অস্ত্র
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, ৩ জন আটক
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্রের যন্ত্রাংশ জব্দের পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর জোড়াগেট এলাকার এইচআরসি ভবনের পাশের গলিতে অবস্থিত ওই কারখানার অভিযান চালায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।
পুলিশের দাবি, কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, সিসা, ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ প্রায় ৩০-৩৫ টি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন— দোহা আয়রন ফাউন্ডার কারখানার মালিক নজরুল ইসলাম, কর্মচারী শহিদুল ও আকবর আলী।
কেএমপির ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ডিবির কাছে তথ্য ছিল, এখানে একটি অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যাবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেছে এবং তথ্যের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ওই কারখানাটি থেকে অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র যে ছাঁচের মধ্যে তৈরি করা হয়, সেগুলোও আমরা উদ্ধার করেছি। এই কারখানায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, এসব অস্ত্র যেখানে ফিনিশিং দেওয়া হয়, সেখানেও অভিযান চলছে। এ লক্ষ্যে ডিবির টিম কাজ করছে।
ডিবির এই টিম ভালো কাজ করেছে উল্লেখ করে ডেপুটি কমিশনার বলেন, কেএমপি এলাকায় অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের এত কাছে অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, এটি উদ্বেগজনক। মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে এ ধরনের কারখানা থাকবে, আর আমরা কেউ জানব না, এটা হতে পারে না। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বলেন, আমরা আপাতত এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছি। এই অস্ত্র তৈরির মূল কারিগরকে ঈশ্বরদী থেকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখানে অস্ত্রের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ ঢালাই করে যেসব জিনিস বানাতে হয়, সেগুলো এখানে তৈরি হচ্ছিল। এখানে ৩০-৩৫টি অস্ত্রের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। তবে বাটের কাঠের অংশ, স্প্রিং অন্যস্থানে সংযোজন করা হয়। সেখানেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
তিনি বলেন, অনেক আগে থেকে এখানে অস্ত্র তৈরি করা হয় বলে জানতে পেরেছি। এর আগেও এখান থেকে বেশ কয়েকবার খুলনা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
৭ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক
কুষ্টিয়ার একটি বাড়ি থেকে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল। তারা সবাই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার-সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল জব্দ করে দলটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতনকেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। সেখানে অপহরণ করে ধরে আনা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এরপর অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।
আটকরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার বাসিন্দা রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব এবং একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও শাকিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘সন্ত্রাসী’ তূর্য গ্রেপ্তার
স্থানীয়দের দাবি, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ।
তবে যৌথ অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অনেকে বাইরে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’
১৭৯ দিন আগে
প্রকাশ্যে আসতেই দুর্বৃত্তের অস্ত্রের কোপে প্রাণ গেল আত্মগোপনে থাকা ইউপি সদস্যের
নরসিংদীতে ইউপি সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আমির হোসেন সরকারকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় আলোকবালী উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মো. আমির হোসেন সরকার আলোকবালী উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুল হক সরকারের ছেলে। তিনি ছাত্রজীবনে আলোকবালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তিনি আলোকবালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন আমির। প্রবাসফেরত ভাইকে দেখতে আজ (মঙ্গলবার) তিনি বাড়ি ফেরেন। তার আসার বিষয়টি টের পেয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা তাকে ধারালো অসস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি আমি হাসপাতালের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।’
২৪৩ দিন আগে
গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) সম্পর্কে গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরাক যুদ্ধ পরিচালিত হয় বলে স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড।
বুধবার(১ জানুয়ারি) হাওয়ার্ড বলেছেন, এটি হতাশাজনক যে, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) শনাক্ত করতে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানগুলোতে ভুল হয়েছিল। তবে তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, অস্ট্রেলিয়াকে যুদ্ধে জড়িত করার সিদ্ধান্তটি জাতীয় স্বার্থে ছিল।
ন্যাশনাল আর্কাইভ অব অস্ট্রেলিয়ার (এনএএ) ২০০৪ সালের পূর্বের মন্ত্রিসভার নথি প্রকাশের সঙ্গে তার মন্তব্যগুলো মিলে যায়।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি এনএএ ২০ বছর আগের মন্ত্রিসভার নথি জনসম্মুখে প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন
২০০৩ সালের নথিগুলোর কিছু নিখোঁজ হওয়ার কারণে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বিলম্বে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, হাওয়ার্ডের সরকার ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছিল। ওই বছরের কয়েক মাস আগে মার্চে অস্ট্রেলিয়াকে প্রকাশ্যে ইরাক যুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হয়।
২০০৪ সালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরাকের গণবিধ্বংসী অস্ত্রের পরিমাণ এবং প্রকৃতি সঠিকভাবে বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হাওয়ার্ড বুধবার বলেছেন, যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
বল প্রয়োগের অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন ছাড়াই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ইরাক আক্রমণ শুরু করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মিশনটি ছিল ‘ইরাককে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে নিরস্ত্র করা, সন্ত্রাসবাদে সাদ্দাম হোসেনের সমর্থন শেষ করা এবং ইরাকি জনগণকে মুক্ত করা।‘ যা আসলে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় টিফার আওতায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক মে মাসে
৩৫৪ দিন আগে
মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে চলছে মাদক ও অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা
প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকেও মিরপুরের পল্লবী আলোকদি ঝিলপাড় বস্তিতে চলছে মাদক ও অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা। সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত জায়গা দখল করে অবৈধ বস্তি গড়ে তুলে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ইলিয়াস মোল্লার নিয়ন্ত্রণে চলছে এ অবৈধ ব্যবসা।
মাদক ও অস্ত্রের অবাধ কারবারের কারণে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে এই বস্তি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসবে বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
সূ্ত্র জানায়, ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে প্রায় ৩০০ সাংবাদিক পরিবারের জন্য আবাসন গড়ে তুলতে ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতিকে রাজধানীর পল্লবীর ঝিলপাড় মসজিদের পাশে ৭ একর জমি বরাদ্দ দেয় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে এই বিশাল জমি দখলে নেন ঢাকা-১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস মোল্লা। জমির একাংশে তিনি বস্তি বানিয়ে ভাড়া দেন এবং অন্য অংশে গড়ে তোলেন গরুর খামার। বস্তি, দোকান ও অস্থায়ী মার্কেট করার পর সেখানে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ওয়াসার পানি সংযোগেরও ব্যবস্থা করেন ইলিয়াস। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে থাকলেও নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে প্রতি মাসে ভাড়া তুলে চলেছেন তিনি।
সরকার পতনের পর দেশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিলেও এই বস্তিতে তার নিয়ন্ত্রণ অটুট রয়েছে। আত্মীয় ও দলীয় লোকের মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ইলিয়াস মোল্লা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
৩৫৯ দিন আগে
নরসিংদীতে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
নরসিংদীতে পৃথক অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জেলার মাধবদী ও পলাশ থানার টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে ২টি ওয়ান শুটারগান এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফীন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পরিচালিত হয় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। এর অংশ হিসেবে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মাধবদী থানার টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আনন্দী সেতুর পূর্বপাশে বাংলা মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
এসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় বাজারের ব্যাগে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ওয়ান শুটারগান এবং ৪ রাউন্ড সবুজ রঙের ওয়ান শুটারগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
একই রাতে পলাশ থানা পুলিশ ফুলবাড়িয়া হালদারপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফীন বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলি মাধবদী এবং পলাশ থানা হেফাজতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত ৩টি অস্ত্র এবং ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান শামসুল আরেফীন।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫, ৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
৪৬৯ দিন আগে
নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
নরসিংদীতে পৃথক অভিযানে জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করে নরসিংদী সেনাবাহিনী।
অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- একটি শটগান, চায়নিজ রাইফেলের দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চায়নিজ রাইফেলের ট্রিগার ম্যাকানিজম।
আরও পড়ুন: লুণ্ঠিত ১০৯৭ অস্ত্র উদ্ধার: পুলিশ সদর দপ্তর
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদের কাছে এসব অস্ত্র হস্তান্তর করে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নরসিংদী সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফাহিম মাহবুব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই দুর্বৃত্তরা নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট করে ৮৫টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫ রাউন্ড গুলি নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিযানকে স্বাগত জানালো আ. লীগ
৪৭০ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় ‘লুট হওয়া’ অস্ত্র উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জ ঘাটের পাবলিক টয়লেটের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের দাবি, অস্ত্রগুলো তাদের ক্লাব থেকে লুট করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে অস্ত্রগুলো জমা নেয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা জয় গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, পাবলিক টয়লেটের পাশে ময়লা ফেলার জায়গায় কে বা কারা কিছু ব্যাগ রেখে গিয়েছিল। সন্দেহ হলে ব্যাগগুলো খুলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পেয়ে র্যাবকে খবর দেওয়া হয়। পরে র্যাব এসে সেগুলো নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের বলে শনাক্ত করেন ক্লাবটির কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস।
এসময় তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলন চলাকালে রাইফেল ক্লাব থেকে অস্ত্রগুলো লুট করা হয়। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলো এই ক্লাবেরই।’
এদিকে, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) এর এএসপি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এখনও যাদের কাছে আছে তারা দ্রুত প্রশাসনের কাছে জমা দিন। তাদের নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে। এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র কোনো অপরাধীর কাছে যেন না যায়।’
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জ থানার লুট হওয়া মালামাল-অস্ত্র উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা
৪৯৫ দিন আগে
শরীয়তপুরে অস্ত্র-ইয়াবা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে লিজা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি শর্টগান, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
শনিবার (২৫ মে) ভোরে উপজেলার মূলনা ইউপির বোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মোংলায় ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে জাজিরার উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় একটি শর্টগান, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৪০ ইয়াবা জব্দসহ লিজা আক্তারকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় আক্কাস ঢালী নামে তার এক সহযোগী পালিয়ে যান। তাকে খুঁজছে পুলিশ। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ৫১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৪৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৫৭৫ দিন আগে
কক্সবাজারে পাহাড় থেকে বিপুল অস্ত্রসহ ৩ আরসা সদস্য আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে ‘আরসার আস্তানা’য় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় আরসার তিন শীর্ষ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ওসমান, নেছার, ইমান। তারা সবাই আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বলে র্যাব জানায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পেছনের লাল পাহাড় থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেনার টাকা বিতরনের সময় আটক ১
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কর্নেল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ক্যাম্প ২০ এক্সটেনশনে আরসার অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চালানো অভিযানের একপর্যায়ে সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেলে র্যাব সদস্যরা। উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ সময় আস্তানায় তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি বন্দুক ও অর্ধশতাধিক গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায় বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা গহীন পাহাড়ে আস্তানাটি গড়ে তুলেছিল। এই আস্তানা ব্যবহার করে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারসহ আটক ৩
৬৯৬ দিন আগে