সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আরও পড়ুন: সিকৃবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘গত ১৪ আগস্ট ডিন কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হলো। কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যদি রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, গত কয়েকদিন ধরেই রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস, দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের পদত্যাগসহ কয়েকদফা দাবিতে আন্দোলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ডিন কাউন্সিলের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দাবিও দ্রুত বাস্তবায়ন ও সিন্ডিকেট সভায় পাস করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সিকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ী আওয়ামীপন্থী প্যানেল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিকৃবির সমন্বয়ক আজিজুল হক আজাদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি ডিন কাউন্সিলের সভায় পাস হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্য দাবির মধ্যে আছে- গণহত্যার সমর্থক উপাচার্যের পদত্যাগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার, দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া ও ছাত্র সংসদ চালু করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সিন্ডিকেট সভায় পাস হবে। যতদিন এই দাবিগুলো আদায় হবে না ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রাণীদের প্রতি সদয় হতে সিকৃবি উপাচার্যের আহ্বান
৪৭৬ দিন আগে
সিকৃবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সিকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
‘ফ্যাসিস্ট ও স্বার্থান্বেষী’ আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সিকৃবির শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী কমিটিকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা দেন।
সিকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ফেসবুক ওয়ালে এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: সিকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ী আওয়ামীপন্থী প্যানেল
গত ৪ আগস্ট সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলেও, শিক্ষার্থীরা তখন থেকেই দাবি করতে থাকেন, এটি স্বঘোষিত কমিটি। যার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দাবি করা কৃষি অনুষদের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আসলে বোঝা উচিত তারা কাদের কথায় বা প্ররোচনায় এমন করছেন। সারাদেশের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও যারা আওয়ামী স্বৈরাচারী ছিলেন, তারাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এর পেছনে জড়িত। এসব স্বৈরাচারীরা আবারও আমাদের আগের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাকে চাচ্ছেন। যেন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য আবারও চালু হয়। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাব, তারা যাই করুক যেন বুঝেশুনে করে। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে যেন কিছু না করে।’
এই কমিটিতে থাকা ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সরকার পতনের কয়েকদিন আগে সিকৃবির একটি গ্রুপে সমন্বয়ক চেয়ে লিংক দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে আমি নাম দিই। আন্দোলন শেষ হওয়ার পর সমন্বয়কদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। আমার বন্ধুরা জানায়, এই তালিকার কয়েকজন বিভিন্ন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাই গত ৭ আগস্ট আমি পদত্যাগ করি।’
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রাণীদের প্রতি সদয় হতে সিকৃবি উপাচার্যের আহ্বান
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বায়োটেকনোলজি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসনিম সাকিব বলেন, ‘সমন্বয়কদের নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আলাদা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছেন। যেখানে তাদের আসল কাজই হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয় করা। আর তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে যেটি করার চেষ্টা করছেন, সেই কাজটিই এক ধরনের বৈষম্য। যা এই সম্পূর্ণ আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থী।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্ন আর ধোঁয়াশা রেখে কোনো গোষ্ঠী যদি নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে তাদের মতামতকে সর্বেসর্বা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে তাদের সচেতন শিক্ষার্থীরা বর্জন করবেই এবং হচ্ছেও তাই।’
কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ অয়ন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একটি স্বঘোষিত সমন্বয়ক কমিটি দেখা গেলেও আন্দোলনের সময় কোনো সমন্বয়কের কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান কার্যক্রমকে ব্যক্তিস্বার্থ, নিজস্ব রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও উদ্দেশ্যমূলক মনে করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ স্বার্থান্বেষী সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: ভিসির দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে আন্দোলনে সিকৃবির শিক্ষকরা
৪৭৬ দিন আগে
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭
হলের রুম দখলকে কেন্দ্র করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (১২ মে) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিকৃবির সামাদ আজাদ হলের একটি রুম (৫০৭ নং) দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে ছিল। তখন বরাদ্দ পাওয়া কিছু ছাত্রকে ঐ রুমে তুলে দেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা এটা নিজেদের রুম বলে দাবি করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। পরে বিকালে সমাধানের উদ্দেশ্য ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, প্রভোস্ট, ছাত্রলীগসহ বসলে সেখানে কথা কাটাকাটির জেরে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মাঠে অবস্থান করে আরেকটি গ্রুপের (সহ-সভাপতি সাব্বির মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ পক্ষের) নেতা কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দুই দফা সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিকৃবির চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. অসিম রঞ্জন রায়। এদের মধ্যে দুজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিকৃবির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত
এ বিষয়ে আব্দুস সামাদ আজাদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মীর মো. ইকবাল হাসান বলেন , ‘ক্যাম্পাসে একটি রুমকে নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছে। আমরা আহতদের দেখতে যাচ্ছি। আর ঐ রুমটা আমরা তালা মেরে রেখেছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেরা বসে বিষয়টা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি। এছাড়াও সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনকেও ফেনে পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাদ উদ্দিন মাহফুজ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে আব্দুস সামাদ আজাদ হলের একটি রুম নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ঝামেলা হয়, যার দরুন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। আমরা সকলের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারা এ ঝামেলায় জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে, পরবর্তিতে কোনো সমস্যা হলে প্রশাসন থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সিলেট শাহপরান থানার এসি শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘একটা রুম নিয়ে ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ২০ জনের অধিক ক্যাম্পাসে থেকে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছি। পুলিশ এখনো ক্যাম্পাসের আশেপাশে অবস্থান করছে।’
এর আগে গত শুক্রবার (১০ মে) রাতে ২২ মাস পর সিকৃবি ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুইদিন না পেরোতেই সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩
৫৭১ দিন আগে
কোরিয়ার ৪ গবেষক এখন বাংলাদেশে
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণা কাজে অংশ নিতে সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে কোরিয়ার চার গবেষক এখন বাংলাদেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন বিভাগের পরিচালক ড. তিলক চন্দ্র নাথের তত্ত্বাবধানে এই গবেষকবৃন্দ তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
এই চার বিজ্ঞানী হলেন-চিম্বুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ক্যাসিওন এস ইরম, কোরিয়ার কেডিসিএ-এর পরিচালক ড. জুং ওন জ্যু, ইন্টারন্যানাল প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের পরিচালক ড. ডনমিন লি এবং আকে প্রতিথযশা বিজ্ঞানী হুনও কিম।
তারা মূলত প্রাণীদেহের ভেক্টর ও প্যারাসাইট নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
ভেক্টর একধরনের আর্থোপড জীব (যেমন মশা বা মাছি), যা একটি প্যাথোজেন বা পরজীবীকে একটি হোস্ট থেকে অন্য হোস্টে প্রেরণ করে।
বিভিন্ন সংক্রামক রোগের বিস্তারে ভেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্যারাসাইট বা পরজীবী হলো একটি জীব যা অন্য জীবের মধ্যে বা তার ওপর বাস করে, যাকে হোস্ট বলা হয়।
প্যারাসাইট হোস্টের কাছ থেকে পুষ্টি এবং আশ্রয় গ্রহণ করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া এবং বহুকোষী জীব সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়।
কোরিয়ান চার গবেষক সিকৃবির কেডিসিএ ইয়থ ক্লাবের সহায়তায় সিলেটের দলদলি চা বাগান, খাদিমনগরসহ কয়েকটি চা বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং প্যারাসাইট বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া তারা সিলেটের চা বাগান থেকে ভেক্টর ও প্যারাসাইট সংশ্লিষ্ট তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করছেন এবং সেগুলো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করছেন।
এদিকে মঙ্গলবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগে ভেক্টর ও প্যারাসাইট নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
কোরিয়ান চার গবেষক ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ।
কোরিয়ার গবেষকরা তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল সেমিনারে উপস্থাপন করেছেন এবং উপস্থিত সিকৃবির তরুণ গবেষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ড. তিলক চন্দ্র নাথ অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন।
আরও পড়ুন: সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায়
স্বপ্নবাজ গবেষকদের পাশে ‘ইস্কুলঘর’
৯৪১ দিন আগে
সিকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ ও অপর একটি বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাত্রলীগের কর্মীসভা দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে বাঁধা দেন ছাত্রলীগ শাখা সভাপতি আশিকুর রহমান ও সেক্রেটারি এমাদুল হোসেনের বিদ্রোহী সহসভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসাইন, আকাশ ভূইয়া ও প্রান্ত ইসলামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গ্রুপ। এসময় দুপক্ষের অনুসারীরা সভাস্থলে এসে অবস্থান নেয়। তখন উভয় পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
১০৬৪ দিন আগে
হাওরে সবজি চাষে নিরব বিপ্লব
হাওর এলাকার উর্বর মাটি সবজি চাষের জন্য খুব উপযোগী। বর্ষার পানি সরতে কিছুটা বিলম্ব হলেও বাড়ির আঙ্গিনার উচুঁ জমি থেকে দ্রুত পানি সরে যায়। এসব উঁচু স্থানে শীতকালীন সবধরনের শাকসবজি চাষ করা যায়।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নাধীন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত “সমন্বিত খামার ব্যবস্থা গবেষণার মাধ্যমে হাওর অঞ্চলে খামারের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি” শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে উচুঁ জমিতে সবজি চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্পের কাজটি শুরু হয়, যার সুফল বর্তমানে হাওরের কৃষকরা ভোগ করছেন।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান ফয়সাল জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জয়কলশ ইউনিয়নের নোয়াগাও এলাকায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। নোয়াগাও গ্রামের ১৫৬ জন কৃষকের মধ্যে শতকরা ২৬ ভাগ কৃষক সবজি চাষ করতেন। ২০২১ সালে সেটি শতভাগ হয়েছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী হাওরবেষ্টিত গ্রামগুলোতে।
আরও পড়ুন: পুনরায় ৪ দেশে বাজার ফিরে পেয়েছে খুলনার কাঁকড়া
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাওরপাড়ের কৃষকেরা এখন বসতবাড়ির আশেপাশে শীতকালীন শাকসবজি যেমন লাউ, মিষ্টি কুমঁড়া, শিম, বরবটি, ফুলকপি, বাধাঁকপি, স্কোয়াশ, টমেটো, লাল শাক, পালং শাক, মূলাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। বাড়ির আশেপাশের কান্দা জমিতে (অপেক্ষাকৃত উচুঁ জমি) শীতকালীন সবজি চাষ করা খুবই লাভজনক।
গবেষণায় দেখে গেছে, স্কোয়াশ বিদেশী সবজি হলেও সুনামগঞ্জের হাওরের মাটিতে এর ফলন চমকপ্রদ। হাওরের পলিমাটিতে এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে স্কোয়াশ চাষাবাদের প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও বাজারজাত করা হচ্ছে। কান্দা জমিতে স্কোয়াশসহ যেকোন সবজি চাষ করা লাভের মুখ দেখছে কৃষক। প্রতিটি চাষী পরিবারে খাদ্য উৎপাদন এবং পুষ্টি নিরাপত্তা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে কমলেও, খুলনাঞ্চলের চিংড়ির রপ্তানি বেড়েছে জাপানে
গ্রীষ্মকালেও বাড়ির আঙ্গিনার জমি ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন সম্ভব, বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের গবষেণা সহযোগী ও বর্তমানে সিকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক মান্না সালওয়া পড়শি।
তিনি বলেন, “বর্ষা শুরুর আগেই করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, চালকুমড়াঁর বীজ রোপন করতে হয়। এভাবে বাড়ির আঙ্গিনায় সারা বছর সবজি চাষ করা যায়।”
আরও পড়ুন: ৪০০ কোটি টাকার বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে খুলনা
প্রকল্পের সুবিধাভোগী খামারগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতিটি খামার সারা বছরে গড়ে প্রায় ৪৫ হাজার ৫৯০ টাকা আয় করছে। সমন্বিত খামার ব্যবস্থা গবেষণার প্রকল্পের আগে এ সকল পরিবারের সবজি চাষে বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ২১৪ টাকা। রবিশস্য আবাদে কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে প্রকল্প গ্রামে শুষ্ক মৌসুমে হাওরের প্রতিটি বাড়ি একটি খামার হিসেবে চিত্রায়িত হচ্ছে।
গবেষক প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, প্রকল্পটি শুরুর আগে এ অঞ্চলের কৃষকদের বার্ষিক আয় ছিলো প্রায় ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি সমাপ্তির পর সে আয় দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। শুধু সবজি নয়, অন্যান্য শস্য, হাঁস-মুরগী, ভেড়া, মাছ ইত্যাদি সমন্বিত চাষের ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
“সমন্বিত খামার ব্যবস্থা গবেষণার মাধ্যমে হ্ওার অঞ্চলে খামারের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি” প্রকল্পটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম, মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের প্রয়াত প্রফেসর ড. আবু বকর সিদ্দিকি, কৃষি অর্থনীতি ও পলিসি বিভাগের প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহমদ, কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন মান্না সালওয়া, মামুন খান, নাসিমা বেগম, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
পিএইচডির ছাত্র হিসেবে এই প্রকল্পে আরও যুক্ত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আজিজ এবং ড. তপন কুমার সাহা।
১৬৬০ দিন আগে
দেশে প্রথমবারের মতো ভার্টিক্যাল ফ্লোটিং বেড পদ্ধতি উদ্ভাবন
বছরের অর্ধেকটা সময়, বিশেষ করে বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। এই সময়ে জলাবদ্ধ জমিতে কোনো কৃষিকাজ হয় না। ফলে ওইসব এলাকায় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে কর্মের ব্যবস্থা নেই। জমিতে কৃষি ফলন না হওয়ায় লোকসান হয় কৃষকের। ঘাটতি দেখা দেয় শাক-সবজিসহ খাদ্য সামগ্রীর।
১৭২২ দিন আগে
৪র্থ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠল
স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহ প্রদানে আয়োজিত সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের চতুর্থ আসরের পর্দা উঠেছে ।
১৯৭৯ দিন আগে
সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের ৪র্থ আসরের পর্দা উঠছে রবিবার
স্বাধীনধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহ প্রদানে আয়োজিত সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের চতুর্থ আসরের পর্দা উঠছে আগামী রবিবার।
১৯৮২ দিন আগে
সিকৃবিতে ‘সমন্বিত পদ্ধতিতে’ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘সমন্বিত পদ্ধতিতে’ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১৯৭ দিন আগে