তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শীত বেড়েছে, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট।
শহরের মুরগি বিক্রেতা ইয়ারুল আলি বলেন, কয়েকদিন পর শুক্রবার সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম থেকে খুব সকালে শহরে মুরগি বিক্রি করতে হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না।
দিনমজুরেরা বলেন, কনকনে শীত পড়ছে সঙ্গে বাতাসে আরও শীতের তিব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোরে কৃষি কাজের জন্য মাঠে এসেছি। ঠান্ডায় হাত চলছে না।
এদিকে, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়ার রোগীও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানিয়েছেন, প্রতিদিন শীতজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাছে। শনিবারও একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তিনি জানান, আগামী ১৫-১৬ তারিখের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাতে
চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একদিকে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা এবং অন্যদিকে কমছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা গিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (২৮ জানুয়ারি) এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে আজ বুধবার তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া রাতে শূন্য দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে তিনি আরও জানান, আজসহ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেঘলা কেটে গেলে আবারও শীত অনুভূত হবে। তবে আগামী সপ্তাহের শেষে আবারও একটি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে বলছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শীতের এমন পরিস্থিতিতে সব পেশা ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে কাজের অভাব, অন্য দিকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
কুড়িগ্রামের হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত ৮ থেকে ১০ বছরে কুড়িগ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। শীতের সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস।
তিনি আরও বলেন, এ বছর শীতের চিত্রটা ভিন্ন। আজও শুক্রবার সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, আমরা বয়স্ক মানুষ আমাদের হাঁটতে চলতে খুব সমস্যা হয়।
কাঁঠালবাড়ি সিনাই গ্রামের মোজা মিয়া বলেন, কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়ায় কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আজ শুক্রবারও ঠান্ডা খুব বেশি।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
তিনি আরও বলেন, হাত বরফ হয়ে যাচ্ছে। পানি, ইট, সিমেন্টের কাজ করা খুবই কষ্টের। নেই গরম কাপড়। কেউ একটা কম্বলও দিল না।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি পর্যবেক্ষনাগার ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অফিসটি।
কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও।
তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডায় যবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিরাও।
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
সরেজমিনে এসব চিত্র দেখতে পান ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।
গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
বরিশালে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শনিবার বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এদিকে বরিশালে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন ধরে ধারণ ক্ষমতার ৭ থেকে ১০ গুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও। শয্যা সংকট থাকায় তাদের মেঝেতে শুইয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
এমন বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবীসহ ছিন্নমূলরা। বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা না পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় দোকানপাট কম খুলেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
স্বাভাবিকভাবে জনসাধারণের উপস্থিতিও ছিল সীমিত। এদিকে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে শেবাচিম হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ধারণ ক্ষমতার সাত গুণ বেশি শিশু চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর শুক্র ও শনিবারও বেড়েছে শিশু ওয়ার্ডের রোগীর সংখ্যা। এর বাইরে বহির্বিভাগেও প্রতিদিন সেবা নিচ্ছেন দুই থেকে তিন শতাধিক শিশু।
বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার নদী তীরের বাসিন্দা রিপন বলেন, নদী তীর এলাকায় কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস বইছে। এ কারণে ঘরের মধ্যে টিকে থাকা দায় হয়ে গিয়েছে। আগুন বা রুম হিটার ছাড়া নদী তীরের ঘরে থাকা যায় না। আমরা এ শীতে খুবই বিপদে রয়েছি।
পথশিশু ইয়াসিন জানায়, দিনরাত তীব্র শীতের মধ্যে টার্মিনালেই থাকতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে খুবই শীত পড়ছে। এ শীতের মধ্যে কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
নগরীর লঞ্চটার্মিনালের শ্রমিক আবদুর রহমান বলেন, তীব্র শীত আর বাতাসে টিকে থাকাই দায়। সংসার চালানোর তাগিদে বাইরে বের হয়েছি। তা না হলে ঘর থেকেই বের হতাম না।
রিকশাচালক লোকমান মিয়া বলেন, ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। শীতের কারণে রাস্তায় লোকজন কম থাকায় আয়ও অনেক কমেছে।
গৌরনদীর মাজেদা বেগম বলেন, জ্বর-সর্দিতে আমার ছেলে আক্রান্ত হওয়ায় শেবাচিমে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে এসেও সেবা পাইনি।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থান সংকটের কারণে শয্যা কম। তাই বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে বিছানা দিয়ে সেবা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগী থাকার পাশাপাশি রোগীর স্বজনরাও প্রতিনিয়ত মেঝে নোংরা করে। তারপরও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি আমরা।
এসময় শিশুদের সুস্থ রাখতে গরম কাপড়ে শিশুদের আবৃত রাখাসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, একই সঙ্গে সকালে ২ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে গেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ অনুভব হয়।
তিনি আরও জানান, এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এমন শীত আগামী তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
বিশেষ করে শীত ও কুয়াশার কারণে চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে আরও বড় দুর্ভোগে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ অবস্থায় সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। শহর কিংবা গ্রামে শীতের দাপটে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে আগামী দুই থেকে তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক সরকার বলেন, শীত তো নেমে গেছে। যারা গরীব মানুষ তারা কষ্টে আছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে শীতবস্ত্র পাইনি। পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী দুই থেকে
তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পরে আবারও কমতে শুরু করবে। তখন ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
নওগাঁর তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা এক অংকের ঘরে এখনও নামেনি। তাতেই কুয়াশা, বইছে মৃদু বাতাস। আর এতেই ঠান্ডায় জবুথবু শীতের গরম পোশাকবিহীন অসহায় হতদরিদ্ররা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তরের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর আরমান হোসেন।
এর আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
আরমান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
শুক্রবার নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে আগামী দিন তাপমাত্রা পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু বলতে পারেননি।
দেখা গেছে, সারাদেশে বইতে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। বইছে হিমেল বাতাস। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ও সন্ধ্যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস।
আরও পড়ুন: শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষজন। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠাণ্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের দিনমজুর মনসুর আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ কম্বল দেয় নাই। কম্বলের খুব দরকার।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদী ও চরাঞ্চল। সবচেয়ে শীত অনুভূত হয় এখানে। সরকারিভাবে এখনো কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। শীত বস্ত্র পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরো কমেএই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, পাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সেতু
শীত নিবারনের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের রমজান আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়েছে তাতে রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর বেশ সমস্যা হবে।’
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ভাণ্ডারে মজুদ রয়েছে আরও ১৫ হাজার কম্বল।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরের ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায় ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একই সময়ে নওগাঁর বদলগাছীতে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
সারাদেশে শুষ্ক থাকতে পারে আবহাওয়া : বিএমডি