সৈকত
অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্র সৈকতে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে নিহত ৪
অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে একটি পর্যটন স্পটে সোমবার বিকালে দুটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে চার যাত্রী নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক গ্যারি ওয়ারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা গেছে গোল্ড কোস্টের উত্তরাঞ্চলীয় সমুদ্র সৈকতের মেইন বিচে সি ওয়ার্ল্ড থিম পার্কের কাছে সংঘর্ষের সময় একটি হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করছে এবং অন্যটি অবতরণ করছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি হেলিকপ্টার বালির ওপর নিরাপদে অবতরণ করেছে, তবে অন্যটির ধ্বংসাবশেষ এমন একটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে পুলিশের পৌঁছানো কঠিন। নিহত ও আহত ব্যক্তিরা বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের যাত্রী।
ওয়ারেল বলেন, ‘স্থানীয়রা ও পুলিশ সদস্যরা দুর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
দুর্ঘটনায় উইন্ডস্ক্রিন হারিয়ে যাওয়া অন্য হেলিকপ্টারের যাত্রীরাও চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন।
জন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী মেলবোর্ন রেডিও স্টেশন থ্রিএডব্লিউকে বলেছেন যে সি ওয়ার্ল্ডের পৃষ্ঠপোষকরা দুর্ঘটনার শব্দ শুনেছেন।
আরও পড়ুন: মেক্সিকান সীমান্ত কারাগারে হামলায় নিহত ১৪
তিনি বলেন, থিম পার্কের কর্মীরা দ্রুতগতিতে দুর্ঘটনার নিকটবর্তী এলাকাগুলো বন্ধ করতে যায়।
কুইন্সল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনাস্তাসিয়া প্যালাসজুক বলেছেন, দুর্ঘটনাটি একটি ‘অভাবনীয় ট্র্যাজেডি’।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর প্রধান কমিশনার অ্যাঙ্গাস মিচেল বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
কুইন্সল্যান্ড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আগেই বলেছিল যে আহত ১৩ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
গোল্ড কোস্ট অঞ্চলটি জানুয়ারিতে সবচেয়ে ব্যস্ত থাকে, কেননা এই অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ গ্রীষ্ম থাকে।
আরও পড়ুন: ড্রোন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ফের ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উ. কোরিয়ার
সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানালেন লাখো পর্যটক
বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে ৩১ ডিসেম্বর লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিখ হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
শীতের হিমেল হাওয়ায় চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। সামনে ঢেউয়ের গর্জন। এরই মাঝে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায় ২০২২ সালের শেষ সূর্য।
অনেক প্রাপ্তি, হতাশা, ক্লান্তি ও নানা ঘটনা আর অঘটনকে ছাপিয়ে শেষ হলো আরও একটি বছর।
সমুদ্রের পানিতে অস্তমিত সূর্যের অপরূপ রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
উচ্ছ্বসিত পর্যটক সহ স্থানীয় মানুষ ২০২২ সালকে সূর্যাস্তের মাধ্যমে বিদায় জানিয়েছেন। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন। পড়ন্ত বিকালে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
কক্সবাজারের সূর্যাস্তের দৃশ্য ছবির ফ্রেমে আটকে রেখেছে পরিবার পরিজন প্রিয় জনকে সঙ্গে নিয়ে। এছাড়া কক্সবাজারের সৈকতে উপস্থিত পর্যটকরা হাত নেড়ে বিদায় বছরের শেষ সূর্যকে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মাসুদ চৌধুরী ও সামান্তা রহমান জানান, ২০২২ সালে জীবনের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ২০২২ সালের সূর্যাস্তের সঙ্গে হতাশা, দুঃখ ও না পাওয়ার বেদনাকে বিসর্জন দিতে এবং আনন্দ উল্লাসে ২০২৩ সালকে বরণ করবো কক্সবাজারে ভ্রমনের মাধ্যমে।
নরসিংদী থেকে আগত পর্যটক নেওয়াজ আলী বলেন, তিন বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন।
প্রাকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই কক্সবাজার। এখানকার বৈচিত্র্যময় সমুদ্রের বিশালতা ও প্রশান্তি মন টানে বার বার।
তা এই শীত মৌসুমে এখানে তেমন বেশি শীত নেই। তাই এখানে ভ্রমনের মজাটাই আলাদা।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে পযর্টন নগরী কক্সবাজারে বেশ কয়েকদিন ধরেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিলো।
সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে গোধূলি বেলার সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত পর্যটকরা।
দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চোখে পরছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি শহরের বার্মিজ মার্কেট, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়াটেক সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে রয়েছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলের ৯০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা, বীচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের আগমনে কক্সবাজার যেন পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইংরেজি ২০২২ সালকে স্মৃতিময় করে রাখতে আর ২০২৩ সালকে স্বগত জানাতে কক্সবাজার সৈকতে জড়ো হয়েছে লাখো পর্যটক।
তাদের সেবায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজারের প্রত্যেক পর্যটন জোনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়া ভ্রাম্যমান পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
কক্সবাজারের মিষ্টি পান যাচ্ছে বিদেশেও
কক্সবাজার সৈকতে মাছ কুড়ানোর উৎসব!
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। পর্যটক ও স্থানীয়রা মাছ কুড়ানোর উৎসবে মেতে উঠে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কক্সবাজার সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্ট, কবিতা চত্বর পয়েন্টে ভাসতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও কুড়িয়ে নেয় এসব মাছ।
জেলা প্রশাসনের বীচ কর্মী মো. বেলাল জানান, সকালে হঠাৎ করে সাগর থেকে মাছ ভেসে আসে। প্রায় দেড় কিলোমিটার সৈকত মাছে মাছে ভরে যায়। অনেক মাছ সমুদ্রে ভাসমান রয়েছে। সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা মাছ কুড়িয়ে নেয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে স্থানীয়রা বস্তা সহ নানা পাত্র নিয়ে এসে মাছ কুড়িয়ে নেয়। সৈকতে মাছ কুড়ানো উৎসবে পরিণত হয়।
নরসিংদী থেকে আসা পর্যটক ইকবাল হোসেন তার বন্ধু মিরাজ উদ্দিন জানান, সৈকতে হাজার হাজার মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব মাছ কুড়িয়ে নিতে মজা লেগেছে। প্রায় ৩০ কেজির মতো মাছ কুড়িয়েছি। কুড়ানোর পর এসব মাছ স্থানীয়দের দিয়ে দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: নারী পর্যটকের জন্য কক্সবাজার সৈকতে বিশেষ জোন
কি কারণে এসব মাছ সাগর থেকে ভেসে এসেছে তা জানিয়ে মাছের ট্রলারে থাকা রহিম মিয়া নামের এক জেলে জানান, সমুদ্রে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মাছ জেলেদের টানা জালে আটকা পড়ে। পরে এসব মাছ ট্রলারে টেনে তোলার চেষ্টা করলে তা ট্রলারে তোলা সম্ভব হয়নি। এক সময় মাছসহ জাল ট্রলার থেকে ছিটকে যায়। তখন এসব মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে সৈকতে ভেসে আসে।
তিনি আরও জানান, জালে প্রায় ছয়টি ট্রলারের সমান মাছ ধরা পড়ে। প্রায় তিন শ’ টনের মতো মাছ হবে।
কক্সবাজার সৈকতে প্রতিদিন ভেসে আসছে অসংখ্য জেলিফিশ
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক দিন ধরে অসংখ্য মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার থেকে জোয়ারের পানিতে মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে। রবিবার সকালে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত জেলিফিশ বালিয়াড়িতে দেখা যায়। এর মধ্যে কিছু জেলিফিশ পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়।
সৈকতের দরিয়ানগর, হিমছড়ি, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া সৈকতে শত শত জেলিফিশ ভেসে আসছে।
হিমছড়ি এলাকার জেলে আব্দুর শুক্কুর জানান, ২-৩টা জেলিফিশ নিয়মিত ভেসে আসে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে একসাথে ৩০-৪০টি কখনো আসেনি। সৈকতে এত বেশি জেলিফিশ তাই সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে। কারণ জেলিফিশ গায়ে লাগলে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, কিছু জেলিফিশ কুকুর খেয়ে ফেলছে, কিছু বালুর নিচে চাপা পড়ছে। অনেক জেলিফিশ বালুচরে পড়ে আছে। সাগরে কোন সংকট সৃষ্টি হয়েছে কি না তা জানা দরকার। হঠাৎ এত বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
শুক্রবার সৈকত থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিক ডিভিশনের প্রধান আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে মাছ ধরার সব ট্রলার সাগরে নেমেছে। অন্যান্য মাছের মতো বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশেরও প্রজনন বেড়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলিফিশগুলো জেলেদের জালে আটকে পড়ে মারা গেছে।
তিনি বলেন, এখন জোয়ারের পানিতে ভেসে আসছে, তবে বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ মৃত্যুর পেছনে সমুদ্রদূষণ কিংবা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাণঘাতী না হলেও সমুদ্রসৈকতে পড়ে থাকা মরা জেলিফিশের সংস্পর্শে গেলে মানুষের শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ।
নির্দিষ্ট সময়ের পর এসব জেলিফিশ জোয়ার-ভাটায় মিলিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোনো ট্রলারের জালে জেলিফিশ ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
সৈকতে ভেসে এলো বেলিন প্রজাতির মৃত তিমি!
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে বেলিন প্রজাতির বিশালাকৃতির একটি মৃত তিমি। এটির দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। শনিবার সকাল ৯টার দিকে জোয়ারের পানিতে সৈকতের ঝাউ বাগান পয়েন্টে তিমিটি ভেসে আসে।
তিমিটি অর্ধগলিত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে সৈকত এলাকায় পঁচা দুর্ঘন্ধ ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবারও কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল মৃত তিমি
ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, এটি দেখতে অনেকটা দৈত্যাকৃতির। এর আগে ২০১৮ সালে সৈকতে বড় আরও একটি তিমি ভেসে এসেছিল। তবে ঠিক কি কারণে এসব তিমি মারা যাচ্ছে সেটা বলা যাচ্ছে না।
এছাড়া সৈকতে ভেসে আসা মৃত তিমি ও ডলফিনের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, ঘটনাস্থলে বনকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। এটির নমুনা সংগ্রহ করে মাটিচাপা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: একদিনের ব্যবধানে ভেসে এলো আরও একটি মৃত তিমি
হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠেছে বিশালাকৃতির মৃত নীল তিমি
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জীবিত একটি ডলফিন ভেসে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ইনানী পাটুয়ারটেক থেকে কিছু দূরে সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে।
জানা যায়, পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে একটি ডলফিন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বিচ কর্মীরা। কিন্তু ডলফিনটি আবারও তীরে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। যার কারণে ডলফিনটি দুর্বল হয়ে যায়। পরে ডলফিনটি মারা যায়।
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট , বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ডলফিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই করেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো জেসিআইয়ের সাধারণ সদস্য সভা
সমুদ্রে গোসল করতে নেমে রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু
কক্সবাজার সমুদ্রে গোসল করতে নেমে বুধবার বিকালে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও একজন আহত হয়েছে।
নিহত সাইফুল (১৬) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাবিব উল্লাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে: জাতিসংঘ
বিচকর্মী মাহবুব আলম জানান, বুধবার বিকালে সাইফুল ও রায়হান সমুদ্রে গোসল করতে নামে। গোসল করতে নেমে তারা পানির স্রোতে ভেসে যায়। এতে রায়হানকে উদ্ধার করা গেলেও তাৎক্ষণিক সাইফুলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অনেক্ষণ পর তাকে ভাসতে দেখা গেলে সেখান থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) হাসানুজ্জামান জানান, সমুদ্র পানিতে রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারে ৫০ শতাংশ হোটেল আগাম বুকিং
আগামী ২ মে বা ৩ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। আসন্ন এই ঈদকে সামনে রেখে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলো মেরামত ও সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায়ই শেষ।
এদিকে ঈদের ১০ দিন আগেই কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সৈকতের ব্যবসীয় সমিতি । তবে কটেজ ও ফ্ল্যাট ব্যবসায়ীরা আগাম কক্ষ বুকিং দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া রমজানের শুরু থেকে কক্সবাজারে পর্যটক নেই বলে চলে। একইভাবে পর্যটন জোনের সব ধরনের রেস্টুরেন্টও প্রায় ক্রেতাশূন্য থাকে। তাই অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: নান্দনিক সড়কবাতিতে ঝলমলে রাজশাহী শহর
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, রমজানের শুরুতেই পর্যটক না থাকায় বহু হোটেল-কটেজে কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। এতে পুরো রমজান ও ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।
সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ বলেন, রমজানের পর্যটক না থাকায় বেচাকেনা হয় না। তাই দোকান বন্ধ রাখা রয়েছে। তবে ঈদের পরে ব্যবসার জন্য নতুন করে মালামাল ওঠানোসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকতকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ বা অন্য কোনরূপ কার্যক্রম গ্রহণের কারণে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২৫৯ দশমিক ১০ একর এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে বা ভবিষ্যতে আরও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ও সেবা খাতের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে এবং পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকায় অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ বা অন্য কোনরূপ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকল্পে বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইনের ক্ষমতাবলে এই এলাকা পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
নারী পর্যটকের জন্য কক্সবাজার সৈকতে বিশেষ জোন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারীদের জন্য বিশেষ জোন তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। সৈকতের লাবণী পয়েন্টস্থ বিজিবি পরিচালিত উর্মি গেস্ট হাউস থেকে সীগাল পয়েন্ট পর্যন্ত ১৫০ ফুট এলাকা নিয়ে এ জোন তৈরি করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে অনেক নারী-পুরুষ কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। সমুদ্রে নারী-পুরুষ একসঙ্গে গোসল করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে নারীরা বিব্রতবোধ করেন। তাই স্বস্তি ও নিরাপদে সমুদ্রস্নানের সুবিধার্থে নারীদের জন্য এই বিশেষ জোন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন থেকে রক্ষণশীল নারী পর্যটকরা এই জোন থেকে সমুদ্রে নেমে স্বাচ্ছন্দ্যে গোসল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
জেলা প্রশাসক আরও জানান,নারীদের জন্য তৈরি করা এই জোনে নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক নারী ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য ও নারী বীচকর্মী নিয়োজিত থাকবেন। নারীরা গোসল করতে নেমে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা পাবেন। ইতোমধ্যে সৈকতের নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করে সাইবোর্ড বসানো হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন উদ্দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নিরাপত্তা ও ধর্ষণ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় এমন উদ্যোগ হাতে নেয় জেলা প্রশাসন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতে এই বিশেষ জোন তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
মালদ্বীপে ভ্রমণে ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় হলিডে প্যাকেজ