শান্তি
জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জনগণ আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে। এ ছাড়া যারা পুলিশ হত্যা করে তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি আবার আগুন সন্ত্রাস করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মারধর করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার (৫ নভেম্বর) বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঘাটনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি এই অত্যাচার নির্যাতন ও আগুন সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করে তাহলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মাথানত হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন- ‘আমার জীবন যেতে পারে কিন্তু আমি সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দিয়ে যাব না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শান্তি চাই, এই দেশটাকে সুখি সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। আর সেজন্য জনগণের সমর্থন চাই।
দেশকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেবেন নাকি যিনি বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করেছেন তার পক্ষে থাকবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের সমাজকর্মী নার্গেস মোহাম্মদি
ইরানে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন কারাবন্দি সমাজকর্মী নার্গেস মোহাম্মদি।
অসলোতে পুরস্কারের ঘোষণা দেন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার ইরানের অবিসংবাদিত নেতা নার্গেস মোহাম্মাদির সঙ্গে পুরো আন্দোলনের স্বীকৃতি।’
তিনি আরও বলেন, 'নোবেলের প্রভাব নিয়ে নোবেল কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে না। আমরা আশা করি, এই আন্দোলন যেভাবেই উপযুক্ত মনে হোক না কেন, কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি অনুপ্রেরণা।’
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
২০১৯ সালের বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নিহত একজনের স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার পর গত নভেম্বরে মোহাম্মদিকে গ্রেপ্তার করে ইরানের কর্তৃপক্ষ। রিস-অ্যান্ডারসন বলেন, মোহাম্মদি ১৩ বার কারারুদ্ধ হয়েছেন এবং পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে তাকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০০৩ সালে মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদির পর তিনি ১৯তম নারী যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন এবং দ্বিতীয় ইরানি নারী।
কারাগারে যাওয়ার আগে মোহাম্মদি ইরানের নিষিদ্ধ ডিফেন্ডারস অব হিউম্যান রাইটস সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবাদির ঘনিষ্ঠ ছিলেন নার্গেস মোহাম্মাদি।
২০১৮ সালে ‘আন্দ্রেই সাখারভ’ পুরস্কার পান প্রকৌশলী মোহাম্মদি।
নোবেল পুরস্কারের জন্য নগদ ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার) দেওয়া হয়। ডিসেম্বরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণপদক ও সনদ পান।
নরওয়ের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল ৩৫০ টিরও বেশি মনোনয়নের তালিকা থেকে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কারবিজয়ীকে বেছে নিয়েছে।
গত বছর ইউক্রেন, বেলারুশ ও রাশিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা এই পুরস্কার জিতেছিলেন। এটিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং বেলারুশ ও মিত্রদের প্রতি কঠোর তিরস্কার হিসেবে নিয়েছিল অনেকে।
এর আগে নেলসন ম্যান্ডেলা, বারাক ওবামা, মিখাইল গর্বাচেভ, অং সান সু চি ও জাতিসংঘ এই পুরস্কার পেয়েছে।
স্টকহোমে নির্বাচিত এবং ঘোষিত অন্যান্য নোবেল পুরস্কারের বিপরীতে, প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেল পাঁচ সদস্যের নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি দ্বারা অসলোতে শান্তি পুরস্কারের সিদ্ধান্ত এবং পুরস্কার দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। স্বাধীন প্যানেলের সদস্যদের নরওয়ের সংসদের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শান্তি পুরস্কারটি এ বছরের ঘোষিত পুরস্কারের মধ্যে পঞ্চম। এর একদিন আগে নোবেল কমিটি সাহিত্যে নোবেল ঘোষণা করে। এটি পেয়েছেন নরওয়ের লেখক জন ফসে। এ ছাড়া এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী মাউঙ্গি বাওয়েন্দি, লুই ব্রুস ও আলেক্সি ইকিমোভ।
পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পেয়েছেন ফরাসি-সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান এল'হুইলিয়ার, ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি এবং হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ফেরেঙ্ক ক্রাউজ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ক্যাতালিন কারিকো ও আমেরিকান ড্র ওয়াইজম্যান।
আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে ব্যাংক অব সুইডেন প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস নামে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত অর্থনীতির নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে সোমবার নোবেল পুরস্কারের এবারের মৌসুম শেষ হবে।
ডিসেম্বরে অসলো ও স্টকহোমে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ২ বিজ্ঞানী
প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে খামারবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় কৃষক লীগ আয়োজিত এডিস মশা নিধন ও সচেতনতা তৈরি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের নিজেদের বাড়ির উঠান পরিষ্কার রাখতে পারি তাহলে আমরা ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাব।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু একটি মৌসুমি রোগ, একটি মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এডিস মশা নিধনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: মানবপাচার বন্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবারের সংঘর্ষ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৭০০ মানুষ গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা-বেইজিং কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের উচিত ভবিষ্যতে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা এবং দুই দেশের সহযোগিতার কৌশলগত সম্পর্কের নতুন উচ্চতায় পৌঁছানো।
সোমবার তিনি বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে (এফএসএ) আমন্ত্রণে বক্তৃতা দেন।
এফএসএ'র মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের প্রশিক্ষণার্থী কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ঐতিহাসিক সম্পর্ক, তুলনামূলক জাতীয় অবস্থা, সুশাসনের ক্ষেত্রে সমমনা এবং সুসংযুক্ত জাতীয় স্বপ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নত বন্যা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
তিনি বলেন, উভয় দেশ সর্বদা মূল স্বার্থের ইস্যুতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় ব্যবহারিক সহযোগিতা দুই দেশের জনগণকে উপকৃত করেছে।
এক শতাব্দীতে অপ্রত্যাশিত বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন মেনে চলে, চীনা বৈশিষ্ট্যযুক্ত পথে আধুনিকীকরণ অনুসরণ করে এবং জিডিআই, জিএসআই ও জিসিআই উদ্যোগের প্রস্তাব দেয়।
তিনি আরও বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরান একে অপরের সঙ্গে সমঝোতা করে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ব্রিকস জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চীন: মুখপাত্র
রাষ্ট্রদূত বলেন যে চীন রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তা করে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
তিনি বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে অবদান রাখার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে।’
বক্তৃতা শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-আমেরিকা সম্পর্ক, চীন-ভারত সম্পর্ক, 'ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি', বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা এবং দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশে' প্রতিফলিত: চীন
ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের ডাকা বুধবারের শান্তি সমাবেশে হাজার হাজার দলীয় কর্মী জড়ো হয়েছেন।
কর্মীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও সরকার সমর্থক স্লোগান দিয়ে মিছিলে নিয়ে সমাবেশস্থলে আসে। নেতা-কর্মীদের অনেককে বাস ও পিক-আপ ভ্যানে আসতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে মন্তব্য: ঢাবিতে ফখরুলের কুশপুত্তলিকা দাহ
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণায় জনসভা করছে বিএনপি। এদিকে একই দিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে পাল্টা শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের অন্য নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
দুই পক্ষের ডাকা মিছিলে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কর্মসূচির কারণে সভাস্থলের আশপাশে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। ২০০৮ সালের সঙ্গে ২০২৩ সালের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলনা করলে বলতে হবে এখন মানুষ হাজার গুণ ভালো আছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে নিয়ামতপুর কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে সরকারকে এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন।
গৃহহীণ মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের ভাতা দিচ্ছেন, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য- সহযোগিতা পৌঁছেনি।
দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
বিএনপির একদফা আন্দোলন কি জনগণ জানতে চায় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার এ দেশে আর আসবে না।
তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান হয়েছে আদালতের নির্দেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকিমূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে।
কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ গিয়েছিল ১৯ জন কৃষকের। তারা বলতো বেশি ফসল ফলালে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না।
তারা এদেশকে ভিক্ষুকের দেশ বানাতে চেয়েছিল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর দেশে বোরো ও আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি নেই। আমদানির দরকারও হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। এদেশের কৃষক প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছে।
কৃষক উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে আর দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ওআইসি’র সভায় সুদানে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ
সুদানে অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি এবং শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সুদান পরিস্থিতিতে নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসি’র এক জরুরি সভায় বিবাদমান সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং সুদান র্যা পিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর প্রতি এ আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ওআইসি মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
সৌদি আরবের সভাপতিত্বে সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ওআইসির নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভা বুধবার সংস্থাটির জেদ্দাস্থ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ওআইসির সভায় এ আহ্বান জানান।
সভার শুরুতেই ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা সুদান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সুদানের এ লড়াই শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য সুদানের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষুণ্ণ করছে। সেখানে যুদ্ধের ফলে ব্যাপক মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এবং ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে সুদানে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে, খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সেখানে ব্যপক লুটপাট হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ ও বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাসিন্দারা যার শিকার হচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন যারা প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাংলাদেশ সরকার তাদের সুদান থেকে নিরাপদে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সুদান থেকে বাংলাদেশিসহ বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সৌদি আরবের আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশও সেখান থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি বিদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবসনের সুযোগ সৃষ্টি ও মানবিক সাহায্যের নিরাপদ সুযোগ সৃষ্টির জন্য সুদানের সরকার ও বিবদমান দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
ওআইসির জরুরি সভায় রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, যুদ্ধের সময় সুদানে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মিশন প্রধানের বাসভবনে হামলা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কূটনৈতিক নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি সুদান সরকার এবং যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনৈতিক মিশন এবং এর কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার বিষয়ে অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, ওআইসির জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গতিশীল বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত এবং অসহায় মানুষগুলো স্বল্প খরচে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, বস্তুত ন্যায়বিচার খাদ্য ও বস্ত্রের মতোই জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য উপাদান। কেননা খাদ্য ছাড়া যেমন জীবন বেঁচে থাকতে পারেনা, বস্ত্র ছাড়া যেমন মানুষ জনসম্মুখে বের হতে পারে না, তেমনি ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ সমাজে শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা।
শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ/সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১০ম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে নতুন আইন আসছে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতিতে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সামাজিক অস্থিরতা বা অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। আর সমাজ নিয়েই যেহেতু রাষ্ট্র, তাই অস্থিতিশীল সমাজ মানেই অস্থিতিশীল রাষ্ট্র। এরূপ রাষ্ট্রের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রসমূহ বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক স্থাপন করতে অনীহা দেখায়, তারা বিনিয়োগ করতে ভয় পায়।এছাড়া পরিণতিতে ওই রাষ্ট্র বিশ্ব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও উন্নয়ন বিঘ্নিত হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সবসময় তৎপর থেকেছেন। এমনকি পাকিস্তানি শাসন আমলে তিনি যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, কোন দেশে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে অপরাধকর্মে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক এবং এসব বিচার যথাসম্ভব দ্রুতগতিতে হওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুরু থেকেই বিচার বিভাগকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ও সুপ্রীম কোর্ট দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেশের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত মামলাজট কমানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
যার সুফল ইতোমধ্যেই জনগণ পেতে শুরু করেছে। প্রায়ই খবর পাওয়া যাচ্ছে দেশের অনেক আদালতেই এখন একক সময়ে মামলা দায়েরের সংখ্যার চেয়ে মামলা নিষ্পত্তির হার বেশি হচ্ছে। যা আমাদেরকে আশান্বিত করছে।
তিনি বিশ্বাস করেন, সরকার ও সুপ্রীম কোর্টের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বিজ্ঞ বিচারকদের উদ্ভাবনীমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ, বিচারিক কর্মঘন্টার সঠিক প্রয়োগ, কার্যকর মামলা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, দক্ষ আদালত ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি তাদের সুদক্ষ নেতৃত্বের কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ মামলার বোঝা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। বিচার প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমেও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
এছাড়া তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব ক্ষেত্রে সকল বিচারক তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
আইনমন্ত্রী একথাও স্মরণ করিয়ে দেন যে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে একটি মামলার অনেকগুলো পক্ষ তৈরি হয়ে যায়। কোন পক্ষ চায়, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। কোন পক্ষ চায়, মামলা নিষ্পত্তির সময় প্রলম্বিত হোক। কেউ কেউ হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে আদালতের কালক্ষেপন করে থাকেন।এসব বিষয়কে মাথায় নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দ্রুত গতিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়া ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মর্মমূলে রয়েছে নিরপেক্ষতার ধারণা।
আনিসুল হক বলেন, আমরা রাষ্ট্রের যে যে দায়িত্বই পালন করি না কেন, প্রত্যেকের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব সময় সাধারণ জনগণ বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের কাছে দায়বদ্ধতার বিষয়টি স্মরণ রাখা উচিত। কেননা লাখ লাখ শ্রমিক ও গার্মেন্টস কর্মীর গা ঘামানো পরিশ্রমের বিনিময়েই আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা রপ্তানি আয় হয়। এক কোটির বেশি প্রবাসী কর্মীর রেমিটেন্স পাঠানোর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়ে, গ্রামের কৃষক ভাই-বোনদের রোদ-বৃষ্টিতে মাঠে নেমে ফসল ফলানোর ফলেই আমরা শহরে বসে তা খেতে পারি।আবার তাদের করের টাকায় আমাদের বেতন-ভাতা হয়।
বাস্তবতা হলো সমাজে এসব মানুষই বেশি ভোগান্তির শিকার হন ও শোষিত-বঞ্চিত হন। যদিও জাতির পিতা স্বয়ং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। তাই বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে যাতে আদালতের বারান্দায় বছরের পর বছর জুতার তলা ক্ষয় করতে না হয়, সে বিষয়ে বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া তারা যাতে সেবা নিতে এসে কোনভাবে অবজ্ঞা বা হয়রানির স্বীকার না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
সাম্পান যোগে কবিদের শান্তির বার্তা প্রেরণ
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে ২০টি সাম্পান যোগে দেড় শতাধিক কবির বার্তা পাঠানো হয়েছে। সাগর পাড়ি দিয়ে এই শান্তির বার্তা পৌঁছে যাবে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়।
বার্তা পাঠে বলা হয়, মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। সংঘাত, হানা-হানি পরিহার করে নতুন এক শান্তির বিশ্ব বিনিমার্ণে মানুষ আবার সংগ্রামে নামবে।
এছাড়া যে বার্তা পাঠে মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। একই সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতের নাম শেখ হাসিনার শান্তির সৈকত ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টের সৈকতে দেশ-বিদেশের কবিরা একযোগে শান্তির বার্তাবাহী এসব সাম্পান ভাসিয়ে দেয়ার আগে এমন ঘোষণা দেন।
এসময় শেখ হাসিনার শান্তির সৈকত গান পরিবেশন করা হয়।
কক্সবাজারে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী দরিয়ানগর আন্তর্জাতিক কবিতা মেলা-২০২২ দ্বিতীয় দিন এমন কর্মসূচি পালন করেন কবিরা।
সকালে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।
এরপর সাদা পতাকা হাতে কবিতার শান্তির যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত মাঠে এসে শেষ হয়।
ওখানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা, কবিতা মেলার পতাকা ও রাইটার্স ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে শুরু হয় কবিতা পাঠ ও আলোচনা।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
‘ আলাদা হওয়া অণুকে একত্রিত’ করার উপায় উদ্ভাবনের জন্য নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার তিন বিজ্ঞানীকে সমান অংশে দেয়া হয়েছে। নোবেল প্রাপ্তরা হলেন- ক্যারোলিন আর. বার্টোজি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেস।
ওষুধ প্রস্তুতে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন ' আলাদা হওয়া অনুগুলোকে একত্রিত করার' উপায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য তাদেরকে পুরস্কার দেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল হ্যান্স এলেগ্রেন সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে বিজয়ীদের ঘোষণা করেন।
তাদের কাজটি ‘ক্লিক কেমিস্ট্রি’ এবং ‘বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে পরিচিত। ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি ও ডিএনএ মানচিত্র তৈরি করতে এবং নির্দিষ্ট সামগ্রী তৈরির উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহৃত হয়।
নোবেল বিজয়ী বার্তোজি ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের, মেলডাল ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং শার্পলেস ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
শার্পলেস এর আগে ২০২১ সালে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনিই পঞ্চম ব্যক্তি যিনি দু’বার পুরস্কার পেলেন।
গত বছর পুরস্কারটি দেয়া হয়েছিল বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট এবং ডেভিড ডব্লিউসিকে। নোবেল কমিটি বলেছে, ম্যাকমিলানের অণু তৈরির উদ্ভাবন এবং পরিবেশগতভাবে পরিচ্ছন্ন উপায় খুঁজে বের করার জন্য ‘ইতোমধ্যেই মানবজাতির প্রচুর উপকার হচ্ছে।’
মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি নিয়ান্ডারথাল ডিএনএর গোপন রহস্য উন্মোচনের জন্য এ সপ্তাহে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ২০২০ সালের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল
এছাড়া মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। ফরাসী অ্যালেইন অ্যাসপেক্ট, আমেরিকান জন এফ. ক্লাজার এবং অস্ট্রিয়ান অ্যান্টন জেইলিংগার। তারা দেখিয়েছেন যে ক্ষুদ্র কণাগুলো আলাদা হয়ে গেলেও একে অপরের সঙ্গে একটি
সংযোগ বজায় রাখতে পারে।এটি একটি ঘটনা যা ‘অনুমিত পরিমাণ জড়িয়ে ফেলা’ নামে পরিচিত। যা বিশেষ কম্পিউটিং এবং তথ্য নিরাপদ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সাহিত্যের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে এবং সোমবার অর্থনীতির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
পুরস্কারগুলোর একটিতে নগদ পুরস্কার রয়েছে ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৯ লাখ মার্কিন ডলার)। যা আগামী ১০ ডিসেম্বরে বিজয়ীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে৷ ১৮৯৫ সালে পুরস্কারের নির্মাতা সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া একটি উইল থেকে পুরস্কারের অর্থ আসে৷
আরও পড়ুন: আজ থেকে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু