ দিতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে এত বড় বড় বিশেষায়িত হাসপাতালের দরকার হবে না।’
এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া সামান্য সর্দি জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্ট ভয়ানক একটা জিনিস। এ প্রসঙ্গে আমি বলব ডিজি ড্রাগকে আরও শক্ত হতে হবে। ফার্মেসিতে গিয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে আমরা ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু করার চেষ্টা করছি। ইলেকট্রনিক প্রেসক্রিপশন সিস্টেম যদি চালু করা যায় তাহলে যথাযথ মনিটরিং করা সম্ভব হবে, ওষুধের যথেচ্ছ ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রী হবার মেয়াদ ছয় মাস। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আমি অন্তত সাতটি সভা করেছি। রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা আমার দ্বায়িত্ব।’
স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা নিরসনে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপার জনমত তৈরি করতে হবে। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ও সৃষ্ট জনমতের কারণে পাঁচ বেড থেকে ৫০০ বেডের বার্ন হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন হসপিটাল। একটা রোগীও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে না। রোগীরা আইসিইউতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন।’
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষক ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ পারিবারিক আয় ব্যয় জরিপের ২০২২ (এইচআইইএস) ভিত্তিতে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএসের গবেষক, শিক্ষক শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজগুলোতে উন্নত শিক্ষা দিলে সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ মাস আগে
চিলমারীতে বাঁধ ভাঙা আতঙ্কে ৩০ গ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও তীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। হুমকির মুখে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামসহ হাজারো একর ফসলি জমি।
বাঁধ ভেঙে গেলে চিলমারী উপজেলা সদরসহ প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। এই আতঙ্কে চোখে ঘুম নেই তীরবর্তী মানুষের। বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র কয়েকটি জিও ব্যাগ ফেলে লোক দেখানো কাজ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা বলছে, শুষ্ক মৌসুমে জিও ব্যাগ অথবা ব্লক দিয়ে তীর রক্ষা করা হলে বন্যার সময় কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকত না।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, পানিবন্দি সোয়া ১ লাখ মানুষ
সরেজমিনে দেখা যায়, চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী কাঁচকোল এলাকায় বন্যায় পানি বেড়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছে ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্রের পানির তীব্র স্রোতে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। পানির তোড়ে দেবে গেছে প্রায় ৩০ মিটার পিচিং, ভেঙে গেছে বাঁধ। ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে হাজারো একর ফসলি জমি। এছাড়া রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সড়কটারী, শিমুল তলা বাঁধ গ্রাম, পাঁচাগ্রাম, পূর্ব ভাটিয়া পাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রাম। শুধু তাই নয় এই তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেলে নিমিষেই তলিয়ে যাবে উপজেলা সদরসহ প্রায় শতাধিক গ্রাম। তীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেওয়ায় ভাঙন ও প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ।
কাঁচকোল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ভাঙন বা ধস দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে এবং জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করে। সেই কাজেও ধীরগতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বারবার এই ধস ও ভাঙনের আতঙ্কে পড়ে এলাকাবাসী।
তারা আরও বলেন, এই বাঁধ ভেঙে গেলে শুধু রানীগঞ্জ নয় উপজেলা সদরও পড়বে হুমকির মুখে। শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হবে লক্ষাধিক মানুষ।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, পানির প্রবল স্রোতে এই ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করছে এটি অত্যন্ত নিম্নমানের। এর সঙ্গে বালুগুলোও ভালো না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, আপাতত জরুরিভিত্তিতে জিও ব্যাগ ছাড়া হাতে কিছু নেই। তবে আমি মনে করি শুষ্ক মৌসুমে যদি এই কাজ করা যেত তাহলে কোনো চিন্তা থাকত না।
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আসলে অবৈধভাবে যেখানে সেখানে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙছে। দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, তীর ঘেঁষে কিংবা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, যেসব এলাকায় বাঁধ ধসে গেছে, সেসব এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে। আশা করি আর সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
৩ মাস আগে
শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বুধবার গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাছে টাকা আছে। গত তিন মাসে দুই বিলিয়ন করে রেমিট্যান্স এসেছে। যেটা পয়েন্ট টু পয়েন্ট ৩৮ শতাংশ।’
এছাড়া এই দুই বিলিয়নই গ্রামের অর্থনীতিতে অবদান রাখে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘এই রেমিট্যান্সটা শহরে আসে না, কোনো ব্যাংকে আসে না, গ্রামে চলে যায়। গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এটার কারণেও বাড়ে।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামের মানুষ যারা উৎপাদন করে তারা কিন্তু শহরের নির্ধারিত আয়ের লোকের চেয়ে ভালো আছে।’
এছাড়া গ্রামে যারা অটো চালায়, গরু বা ছাগল পালন করে তাদের কিন্তু মাল্টিপল ইকনোমিক অ্যাক্টিভিটি আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত আয়ের লোকগুলো খুব বেশি চাপে আছে। তাদের জন্য টিসিবিসহ অন্যান্য কর্মসূচি আছে।’
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্য আমদানি করতে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গেও চুক্তি হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছি। বিশেষ করে চিনি ও তেল’
এই চিনি ও তেলের সরবরাহ ও দাম গত ৫ থেকে ৬ মাস স্থিতিশীল আছে বলে জানান আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আমাদের স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধাগুলো যাতে অব্যাহত থাকে। সেজন্য ডব্লিউটিওসহ বিভিন্ন জোটের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিগুলো করছি।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোটা ফ্রি, ডিউটি ফ্রি সুবিধা যাতে অব্যাহত থাকে। সেই ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট করবেন। চীনের সঙ্গে আমাদের স্টাডি সম্পূর্ণ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চায়না একটি এফটিএ করার জন্য উদ্যোগী। আসিয়ান কান্ট্রিগুলোর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছি।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রি নির্দিষ্ট স্থানে দোকানভিত্তিক কিভাবে করা যায়, সেটি আমরা পর্যায়ক্রমে করে যাচ্ছি।’
মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোতে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যারিফ কমিশনকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। আমরা যখন উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাব ডব্লিউটিওর রুলস অনুযায়ী আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা রাখতে পারব না। অন্যের মার্কেট পেতে চাইলে আমাদের মার্কেট ওপেন করতে হবে। তখন আমাদের ট্যারিফ রেশনালাইজ করতে হবে। সেটা করতে হলে আমাদের ট্যারিফ কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’
এবারও ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনেননি, চামড়ার দাম পাওয়া যায়নি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চামড়ার ব্যাপারে প্রতি বছরই হয়, আমিও দেখি। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা আমাদের প্রথম বছর ছিল। আমরা চামড়ার দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলাম- ঢাকার বাইরে একটি গরুর লবণযুক্ত চামড়া ১ হাজার টাকা আর ঢাকায় ১ হাজার ২০০ টাকা। আমরা এটা মনিটরিং করব। মনিটরিং করে যে গ্যাপগুলো আছে, সেগুলো আগামী বছর পূরণ হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘৬৪ জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন জেলায় কত চামড়া কেনা হলো, কতগুলো সংরক্ষিত, কতগুলো অবিক্রিত রয়েছে। এ বিষয়ে একটা পরিসংখ্যান নেব। তবে এ বিষয়ে দায় হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের। এক্ষেত্রে আমরা শুধু মনিটরিংই করতে পারি, কাউকে কেনায় বাধ্য করা হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাজ। এর সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় যুক্ত রয়েছে। সমন্বয়টা আমরা করব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনলাইন জুয়ার সঙ্গে দেশের ৫০ লাখ মানুষ জড়িত বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'অনলাইন জুয়া নিয়ে আমরা মত বিনিময় করেছি। এটাতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আমাদের বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা। এমনকি অনেক বয়স্ক ও অবসরপ্রাপ্তও এর মধ্যে আসছেন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি ৫০ লাখ মানুষ কীভাবে যেন এই অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোকে ব্লক করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি একটা সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যাতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কোনো প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত না হন। আমাদের দেশের মুদ্রা যাতে বিদেশে পাচার না হয়। একটা সচেতনতা আর একটা প্রযুক্তিগত প্রয়োগ, পাশাপাশি কঠোর আইনের প্রয়োগ।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মোট ২ হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট ব্লক করেছি। এখন আমরা মোবাইল অ্যাপগুলো প্রতিনিয়ত ব্লক করছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া।'
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, 'সেটা নিয়ে আমরা যৌথভাবে বসে ছিলাম ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি ও সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি- সবাইকে নিয়ে। যার যতটুকু সক্ষমতা আছে পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স, সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা ড্রাইভ দিচ্ছি।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা অবিরাম এটা আমরা ব্লক করতে থাকব। মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোর্সে আমরা যেটা পাচ্ছি, সেটা ব্লক করার চেষ্টা করছি।'
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
৩ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এবার দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী নিয়ে আসেন তা দেখার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করেছে যে তারা তারেক রহমানের পক্ষে আছে।’
শুক্রবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
বাংলাদেশের মাটিতে ভারত সরকারের রেলপথ নির্মাণের প্রতিবাদে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য বলেন, আবারও ভারত যাচ্ছেন 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা।
ফারুক বলেন, ‘দেখা যাক এবার তিনি কী নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি যদি খালি হাতে ফিরে আসেন, জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, বন্ধু হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সবকিছু কেড়ে নিতে পারে না এবং অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মসম্মান অনেক বেশি। কাজেই আমি আপনাদের (ভারত) জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে।’
পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণ করে তাহলে দেশের জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
দিল্লির আগ্রাসন বাংলাদেশিরা মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি। ফারুক বলেন, ‘আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিই।’
রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘এই সরকার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের সরকার।’
আকস্মিক বন্যায় সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে উল্লেখ করে ফারুক অভিযোগ করেন, সরকার একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য কিশোরগঞ্জ হাওর এলাকায় মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ করেছে, যা আজ বন্যা ও অসংখ্য মানুষের পানিবন্দি হওয়ার কারণ।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
৩ মাস আগে