ক্ষমতা
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে যত সুন্দরভাবেই সাজানোর চেষ্টা করুক, লাভ নেই। বিগত সময়ে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশনকে তারা গৃহপালিত করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনো ক্ষমতাই নেই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের ত্রাণ বিতরণ
রবিবার (৭ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, দেশে আজ যে অরাজকতার পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণ জানেনা দেশের ভবিষ্যৎ কি, কি হতে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে। তাদের সে আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৬ টি হরতাল তারা দিয়েছিলো। তখন অনেক লোক আহত ও হত্যার শিকার হয়। দেশটা অচল করে দিয়েছিলো তারা। আমাদের নেত্রী তাদের সে দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিয়েছিলো বলেই তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলো। অথচ পরবর্তীতে তারাই তাদের নীতিগত দিক ভুলে নির্দলীয় সরকারের প্রথাটাই বন্ধ করে রেখেছে। তারা জানে যে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তাদের এত ভয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
বর্তমান সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেরকে কোনোমতেই ক্ষমতায় আর আসতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ও অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আওয়ামী লীগ আজকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো-আশা ছিলো, আকাঙ্খা ছিলো-একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, একটা বহুদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা; সেটাকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই পুরনো কায়দায়।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, এখন তাদের অবস্থান স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে।
প্রাক্তন মন্ত্রী সুনীল কুমার গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ওনুসারী পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশে (বাংলাদেশ) আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করার একদিন পর ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
বুধবার ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করার জন্য সরকারের অবস্থানেরও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘যখন সবাই আইনটি বাতিলের দাবি করছে, তখন আপনি দাম্ভিকতা করছেন যে এটি বাতিল হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন এটা বাতিল করা উচিত নয়? আপনি এটি (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাই আপনি এই অস্ত্র হারাতে চান না।’
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, দেশের মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেও স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করেছিল। এখন দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করেছে এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের জয় হবে। ’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে তাদের দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
ফখরুল বলেন, ‘এ কারণে আমরা দেশকে ভালোবাসে এমন সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একযোগে আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছি। এই আশা নিয়েই আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে, স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষানী ওনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে অনুমতি বাতিল করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়: এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দিন নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই চোরাগলি পথে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে, না জিতে চোরাগলি পথে বিএনপিকে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
কারণ, ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী শরীয়তপুরের নড়িয়ার চামটা ইউনিয়নে ও সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নে ২৮শ’ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও আগুন সন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে নাই। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খায়, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে, বিদেশে অর্থ পাচার করে। আর ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অস্থিতিশীল করতে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
এছাড়া ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা যাওয়ায় যায় না। জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে হয়। অন্য কোনো পথ নাই।
এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণ মানুষের স্বপ্ন পূরণের দল, মানবতার দল। আওয়ামী লীগ সবসময় অসহায়ের পাশে থাকে, দুর্গতদের পাশে থাকে। কোটি মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও ভালবাসার এ দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। আগামী নিবার্চনেও জনগণের রায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে: এনামুল হক শামীম
রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়।
তিনি বলেন, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
রবিবার দুপুরে উত্তরার দক্ষিণখানের ফায়দাবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে ১২০০ অসহায়, দুস্থ, গরিব-দুঃখী নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুরবস্থা সৃষ্টি করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে।
মঈন খান বলেন, আপনারা দেখেছেন নিউ মার্কেট, বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক আগুন লাগছে। এ আগুনের রহস্য কী?
তিনি বলেন, যেহেতু সরকারের দায়িত্ব রয়েছে, কেন আগুন লেগেছে? কিভাবে আগুন লেগেছে? কে লাগিয়েছে? সরকার তদন্তের আগে কাউকে দোষারোপ করলে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করব।
তিনি আরও বলেন, কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দোষারোপ করে এইবার আওয়ামী সরকার পার পাবে না।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, বিএনপির নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
নির্বাচন যখনই হোক বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না: কাদের
জাতীয় নির্বাচন হলেও বিএনপি আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আগামী সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঠিক করবে এবং এ বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। নির্বাচন যখনই হোক, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের ধরন দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরাই হতাশ। তারা গণঅভ্যুত্থানের কথা বলছে, অথচ তাদের সমাবেশে এক হাজার মানুষও হয় না। শুধু নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসা যায় না। যে আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই, সে আন্দোলন কখনই সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে প্রতি দায়িত্বশীলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যারা বলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, তারাই সরকারের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে। এটা সত্য যে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকারই সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ভুল কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু অপরাধ করে ভুল লে পর পাওয়া যাবে না।
'চাইল্ড এক্সপ্লয়েটশন' কোনো ভুল নয়, এটা একটি অপরাধ উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা এ ধরনের অপরাধ করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত কোনো দেশে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে ওই পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল করা হত। কিন্তু শেখ হাসিনা তা করেননি।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী ইয়াসির ইনান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে; ষড়যন্ত্র করেছে; মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরাই এক সময় তাদেরকে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। তবে সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকেনা। করোনায় গোটা বিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। এই দেশকে নিয়ে যেন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায় না, নিয়ম নেই। অথচ সে সময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃৎপিণ্ড উপড়ে নেয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরও কত কি করেছে। তারা দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজ রাষ্ট্রে মানবাধিকার নাই, ভোটাধিকার নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই, জীবনের নিরাপত্তা নাই। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য সংবিধানকে দলীয় দলিলে পরিণত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হওয়ার পর দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তখন নতুন সরকারকে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরে বিএনপি কোন নীতিতে দেশ পরিচালনা করবে, এ বিষয়কে সামনে রেখেই দীর্ঘ গবেষণার পর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ থাকবে।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর একটি হোটেলে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- শীর্ষক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
তিনি বলেন, সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন করলে নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। এই পদ্ধতিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হবে না। তাই জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া অপরিহার্য। কিন্তু সংবিধান থেকে এটিকে বাদ দেয়া হয়েছে। জনবান্ধব সংবিধান প্রণয়ন করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করে আছে তা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই এটিকে সরকার বলা যায় না। সরকার হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছে। এছাড়া ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়েছে। বিএনপি তার পরেও শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। কারণ বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা চায় না, বিএনপি শান্তি চায়।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগে কি হচ্ছে, তা সবাই দেখছেন। যেখানে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেখানে সুবিচার পাওয়ার স্বপ্নও দেখা যায় না। আমরা বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার জন্য একটি জুডিশিয়ারি কমিশন গঠনের কথা বলেছি। তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করবে, অন্যায় ভাবে দেশ চালাবে। এর নামই আওয়ামী লীগ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির।
জেলা বিএনপির সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহেদ আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সূচিত সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে। রাস্তায় যখন হালুয়া-রুটি ছড়িয়ে দেয়া হয়, তখন কাক যেমন জড়ো হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কাক আছে। রাজনীতির কাকদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক দুইটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল, রিজভী, খন্দকার মোশাররফ অন্য দল করতেন। রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। এ কারণে তাদের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই। তারা পদ বাণিজ্যও করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে না। তারা আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো প্রশ্নই আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্য দেশগুলোতে নির্বাচন হয়, সেভাবেই জাতীয় নির্বাচনের সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে সংলাপ করার প্রশ্নই আসে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি 'সাজানো' নির্বাচন করতে চায়।
শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য প্রতিবেশি দেশের জন্য ঘুষ হিসেবে ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রবিরোধী বিদ্যুত চুক্তি সই করেছে।
দেশের সব মহানগর ও জেলায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা। ফখরুলের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে ‘বিকৃত’ করেছে এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি নির্বাচন হয়েছে জনগণের ভোট ছাড়াই… এখন তাদের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা রয়েছে। সেই নীলনকশা নিয়ে তারা ২০২৪ সালেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে, আর জনগণ তার প্রজা।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
বিদেশিদের সমর্থনে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ আর নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশিদের সমর্থনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে তারা (বিএনপি) স্বপ্ন দেখছে দেশের বাইরে থেকে কেউ এসে তাদের ক্ষমতায় বসাবে। সম্ভবত তারা একবার (অন্যদের) অনুগ্রহে তা করতে সক্ষম হয়েছিল। এখন বাইরের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই।’
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে আর বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি শাসনামলে তার দলকে মিছিল-সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আ.লীগ সর্বত্র বাধার সম্মুখীন হয়েছে এবং নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি রাস্তায় আওয়ামী লীগের নারীদের মারধর ও তাদের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা কিভাবে ভুলতে পারি? কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছি এবং আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করেছি।’
তিনি বলেন, বিএনপি করলেও এখন আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করে না। এর পরেও তারা অভিযোগ করছে এবং দেশে-বিদেশে সুবিধা কেনার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের