মুনাফা
জুলাই ২০২৫ থেকে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
দেশের প্রচলিত সঞ্চয়পত্রগুলোতে লক্ষণীয় পরিবর্তন নিয়ে নতুন ভাবে প্রকাশিত হলো জাতীয় সঞ্চয় স্কিম। ২০২৫-এর জুলাই–ডিসেম্বর সময়কালের জন্য জারিকৃত এই নির্দেশনার আওতাভূক্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিম পেনশনার সঞ্চয়পত্র। অন্যান্য সঞ্চয় ক্যাটাগরিগুলোর মতো এই সঞ্চয়পত্রেও বার্ষিক মুনাফার হারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন বিনিয়োগে মেয়াদের আগে ও পরে নগদীকরণে বার্ষিক হার ভিন্ন ভিন্ন। যার স্পষ্ট রেশ থাকছে গ্রাহকদের নগদায়নকালীন অর্থপ্রাপ্তিতে। চলুন, ৫ বছর মেয়াদী পেনশনার সঞ্চয়পত্রের নতুন নির্ধারিত রিটার্ন রেটের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত মুনাফার হার
নতুন রেট অনুযায়ী পূর্ববর্তী ও বর্তমানের সমূদয় বিনিয়োগের রিটার্ন হিসাব হবে। ধার্যকৃত মুনাফা দেওয়া হবে মূলত দুটি বিনিয়োগসীমার বিপরীতে, সেগুলো হলো:
i) ৭ লক্ষ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকা কিংবা তার কম
ii) ৭ লক্ষ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকার অধিক
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
পেনশনার সঞ্চয় স্কিমে মেয়াদের আগে ও পরে নগদীকরণে নিম্নোক্ত রেট অনুযায়ী প্রদেয় অর্থ নিরূপণ হবে:
টেবিল: ২০২৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালের জন্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে দুটি ভিন্ন বিনিয়োগ সীমায় প্রদেয় ভিন্ন বার্ষিক মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
৯.৮৪
৯.৭২
২য় বছরান্তে
১০.৩২
১০.১৯
৩য় বছরান্তে
১০.৮৪
১০.৭০
৪র্থ বছরান্তে
১১.৩৯
১১.২৩
৫ম বছরান্তে / মেয়াদপূর্তিতে
১১.৯৮
১১.৮০
.
সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা (৭,৫০,০০০ বা তার কম) মূল্যের পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদপূর্তিতে রয়েছে সর্বাধিক মুনাফাপ্রাপ্তির সুযোগ। আর এর পরিমাণ হলো ১১.৯৮ শতাংশ (১১.৯৮%)। মূল্য ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি) টাকা ছাড়িয়ে গেলে এই পরিমাণটি হবে ১১.৮০ শতাংশ (১১.৮০%)।
মেয়াদপূর্তির পূর্বেই নগদায়ন করা হলে মুনাফা বন্টন হবে উপরোক্ত টেবিলে উল্লেখিত হারে। এমতাবস্থায় অনুর্ধ্ব সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ নগদায়নে প্রথম বছরে মুনাফা দাড়াবে ৯.৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে মুনাফা পাওয়া যাবে যথাক্রমে ১০.৩২ শতাংশ, ১০.৮৪ শতাংশ এবং ১১.৩৯ শতাংশ হারে।
অপরদিকে, ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার অধিক বিনিয়োগ নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে মুনাফা মিলবে ৯.৭২ শতাংশ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে রিটার্ন পাওয়া যাবে যথাক্রমে ১০.১৯ শতাংশ, ১০.৭০ শতাংশ ও ১১.২৩ শতাংশ হারে।
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য থেকে কার্যকর পেনশনার সঞ্চয়পত্রের নতুন রিটার্ন রেট কারা পাবেন?
মুনাফার এই পুনঃনির্ধারিত হার পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সেই সকল গ্রাহকরা পাবেন, যারা স্কিমটি ক্রয় করবেন ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে কিংবা তার পরে। এর আগের যাবতীয় বিনিয়োগসমূহের মুনাফা বন্টন হবে পূর্ববর্তী নীতিমালা অনুসারে।
এই সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের ছয় মাস পর মুনাফার বার্ষিক হার পুনঃনির্ধারণ করা হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে যে সঞ্চয়পত্রগুলো ইস্যু করা হবে সেগুলোর স্ব স্ব মেয়াদ ও রিটার্নের হার বহাল থাকবে। সুতরাং বিনিয়োগকারীরা তাদের সঞ্চয়পত্র ইস্যুকালীন ধার্যকৃত হার অনুসারে নির্ধারিত পুরো মেয়াদ জুড়ে মুনাফা পাবেন।
শেষাংশ
বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ৭,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফার হার ১১.৯৮ শতাংশ। ৭,৫০,০০০ টাকার অধিক বিনিয়োগকারীরা লাভ পাবেন ১১.৮০ শতাংশ হারে। এই মুনাফা বন্টন নীতি শুধুমাত্র ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে ও তার পরবর্তীতে ইস্যুকৃত পেন শনার সঞ্চয়পত্রের জন্য অনুসরণ করা হবে।
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
১৫৩ দিন আগে
জুলাই ২০২৫ থেকে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
২০২৫-এর জুলাই-ডিসেম্বর সময়সীমাকে সামনে রেখে জারি হলো জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন সংস্করণ। এর আওতাভূক্ত অন্যতম একটি স্কিম ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র। অন্যান্য স্কিমগুলোর পাশাপাশি এই সঞ্চয়পত্রেও প্রধান পরিবর্তন হচ্ছে মুনাফার হার। নির্দিষ্ট বিনিয়োগসীমার অধীনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ও পরে উভয় ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বার্ষিক হার। স্বভাবতই, এই রদবদলের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকছে সামগ্রিক অর্থপ্রাপ্তিতে। চলুন, ৫-বছর মেয়াদী সঞ্চয় স্কিমটির পুনঃনির্ধারিত মুনাফার বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন রেট
নতুন রেটে পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বর্তমানের এক বা একাধিক যাবতীয় মুলধন অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। প্রযোজ্য রিটার্নসমূহ নির্ধারিত হবে দুটি বিনিয়োগসীমার উপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো:
i) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকা ও তার কম
ii) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকার বেশি
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
৫-বছর মেয়াদী স্কিমের অধীনে মেয়াদান্তে ও মেয়াদের আগে নগদীকরণে ভিন্ন ভিন্ন বার্ষিক রিটার্ন রেটগুলো নিম্নরূপ:
টেবিল: ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে দুটি বিনিয়োগ সীমায় প্রদেয় বার্ষিক মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
৯.৭৪
৯.৭২
২য় বছরান্তে
১০.২১
১০.১৯
৩য় বছরান্তে
১০.৭২
১০.৭০
৪র্থ বছরান্তে
১১.২৬
১১.২৩
৫ম বছরান্তে / মেয়াদপূর্তিতে
১১.৮৩
১১.৮০
.
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা (৭,৫০,০০০ বা তার কম) বিনিয়োগে মেয়াদপূর্তিতে রয়েছে সর্বাধিক মুনাফার সুযোগ। আর তা হলো ১১.৮৩ শতাংশ (১১.৮৩%)। ৭ লক্ষ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি) টাকার বেশি মূল্যে কেনা সঞ্চয়পত্রে এই হারের পরিমাণ ১১.৮০ শতাংশ।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নগদায়নে উপরোক্ত টেবিলে উল্লেখিত হার অনুসারে মুনাফা বন্টন করা হবে। এমতাবস্থায় অনুর্ধ্ব ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মুলধন নগদায়নে প্রথম বছরে মুনাফা পাওয়া যাবে ৯.৭৪ শতাংশ হারে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরের জন্য দেওয়া হবে যথাক্রমে ১০.২১ শতাংশ, ১০.৭২ শতাংশ এবং ১১.২৬ শতাংশ করে।
অপরদিকে, সাড়ে ৭ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগের অগ্রিম নগদায়ন থেকে প্রথম বছরের লাভ আসবে ৯.৭২ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরের ক্ষেত্রে সেই রিটার্ন হয়ে যাবে ১০.১৯ শতাংশ। তৃতীয় ও সর্বশেষ চতুর্থ বছরে নগদায়নে বার্ষিক হার হবে যথাক্রমে ১০.৭০ শতাংশ ও ১১.২৩ শতাংশ।
জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের নতুন রিটার্ন রেট কারা পাবেন?মুনাফার এই নতুন হার ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সেই সকল গ্রাহকদের জন্য, যারা স্কিমটি কিনবেন ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে অথবা তার পরে। এর আগের বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন সমূহ পূর্ববর্তী নীতিমালা অনুসারে বন্টন করা হবে।
এই আদেশ বাস্তবায়নের ছয় মাস পর রিটার্নের হার আবার নতুন করে নির্ধারিত হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রগুলোর জন্য তাদের স্ব স্ব মেয়াদ ও মুনাফার হার বিদ্যমান থাকবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন তাদের স্কিম ইস্যুকালীন প্রদত্ত বার্ষিক হার অনুসারে এবং নির্ধারিত মেয়াদের পুরোটা জুড়ে।
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
শেষাংশ
জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ৭,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফার হার ১১.৮৩ শতাংশ। ৭,৫০,০০০ টাকার অধিক বিনিয়োগে লাভ আসবে ১১.৮০ শতাংশ হারে। এই মুনাফা মডেল শুধুমাত্র ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে বা তার পরবর্তীতে ক্রয়কৃত ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের জন্য প্রযোজ্য।
১৫৫ দিন আগে
জুলাই ২০২৫ থেকে ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
সরকারি প্রজ্ঞাপনে জুলাই ২০২৫ থেকে জারি হলো জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন সংস্করণ। এখানে প্রচলিত সঞ্চয়পত্রগুলোর পাশাপাশি ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রেও পরিলক্ষিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিবতর্ন। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিনিয়োগে বন্টনকৃত মুনাফার হার। নতুন এই বার্ষিক হারে বদলে গেছে মেয়াদান্তে বা মেয়াদপূর্তির পূর্ব নগদায়নে গ্রাহকের প্রাপ্য মোট লাভ। চলুন, এই ত্রৈমাসিক সঞ্চয় ব্যবস্থার জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পুনঃনির্ধারিত মুনাফা সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত রিটার্ন রেট
পূর্ববর্তী ও বর্তমানের এক বা একাধিক যাবতীয় বিনিয়োগের প্রযোজ্য রিটার্ন নিম্নোক্ত বিনিয়োগসীমার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে:
i) অনুর্ধ্ব ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকা
ii) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকার বেশি
নিচের টেবিলে মেয়াদপূর্তির আগে ও পরের নগদীকরণসহ এই তিন বছর মেয়াদী স্কিমের মুনাফা বন্টন কাঠামো উল্লেখ করা হলো:
টেবিল: জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য ত্রৈমাসিক মুনাফা-ভিত্তিক স্কিমে ভিন্ন বিনিয়োগ সীমার আঙ্গিকে ধার্যকৃত বার্ষিক মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
১০.৬৫
১০.৬০
২য় বছরান্তে
১১.২২
১১.১৬
৩য় বছরান্তে / মেয়াদপূর্তিতে
১১.৮২
১১.৭৭
.
৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা (৭,৫০,০০০ বা তার কম) বিনিয়োগকারীরা মেয়াদপূর্তিতে সর্বাধিক মুনাফা পাবেন। বছরান্তের হিসাবে ধার্যকৃত এই পরিমাণটি ১১.৮২ শতাংশ (১১.৮২%)। সাড়ে ৭ লক্ষাধিক (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি) টাকার বেশি বিনিয়োগের জন্য এই হার সামান্য কমে দাড়াবে ১১.৭৭ শতাংশ।
মেয়াদের আগেই নগদীকরণের ক্ষেত্রে, টেবিলে নির্দেশিত হার অনুসারে মুনাফা হিসাব করা হবে। এক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা (৭,৫০,০০০ বা তার কম) বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রথম বছরান্তে বার্ষিক সুদের হার হবে ১০.৬৫ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরে এই হার হয়ে যাবে ১১.২২ শতাংশ।
বিনিয়োগ সাড় ৭ লক্ষ (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি) টাকার বেশি হলে প্রথম বছরের নগদায়নে মুনাফা মিলবে ১০.৬০ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরে রিটার্নের হার বেড়ে হবে ১১.১৬ শতাংশ।
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
কারা পাবেন জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের নতুন রিটার্ন রেট?
নতুন জারিকৃত এই মুনাফা শুধু তারাই পাবেন, যারা ত্রৈমাসিক মুনাফা-ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কিনবেন ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে বা তার পরে। এর আগের বিনিয়োগগুলোর রিটার্ন সমূহ পূর্বের শর্তাদি অনুসারে হিসাব হবে।
এই নির্দেশিকা বাস্তবায়নের ছয় মাস পর রিটার্ন হার পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে যারা বিনিয়োগ করবেন, তারা তাদের নির্ধারিত পুরো মেয়াদ জুড়ে বিদ্যমান হারে মুনাফা পাবেন। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র ইস্যুকালীন রিটার্নের হার পুরো মেয়াদের জন্য অপরিবর্তিত থাকবে।
শেষাংশ
বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের ৩ মাস অন্তর মুনাফা-ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ৭,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফার হার ১১.৮২ শতাংশ। ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের মূল্য ৭,৫০,০০০ টাকা ছাড়িয়ে গেলে লাভ পাওয়া যাবে ১১.৭৭ শতাংশ হারে। এই রিটার্ন পদ্ধতি শুধুমাত্র ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে বা তার পর থেকে বিনিয়োগকৃত ত্রৈমাসিক মুনাফা বহনকারী সঞ্চয়পত্রের জন্য প্রযোজ্য।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গুগল পে-এর যাত্রা শুরু: গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট কেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন
১৫৬ দিন আগে
জুলাই ২০২৫ থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
বছরের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে সরকারি প্রজ্ঞাপনে জারি হলো দেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন এক সংস্করণ। এ অনুসারে নতুন মুনাফার হারের ভিত্তিতে প্রচলিত সবগুলো সঞ্চয়পত্রে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবতর্ন। এর আওতায় জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রও অন্তর্ভূক্ত। বার্ষিক হারের সাথে সাথে আমূল বদলেছে সর্বমোট অর্থপ্রাপ্তির। এটি মেয়াদান্ত ও মেয়াদপূর্তির পূর্ব নগদায়ন উভয় ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। চলুন, পরিবার সঞ্চয়পত্রের পুনঃনির্ধারিত মুনাফা ব্যবস্থার সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত রিটার্ন রেট
পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে শুরু করে এক বা একাধিক স্কিমের যাবতীয় বিনিয়োগে রিটার্ন রেট প্রযোজ্য হবে দুটি বিনিয়োগসীমা অনুযায়ী:
১) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকা বা তার কম
২) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকার অধিক
৫ বছর মেয়াদী এই স্কিমে মেয়াদপূর্তি এবং নগদায়নে ধার্যকৃত মুনাফার নতুন হার নিম্নরূপঃ
টেবিল: জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিভিন্ন বিনিয়োগ বাবদ প্রাপ্য মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
৯.৮১
৯.৭২
২য় বছরান্তে
১০.২৯
১০.১৯
৩য় বছরান্তে
১০.৮০
১০.৭০
৪র্থ বছরান্তে
১১.৩৫
১১.২৩
৫ম বছরান্তে/ মেয়াদপূর্তিতে
১১.৯৩
১১.৮০
.
পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুলধনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০ বা তার নিচে) টাকা হলে মাসিক মুনাফা হবে ১১.৯৩ শতাংশ (১১.৯৩%)। তবে পরিমাণ সাড়ে ৭ লক্ষাধিক হলে (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি), লাভের হার ১১.৮০ শতাংশে কমে আসবে।
মেয়াদপূর্তির আগেই নগদায়ন করা হলে উপরোক্ত টেবিলে উল্লিখিত বার্ষিক হারে মুনাফা প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র নগদায়নে, প্রথম বছরে মাসিক মুনাফা হবে ৯.৮১ শতাংশ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে এই পরিমাণ দাড়াবে যথাক্রমে ১০.২৯ শতাংশ, ১০.৮০ শতাংশ এবং ১১.৩৫ শতাংশে।
অন্যদিকে, ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের মূল্য সাড়ে ৭ লক্ষাধিক হলে অগ্রিম নগদায়নে প্রথম বছরের লাভ পাওয়া যাবে ৯.৭২ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরে রিটার্ন আসবে ১০.১৯ শতাংশ। তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে ধার্য হবে যথাক্রমে ১০.৭০ শতাংশ ও ১১.২৩ শতাংশ।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গুগল পে-এর যাত্রা শুরু: গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট কেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন
জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর পরিবার সঞ্চয়পত্রের রিটার্ন রেট কাদের জন্য
নতুন এই হারে মুনাফা কেবল তারাই পাবেন, যারা ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখ বা তার পর থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনবেন। এই তারিখের আগের বিনিয়োগগুলো পূর্ববর্তী শর্তাবলি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
সরকারি এই আদেশ কার্যকর হওয়ার ছয় মাস পরে মুনাফার হার পুনঃনির্ধারিত হবে। তবে এর মাঝে বিনিয়োগকারীরা উপরোক্ত টেবিল অনুযায়ী পুরো মেয়াদের জন্যই নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন। সুতরাং, প্রাথমিকভাবে জারি করা হার বিনিয়োগের পুরো সময়কাল জুড়ে অপরিবর্তিত থাকবে।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন সংস্করণে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদান্তের সর্বাধিক মুনাফা ১১.৯৩ শতাংশ। এই হারটি ধার্য হবে অনুর্ধ্ব ৭,৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগকারীদের জন্য। ৭,৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফার হার হবে ১১.৮০ শতাংশ। যারা ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখ বা তার পর থেকে পরিবার সঞ্চয় স্কিমের গ্রাহক হবেন, কেবল তাদের জন্য এই রিটার্ন কাঠামোটি প্রযোজ্য।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
১৫৬ দিন আগে
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ২০২৫: নতুন রেটে কত মুনাফা পাবেন
১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রসহ প্রতিটি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুননির্ধারিত করা হয়েছে। নতুন রেটে মুনাফা হার বিগত সব সংষ্করণের তুলনায় সর্বাধিক। মেয়াদপূর্তির পাশাপাশি নগদায়নে রিটার্নের হারও পূর্বাপেক্ষা বেশি। একই সঙ্গে বিনিয়োগ সীমাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিবর্ধিত করা হয়েছে।
অবশেষে গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিগত উৎসে কর অব্যাহত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। এর ফলে মেয়াদ শেষে বা নগদীকরণের ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা তাদের প্রাপ্য অর্থের ব্যাপারে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছে। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের পরিবর্তিত মুনাফা হারের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের পুনর্নির্ধারিত মুনাফার হার
৫ বছর মেয়াদের এই স্কিমে ভিন্ন বিনিয়োগ সীমারেখায় নগদায়ন ও মেয়াদপূর্তিতে প্রদেয় মুনাফা নিম্নের টেবিলে উল্লেখ করা হলো:
টেবিল: ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন বিনিয়োগের বিপরীতে ধার্য করা মুনাফার হার
সময়
বিনিয়োগ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ ৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর (%)
মুনাফার হার (%)
৫,০০,০০১ টাকা থেকে ৭,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর (%)
মুনাফার হার (%)
উৎসে কর (%)
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
৫
১০.১৩
১০
১০.১৩
১০
১০.১১
২য় বছরান্তে
১০.৬৪
১০.৬৪
১০.৬২
৩য় বছরান্তে
১১.১৯
১১.১৯
১১.১৭
৪র্থ বছরান্তে
১১.৭৮
১১.৭৮
১১.৭৫
৫ম বছরান্তে
১২.৪০
১২.৪০
১২.৩৭
সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ লাখ (৭,৫০,০০০) টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে মুনাফা হবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ (১২.৪০%) হারে। যারা ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১) টাকার বেশি মূলধন দিয়ে সঞ্চয়পত্রটি কিনবেন, তাদের জন্য এই লাভ দাড়াবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
আরো পড়ুন: ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: মেয়াদপূর্তি ও নগদায়নে নতুন মুনাফার হার
মুনাফায় আরোপিত উৎসে করের জন্য বিগত বিনিয়োগ সীমা অব্যাহত রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৫ লাখ (৫,০০,০০০) টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর ৫ শতাংশ, আর ৫ লাখ টাকার বেশি (৫,০০,০০১ বা তদূর্ধ্ব) হলে উৎসে কর ১০ শতাংশ।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নগদায়ন করলে টেবিলে উল্লিখিত প্রতি অতিক্রান্ত সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট হারে ধার্যকৃত মুনাফা সহ মূল টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
৫ লাখ (৫,০০,০০০) টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারিদের প্রথম বছর শেষে নগদায়নে বার্ষিক ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ হারে মুনাফা ধার্য হবে। ২য় বছরান্তে নগদায়নে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ৩য় বছর শেষে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, এবং ৪র্থ বছর পর ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ মুনাফা পাবেন। সব ক্ষেত্রেই কাটা হবে ৫ শতাংশ উৎসে কর।
৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার (৫,০০,০০১ - ৭,৫০,০০০) টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে প্রথম বছরের নগদায়নে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ হারে মুনাফা হবে। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বছর শেষে নগদায়নে মুনাফা পাওয়া যাবে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, এবং ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছরান্তের মুনাফা থেকে কাটা হবে ১০ শতাংশ উৎসে কর।
আরো পড়ুন: পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফা হার: প্রতি লাখে ধার্য করা মাসিক মুনাফা
৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১) টাকার বেশি মূলধনের গ্রাহকদেরকে যথারীতি ১০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে। প্রথম বছরান্তের নগদায়ন হিসেবে বার্ষিক লাভের হার হবে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরান্তের নগদায়নে এই হার হবে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, এবং চতুর্থ বছর পর ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফা হার কারা পাবেন
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি এবং তার পর থেকে যারা বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করবেন শুধুমাত্র তাদের পুনর্নির্ধারিত হরে মুনাফা দেবে।
কাদের জন্য ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয় স্কিম
· শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিক
· নিম্নোক্ত বিধি অনুযায়ী স্বীকৃত বা পরিচালিত ভবিষ্য তহবিল:
o আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ (অংশ-২)-এর বিধি ৪৯-এর উপ-বিধি (২)
o ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫-এর ১৯ নং)
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফা হার, জানুন ২০২৫ সালে কোন স্কিমে আপনি কত পাবেন!
· আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪-এর ৬-তম তফসিলের পার্ট এ-এর ৩৪ নং অনুচ্ছেদ মতে নিম্নোক্ত আয়ের উৎসসমূহ (অবশ্যই সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের মাধ্যমে প্রত্যয়ন করতে হবে):
o বীজ উৎপাদন ও স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন
o ফল ও লতাপাতার চাষ
o পেলিটেড পোল্ট্রি ফিড্স উৎপাদন
o হাঁস-মুরগীর খামার
o গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার
o মৎস্য খামার
o ব্যাঙ উৎপাদন খামার
o রেশম গুটিপোকা পালনের খামার
o ছত্রাক উৎপাদন
o উদ্যান খামার প্রকল্প
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
· অটিস্টিকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অটিস্টিকদের সেবায় নিয়োজিত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান (অবশ্যই সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন করতে হবে)। মুনাফা প্রদানের পূর্বশর্ত হলো- প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ থেকে আসা মুনাফার সমুদয় অর্থ শুধুমাত্র অটিস্টিকদের জন্য খরচ হবে।
· এতিমখানা, অনাথ আশ্রম, বা নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান যেগুলো শিশু পরিবারের মতো দুঃস্থ ও অনাথ শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত
· যে নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের সেবায় নিয়োজিত
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা
· একজন ব্যক্তির নামে হলে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা আর যুগ্ম-নামের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা
· প্রতিষ্ঠান তাদের ভবিষ্য তহবিলের মোট স্থিতির ৫০% বিনিয়োগ করতে পারবে। কিন্তু এই পরিমাণটি টাকায় ৫০ (পঞ্চাশ) কোটির বেশি হবে না
· যে কোনো ফার্মের জন্য অনুর্ধ্ব ২(দুই) কোটি টাকা
· অনাথ ও দুঃস্থ শিশুদের জন্য নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান (শিশু পরিবার, অনাথ আশ্রম, এতিমখানা ইত্যাদি), অটিস্টিকদের জন্য নিবেদিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রবীণদের জন্য নিবন্ধিত আশ্রয় কেন্দ্র সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) কোটি টাকা বিনিয়োগ দিতে পারবে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের অন্যান্য সুবিধা
· সঞ্চয়পত্রের উত্তরাধিকার নিয়োগ দেওয়া যায়
· সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারির মৃত্যু হলে, নিয়োগ করা উত্তরাধিকার মেয়াদ উত্তীর্ণের পর অথবা তাৎক্ষণিক ভাবেই নগদায়ন করে প্রদেয় মুনাফা-আসল উত্তোলন করতে পারেন।
শেষাংশ
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারিরা এই পুননির্ধারিত মুনাফা হারের সুবিধা ভোগ করবেন। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগের জন্য মুনাফা দেওয়া হবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে। আর সাড়ে ৭ লাখের অধিক টাকা বিনিয়োগকারিরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। এর মধ্যে আরোপিত উৎসে কর অনূর্ধ্ব ৫ লাখের জন্য ৫ শতাংশ এবং ৫ লাখ মূলধনের জন্য ১০ শতাংশ। উপরন্তু, মেয়াদের পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রেও বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
২৯০ দিন আগে
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: মেয়াদপূর্তি ও নগদায়নে নতুন মুনাফার হার
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের পুনর্নির্ধারিত মুনাফার হার
নিম্নের টেবিলে ৩ বছর মেয়াদি স্কিমটির মেয়াদান্তে এবং নগদায়নে উৎসে করসহ বছরান্তে ধার্যকৃত মুনাফার হার বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:
টেবিল: ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় স্কিমে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্য মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ ৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা
২৯৮ দিন আগে
পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফা হার: প্রতি লাখে ধার্য করা মাসিক মুনাফা
বছরের শুরুতেই জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন সংস্করণে দেশের প্রচলিত সঞ্চয়পত্রের প্রতিটিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাড়ানো হয়েছে বিনিয়োগের সীমা এবং মুনাফার হার। গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে উৎসে করের তথ্যটি হালনাগাদ করা হয়। এর মাধ্যমে মেয়াদপূর্তি এবং নগদায়নে গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন, সর্বাধিক জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফা ব্যবস্থার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
৩০৫ দিন আগে
পতনের পুঁজিবাজার, মুনাফা তুলতে খারাপ শেয়ারে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (ইউএনবি)-
সপ্তাহজুড়ে পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক, লেনদেন, টার্নওভার এবং সামগ্রিক রিটার্ন। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা স্বল্পসময়ে মুনাফা তুলতে ঝুঁকছেন জেড ক্যাটাগরির তুলণামূলক খারাপ কোম্পানির দিকে।
পাঁচ কার্যদিবসে (২৬-৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। ৫১৬৬ পয়েন্ট দিয়ে রবিবার লেনদেন শুরু করলেও বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫১২২ পয়েন্টে।
একইভাবে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২৭ পয়েন্ট এবং ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট। পাশাপাশি এক সপ্তাহে ডিএসইর এসএমই ইনডেক্সের সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা, যা পূর্বের সপ্তাহে ছিল ৪১২ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭৪ কোটি টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে বাজারের মোট টার্নওভার। মোট টার্নওভার হয়েছে ১৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ৩০ মিলিয়ন ডলার।
সপ্তাহের ব্যবধানে সামগ্রিকভাবে বাজারে দাম বেড়েছে মোট ৯৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাকি ২৭২ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এক সপ্তাহে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই দরপতন প্রায় ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। মিচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এ পতন ১৫ শতাংশের বেশি।
সপ্তাহ ভালো যায়নি আইটি খাতেও। এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ। একইভাবে ওষুধশিল্পে পতনের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। প্রকৌশল এবং সিরামিক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে যথাক্রমে ৪০ এবং ৪৫ শতাংশ।
সাপ্তাহিক লেনদেনে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে মাত্র চার খাতে। বাকি ১৯ খাতে রিটার্ন ছিল নেতিবাচক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ডেলটা স্পিনার্স লিমিটেডে। পাঁচ দিনে কোম্পানিটির রিটার্ন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা বজায় রেখে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
অন্যদিকে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এক সপ্তাহে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ রিটার্ন হারিয়ে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে থাকা শেয়ারের মধ্যে নেই কোনো ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। শীর্ষ দশের মধ্যে দরবৃদ্ধির ৬ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির এবং বাকি ৪ ‘বি’ ক্যাটাগরির।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে নেই কোনো ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। ‘এ’ ক্যাটাগরির ৫ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫ কোম্পানি ছিল এ সপ্তাহের তলানিতে থাকা শেয়ার।
ব্রোকারেজ হাউসগুলো বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে দ্রুত মুনাফা তুলে ক্ষতি পোষাতে খারাপ শেয়ারে দেদারসে বিনিয়োগ করছে। এতে করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কমেছে বাজারে। অন্যদিকে লভ্যাংশ না দেওয়া বা স্বল্প লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিতে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা।
৩০৮ দিন আগে
সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফা হার, জানুন ২০২৫ সালে কোন স্কিমে আপনি কত পাবেন!
২০২৫ সালে নতুনভাবে নির্ধারিত হলো সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার। এতদিন জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে মেয়াদান্তে সর্বনিম্ন ১১.০৪ থেকে সর্বোচ্চ ১১.৭৬ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যেতো। নতুন নিয়মে মুনাফা ১২ শতাংশের অধিক রাখা হয়েছে, যেখানে সর্বনিম্ন হার ১২.২৫ আর সর্বোচ্চ ১২.৫৫। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে কার্যকর সব সঞ্চয়পত্রে পাওয়া যাবে এই বাড়তি মুনাফা। চলুন, সরকারি সঞ্চয় স্ক্রিমগুলোর সদ্য প্রণয়নকৃত এই মুনাফা ব্যবস্থা সম্বন্ধে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
সঞ্চয়পত্রের স্কিমগুলোতে নতুন মুনাফার হার
জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের মুনাফা প্রদানের জন্য দুটি ভিন্ন বিনিয়োগ পরিসীমা ঠিক করা হয়েছে।
বিনিয়োগ পরিসীমা-১: অনুর্ধ্ব সাড়ে ৭ লাখ টাকাবিনিয়োগ
বিনিয়োগ পরিসীমা-২: সাড়ে ৭ লাখ টাকার অধিক
প্রথমটিতে প্রদেয় মুনাফা অপেক্ষা দ্বিতীয় ক্যাটাগরির মুনাফার শতাংশ কম হবে। তবে এই শতাংশ আগের তুলনায় বেশি। শুধু তাই নয়, মেয়াদের প্রথম বছর থেকে মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত প্রতি বছরের ধার্যকৃত মুনাফার শতাংশগুলোও আগের থেকে বেশি। এই হার ৫ ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার অনুসারে প্রতি ৬ মাস অন্তর পুনঃনির্ধারিত হবে।
আরো পড়ুন: ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
সরকারি সঞ্চয় পরিষেবার আওতাভূক্ত প্রতিটি স্কিম নির্ধারিত রিটার্নসহ নিম্নোক্ত সারণীতে উল্লেখ করা হলো:
সারণী: ২০২৫ সালে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাবদ লাভের পরিমাণ
বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয় স্কিমে বছরান্তে প্রতি লাখে মুনাফার হার (শতাংশ)
বিনিয়োগের পরিমাণ (টাকা)
সময়
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
(৫ বছর মেয়াদি)
পরিবার সঞ্চয়পত্র
(৫ বছর মেয়াদি)
বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
(৫ বছর মেয়াদি)
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
(৩ বছর মেয়াদি)
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-মেয়াদি হিসাব
(৩ বছর মেয়াদি)
সাড়ে ৭ লক্ষ পর্যন্ত
১ম বছর
১০.২৩
১০.২০
১০.১৩
১১.৪
১১.৪
২য় বছর
১০.৭৫
১০.৭২
১০.৬৪
১১.৬৫
১১.৬৫
৩য় বছর
১১.৩১
১১.২৮
১১.১৯
১২.৩০
১২.৩০
৪র্থ বছর
১১.৯১
১১.৮৭
১১.৭৮
-
-
৫ম বছর
১২.৫৫
১২.৫০
১২.৪০
-
-
সাড়ে ৭ লক্ষাধিক
১ম বছর
১০.১১
১০.১১
১০.১১
১১
১১
২য় বছর
১০.৬২
১০.৬২
১০.৬২
১১.৬১
১১.৬১
৩য় বছর
১১.১৭
১১.১৭
১১.১৭
১২.২৫
১২.২৫
৪র্থ বছর
১১.৭৫
১১.৭৫
১১.৭৫
-
-
৫ম বছর
১২.৩৭
১২.৩৭
১২.৩৭
-
-
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
এই স্কিমে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই নগদায়নের ক্ষেত্রে বছরান্তে মুনাফা শুরু হবে ১০.২৩ শতাংশ থেকে। ২য় বছরে ১০.৭৫, ৩য় বছরে ১১.৩১, এবং ৪র্থ বছরে ১১.৯১ শতাংশ। ৫ বছর মেয়াদপূর্তির পর মুনাফা দাড়াবে ১২.৫৫ শতাংশ, যা এখন থেকে প্রযোজ্য রিটার্নগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
সাড়ে ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১ম বছরে মুনাফা থাকছে ১০.১১। এটি বছরান্তের হিসেবে নতুন ব্যবস্থার সবচেয়ে কম পরিমাণ রিটার্ন। উপরন্তু, ২য় বছরে ১০.৬২, ৩য় বছরে ১১.১৭ এবং ৪র্থ বছরে ১১.৭৫ শতাংশ। ৫ বছর শেষে মেয়াদ উত্তীর্ণকালে এই শতাংশটি পৌঁছবে ১২.৩৭-এ।
পরিবার সঞ্চয়পত্র
সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তিতে পাবেন সাড়ে ১২ শতাংশ। মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই স্কিম নগদায়ন করলে বছর শেষে রিটার্ন শুরু ১০.২০ শতাংশ থেকে। ২য় বছরে নগদায়নের ক্ষেত্রে লাভের হার দেওয়া হবে ১০.৭২, ৩য় বছরে ১১.২৮ এবং ৪র্থ বছরে ১১.৮৭ শতাংশ।
বিনিয়োগ সাড়ে ৭ লাখ টাকার অধিক হলে ১ম বছরের মুনাফা ১০.১১ শতাংশ, যা ২য় বছরে ১০.৬২, ৩য় বছরে ১১.১৭ এবং ৪র্থ বছরে হবে ১১.৭৫ শতাংশ। সর্বপরি, ৫ বছর কিস্তি পূরণ করলে লাভের হার ১২.৩৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তিতে লাভের পরিমাণ ১২.৪০ শতাংশ। মেয়াদ পূর্ণ না করলে ১ম বছরে ১০.১৩, ২য় বছরে ১০.৬৪, ৩য় বছরে ১১.১৯ এবং ৪র্থ বছরে ১১.৭৮ শতাংশ।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
যারা সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন তাদের ১ম বছরে নগদায়নে মুনাফা পড়বে ১০.১১ শতাংশ। ২য় বছরে ১০.৬২, ৩য় বছরে ১১.১৭ এবং ৪র্থ বছরে ১১.৭৫ শতাংশ। ৫ বছরের আগে স্কিম না ভাঙলে লাভের হার দাড়াবে ১২.৩৭ শতাংশে।
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
এই সঞ্চয় স্কিমে যারা সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করবেন, তাদের মেয়াদ শেষে রিটার্ন আসবে ১২.৩০ শতাংশ। অন্যথায় মেয়াদ পূর্ণ করা না হলে ৩ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে ১ম বছরে মুনাফা পাওয়া যাবে ১১.০৪ এবং ২য় বছরে ১১.৬৫ শতাংশ।
অপরদিকে, সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের পর ১ম বছরের পরেই বিনিয়োগ করা টাকা তোলার ক্ষেত্রে মুনাফা মিলবে ১১ শতাংশ। ২য় বছরে পাওয়া যাবে ১১.৬১ আর মেয়াদপূর্তি করতে পারলে লাভের অংশ হবে ১২.২৫ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-মেয়াদি হিসাব
উপরোক্ত প্রধান চার স্কিমের বাইরে ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবে উভয় বিনিয়োগ ক্যাটাগরি থেকে প্রাপ্ত রিটার্নের হার হবে ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের অনুরূপ।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার কাদের জন্য প্রযোজ্য
যেহেতু সব ধরনের সঞ্চয়পত্রেই উল্লেখযোগ্য হারে মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই সকল শ্রেণির গ্রাহকরাই এর আওতাভূক্ত। সুতরাং জানুয়ারি ২০২৫ থেকে যারা সঞ্চয়পত্র কিনবে তারা নতুন এই বর্ধিত মুনাফার সুবিধা পাবেন।
পরিশিষ্ট
২০২৫-এ নতুন নিয়মে প্রণীত সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের প্রতিটি ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন এসেছে। সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কমপক্ষে ১২.৩০ শতাংশ মুনাফা রয়েছে ৩ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র দুটোতে। সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সর্বোচ্চ ১২.৫৫ শতাংশ হারে রিটার্নের সুযোগ থাকছে পেনশনার ব্যবস্থায়। সাড়ে ৭ লক্ষের অধিক টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৫ বছর মেয়াদি সবগুলো স্কিমেই সর্বাধিক রিটার্ন ১২.৩৭ শতাংশ। আর ৩ বছর মেয়াদি ব্যবস্থাগুলোতে থাকছে ১২.২৫ শতাংশ, যা এই পরিবর্তিত সঞ্চয় প্রক্রিয়ার সর্বনিম্ন মাত্রার মুনাফা।
আরো পড়ুন: নতুন বছরে সঞ্চয় বাড়ানোর কয়েকটি উপায়
৩১৩ দিন আগে
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
দীর্ঘমেয়াদি উপযুক্ত লাভসহ আর্থিক সঞ্চয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উপায় হলো সঞ্চয়পত্র। বিভিন্ন কিস্তিতে এর মুনাফা লাভের পাশাপাশি, মেয়াদ পূর্ণ হলে ফিরতি মূলধন নানা আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক হয়। অপরদিকে, অনেকেই সঞ্চয়পত্র নবায়নের মাধ্যমে সঞ্চয় বৃদ্ধি এবং মুনাফাপ্রাপ্তির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। উভয় ক্ষেত্রেই পদ্ধতিগত বিষয়গুলো মূলত ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ তথা সরকার এবং সঞ্চয়পত্রটি যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে। চলুন, মেয়াদ শেষে সঞ্চয়পত্রের নগদায়ন বা নবায়নেরর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই।
সঞ্চয়পত্র নগদায়নের উপায়
প্রদানকারী ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে মেয়াদ শেষে সঞ্চয়পত্রের নগদায়নে সাধারণত ২ থেকে ৩ কার্যদিবস সময় লাগে। কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বেশি সময় নিতে পারে।
নগদায়নের জন্য প্রতিটি ব্যাংকের নিজস্ব ফরম রয়েছে। টাকা উত্তোলনের জন্য প্রথমে ওই ফরমটি পূরণ করতে হবে। এরপর, ফরমে স্বহস্তে সই করে সেটি সঞ্চয়পত্র কেনা ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
যদি ক্রেতা সশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত হতে বা সই করতে অপারগ হন, তবে তার নমিনি নগদায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে, ক্রেতার শারীরিক অবস্থার প্রমাণ হিসেবে চিকিৎসকের সনদ দেখাতে হবে।
এছাড়া, নমিনির বাইরে বিনিয়োগকারীর মনোনীত ব্যক্তি শুধু মুনাফার অর্থই নগদে উত্তোলন করতে পারবেন। তবে এজন্য সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা বা মালিকের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতিপত্র এবং মুনাফা কুপনের ছাড়পত্র দিতে হবে। সঞ্চয়পত্রের আসল অর্থ কোনোভাবেই অনুমতিপত্র বা অথরাইজেশন লেটারের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায় না।
তবে, অনলাইন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াগুলোর প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মূলধন মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার দিনই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এমনকি মুনাফাগুলোও কিস্তি অনুযায়ী সঠিক সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। এই সমস্ত লেনদেনের জন্য ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেম ব্যবহৃত হবে। এর ফলে, বিনিয়োগকারী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে মুনাফা বা মূলধন উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে যেতে হবে না।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
সঞ্চয়পত্র পুনরায় চালু করার পদ্ধতি
নতুন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়করণ ব্যবস্থা থাকায় নথিপত্র সংক্রান্ত জটিলতাগুলো দূর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে সঞ্চয়পত্র রিনিউ পদ্ধতির পরিবর্তনগুলো নিম্নরূপ:
* পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে শুধু বিনিয়োগকৃত আসল অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় বিনিয়োগ হবে।* ৫ বছর মেয়াদি এবং ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ আসল অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় বিনিয়োগ হবে।* এই নবায়নের ক্ষেত্রে পুনঃবিনিয়োগের তারিখ থেকে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করা হবে।* পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ত্রৈমাসিকের বদলে প্রতি মাসে প্রদান করা হবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি
শেষাংশ
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদীকরণ অথবা নবায়নের সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, সেভিংস স্কিমের অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পুরোদমে সক্রিয় হয়ে উঠলে মূলধনের টাকা পাওয়া নিয়ে যাবতীয় হয়রানির অবসান ঘটবে। মেয়াদপূর্তির দিনই টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টে ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) হলে আলাদা করে আর ব্যাংকে যাওয়া লাগবে না। বিষয়টি স্বয়ংক্রিয় নবায়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই নথিবিহীন পদ্ধতি প্রশাসনিক বিলম্বসহ সামগ্রিক জটিলতা দূর করবে, যা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
৩৮৬ দিন আগে