সংঘবদ্ধ
অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
সিলেটে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট শহরতলীর পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট শহরতলীর পীরের বাজারে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে ওই কিশোরী। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় পৌঁছামাত্র চার যুবকের খপ্পরে পড়ে। সেখানে যুবকরা তাকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে।
খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলায় ইউনিয়নের পান্তাডুবি এলাকায় এক নারীকে সড়ক থেকে জোর করে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি হলেন- আমিন খান (৪২) ও সোহাগ মীর (৩৪)। তাদের পৃথক অভিযানে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কদমতলা এলাকা থেকে আমিন খান ও ইমরান খান নামের দুই ব্যক্তি ওই নারীকে অপহরণ করে। পরে তাকে একটি খালি ঘরে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে দুজনে ধর্ষণ করে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, ওই নারীকে উদ্ধার করার পর রাতেই মামলা করেন তিনি।
ওসি আরও বলেন, আমরা অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি এবং মামলাটি তদন্তাধীন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
লালবাগ থেকে ৬ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, অস্ত্র-গুলি জব্দ: পুলিশ
নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের যুবকের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে আজানুর রহমান নামে এক যুবককে ১০ বছরের আটকাদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির অনুপস্থিতে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
মামলার প্রধান আসামি সোহেল উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তার মামলার অংশ স্থগিত রাখায় জেলা আদালত শুধু আজানের বিচার কাজ সম্পন্ন করে।
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১২ সালের ২ মে ঘটনার সময় আসামির বয়স ১৫ বছর থাকায় শিশু আইনে তাকে এ সাজা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামে ১২ বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে আসামি আজানুর রহমান ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
হাজিরা দিতে এসে আদালতে আসামির মৃত্যু
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও পরে হত্যার অভিযোগে ৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
আসামিরা হল-ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল, তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন।
আরও পড়ুন: দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে ধর্ষণ করে আসামিরা। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী হয়ে পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামিরা ধর্ষণের পর হত্যা করে।
আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে ফাঁসি হলে তিনি খুশি হতেন বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
এছাড়া রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
কেরানীগঞ্জে বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বান্ধবীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার স্ত্রী বান্ধবী নীলা আক্তারের বাসায় বেড়ানোর জন্য কেরানীগঞ্জ যায়। নীলা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মোল্লা বাজারের একটি ইটভাটায় তাকে একটি ঘরে আটক করে রাখে। পরে তাকে চেতনানাশক বড়ি খাইয়ে নীলা আক্তারের সহযোগিতায় তোফাজ্জল (৪০) ও ইসহাক (৩৮) পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
২৪ ঘন্টা অচেতন থাকার পর ২০ সেপ্টেম্বর রাত একটায় জ্ঞান ফিরলে ভুক্তভোগী তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় জানায়। তার স্বামী পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নীলাসহ ধর্ষকরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ধর্ষকদের আটকের জন্য জোর চেষ্টা চলছে। অবিলম্বে তাদের আটক করা হবে।
এ ব্যাপার বুধবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপরিবহনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপরিবহনে(বাস) ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৬) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়য়নের বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ তামিম(২১)।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
জানা যায়, নজরুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড নামক পরিবহনের একটি বাসের চালক ও তামিম বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় অবস্থিত তামিম টিম্বার মিলের মালিকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বাস পার্কিং করা অবস্থায় বাসের মধ্যে ওই নারীকে তিনজন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়াল্লিশ্বর এলাকার তামিম টিম্বার মিলে নিয়ে ওই নারীকে আবারও ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ শনিবার রাতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, গতকাল রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
নাটোরে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮), উত্তর তারানিয়াপাড়ার দিল মোহাম্মদের ছেলে মোস্তাক মিয়া (২৪) ও খরুলিয়া এলাকার মৃত রশিদ আহমেদের পুত্র মো. বেলাল উদ্দিন (২২)।
পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে পিএমখালী এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
তিনি জানান, গত ১৯ আগস্ট রাতে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বেদার মিয়া আরও তিন সহযোগীসহ ভুক্তভোগীকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ২৩ আগস্ট ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হলে র্যাব বিষয়টি জেনে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য ছায়াতদন্ত শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা সকলেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান ওই পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা!
ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাণীশংকৈল উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকা একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২২), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ (২১), একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (২২) এবং রকিম ও লস্কর নামে অজ্ঞাত দু’জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১৯ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার সাত বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে নিয়ে ভুক্তভোগী হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় রাণীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর অটোবাইক স্ট্যান্ড থেকে তাকে (২৮) অটোবাইকে অপহরণ করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানেই অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূর ছেলে মাসুমের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সামনেই মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ৩০ মামলার আসামি রেজাউল গ্রেফতার
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী দুই সন্তানের জননী। কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে কয়েক যুবক অটোবাইক চালকের যোগসাজশে ওই নারীকে কৌশলে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি আমবাগানের ভেতরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাত ১২টার সময় ধর্ষকরা ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এরপর ধর্ষক ফজলুর রহমান ও ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানায় পুলিশ।
নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ২ ভাই গ্রেফতার
সন্তানের নাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েই আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে এক নারীকে বাসে তুলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসটির চালকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরের দিকে অক্সিজেন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বাসের চালক বাঁশখালী বানিগ্রাম এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম (৩০), চালকের সহকারী ভুজপুর থানা নতুনপাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে রবিউল (২৩), বাসের সুপারভাইজার ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রাজু (২৬) এবং ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে মো. শাহাদাত (২২)।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানিয়েছে, সেসময় বাইরে প্রচুর বৃষ্টিপড়ার কারণে তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। প্রায় একঘন্টা পর বৃষ্টি থেমে গেলে তিনি চিৎকার করতে থাকায়, তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।সোমবার বিকালে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বায়েজিদ ছিন্নমূলে তার চাচার বাসা থেকে রিকশাযোগে অক্সিজেন মোড়ে পৌঁছান। সেসময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই নারী অক্সিজেন রেলবিটের পাশে একটি ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখানে পার্ক করে রাখা একটি বাসের চালক ও সহকারীরা নারীকে দেখে কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করেন। ওই নারী কোর্ট বিল্ডিং যাওয়ার কথা বলেন। বাসটি কোর্ট বিল্ডিং যাবে বলে ওই নারীকে বাসে তোলেন তারা। এরপরই ওই নারী অভিযুক্ত চারজনের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।’তিনি আরও জানান, ‘এরপর ভুক্তভোগী নারী তাৎক্ষণিক অক্সিজেন পুলিশ বক্সে এসে ট্রাফিক পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত বাসটি জব্দ এবং শাহাদাত নামে একজনকে আটক করে।পরে রবিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাসচালক নুরুল আলম ও সুপারভাইজার রাজু এবং ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে।’এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নামে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
চট্টগ্রামে দুই সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজার শহরে এক তরুণীকে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই তরুণী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলা করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, ওই নারীর লিখিত এজাহারটি ১৫ মার্চ দুপুরে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ফিরোজ আহমদ, রাসেল উদ্দিন, নুরুল ইসলাম ও মো. শরীফ। ৯ জনের মধ্যে পাঁচজন অজ্ঞাতনামা।
দায়ের করা এজাহার থেকে জানা যায়, ফিরোজ ও শরীফের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ১৪ মার্চ দুপুরে তিনি কক্সবাজার আদালত এলাকায় এক আইনজীবীর কার্যালয় থেকে বের হলে আসামিরা তাকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে ফিরোজ ও শরীফসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন এসে তার হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। ফিরোজ ওই তরুণীর স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ঢাকায় আটক ৪
এরপর শহরের বাহারছড়া এলাকায় ফিরোজের আত্মীয় ফজল কাদেরের বাসায় নিয়ে আটকে রেখে ফিরোজ ও শরীফ তাকে ধর্ষণ করে। পরে একইভাবে নুরুল ইসলামও তাকে ধর্ষণ করে তার মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর রাসেল উদ্দিন ওই কক্ষে এসে নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে অথবা বাড়াবাড়ি করলে মানব পাচার মামলায় চালান করে দেয়ার হুমকি দেয় রাসেল। একপর্যায়ে রাসেলও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কারণে ওই তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে রাসেল ও শরীফ তাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসে। এ দৃশ্য দেখে রাস্তায় থাকা এক ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল দিলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
তরুণীর দাবি, ফিরোজ ও রাসেল উদ্দিন পুলিশের পূর্বপরিচিত। তাই সোমবারের ঘটনার পর থেকে থানা–পুলিশের ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রভাবশালী মহল ও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায় থাকা নেতাদের মাধ্যমে ঘটনাটি মিটমাট করতে চাপ দেয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে ওসি শেখ মুনীর বলেন, মামলায় চারজন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করবে।
আরও পড়ুন: ‘অফিস সহায়ক’ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ২
বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক