চরমোনাই পীর
দৃশ্যমান বিচার, মৌলিক সংস্কার ও পিআর পদ্ধতি চূড়ান্ত করে তবেই নির্বাচন দিন: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দৃশ্যমান বিচার, মৌলিক সংস্কার, ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিকে চূড়ান্ত করেই নির্বাচনের কথা ভাববেন।
তিনি বলেন, ‘আজ ইসলামপন্থীরা এক হয়েছে। আশা রাখছি ইসলামের পক্ষের লোকরাই সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবে৷’
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকালে ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রকাঠামো ও আইনি সংস্কারের কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসেনি। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, এমনকি রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো অপরাধও বেড়েছে।
তিনি বলেন, মিটফোর্ট হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জনতার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও তা রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে আড়াল করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিএনপিকে দায় নিতে হবে এবং ভেতরের অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পীর চরমোনাই বলেন, ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণের সময় শিষ্টাচার মানা জরুরি, কারণ কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদকে ফের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
পড়ুন: নতুন রূপে চাঁদাবাজ-স্বৈরাচারীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: মুফতি রেজাউল করিম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না; গঠিত হবে জবাবদিহিতামূলক সরকার। এতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ কমবে, সংলাপের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে এবং প্রতিটি ভোটের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
ফেনীর জনগণের দুর্ভোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নদী ভাঙন, বন্যা ও পরিবেশগত অস্থিরতায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। টেকসই ও বিজ্ঞানভিত্তিক বাঁধ নির্মাণ, পানি নিষ্কাশন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নয়ন জরুরি।
গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মাওলানা একরামুল হক ভুইঁয়া, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব সাইফ উদ্দিন শিপন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুফতি আবদুল হান্নান, হেফাজতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১০৭ দিন আগে
আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন: বগুড়ায় চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেষর আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখনই হোক না কেন তার আগে সংস্কার করা জরুরি। সংস্কার শেষে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের নীতিমালা ইসলামবিরোধী। কুরআন সুন্নাহ বিরোধী সকল প্র্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে।
শুক্রবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে দলের বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করে দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
সমাবেশে চরমোনাই পীর আরও বলেন, মিয়ানমারকে মানবিক করিডরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা। অথচ ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যে জঘন্যতম বর্বরতা চালাচ্ছে জাতিসংঘ কাগজে বিবৃতি ছাড়া ইসরায়েলকে বিরত রাখার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মোদি সরকার ভারতে মুসলমান এবং মসজিদের উপর যে চরম নির্যাতন ও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদয় সম্পূর্ণ নিরব ভূমিকার প্রতিবাদ জানান তিনি।
বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আ.ন.ম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নবী প্রমুখ।
এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা গণসমাবেশে যোগ দেন।
২১০ দিন আগে
বিএনপি ছেড়ে চরমোনাই পীরের দলে যোগ দিলেন সাবেক এমপি
বিএনপি ছেড়ে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।মঙ্গলবার (৬ মে) বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবারে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের হাত ধরে এ দলে যোগ দেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে. এম. শরীয়াতুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যোগদানকালে তিনি শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে চরমোনাই দরবারে হাজির হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
আরো পড়ুন: ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চান জামায়াত আমির ও চরমোনাই পীর
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে অল্পদিনের জন্য বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
তবে, বর্তমান কমিটিতে তাকে কার্যকরী সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় মোস্তাফিজুর রহমান আগামী সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী- ৪ আসন থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
২১৩ দিন আগে
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান চরমোনাই পীরের
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে অমানসিক হামলা-নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর অধিকার বঞ্চিত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে পুলিশি হামলা, নির্যাতনের ঘটনা অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে যাওয়ার পরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গতকাল যেভাবে নারী শিক্ষক ও বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ওপর হামলে পড়ে নির্যাতন চালিয়েছে, তা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। একটি সভ্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনভাবে হামলা ও নির্যাতন করতে পারে না।
আরও পড়ুন: এনজিওর মতো নয়, শাসকের ভূমিকায় দেশ চালাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে চরমোনাই পীর
তিনি বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে এই জুলুমের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে; সেজন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, ৪০ বছর ধরে অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশায় মানবেতর জীবন যাপন করার পরেও তাদের যৌক্তিক সমস্যা সমাধান না করা দুঃখজনক। অতীতের সরকার এগুলো সমাধান না করে আকুণ্ঠ দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে।
এসব শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৩১২ দিন আগে
এনজিওর মতো নয়, শাসকের ভূমিকায় দেশ চালাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে চরমোনাই পীর
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা অর্থবহ করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জেলা ও নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে লক্ষ্য করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘এনজিওর মতো দেশ চালালে হবে না, সরকারপ্রধানকে অবশ্যই শাসকের ভূমিকায় কথা বলতে হবে। নরম নরম কথা বলে অপরাধীদেরকে সোজা করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা সেক্টরে তাদের অবস্থান করছে। তাদের বিরুদ্ধে বজ্রকঠিন ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এনজিও স্টাইলে কথা বললে খারাপ মানুষ ভালো হবে না। ইনসাফভিত্তিক স্থানভেদে নরম ও গরম ভূমিকা পালন করুন।’
নায়েবে আমির বলেন, ‘আপনার দিকে গোটা দেশের জনগণ তাকিয়ে আছে। আমরা সবুজ বাংলা, সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলা দেখেছি, এবার ইসলামের বাংলা দেখেতে চাই, যেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচারালয়ে স্বাধীনতা থাকবে। আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি বা দলীয় প্রভাব থাকবে না, নারী তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে, শ্রমিক তার সঠিক পাওনা বুঝে পাবে, কেউ অত্যাচারিত হবে না, মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে একজন মাদকসেবী সে নিজের গরজেই ভালো হয়ে যাবে। তখন সেই পরিবেশের প্রভাবেই সে নিজে নিজে মাদক ছেড়ে দেবে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘বাংলার মানুষ কারও কাছে মাথানত করতে জানে না। সীমান্তে দেখেছেন, তারা কাচি নিয়ে বিএসএফের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। বাংলাদেশের ওপর কেউ আঙুল তুললে সেটা ভেঙে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চান জামায়াত আমির ও চরমোনাই পীর
জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম সাহেবের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। বিশেষ বক্তার বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সহসভাপতি যথাক্রমে হাফেজ মুহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও মুফতি হাবিবুল্লাহ হাবিব, জেলা ও নগর সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে হাজী আমান উল্লাহ ও ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ফারুক আহমেদ মুন্সী ও মাও. শামসুল আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি মুহা. যোবায়ের হোসেন ও নগর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি যথাক্রমে মুহাম্মদ আলী ও এইচ এম শাহীন আদনান, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাকসুদুর রহমান ও মুহা. আমির হোসেন, ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতি আ. হাকিম আদ দিফায়ী নগর।
৩১৩ দিন আগে
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চান জামায়াত আমির ও চরমোনাই পীর
দেশের ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রশ্নে জনসাধারণের কাছে দোয়া চেয়েছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ইসলামি দলগুলো ভোটকেন্দ্রে একটি বাক্স পাঠাতে চায় বলে জানিয়েছেন দুই দলনেতা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদ্রাসা ও পীরের দরবার পরিদর্শনে যান জামায়াত আমির। এ সময় চরমোনাই মাদ্রাসায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর ও পীর রেজাউল করীম।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা মূলত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য দেখতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। তাই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ জন নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাকি যারা আছে ৯ ভাগ, তারাও এই দেশের মানুষ। তারা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী; এছাড়া কিছু নাস্তিকও থাকতে পারে। সবমিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ৫৪ বছর হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাইনি। এটার মূল কারণ হলো দুর্নীতি ও দুঃশাসন। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে না, সেখানে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আসবেই। নামাজের বিধান মানলে সমাজে আল্লাহর বিধানও মানতে হবে। কিছু মানা ও কিছু না মানার কারণে দেশ এমন হয়েছে।’
‘আমাদের মনের আকাঙ্ক্ষা—পুরাটা মানতে চাই। এজন্য আমরা দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। দেশের জনগণের মনে আকাঙ্ক্ষা—একবার এই দেশে ইসলাম কায়েম হোক। কারণ মানবরচিত মতবাদ দেশবাসী দেখেছে।’
এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমাদের মিলন মেলা আল্লাহর জন্য। এই মিলন রাজনীতির মাঠেও থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। জনগণের প্রত্যাশা—নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইসলামি দলগুলোর যেন একটা বাক্স থাকে।’
এ সময় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স কেন্দ্রে পাঠানোর প্রচেষ্টা আগেও ছিল, এখনও চলছে। বিভিন্ন কৌশলে গত ৫৩ বছর ইসলামি দলগুলোকে দূরে রাখা হয়েছে।’
‘৫ আগস্ট নতুন স্বাধীনতার মাধ্যমে ইসলামের পক্ষে একটি ভালো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রের যদি আমরা সময় উপযোগী বিচার না করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য তা অকল্যাণকর।’
আরও পড়ুন: ৭ ইসলামি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
এ সময় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান এই দুই নেতা।
এদিন চরমোনাইয়ের প্রথম পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাকের কবর জিয়ারত করেন জামায়াত আমির। এরপর মধাহ্নভোজ শেষে ডা. শফিকুর বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দলটির কর্মীসভায় যোগ দেন।
৩১৮ দিন আগে
সরকারকে পদত্যাগ করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে: চরমোনাই পীর
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ চার দফা দাবি মানতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে দলটির নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) এ আল্টিমেটাম দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নিবন্ধিত ও আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
চলমান সংকট নিরসনে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপিসহ কারাবন্দি সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়া।
এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান চরমোনাই পীর।
তা ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
মুফতি রেজাউল করিম হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচন পেছালে পাকিস্তান সরকারের মতো সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না।
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধ্বংস করার নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে আজ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ এদেশের মানুষ একটি দাবি নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যারা জনগণের এই যৌক্তিক দাবির বিরোধিতা করে, তারা এ দেশের শত্রু।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
৭৬৩ দিন আগে
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
মানবমূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে দেশবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
১৮২৩ দিন আগে