ফিলিপাইন
ফিলিপাইনে বন্যায় ৫১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৯
ফিলিপাইনে প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১জনে পৌঁছেছে। এখনও ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলোতে উত্তর মিন্দানাওয়ের মিসামিস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের বাসিন্দাদের তাদের বাড়ির মেঝে থেকে ঘন কাদার স্তর পরিস্কার করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ক্যাবোল-অনোনানের সমুদ্রতীরবর্তী গ্রামে নারকেল গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের মতে, দক্ষিণাঞ্চলের উত্তর মিন্দানাওতে এই বিপর্যয়ে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ মৃত্যুই পানিতে ডুবে এবং ভূমিধসের কারণে হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্র সৈকতে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে নিহত ৪
খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফিলিপাইনের পূর্ব, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ক্রিসমাস উদযাপন ব্যাহত হয়েছে। ক্রিসমাসের ছুটির মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ছয় লাখ মানুষকে নিজেদের বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হয়েছে। এখনও আট হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়ে গেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় রাস্তা ও সেতুসহ চার হাজার ৫০০ টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ পুনরুদ্ধার হয়নি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ধ্বংসস্তূপ অপসারণের ভারী যন্ত্রপাতি এবং বাড়িঘর মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছে।
রাজধানী ম্যানিলা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য সীমিত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পাঠানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদ জানিয়েছে, দেশটির অন্তত ২২টি শহর ও পৌরসভা দুর্যোগের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকান সীমান্ত কারাগারে হামলায় নিহত ১৪
সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
ফিলিপাইনে বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে ক্রিসমাসের ছুটির সময়ে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৬ জন।
বুধবার দেশটির দুর্যোগকালীন উদ্ধারকারী সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮১ হাজার জনের বেশি এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
সংস্থাটি আরও জানায়, নিহত ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন মারা গেছেন দেশটির দক্ষিণের উত্তর মিন্দানাও অঞ্চলে।আর নিখোঁজ ২৬ জনের মধ্যে পূর্ব বাইকল অঞ্চলে মারা গেছেন ১২ জন।
আরও পড়ুন:ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
রাজ্য আবহাওয়া ব্যুরো প্যাগাসা জানিয়েছে, এটি একটি বিভক্ত রেখা- যেখানে উষ্ণ এবং ঠান্ডা বাতাস মিলিত হয়। যা পূর্ব, মধ্য এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনের কিছু অংশে বৃষ্টির সূত্রপাত করেছে।
বৈরি আবহাওয়ায় প্রদেশে বড়দিন উদযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যাহত করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ মিসামিস অক্সিডেন্টালের ফটোতে দেখা যাচ্ছে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় উদ্ধারকারীরা প্লাস্টিকের চেয়ারে বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। প্রদেশের কিছু বাসিন্দাকে ফ্লোটারে ঝুলতে দেখা গেছে। উপকূলরক্ষী উদ্ধারকর্মীরা একটি দড়ি ব্যবহার করে আক্রান্তদের উদ্ধার করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদ জানিয়েছে, বন্যায় এক হাজার ১৯৬টি বাড়ি, ১২৩টি রাস্তা ও ১২টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বা পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
বিভক্ত রেখায় প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়লেও নতুন একটি নিম্নচাপ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিসমাস সপ্তাহান্তে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একই এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।
বুধবার আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে যে পূর্বে বৃষ্টিপাতের এলাকায় বন্যা এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ। দ্বীপপুঞ্জটি প্রশান্ত মহাসাগরের রিম বরাবর ‘রিং অফ ফায়ার’ এ অবস্থিত, ফলে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ক্রান্তীয় ঝড় নালগা দক্ষিণ ফিলিপাইনে আঘাত হানার ফলে প্রবল বর্ষণের কারণে হওয়া আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জন মারা গেছেন এবং অন্তত ৯জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ের ফলে রাতারাতি আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। যার ফলে মিন্দানাও দ্বীপের তিন লাখ মানুষ বাসকারী শহর কোটাবাটো ও এর আশেপাশের এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুসলিম স্বায়ত্তশাসিত মিন্দানাও এর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
তিনি বলেন, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিন্দানাও প্রদেশের তিনটি শহর।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস, নিহত কমপক্ষে ১৯
সিনারিম্বো টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘রাতারাতি বৃষ্টির পানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি হতাহতের সংখ্যা আর বাড়বে না। তবে এখনও কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।’
সিনারিম্বো বলেছেন, শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি কমেছে। যার ফলে বেশ কয়েকটি শহরে বন্যা কমতে শুরু করেছে।
সিনারিম্বো আরও বলেছেন মেয়র, গভর্নর ও দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মিন্দানাওয়ের পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় শহর দাতু ওডিন সিনসুয়াত ও দাতু ব্লা সিনসুয়াতে ২৬জন ডুবে মারা যায় এবং বাকি পাঁচজন মাগুইন্দানাওতের উপি শহরে মারা যায়।
সিনারিম্বো বলেন, নিচু গ্রামগুলোতে বন্যার পানি দ্রুত বেড়েছে, কিছু গ্রামবাসী বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেনা সৈন্য, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা যেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সিনারিম্বো আরও বলেছেন, কোটাবাটো শহরের মতো অনেক এলাকা, যেগুলোতে অনেক বছর ধরে বন্যা হয়নি, সেগুলোও রাতারাতি জলাবদ্ধ হয়ে গেছে।
মিন্দানাওয়ের একটি বন্যা কবলিত শহরের কথা উল্লেখ করে দেশটির দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ ইমাম বলেন, ‘উপির একটি এলাকায় বন্যার পানির ওপরে শুধুমাত্র একটি স্কুলের ছাদ দেখা যায়।’
চলতি বছর ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ১৬ তম ঝড় নালগাই।
ম্যানিলার প্রাদেশিক আবহাওয়া অফিস বলেছে যে এই ঝড়- বৃষ্টির কারণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ন্যালগে। যা উত্তর ফিলিপাইনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্স অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী স্যাম ডুরান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ন্যালগের কারণে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সুরক্ষিতভাবে ঝড়ের কবল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফিলিপাইন অ্যাটমোস্ফিয়ারিক, জিওফিজিক্যাল এবং অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ন্যালগে (স্থানীয়ভাবে পায়েং নামে পরিচিত) আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে এবং সম্ভবত বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাস বইতে পারে।
ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় আঘাত হানে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত। অর্থাৎ এটি প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশ বরাবর এমন একটি অঞ্চল, যেখানে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প ঘটে। যার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
প্রবল শক্তি সঞ্চার করে টাইফুন নোরু রবিবার ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। এতে পাঁচজন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা জানান, এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনটি রবিবার রাতে কুইজন প্রদেশের বার্দিওস শহরে উপকূলে আঘাত হানে। তারপর এটি প্রধান দ্বীপ লুজন শহরে ওপর দিয়ে বয়ে যেতে থাকে, সেখানে থাকা হাজার হাজার বাসিন্দাদেরকে জরুরিভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
ম্যানিলার উত্তরে বুলাকান প্রদেশের গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো বলেছেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সাহায্য করতে নৌকা নিয়ে পাঁচজন কর্মী উদ্ধার অভিযানে গেলে পানিতে ডুবে তারা মারা যান।
ফার্নান্দো ডিজেডএমএম রেডিও নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন, তারা হচ্ছেন জীবন্ত নায়ক, এই দুর্যোগের মধ্যে আমাদের দেশবাসীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য তারা করছেন। ‘সত্যি এটা খুবই দুঃখজনক।’
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব কুইজন প্রদেশের পলিলো দ্বীপে একজন ব্যক্তি তার বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
জোয়ারভাটা, বন্যা এবং ভূমিধসের অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকা শুধুমাত্র কুইজোন প্রদেশ থেকে ১৭ হাজার বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
মেট্রোপলিটন ম্যানিলায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, সেখানে সারারাত প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সোমবার রাজধানী ম্যানিলাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস ও সরকারি কাজকর্ম বন্ধ ছিল এবং সকালের আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল হলেও সতর্কতা হিসেবে প্রদেশগুলোতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ এর কাছাকাছি
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস টাইফুন আঘাত হানার আগে সতর্কতা হিসেবে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেছেন।
ফিলিপাইনে ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষ উদ্ধার
ফিলিপাইনের ম্যানিলার দক্ষিণের একটি বন্দরের কাছে ‘এমভি এশিয়া ফিলিপাইন’ নামের একটি ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ওই ফেরি থেকে যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ৮০ জনের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে এখনও দুজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, এমভি এশিয়া ফিলিপাইন ৪৯ জন যাত্রী ও ৩৮ জন ক্রু নিয়ে যাত্রা করেছিল।
শনিবার কর্মকর্তারা জানায়, ঝোড়ো বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায়। দুইজন যাত্রীর খোঁজে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত না দুজন নিখোঁজ আছেন নাকি ইতোমধ্যেই তারা অন্য যাত্রীদের সঙ্গে পাড়ে উঠে এসে কর্মকর্তাদের না জানিয়েই তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ি চলে গেছেন।
উদ্ধারকৃত যাত্রীদের একজন জানান, ফেরিটি ওরিয়েন্টাল মিন্ডোরো প্রদেশের কালাপান শহর থেকে যাত্রা শুরু করে। বাটাঙ্গাস বন্দর থেকে প্রায় এক মাইল দূরে থাকার সময় দ্বিতীয় ডেক থেকে ধোঁয়া বের হয় এবং তারপরে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
বন্দরের কাছাকাছি চলে আসায় উপকূলরক্ষী কর্মকর্তারা দ্রুত জাহাজ, মোটর ব্যাঙ্কাস ও টাগবোট নিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করে।
উপকূলরক্ষী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোস্টগার্ড একটি জাহাজ নিয়ে গিয়ে ফেরিটির আগুন নেভাতে সমর্থ হয়। ফেরিটিতে অন্তত ১৬টি গাড়ি ও ট্রাক ছিল।
অপর এক যাত্রী বেনেডিক্ট ফার্নান্দেজ শুক্রবার রাতে ডিজেডএমএম রেডিওকে জানান, ফেরিটি বন্দরের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রু সদস্যরা একটি ইঞ্জিন চালু ও বন্ধ করার চেষ্টা করার সময় দ্বিতীয় ডেক থেকে ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, তিনি অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে তৃতীয় ডেক থেকে তার দুই সন্তানকে নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
উপকূলরক্ষীরা বলেছেন, সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে যখন ফেরিগুলো নিয়ম অমান্য করে অধিক যাত্রী বহন করে। তবে এই ফেরিটি প্রায় ৪০০ যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এখনও তদন্ত চলছে।
ঘন ঘন ঝড়, খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা নৌযান ও অতিরিক্ত ভিড় প্রভৃতি কারণে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রায়ই সমুদ্র দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে, ফেরি ডোনা পাজ একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে ডুবে যায়। শান্ত সমুদ্রে হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ সামুদ্রিক বিপর্যয় এটি। এ ঘটনায় প্রায় ৪৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
ফিলিপাইনে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে বুধবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এটি আবরা প্রদেশের চারপাশে একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়।
ভূমিকম্পটি ২৫ কিলোমিটার (১৫ মাইল) গভীরতায় স্থানীয় ফল্টে চলাচলের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এতে ক্ষয়ক্ষতি এবং আরও আফটারশক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শক্তিশালী কম্পনের ফলে ভবন ও ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পের শক্তি ৭.০ এবং গভীরতা ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) পরিমাপ করেছে।
ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে ত্রুটির একটি চাপ যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ ভূমিকম্প হয়।
১৯৯০ সালে উত্তর ফিলিপাইনে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার লোক মারা গিয়েছিল।
পড়ুন: ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ জনের মৃত্যু
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সারা দুতার্তে
নির্বাচনে অবিস্মরণীয় জয়ের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মেয়ে সারা দুতার্তে ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রবিবার দেশটির দক্ষিণের বন্দর নগরী দাভাওতে সিটি হলের কাছে একটি পাবলিক স্কয়ারে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র আগামী ৩০ জুন ম্যানিলায় শপথ নেবেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন সহযোগী বিচারকের সামনে তার মায়ের হাতে থাকা বাইবেলের ওপরে তার হাত রেখে সারা শপথ নেন।
শপথ নেয়ার পরে সবুজ ঐতিহ্যবাহী গাউন পরিহিত সারা তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি ফিলিপাইন ও বিশ্বের সেরা বা সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি নই। তবে ফিলিপিনো হিসাবে কেউ আমার হৃদয়ের দৃঢ়তাকে টলাতে পারবে না।
সারার বাবা প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে (৭৭) ১৯৮০’র দশকের শেষের দিকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তার বিরুদ্ধে নৃশংস মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে।
সারা দুতার্তে এবং মার্কোস জুনিয়রের নির্বাচনী বিজয় বামপন্থী এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিকে শঙ্কিত করেছে। কারণ তারা সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসসহ তাদের বাবার অধীনে সংঘটিত ব্যাপক মানবাধিকার নৃশংসতা স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র
তিন সন্তানের মা ৪৩ বছর বয়সী সারা দুতার্তে দেশটির দাভাও সিটির বিদায়ী মেয়র। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে এটি ছিল তার বাবার নির্বাচনী এলাকা।
দুতার্তে একটি মেডিকেলে পড়াশোনা শেষ করেও পরবর্তীতে আইনজীবী এবং ফিলিপাইনের সেনাবাহিনীর রিজার্ভ অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি দাভাও এর ভাইস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিন বছর পর মেয়র নির্বাচিত হন।
অনেক সমালোচকই তাকে তার বাবার তুলনায় অনেক বেশি ঠাণ্ডা মাথার মানুষ ও বাস্তববাদী বলে মনে করে।
দুতার্তের দল মূলত তাকে তার বাবার স্থলাভিষিক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু এর বদলে তিনি নিজেই ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও তিনি শিক্ষা সচিব হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। যদিও তার প্রাথমিক পছন্দ ছিল জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধানের পদটি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনো মারা গেছেন
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছে ঢাকা
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে ফিলিপাইনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যালান এল ডেনিগা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতে এলে মন্ত্রী এ সমর্থন চান।
শাহরিয়ার আলম এসময় বাংলাদেশের স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর অতিরিক্ত ১১ লাখ লোক যে চাপ সৃষ্টি করছে তা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী মানবিক কারণে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই: প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে ফিলিপাইনের সমর্থন চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে তাদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কিছু পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে: জাতিসংঘ
ফিলিপাইনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আলম তাকে বাংলাদেশে তার মিশন বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকায় থাকাকালীন বাংলাদেশ-ফিলিপাইন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফিলিপাইনের মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ, নার্সিং এবং স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত পরিষেবা খাত, পর্যটন শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ শেয়ার করতে পারে।
এছাড়াও তিনি ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র
ফিলিপাইনের নির্বাচনে সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মেয়ে সারা দুতার্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
শিগগিরই মার্কোস-দুতার্তে জোট আগামী ছয় বছরের জন্য ফিলিপাইনের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। তবে দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা এ জোটের শাসনভার গ্রহণ নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছে।
এক নজরে ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্যারিয়ার-
ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র
৬৪ বছর বয়সী ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র একজন সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর, কংগ্রেসম্যান এবং সিনেটর। তিনি ‘বংবং’ নামে পরিচিত।
কয়েক বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩৬ বছর আগে ‘জনগণের শক্তি বিপ্লব’ নামক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার বাবা স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ১৯৮৯ সালে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় কারফিউ উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
মার্কোস জুনিয়রের মা ইমেলদা মার্কোস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন থেকে ফিলিপাইনে তার সন্তানদের নিয়ে ফিরে আসার পর দু’বার ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
সারা দুতার্তে
৪৩ বছর বয়সী সারা দুতার্তে দেশটির দাভাও সিটির বিদায়ী মেয়র। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে এটি ছিল তার বাবার নির্বাচনী এলাকা।
একজন আইনজীবী এবং ফিলিপাইনের সেনাবাহিনীর রিজার্ভ অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা সারা দুতার্তে পরবর্তীতে রাজনীতিতে আসেন। অনেক সমালোচকই তাকে তার বাবার তুলনায় অনেক বেশি ঠাণ্ডা মাথার মানুষ ও বাস্তববাদী বলে মনে করে।
দুতার্তের দল মূলত তাকে তার বাবার স্থলাভিষিক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু এর বদলে তিনি নিজেই ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তিন সন্তানের মা সারা দীর্ঘদিন আর্থিকভাবে ফিলিপাইনের অন্যতম সমৃদ্ধ শহর দাভাও-এর মেয়র ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিউবার পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩১
ইউক্রেনীয় স্কুলে রাশিয়ার বোমা হামলায় বহু নিহতের আশঙ্কা
ফিলিপাইনে দুর্বৃত্তের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
ফিলিপাইনের মেট্রো ম্যানিলার পাসায় শহরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন (৬৩) বাংলাদেশ গার্মেন্টস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ফিলিপিন্স করপোরেশনের সভাপতি। তিনি ২৬ বছর আগে ব্যবসার উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে পাড়ি জমান। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাইচাল গ্রামে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
নিহতের ভাই আবুল হোসেন ইউএনবিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, তার ভাই আনোয়ার হোসেনের লাশ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
এছাড়া এ ঘটনায় ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হজযাত্রী নিহত