ভাস্কর্য
ঢাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর কাল সাক্ষী হয়ে আছে অতি প্রাচীন এই নগরী ঢাকা। যুদ্ধের প্রেক্ষাপট পালটে দিতে যেমন অনেক কৃতি সন্তানের বিচরণ ঘটেছে এর পিচঢালা পথে, তেমনি বিস্ফোরণের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানীর বুক। সেই সব চাঞ্চল্যকর ঘটনাগুলোকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এখানে তৈরি করা হয়েছে অনেক স্মৃতিস্তম্ভ যেগুলো আজও মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। বিমূর্ত ভাস্করগুলো যেন এখনও প্রচার করে যায় মুক্তিযুদ্ধের বাণী। চলুন, এই বিজয়ের মাসে ঢাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-স্মারকগুলোর ব্যাপারে কিছু জেনে নেয়া যাক।
ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ভিত্তিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
স্বাধীনতা স্তম্ভ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই জ্বালাময়ী ভাষণের জন্য বিখ্যাত এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এটি সেই ময়দান যেখানে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই তাৎপর্য চিহ্নিত করতে সেখানে স্বাধীনতা সৌধ নামে একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। স্তম্ভটির নকশা করেছেন কাশেফ মাহবুব চৌধুরী ও মেরিনা তাবাসসুম। ১৫০ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট প্রশস্ত কাঠামোটি মূলত একটি কাচের টাওয়ার। পশ্চিম দিকে একটি ছোট্ট লেক এবং পূর্ব দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর বানানো একটি পোড়ামাটির ম্যুরাল রয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভের নীচে স্বাধীনতা জাদুঘর।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হোক: সুজেয় শ্যাম
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, রায়ের বাজার বধ্যভূমি
ঢাকার পশ্চিমে মিরপুর বেড়ি বাধেঁর পাশে অবস্থিত এই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন যুদ্ধে আসন্ন পরাজয় টের পেল, তখন তারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে হত্যা করে এখানকার পরিত্যক্ত ইটের ভাটার পেছনের জলাশয়ে ফেলে রেখেছিলো। এর মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শিল্পী, এবং আইনজীবী, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের রূপকার হতেন।
১৪৬৪ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মাত্রা
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা বিখ্যাত সড়ক ‘বঙ্গবন্ধু বুলেভার্ড’ এ বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়েছে।
সোমবার ভাস্কর্যটি উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে নিরন্তর সম্প্রসারিত বন্ধুত্বের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে আজ এখানে উপস্থিত হওয়া আমার জন্য পরম সম্মান ও সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই অসাধারণ কীর্তিটি স্থাপনের জন্য, আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে তুরস্কের জনগণ ও সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে আমার ভাই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব মেভলুত কাভাসোগলু, আঙ্কারার জনগণ ও আঙ্কারা সিটি মেয়রকে আমার ও আমার প্রতিনিধি দলের প্রতি উষ্ণতা ও আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সুফিবাদের তীর্থস্থান হিসেবে তুরস্কের সাথে সিলেটের মিল রয়েছে: রাষ্ট্রদূত
মোমেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্ক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং ধর্মীয় নৈকট্যে আবদ্ধ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচনের এই তাৎপর্যপূর্ণ উপলক্ষ আমরা এমন এক মাসে উদ্যাপন করছি যাকে আমরা বিজয়ের মাস হিসেবে অভিহিত করি। এটি কেবল সম্পর্ককে সুসংহত করতে সাহায্য করবে না বরং এতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসোগলু, আঙ্কারার গভর্নর ভাসিপ শাহিন, আঙ্কারা মেট্রোপলিটন পৌরসভার মেয়র মনসুর ইয়াভাস এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ- তুরস্ক পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা
১৪৬৮ দিন আগে
স্বাধীনতার চেতনাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধারণ করতে হবে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার চেতনাকে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধারণ করতে হবে, লালন করতে হবে। স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে লালন করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
১৮১৬ দিন আগে
ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
১৮১৮ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতেই ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যারা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা এখনও তৎপর রয়েছে। তারা এখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা ও দর্শনকে হত্যা করতে চায়। সেজন্যই তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে।
১৮২৩ দিন আগে
ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের বাংলাদেশের মাটি থেকে সমূলে উৎপাটন করা হবে বলে রবিবার মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
১৮২৬ দিন আগে
মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হতে হবে: ফারুক খান
উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
১৮২৭ দিন আগে
ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকরী বিএনপি: কাদের
দেশে ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকরী হিসেবে বিএনপিকে অভিযুক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
১৮২৭ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়ায় বহুল আলোচিত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৮২৭ দিন আগে
ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, দেশে ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন করা হবে।
১৮৩০ দিন আগে