প্রশ্নফাঁস
সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, সব পরীক্ষার্থী মাস্ক পরে এসেছে। সবাই নিরাপদ দূরত্বে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে।’
‘ডেঙ্গুর বিষয়েও আগে থেকেই আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছি। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু-করোনা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। ফলে এ নিয়ে ভয়ের বা আশঙ্কার কিছু দেখছি না।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই এ থ্রেট (ঝুঁকি) থাকে, এবারও আছে। আমরা এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও তৎপর আছি। আশা করি, প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না। কেউ গুজব ছড়ালেও আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া আছে; সব নিয়ম করা আছে। কোথাও পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকলে নিয়ম মেনে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আবরার বলেন, ‘প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ আমার হয়নি। তবে এটি নিশ্চিত যে কেউ বলবে প্রশ্নপত্র ভালো হয়েছে, আবার কেউ বলবে খারাপ হয়েছে। এটি তাদের বোঝাপড়া এবং প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে। আমরা যা নিশ্চিত করতে পারি, তা হচ্ছে প্রশ্নপত্রের মান ঠিকঠাক রাখা।’
তিনি আরও জানান, যথাসময়ে ফল প্রকাশ হবে। ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশে এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব বোর্ডের প্রথম দিনের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়, যা শেষ হয়েছে দুপুর ১টায়।
১৬২ দিন আগে
ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ দুই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
পিএসসি সংস্কার ও প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে দুই ঘণ্টা স্থগিত থাকার পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকায় রেলপথ অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে তারা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেলেন বাকৃবির ১০ মেধাবী শিক্ষার্থী
এরপর রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকা অভিমুখী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন জব্বারের মোড় অতিক্রম করে, এতে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
অবরোধ তুলে নেওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কোনো মৌখিক ঘোষণা মানি না। আমাদের ৮ দফা দাবি লিখিতভাবে প্রজ্ঞাপন আকারে মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামীকাল থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা জনভোগান্তি সৃষ্টি করতে চাই না।’
২২১ দিন আগে
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নিয়োগ প্রমাণিত হলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সরকারি কর্মকমিশন থেকে ফাঁস হওয়ার প্রশ্নে কর্মকর্তাদের নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গাড়িচালক আবেদ আলীর ফাঁস করা প্রশ্ন নিয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে- জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, 'পিএসসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে করবে। সংসদে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বিষয়গুলো প্রমাণ হতে হবে এবং সেটার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।'
সরকার এ বিষয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এটি খুবই শক্তভাবে সরকার দেখছে। সিআইডি এটার ওপর স্পেশাল ফোকাস করছে।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের চাকরিবিধি অনুযায়ী কেউ যদি শঠতা বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কিন্তু চাকরিতে আসতে হবে। পিএসসি ও কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সেগুলোর ব্যাপার আছে। বিষয়টি কিন্তু সবার মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমরা বিষয়টি দেখছি।'
বিষয়টি আগে প্রমাণিত হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিষয়টি প্রমাণিত হতে হবে, যে এটি আদৌ সঠিক কি না। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রমাণিত হবে- যে ড্রাইভার এ কথা বলছে, সে সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে। ততক্ষণ কিছু প্রমাণিত নয়।’
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, 'যে ড্রাইভার এ কথা বলছেন, সেই ড্রাইভারকে দেখলাম অন্য একটা দলের স্লোগান দিচ্ছেন। সে একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না। সে তো একটা দলের হয়ে কাজ করছে, সরকারের ইমেজ নষ্ট করার জন্য। অনেকগুলো বিষয় কিন্তু এখানে আছে। অনেকদিন আগে সে কাজের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছে।'
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা মাঠে সরকার পতনের আন্দোলন করে তেমন একটা দলের হয়ে, সে সরকারের উন্নয়নের কাজে বাধা দিতে চায়, তাদের হয়ে স্লোগান দিচ্ছে। আসলে সে কোন এজেন্ডা নিয়ে কথা বলছে, সেটি একটি বিষয়। তবে সত্য না মিথ্যা সেটি সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অনুসন্ধান চলছে।'
৫১২ দিন আগে
প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেলেই রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল: পিএসসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ‘রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুক্রবার (৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে, তদন্তে এর প্রমাণ পেলেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে।’
পিএসসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) একথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
এসময় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে কেন্দ্রে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস: পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘১২ বছর ধরে প্রশ্নফাঁস হয়েছে, সেই অভিযোগ এখন প্রমাণ করা সম্ভব নয়। তবে গত ৫ জুলাইয়ের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরীক্ষা বাতিল করব। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ-সংশয় নেই।’
এক যুগ ধরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে; আগের পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে। এককভাবে আমি এটা নিয়ে বলতে পারি না।’
‘দেখুন, ১২ বছর মানে তিনজন চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল। সে সময়ের পরীক্ষায় কী হয়েছে, তা নিয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাছাড়া আগের পরীক্ষাগুলো বাতিল করাটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে কি না, তাতেও আইন-কানুনের বিষয় রয়েছে। হুট করে এটা নিয়ে বলা কঠিন।’
আরও পড়ুন: কোটা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়বিচার করবেন আদালত: আইনমন্ত্রী
চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
৫১৪ দিন আগে
প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সারাদেশে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই। গুজব রটতে পারে, গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গুজব রটানো ঠেকাতে সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই কোনো ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে, কেউ গুজব ছড়াবার চেষ্টা করছে বা কিছু হচ্ছে, সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আগামী বছর পরীক্ষার সময় আরও এগোবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর পরীক্ষা এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। তবে যারা পরীক্ষা দেবে তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না তা দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের শিক্ষকদের একটি মতামত নেওয়া হবে—তারা কোন সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে পারবেন। শুধু তো তাড়াহুড়া করে শেষ করলে হবে না, স্বস্তিতে শেষ করতে হবে। শিক্ষকদের মতামত নিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর আমরা পরীক্ষা এগিয়ে আনতে পারতাম, কিন্তু বন্যার কারণে আমাদের পেছাতে হয়েছে। এইবার আমরা গত বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছি। সামনের বছর চেষ্টা করব, স্বাভাবিকের যতো কাছাকাছি যাওয়া যায়।
প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুলভ্রান্ত্রি যেটা সেটাই তো ভুলই। গতবার যে কয়েকটি জায়গায় যে কয়েকটি ভুল হয়েছে তাদের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের যাতে ভুল না হয়, সেদিকে যেন সচেতন থাকেন।
আরও পড়ুন: ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৯৫০ দিন আগে
প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো আবু বকর ছিদ্দীক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ,ঢাকা বোর্ডের চেয়ার ও আন্তঃবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভিনব কায়দায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ যদি কোথাও প্রশ্ন ফাসের অপচেষ্টা করে তাহলে আমরা সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
পরীক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে ভিড় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম বাইরে অভিভাবকদের অনেক ভিড়। যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এতো ভিড় যে, বাকি পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের আমি অনুরোধ জানাব, সন্তানকে কেন্দ্রে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাহলে কোনও পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।'
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। আর একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সকলের প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম,তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি। '
২০২৩ সালের পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। আগামী বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করবো। আর আগামীতে যদি কোনও অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। যত দ্রুত সম্ভব ঐ বোর্ডের পরীক্ষাও নেব।'
আরও পড়ুন: জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: দীপু মনি
১১২৫ দিন আগে
এসএসসির প্রশ্নফাঁস: দুই সহকারী শিক্ষকের ২ দিনের রিমান্ড
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দুই সহকারী শিক্ষকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো.সুমন আলী শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন-নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল ও জোবায়ের হোসেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহার আলী ওই দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত রবিবার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির বিভাগীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটলে রাতে চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১২ জনের নামের মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। এঘটনায় জড়িত থাকায় ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক, চার জন সহকারী শিক্ষক, অফিস সহকারীসহ মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভুরুঙ্গামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজহার আলী বলেন, রবিবার রিমান্ড শুনানি দিন ধার্য করে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। এছাড়াও এর আগে কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষকের তিন দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করে আদালত। তবে মামলার স্বার্থে আমাদের তদন্ত চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাবির শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি: ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
১১৬০ দিন আগে
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রধান শিক্ষকসহ আটক ৩
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মঙ্গলবার চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকসহ তিন স্কুল শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির বিভাগীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সচিব লুৎফুর রহমান এবং বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক জুবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাবির শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশের একটি দল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্নভাবে অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দায়ে আটক ২৯
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সচিব অধ্যাপক জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমসহ অন্যরা অভিযোগটি তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছেন।
১১৭১ দিন আগে
ঢাবির বিভাগীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের ঢাকায় জড়ো না করে স্নাতক সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় পর্যায়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৮২৩ দিন আগে