অর্থনৈতিক অঞ্চল
মিরসরাই ইকোনমিক জোনসহ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ
মিরসরাই ইকোনমিক জোনসহ দেশের সব অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইকোনমিক জোন) সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে পণ্য পরিবহন আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন বলেন,
মিরসরাইয়ের জন্য আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে আমরা মিরসরাইকে আলাদাভাবে দেখছি না— সার্বিকভাবে দেশের সব ইকোনমিক জোনের জন্যই একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো, প্রতিটি ইকোনমিক জোন থেকে যেন সরাসরি ট্রেন লাইন সংযুক্ত থাকে, যাতে পণ্য পরিবহন সহজ হয়।
আরও পড়ুন: অদক্ষ কর্মীদের কারণে ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ক্ষতি ১৫০০ কোটি টাকা
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ট্রাকে করে পণ্য ট্রেন পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। আমরা এমন ব্যবস্থা করতে চাই, যাতে মিরসরাইসহ সব ইকোনমিক জোন থেকে সরাসরি ট্রেনে পণ্য বা কনটেইনার তোলা যায়।
এতে সময় ও খরচ দুটোই কমবে, একই সঙ্গে শিল্পকারখানাগুলোর কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ট্রেন ও সড়ক— উভয় সংযোগ থাকবে কিনা জানতে চাইলে শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, অবশ্যই থাকবে। আমরা এমন একটি মাস্টার প্ল্যান করছি, যেখানে মিরসরাইসহ দেশের সব ইকোনমিক জোনের সঙ্গে ট্রেন, সড়ক ও বন্দর যোগাযোগ সরাসরি যুক্ত থাকবে। এতে জাতীয় পরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের শিল্পায়ন, রপ্তানি ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন তিনি।
৫৭ দিন আগে
১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের
দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গভর্নিং বডির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তেজগাঁয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, বাতিল হওয়া পাঁচটি সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার), সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক (বাগেরহাট), গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (মুন্সগঞ্জ), শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (গাজীপুর), ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
আরও পড়ুন: মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা
আর বাতিল হওয়া পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে, গার্মেন্টস শিল্প পার্ক, বিজিএমইএ (মুন্সীগঞ্জ), ছাতক ইকোনমিক জোন (সুনামগঞ্জ), ফমকম ইকোনমিক জোন (বাগেরহাট), সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ঢাকা) ও সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ)।
২৩৫ দিন আগে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে ইতালির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য ইতালির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত: হাছান মাহমুদ
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ছাড়াও বাংলাদেশের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের বড় কেন্দ্রীয় বাজার হতে পারে বাংলাদেশ।’
২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি রপ্তানিতে জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইতালিকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারদের সহযোগিতার অঙ্গীকার
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
সেই সুযোগ কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান তিনি।
ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যাতে বিদেশে অবৈধভাবে কোনো দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ অনেকে মারা গেছে।’
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছি।’
আরও পড়ুন: ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিশরের আলোচনা
ইতালিকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আরও বাংলাদেশি জনশক্তি নেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ প্রযুক্তি স্থানান্তর ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট সরবরাহে ইতালির গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ কমাতে বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপকালে উভয়েই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হন।
বর্তমানে ১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জান্তার হাতে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আলোচনা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার
৫৭১ দিন আগে
মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা
চিংড়ি, কাঁকড়া, স্বাদু পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য মাছ রপ্তানিসহ এই খাতের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে এই খাতের জন্য পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (মে ৬) বেলা ১১টায় মৎস্য খাতবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ দাবি করেন বক্তারা।
এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, চিংড়ি, কাঁকড়া ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। বাধাহীনভাবে মাছ চাষের জন্য দেশের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দসহ নদীতে খাঁচা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষে সরকারের সহযোগিতা পেলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগে রপ্তানি খাত বলতে চা, চামড়া, মাছ এগুলোই ছিল। এগুলো রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশের। এখনও হচ্ছে। তবে মৎস্য খাতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে আগের মতো আর মাছ রপ্তানি করার সুযোগ হচ্ছে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুপারিশমালা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামত চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
মৎস্য খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মৎস্য খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে মাছ চাষিদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ ও থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন তিনি। এছাড়া মাছ রপ্তানি বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি। এসময়, অবৈধ জাল দিয়ে নদী ও সাগরে মৎস্য নিধনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল আক্তার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, নিয়াজ আলী চিশতী, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড
সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
৫৭৭ দিন আগে
আইসিটি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও সুইডেনের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও সুইডিশ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিশ্বখ্যাত পোশাক কোম্পানি এইচঅ্যান্ডএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রেসিডেন্ট হেলেনা হেলমারসনের নেতৃত্বে একটি সুইডিশ প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে এবং এইচঅ্যান্ডএম-এর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার অ্যাডাম কার্লসনও প্রতিনিধিদলে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক নীতি ও লক্ষ্যযুক্ত পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে রপ্তানি ঝুড়ি সম্প্রসারণ করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে হেলেনা হেলমারসন গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইডেনের বিশেষ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা এগিয়ে নিতে চায়।
এইচঅ্যান্ডএম-এর সিইও ও প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দেশে কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী সুইডিশ কোম্পানির প্রশংসা করেন, যেহেতু তারা মহামারির সময়েও তাদের অর্ডার বাতিল করেনি।
হেলেনা হেলমারসন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রশমন কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন এবং এ বিষয়ে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতায় তার সরকারের অর্জনও তুলে ধরেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
৯১৯ দিন আগে
ভুটানকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই প্রতিবেশি দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ভুটানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আপনি আমাদের দেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করতে পারেন যা ভুটান অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হবে।’
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ও রানি জেটসুন পেমা শনিবার ক্লারিজ হোটেলে যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যুক্তরাজ্য সফরের সময় অবস্থান করছেন, সেখানে তার সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি এই প্রস্তাব দেন।
শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ভুটানের রাজা ও রানি হোটেলে পৌঁছালে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৫০ মিনিট ব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ভুটানের রাজাকে অবহিত করেন যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অর্থনৈতিক অঞ্চল দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনি চাইলে কুড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারেন।’
ভুটানের রাজা পরিবেশের ক্ষতি না করে তার দেশে একটি প্রশাসনিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চান বলে শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলপথসহ সব ক্ষেত্রে প্রতিবেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়ন করছে। বাংলাদেশ একটি কানেক্টিভিটি হাব। ভুটান বাংলাদেশের দুটি বন্দর এবং সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।’
মোমেন বলেন, ভুটানের রাজপরিবার শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাজা তার হিমালয় দেশের সরাসরি ট্রানজিট বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে এবং আরেকটি ভারতের মধ্য দিয়ে পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীকে বড় অনুপ্রেরণা বললেন ঋষি সুনাক
ভুটানের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলব।’
ভুটানের রাজা বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ ভাবে সম্পৃক্ত, কারণ তারা দুজনেই বাংলাদেশে পড়াশোনা করেছেন।
তিনি বলেন, ভুটানের দুই নেতাই ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ সফর করতে চান।
স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে।
মোমেন বলেন, ভুটানের রাজা ও রানি প্রধানমন্ত্রীকে তাদের ‘খালা’ মনে করায় তারা বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
৯৪৩ দিন আগে
অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে আমরা তাদের বিশেষ সুযোগ দেব। তাদের জন্য আলাদা প্লট দেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (যা ব্যাপকভাবে ‘জাপানি ইকোনমিক জোন’ নামে পরিচিত) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কার্যত যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে আবাদি জমি ও পরিবেশ রক্ষা করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। আমরা সর্বোচ্চ (বিনিয়োগের) সুযোগ ও সুবিধা দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি উদ্যোক্তারাও দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে, বাংলাদেশ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে পুরোপুরি অবস্থান করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করছে। ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনায় ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের বাজার হতে পারে বাংলাদেশ।
এছাড়া সরকার জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধাও দিচ্ছে যাতে তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে এক হাজার একর জমিতে গড়ে ওঠা জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
১০৯৫ দিন আগে
মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) দেশটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ালে তা আত্মঘাতী হবে: এফবিসিসিআই
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এছাড়াও হাইটেক পার্ক ও ৬ লাখের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার থাকায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান।
এছাড়াও গত ১৩ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি বাংলাদেশ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম তরুণরাও যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত খাতগুলোর বাইরেও নতুন নতুন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিকশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সভাপতি। ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, রোবোটিকস, ব্লকচেইন, স্পেস, বায়ো-হেলথসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
১১৬৯ দিন আগে
ডি-৮ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ জায়গা দিতে প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জায়গায় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রের মন্ত্রীদের ২০তম সম্মেলনে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করে এই প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য জায়গা দিতে প্রস্তুত আছে। যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিনিয়োগ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যদি এখনই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে আগামী দশকেই শক্তিশালী ডি-৮ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে।’
ডি-৮ হলো উন্নয়নশীল আটটি রাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতমূলক একটি সংগঠন। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো-বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
১৯৯৭ সালে কয়েকটি লক্ষ্য উন্নয়নের জন্য এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এরমধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে অবস্থান তৈরি, বহুমুখী বাণিজ্য ও নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা, এবং মানুষের জীবনমান উন্নতকরণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ বছরের এই ফোরামের সময় এসেছে বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ও নজর দেয়ার, বাণিজ্য বৃদ্ধি, আইসিটি, খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিতে বৈচিত্রতা আনা এবং বিকল্প জ্বালানির খোঁজ করার।
তিনি বলেন, সফল ডি-৮ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বাস্তবায়ন। যার বিরাট একটি অভ্যন্তরীণ বাজার আছে।
তিনি বলেন, ডি-৮ এর অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যই এর ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করবে। ফোরামকে আগামী দশকে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা উচিত।
আইসিটির বিশাল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সম্মেলনে হাসিনা বলেন, ডি-৮ দেশের তরুণরা হতে পারে শক্তিশালী জনশক্তি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষ ৪০ বছরের কম বয়সী। আমাদের সাড়ে ছয় লাখ নিবন্ধিত আইটি ফ্রিল্যান্সার আছে। এই বিশাল জনশক্তি আইটি নির্ভর শিল্প করতে কাজে লাগানো যেতে পারে। তরুণরা বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
চতুর্থ প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য কৃষিতে বৈচিত্য নিয়ে আসা ও খাদ্য উৎপাদনে ডি-৮ এর মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা ও কর্মসূচী ডি-৮ এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সাথে বিনিময় করতে প্রস্তুত। আগামী দশকে খাদ্য উৎপাদনে ও খাদ্যে আত্মনির্ভরশীল হতে কৃষি উৎপাদনে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মনযোগ দেয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে যত্নবান হতে ও বিকল্প বিদ্যুতের উৎসের বিষয়েও পরামর্শ দেন।
বিকল্প জ্বালানির সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ে যে দেশগুলো অভিজ্ঞ তাদের সাথে সমন্বয় করতে ডি-৮ কে প্রস্তাব দেন তিনি।
পড়ুন: যুদ্ধে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান
১২২৭ দিন আগে
ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ ডিসিসিআইয়ের
ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বুধবার কলকাতার একটি হোটেলে কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রহমানের নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের একটি ডিসিসিআই প্রতিনিধিদল মতবিনিময় সভা করেছে।
সভায় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস, জুতা, জ্বালানি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, আইসিটি এমন কিছু ক্ষেত্র যেখানে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা সুযোগগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়া তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ উভয় পক্ষের ব্যবসার জন্য একটি জয়-জয় পরিস্থিতির সূচনা করবে।
এদিকে কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শৈলজা মেহতা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। ‘সুবিধাজনক বাণিজ্য পরিসংখ্যান অর্জনের জন্য, উভয় দেশকে সক্রিয় শিল্প অংশগ্রহণের সঙ্গে বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত বাজার অ্যাক্সেস, উন্নত ভৌত সংযোগ, ট্রানজিট ও জ্বালানি বাণিজ্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।
তিনি পর্যটনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন যেখানে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আবুধাবির বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ডিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে রয়েছে এবং বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস তা ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মধ্যে ঘাটতি থাকলেও দিন দিন তা কমছে।
গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
১২৮৯ দিন আগে