কুমিল্লা
কুমিল্লায় ট্রাক উল্টে নদীতে, গোসলরত ৩ নারী নিহত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মালবাহী ট্রাক (ট্রলি) উল্টে নদীতে পড়ে তিন নারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কড়িকান্দি-রাজাপুর সড়কের ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— শুক্কুর আলীর স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫), ইমন মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তার (৩০) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী সামছুন নাহার (৪০)। তাদের মধ্যে রুজিনা ও সামছুন নাহার আপন জা এবং রিনা আক্তার তাদের ভাগ্নে-বৌ।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমেছিলেন ওই তিন নারী। এমন সময় রাজাপুর থেকে কড়িকান্দি বাজারগামী একটি খালি ট্রলি ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে এসে উল্টে নদীতে নারীদের ওপর পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রিনা ও রুজিনা নিহত হন। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে সামছুন নাহারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, একই পরিবারের তিন নারীর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কয়েক গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ছুটে এসে তাদের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্না এবং স্বজনদের আহাজারিতে সে সময় বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
ঘটনার খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, মরদেহ পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দুই দফতরের দ্বন্দ্বে গোমতী সেতু প্রকল্পে অচলাবস্থা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী
কুমিল্লার মুরাদনগরে গোমতী নদীর ওপর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু নির্মাণ প্রকল্প এখন অনিশ্চয়তার মুখে। সেতুটি কতটা উঁচু হবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দুটি সরকারি সংস্থা। যার ফলে মুরাদনগর–দাউদকান্দি সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের তৃতীয় প্যাকেজের কাজ পুরোপুরি থেমে গেছে, দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো এলাকাবাসী।
জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আপত্তির কারণেই স্থগিত হয়ে আছে প্রায় ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওই বরাদ্দ। পাউবো দাবি করছে, নতুন সেতুটি বর্তমান বেইলি সেতুর চেয়ে অন্তত ২০ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করতে হবে, যাতে নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়।
অন্যদিকে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, গোমতীর অন্যান্য স্থানে স্থাপিত সেতুগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু করলেই যথেষ্ট হবে।
এই মতবিরোধের জেরে সেতুর নকশা ও ডিজাইন চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে দরপত্র আহ্বানও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দুই সংস্থার টানাপোড়েনে গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামো প্রকল্পটি ঝুলে আছে।
বর্তমানে গোমতী নদীর ওপর রয়েছে ১৯৮৮ সালে নির্মিত একটি বেইলি সেতু, যা এখন নড়বড়ে ও জীর্ণ অবস্থায়। প্রতিদিন শত শত যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পার হচ্ছে। ভারী যান উঠলেই সেতু কেঁপে ওঠে, ফলে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
তাদের অভিযোগ, একদিকে যানজট, অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল—এই দুইয়ের ফাঁদে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর ধরে একই বেইলি সেতু দিয়ে চলতে হচ্ছে। সরকার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, কিন্তু দুই অফিসের ঝগড়ায় কাজ শুরুই হচ্ছে না। আমাদের স্বপ্ন এখন হতাশা।’
২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর ৩৪৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর আওতায় ৩৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও বাঁক সরলীকরণ, ৮টি পুরনো বেইলি ব্রিজের বদলে ৫টি নতুন আরসিসি গার্ডার সেতু এবং ৩টি আরসিসি কালভার্ট নির্মাণের কথা ছিল।
প্রকল্পটি তিনটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়, যার মধ্যে প্রথম দুটি প্যাকেজে কাজ চলমান থাকলেও তৃতীয় প্যাকেজের কাজ পাউবোর অনুমোদন না মেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে বরাদ্দ অর্থ ফেরত যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান বলেন, গোমতী নদীর ওপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণ সময়ের দাবি। এটি না হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে না। আমরা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
সওজ বিভাগের কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, পাউবো যে উচ্চতা নির্ধারণ করেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। সে পরিমাণ উচ্চতায় ডিজাইন করা সম্ভব নয়। ফলে দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, পাউবো কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ শাহরিয়ার জানান, আমি এখানে এক বছর ধরে আছি, বিষয়টি আমার জানা নেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতরগুলোর গাফিলতি, টালবাহানা ও সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন আটকে যাচ্ছে। তাদের দাবি, দ্রুত সমস্যার সমাধান করে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু না হলে বরাদ্দ অর্থ ফেরত যাবে, যা মুরাদনগরবাসীর জন্য বড় ক্ষতি হবে।
৪২ দিন আগে
ভাড়া বাসা থেকে মিলল কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ
কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিয়াজুরি খেলার মাঠসংলগ্ন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন—তাহমিনা বেগম ফাতিমা (৫০) এবং তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪)। সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের ছেলে তাজুল ইসলাম ফয়সল জানান, গতকাল (রবিবার) রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরে আলাদা দুটি কক্ষে মা ও বোনের মরদেহ দেখতে পান। তাদের মুখ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ফয়সলের ভাষ্যে, পারিবারিক শত্রুতা কিংবা এলাকার কারো সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল না।
বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানান, প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার বছর আগে কুমিল্লা আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাড়িটি ভাড়া নেন। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী তাহমিনা বেগম, মেয়ে সুমাইয়া ও আরও দুই ছেলেসহ পরিবারটি ওই বাড়িটিতে ভাড়া থাকতেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। কীভাবে হত্যাটি সংঘটিত হয়েছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
৮৮ দিন আগে
কুমিল্লা কারাগারে হত্যা মামলার আসামির কন্যাসন্তান প্রসব
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের হত্যা মামলার এক আসামি সন্তান প্রসব করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন। তিনি জানান, ওই নারী আসামি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা। গত ১১ আগস্ট তাকে হত্যা মামলায় আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
জেল সুপার আরও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেন। তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও জরুরি পরিস্থিতিতে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ অপারেশনের অনুমতি দেয়। বিকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
তিনি আরও জানান, মা ও নবজাতকের চিকিৎসাসেবা ও যত্ন নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কারা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শিশুর জন্য পোশাক থেকে শুরু করে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকেও তারা সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
৯৯ দিন আগে
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের ৪ জন নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছেন। সিমেন্ট বোঝাই একটি লরি উল্টে প্রাইভেট কারের ওপর পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময়ে কভার্ড ভ্যানের চাপায় একটি সিএনজি অটোরিকশার আরও দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) এবং ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।
ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান ইউএনবিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ফের দুর্ঘটনা, নিহত ৩
উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া পুলিশের কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়কের পদুয়ার বাজার ইউটার্নে ঢাকামুখী লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টো পথে এসে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই লরিটি বাসটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় বাসের পেছনে থাকা একটি প্রাইভেট কার ও একটি সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দেয় লরিটি।
তিনি আরও জানান, এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারের চালকসহ চারজন নিহত হন। এ ছাড়া সিএনজিতে থাকা তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, এই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ মরদেহ ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১০৪ দিন আগে
কুমিল্লা-৯ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল
কুমিল্লা-৯ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজারে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে এই মশাল মিছিলের আয়োজন করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি।
মিছিলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ছাড়াও বিএনপির স্থানীয় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
মশাল মিছিল শেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী সমর্থিত নেতারা।
বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত কুমিল্লা-১০ আসনের নতুন সীমানা বিন্যাস সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহাল রেখে চূড়ান্ত সীমানা ঘোষণা করতে হবে বলে দাবি জানান তারা।
সেটি করা না হলে সাধারণ মানুষ এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
১০৬ দিন আগে
ভাঙা সেতুর ওপর কাঠের পাটাতনই ভরসা ৭ গ্রামের মানুষের
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে একটি সেতু ভেঙেছে প্রায় দুই মাস আগে। কিন্তু এখনও তা মেরামত না করায় সেতুর ভাঙা অংশের ওপর কাঠের পাটাতন বিছিয়ে চলাচল করছে ৭ গ্রামের মানুষ। সেতুটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে স্থানীয়দের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
মোহনপুর-ছোটনা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত দোয়াইর খালের ওপর ১৯৯২ সালে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। মোহনপুর ইউনিয়নের এই সেতুটি সংযুক্ত করেছে কুরুইন, মোহনপুর, ছোটনা, দিঘীরপাড়, বিহারমন্ডল, নোয়াপাড়া ও বুড়িচংয়ের আবিদপুর গ্রামকে। তবে গত প্রায় দুই মাস ধরে সেতুটির বেহাল অবস্থা। নির্মাণের পর দীর্ঘ ৩৩ বছরে আর কোনো সংস্কার না করায় সেতুটির আস্তে আস্তে জীর্ণ দশা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড, হয়েছে বড় আকারের গর্ত। সেতুর নিচের অংশের পলেস্তরা খসে পড়ছে। ভারী কোনো যানবাহন উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে।
স্থানীয়রা জানান, চলাচল বন্ধ হয়ে যাতে খালের দুপাড়ের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড যাতে থেমে না যায়, তাই ভাঙা স্থানে কাঠের পাটাতন বিছিয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান বের করেছিলেন তারা। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি মেরামতে কর্তৃপক্ষ গা করছে না বলে অভিযোগ তাদের।
আরও পড়ুন: কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ভেঙে ফেলতে হলো সেতু
ছোটনা গ্রামের কলেজশিক্ষার্থী ইউসুফ ও মোহনপুর গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, এ সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন অসংখ্য ছোট যানবাহন ও লোকজন পারাপার হয়। সেতুটি পার হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বিদ্যালয়ে যায়, তখন ভয় লাগে। যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানি হতে পারে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামাল হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন আগে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আমাকে জানায়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমি সেতুটির সংস্কার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেতুটি অনেক পুরনো, সংস্কার করলেও কাজে আসবে না।’
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য আমাদের হাতে কোনো প্রকল্প নেই। তবে কিছুদিনের মধ্যে আমরা সেটি মেরামত করে দেব।’
১১৩ দিন আগে
কুমিল্লায় এসএসসি পুনর্নিরীক্ষায় ১৯০ জন পাস, জিপিএ-৫ বেড়ে ৬৭
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ৮৪৪ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ১৯০ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭ জন। এ ছাড়া, আগে জিপিএ-৫ পাওয়া ৯১ শিক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক গ্রেডে পরিবর্তন এসেছে।
রবিবার (১০আগস্ট) সকালে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো. কবির উদ্দিন।
কবির উদ্দিন বলেন, ‘গত ১০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১১ জুলাই থেকে অনলাইনে পুনর্নিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হয়, যা চলে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় মোট ৩৫ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষার্থী ৭৫ হাজার ৮৭৭টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন।’
আরও পড়ুন: এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি: ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী উত্তরপত্র পুনরায় যাচাইয়ের পর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছর কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় মোট পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আগে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৯০২ জন, যা এখন আরও ৬৭টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৬৯ জনে।
১১৬ দিন আগে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ফি আছে, চিকিৎসা নেই!
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ জেলার একটি সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চিকিৎসার জন্য অর্থ নেওয়া হলেও তারা কোনো সেবা পান না—এমন অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকলেও প্রতিবছর একবার করে ‘চিকিৎসা বাবদ’ অর্থ নিচ্ছে কলেজ প্রশাসন।
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ কলেজের শিক্ষার্থী প্রায় ২৮ হাজার। ভর্তির সময় একজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য ২০ টাকা দিতে হয়। হিসাব অনুযায়ী, এই বাবদ প্রতিবছর আদায় হয় প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ বছরের ভর্তি রসিদেও চিকিৎসা বাবদ ২০ টাকা নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
তবে বিগত বছরগুলোতে চিকিৎসা খাতে কত টাকা নেওয়া হয়েছে, তার কোনো হিসাব প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, কলেজে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা জরুরি বলে মনে করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাসার ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কলেজে খুব দ্রুত একটি মেডিকেল সেন্টার হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।’
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, একজন শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কলেজকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: প্রভোস্টবিহীন জাবির কাজী নজরুল হল, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
তাদের ভাষ্য, এ কলেজে গুরুত্বপূর্ণ অনেক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন। এছাড়াও নিয়মিত ক্লাস, টেস্ট ও ইনকোর্স পরীক্ষা চলে।
বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল-বিকেলে কলেজে যাতায়াত করেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। পাশাপাশি কলেজের চারটি আবাসিক হলে নিয়মিত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী থাকেন।
কলেজ সূত্রে আরও জানা যায়, আগে প্রতি সপ্তাহে সোমবার কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস থেকে একজন মেডিকেল অফিসার কলেজের একটি কক্ষে বসতেন। কিন্তু কী কারণে বর্তমানে সেই সেবা বন্ধ হয়েছে, তা শিক্ষার্থীরা জানেন না।
তবে কলেজে আবাসিক হল ও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময় চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা জরুরি বলে মনে করেন কলেজের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী।
১২৬ দিন আগে
কুমিল্লায় সবজিখেতে গাঁজা চাষ, গ্রেপ্তার চাষি
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সবজিখেতে গাঁজা চাষের অভিযোগে মো. দুলাল মিয়া (৪৮) নামের এক কৃষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের বড়াইল পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিপুল ইয়াবা ও ২ কেজি গাঁজা জব্দ, ২ জন আটক
পুলিশ জানায়, অভিযানে একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। দুলাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সবজিখেতের আড়ালে গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের অভিযানের আগেই তিনি অতিরিক্ত গাছ সরিয়ে ফেলেছেন।
পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বক্সে রাখা শুকনা গাঁজা এবং ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আসামিকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১২৭ দিন আগে