খালাস
পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে।
গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি পেঁয়াজের চালানটি। ফলে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ নিরীক্ষক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে চার দিন আগে আসে। গাড়িতে ৯০ টন পেঁয়াজ রয়েছে।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল বলেন, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে এসে বসে আছি। পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেউ আনলোড করতে আসছে না। কবে নাগাদ খালাস হবে সেটাও জানতে পারছি না, খালাসের জন্য কোনো আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজ নামে একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত পাঁচ দিন আগে থেকে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে বন্দরে পড়ে আছে। পেঁয়াজের চালান খালাস না হওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া রেসা মঙ্গলবার চূড়ান্ত কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেয়েছেন, যদিও তিনি এখনও দু’টি অবশিষ্ট আইনি মামলার মুখোমুখি রয়েছেন।
রেসা ও তার অনলাইন সংবাদ সংস্থা র্যাপলারের বিরুদ্ধে ৫টি কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হলেও গত জানুয়ারিতে একটি আদালত এর মধ্য থেকে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দেন। অন্য একটি আদালত পঞ্চম অভিযোগের শুনানি করে মঙ্গলবার তাকে খালাস দেন।
আদালত প্রাঙ্গনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্যের জয়, ন্যায়বিচারের জয়।’
রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতোভ তাদের সংবাদ সংস্থাগুলোর অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে এবং তাদের বন্ধ করার সরকারি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য ২০২১ সালের নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কারণ র্যাপলার অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে দুতার্তে'র নৃশংস অভিযানের সমালোচনা করেছিলেন, যার ফলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র মাদক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই অভিযানকে মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছেন।
র্যাপলার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দুতার্তে'র সমালোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘায়িত লকডাউন, যা দারিদ্র্যকে আরও গভীর করে তোলে, দেশের অন্যতম খারাপ মন্দা সৃষ্টি করে এবং সরকারি চিকিৎসা কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইনের নতুন নেতা ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ‘ভয় দূর করা’ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যিনি ১৯৮৬ সালে সেনা-সমর্থিত ‘জনশক্তি’ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের নামপুত্র।
রেসা এখনও অনলাইন মানহানির দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছেন, যখন র্যাপলার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের জারি করা একটি বন্ধের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। এই খালাস এখন বিচার ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার, রাজনৈতিক হয়রানি সত্ত্বেও, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ সত্ত্বেও আদালতে আত্মসমর্পণ করার আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করেছে। এটি দেখায় যে আদালত ব্যবস্থা কাজ করে এবং আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলো খারিজ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
ধর্ষণ মামলা: ৬২ বছরে আসামি, ৮৫ বছরে খালাস
‘আমি যখন মামলার আসামি হই, তখন আমার বয়স ছিল ৬২ বছর। মনে মনে ভাবতাম আসামি হয়েই হয়তো মরতে হবে। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে মৃত্যুর আগেই আমাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।’
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল হবিগঞ্জ-১ এর রায়ে খালাস পেয়ে আইনজীবীর কক্ষে বসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কথাগুলো বলছিলেন প্রায় ৮৪ বছরের বৃদ্ধ দরছ মিয়া।
বিচারক সুদীপ্ত দাশ ধর্ষণ মামলার দায় থেকে তাকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের জামিন আবেদন খারিজ
তিনি বলেন, ‘কবরে যাওযার বয়সে এসে ধর্ষণের মতো একটা খারাপ মামলায় জড়িয়ে পড়ায় ছেলে মেয়ে নাতি নাতনীদের কাছে নিজেকে খুব ছোট মনে হতো।’
দরছ মিয়ার বাড়ি বাহুবলের পুটিজুরী ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে। পেশায় কৃষক।
তাঁর পাঁচ ছেলে চার মেয়ে। আছে ১২ জন নাতি নাতনী।
১৯৯৯ সালে ১৮ জুলাই আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা হয় তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। মামলাটি করেন একই গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী লতিফা বিবি।
ওই মামলায় অপর দুই আসামি হলেন-দরছ মিয়ার খালাতো ভাই মঙ্গলকাপন গ্রামের বুলু মিয়া এবং একই গ্রামের জনৈক ইমান উল্লা (৩৫)।
মামলার ঘটনার সময় ১৯৩৭ সালে জন্ম নেয়া দরছ মিয়ার বয়স ছিল ৬২ বছর।
দরছ মিয়া বলেন, লতিফার স্বামী রাজা মিয়া তার এক কন্যাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ে মেনে না নেযায় রাজা মিয়া আমার বিরুদ্ধে এর আগে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করে। পরবর্তীতে তার কন্যা স্বামীর সংসার থেকে চলে আসে। রাজা মিয়া পেশায় একজন গাছচোর ও জুয়ারী ছিল।
তিনি বলেন, গ্রামের কতিপয় অসৎ লোকের সহযোগিতায় রাজা মিয়ার বর্তমান স্ত্রী লতিফা বিবি বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের ২১ জুলাই আদালতে ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওই বছরের ১৮ জুলাই রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে দরছ মিয়া, বুলু মিয়া ও ইমান আলী তাকে ধরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
২০০১ সালের ২৪ জানুয়ারি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। মামলা চলাবস্থায় গত দুই বছর আগে আসামি বুলু মিয়া মারা যান।
দরছ মিয়া জানান, প্রায় ২৪ বছর আইনী লড়াইয়ে ১০/১২ একর জমি বিক্রি করতে হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বাদী লতিফা বিবি ভাল নেই। এখন স্বামী হত্যা মামলায় ছেলে জুয়েলকে নিয়ে নিজেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে রেলের ১৫টি বগি
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে পদ্মা সেতুর জন্য চীন থেকে আনা রেলের ১৫টি বগি ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে রবিবার এ সকল বগিগুলোর খালাস কার্যক্রম চলে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৮৫টি বগি ধারাবাহিকভাবে আসবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা হয় সাতটি। এর আগে শনিবার খালাস হয় আটটি ওয়াগন।
জাহাজ থেকে এসব ওয়াগন জেটিতে রেল ট্র্যাকে নামানো হয়। এরপর ইঞ্জিন লাগিয়ে বন্দর থেকে খালাস করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ দু’দিন আগে চীন থেকে ১৫টি বগি নিয়ে প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শনিবার থেকে শুরু হয় এসব পণ্য খালাস কার্যক্রম।
ক্রেনের সহায়তায় বগিগুলো জেটিতে নামানোর পর বিশেষ ওয়াগনে করে সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে নেয়া হচ্ছে।
সেখান থেকে যন্ত্রপাতি ফিটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে ঢাকার সৈয়দপুর রেল কারখানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জাহাজ ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’ নামে জাহাজে করে চীন থেকে আনা ১৫টি বগি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। খালাসের কাজও শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
মানহানির মামলা থেকে খালাস পেলেন ইউএনবি’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
মানহানির একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন সংবাদ সংস্থা ইউএনবি’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠক ডট নিউজ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পীসহ চারজন।
শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূর পক্ষে পাঠক ডট নিউজসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের জেরে সীতাকুণ্ডের নূরুল আলমের করা মানহানির মামলা রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে খারিজ করে দিয়ে মামলা থেকে চারজনকে আব্যাহতি দেন চট্টগ্রাম বিচারিক হাকিম আদালত ১ম এর বিচারক বেগম জিহান সানজিদা।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
সাংবাদিকদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী মানবাধিকার নেতা অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, মামলাটি মূলত সাংবাদিকদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল। যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে সে মোতাবেক আইনের ধারা অনুসরণ করা হয়নি। আমরা বিজ্ঞ আদালতে তা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আদালত আমাদের আবেদন আমলে নিয়ে মামলাটি খালাস করে দেন।
তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা বা আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রেস কাউন্সিল রয়েছে। মানুষ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ না করে শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য সিভিল আদালতে মামলা করে। এটি একটি খারাপ নজির।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- ‘উইমেন ভয়েস বিডি ডট কম এর সম্পাদক সৈয়দা সাজিয়া আরফিন ও সাংবাদিক সৈয়দা ফাতেমাতুজ জোহরা ও নির্যাতিতা গৃহবধূ ফারজানা আক্তার।
সাংবাদিকদের পক্ষে আদালতে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট এ, এম জিয়া হাবীব আহসান, অ্যাডভোকেট এ এই এম জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট এম হাসান আলী, অ্যাডভোকেট মো. বদরুল হাসান, অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমানসহ অসংখ্য আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
পাবনায় বিএনপির ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
খালাসের পরও কারাগারে ৭ বছর: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জানে আলম হত্যা মামলায় থেকে খালাস পেয়েও সাত বছর ধরে কারাগারে থাকা আবুল কাশেমের বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগমী ২৫ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলায় সাত বছর আগে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আবুল কাশেমকে কারগারে রাখার ঘটনা তদন্তের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: মা-মেয়ে হত্যা: ১৫ বছর কনডেম সেলে থাকা ২ ফাঁসির আসামি খালাস
এর আগে গত ৩ আগস্ট ‘বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর!’ এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে পৌঁছেছে। কিন্তু আদেশটি সাত বছর তিন মাস ১১ দিনও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি। একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে এলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই দিন থেকে কারাগারের আছেন আবুল কাশেম।
ভুক্তভোগী আবুল কাশেম লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও আট জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আবুল কাশেম রায়ের সময় পলাতক ছিলেন। ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিমের বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেন।
মা-মেয়ে হত্যা: ১৫ বছর কনডেম সেলে থাকা ২ ফাঁসির আসামি খালাস
রাজশাহীতে মা ও মেয়ে হত্যার মামলায় ১৫ বছর কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- ইসমাঈল হোসেন বাবু ও সোনাদি।
একই মামলায় অন্য আসামি তরিকুল ইসলামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আপিল বিভাগ খালাস পাওয়া দুজনকে দ্রুত কনডেম সেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
এই দিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মিলিয়ারা খাতুন ও তার মেয়ে পারভীন খুন হন। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালে ইসমাঈল, সোনাদি ও তরিকুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথরেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা পৃথক আপিল করেন। ডেথরেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে পরবর্তীতে ২০১৪ সালে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
পরে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে দুজনকে খালাস ও একজনকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেন।
মাদক মামলায় খালাস পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান
মাদক মামলা থেকে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে অব্যাহতি দিয়েছে ভারতের মাদকবিরোধী সংস্থা নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।
শুক্রবার দেশটির নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এনডিপিএস আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। দাখিল করা অভিযোগপত্রে আরিয়ান খানের নাম ছিল না।
তবে এই মামলায় মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্ট অভিযোগপত্রে খালাস পাননি। দুজনকেই মাদক মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে আরিয়ান খান ছাড়াও রয়েছেন সাহু, আনন্দ, সুনীল সেহ, অরোরা। এ কারণে তাদের সকলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে ক্রুজ মাদকের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে আটকের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর ২৮ অক্টোবর শাহরুখপুত্র জামিন পান।
আরও পড়ুন: শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিতে আরও সময় চায় এনসিবি
এর আগে ৩ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে আটক করে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
জাহাজটিতে বলিউড এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেক সেলিব্রেটিরা ছিলেন। পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারের খবর পেয়ে অভিযান চালায় এনসিবি।
এনসিবি'র সূত্র অনুযায়ী, আরিয়ান ছাড়াও মাদক সেবনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মাদক ও নিষিদ্ধ পদার্থ জব্দ করা হয়েছে।
আরিয়ানে বাবা শাহরুখ খান বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান তারকাদের একজন। ‘কিং খান’ নামে পরিচিত ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৮০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
শাহরুখ খান ১৯৯৫ সালে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল চলচ্চিত্র। ছবিটির শুটিং হয়েছে ভারত ও ইউরোপে।
তার অন্যান্য সফল সিনামগুলোর মধ্যে রয়েছে দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) এবং দেবদাস (২০০২)।
আরও পড়ুন: শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সমীর অপসারিত
জামিনের দু'দিন পর জেলের বাইরে শাহরুখপুত্র আরিয়ান
হোসেনী দালান বিস্ফোরণ মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড, ৬ জনের খালাস
রাজধানীর হোসেনী দালানে বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে যথাক্রমে সাত ও ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলার বাকি ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ২০১৫ সালের হোসেনী দালান বিস্ফোরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ভুলে মামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারীরা আদালতের ‘আওতার বাইরে রয়ে গেছেন।’ পরিদর্শক শফিউদ্দিন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের সময় একটি বড় ভুল করেছেন এবং তার দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করে করেন। মামলায়
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- মনির (১০ বছর) ও কবির হোসেন (সাত বছর)।
মামলা থেকে খালাস পাওয়া ছয় আসামি হলেন- আবু সৈয়দ ও রুবেল ইসলাম সুমন ওরফে সজিব, চান মিয়া ওমর ফারুক ওরফে চান মিয়া, হাফেজ আহসান মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া ও আহসানউল্লাহ মাহমুদ।
তারা আটজনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
আদালত জানিয়েছে, খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আইও প্রকৃতপক্ষে চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই চাঁন মিয়া, আহসান, শাহজালাল মিয়া ও আহসানউল্লাহকে আসামি করেন আইও। ফলে বিচার চলাকালে তারা মানসিক ও শারীরিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আরিফ ও আরমান ওরফে মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী বিস্ফোরণ মামলার মূল পরিকল্পনাকারী আলবানী ও নোমান। এছাড়া আইও তার প্রতিবেদনে হিরন ওরফে কামাল আল বানি ওরফে হুজ্জা ও আবদুল্লাহ ওরফে আলাউদ্দিন বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর জেএমবির পাঁচ সদস্য হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দুইজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। এ ঘটনায় প্রথমে নগরীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পরে তা তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৬ সালের অক্টোবরে ডিবি (দক্ষিণ) এর পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ১০ জন জঙ্গিকে অভিযুক্ত করে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের মে মাসে একটি আদালত ১০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছিল, যেখানে ১০ অভিযুক্তের মধ্যে দুজনের আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে তারা নাবালক এবং সমর্থনকারী নথি জমা দিয়েছেন। পরে আদালত দুই আসামিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ঘোষণা করেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কম বয়সী উল্লেখ করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করতে বলেন। তাদের মামলা বর্তমানে কিশোর আদালতে বিচারাধীন।
মামলার প্রাথমিক আট আসামি জেএমবি সদস্যদের মধ্যে- ওমর ফারুক মানিক, হাফিজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, সাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, কবির, রুবেল ইসলাম ওরফে শাজব, আবু সাঈদ ওরফে সোলায়মান ও আরমান-সহ তিনজন সাজা দেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি।
মামলায় ৩১ জন সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
আদালত চত্বর থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার
দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ তাদের অব্যাহতির এ আদেশ দেন।মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন- মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী, খোরশেদ আলম চৌধুরী, বখতিয়ার উদ্দিন খান, এ এম মাইনুল হক ও তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানা, মোবারক উল্লাহ, নেজামুল হক, হোসনে আরা বেগম, মো. ইউনুস, শেখ সোহরাওয়ার্দী, ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মো. এরশাদুল হক, হাসিনা ভূঁইয়া, নূর নাহার বেগম, হাসান মুরাদ, দিদারুল ইসলাম, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, গোলমান আরা বেগম, আঞ্জুমান আরা বেগম মিনু ও মাহবুব মিন্টু। মামলার এজাহারের প্রধান আসামি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায়, মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আরেও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ পুলিশ সদস্য আটক
মামলার সকল আসামি অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, এ মামলায় মোট আসামি ছিল ২৪ জন। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি পান। দুদক অভিযোগপত্র দেয়ার সময় আরও তিনজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। বাকি ২০ জনের দুদক আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আমরা আদালতের কাছে সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত সব আসামিকেই বেকসুর খালাস চেয়ে আবেদন করলে আদালত সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।দুদক সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। পত্রিকায় টেন্ডার ছাড়া, যাচাইবাছাই ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে দুদক।দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক সামছুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী প্রথমে আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। পরে সামছুল আলম বদলি হলে মামলা দুদকের আরেক পরিদর্শক মো. মবিনুল ইসলাম তদন্ত করে তিনিও আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন।
আরেও পড়ুন: দূতাবাসে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
অভিযোগ পত্রে কেবিএম সিরাজ উদ্দিন, হাফেজ আহমদ ও খায়রুল আনোয়ার মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়। এর আগে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায় ২০১৮ সালের ৩০ মে আদালত তাঁকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরে এজাহার নামীয় ২০ জন আসামি মূল বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ২০টি দোকানের পজিশন গ্রহণ করে ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধের সাথে পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মবিনুল ইসলামের সাক্ষ্য স্মারকে উল্লেখ করা হয়, মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উক্ত দোকান ইজারা সংক্রান্ত পত্রিকায় কোন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেননি। প্রতিটি আবেদনপত্রের ওপর নিজের মনগড়া দোকানের মূল্য ও মাসিক ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক লিখিত বরাদ্দ আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আরেক পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আগের দুই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য স্মারক পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটির কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। আদালতের নির্দেশে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরেও পড়ুন: ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট: র্যাবের হাতে আটক ১৪