অগ্নিসংযোগ
বনে আগুন লাগানোর অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার ৪৪
ইন্দোনেশিয়ায় বনে আগুন লাগানোর অভিযোগে ৪৪ জনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা থেকে দেশের নাগরিকদের বিরত রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন ও জলাভূমিতে আগুনের ধোঁয়ায় ইন্দোনেশিয়ার ছাড়াও সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া ও দক্ষিণ থাইল্যান্ডের কিছু অংশে আচ্ছন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে বুধবার (২৪ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান সুহারিয়ান্তো এক বিবৃতিতে জানান, ‘শুধু খরা নয়, বনে আগুন লাগার জন্য মানুষও দায়ী। আশা করছি, এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ভবিষ্যতে আগুন লাগানো থেকে মানুষকে বিরত রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে অনেক ক্ষেত্রেই কৃষক বা জমির মালিকরা অবৈধভাবে বনে আগুন লাগিয়ে দেন।’
মানবসৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড বন্ধে সরকারি অভিযানে অংশগ্রহণ এবং জমি পরিষ্কারের সময় কেউ আগুন লাগালে কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পড়ুন: ‘ফিলিস্তিনপন্থি’ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার রিও প্রদেশের রাজধানী পিকানবারোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের হাতকড়া পরানো অবস্থায় উপস্থাপন করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ সুরক্ষা আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
সম্প্রতি, রিও প্রদেশের রোকান হিলির ও রোকান হুলু জেলা প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দৃষ্টিসীমা এক কিলোমিটারেরও নিচে নেমে যায়। এই দুই জেলার অনেক এলাকা এখনও ঘন ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা রয়েছে।
সরকার এর মধ্যে সেখানে কৃত্রিম বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য ক্লাউড সিডিং শুরু করেছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালেও বনে অগ্নিসংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ।
প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপে এমন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে থাকে। এর ফলে, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কিছু অংশেও ঘন ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। ধোঁয়ার জন্য প্রায়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে ক্ষমা চাইতে হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে।
১৩৪ দিন আগে
লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩১ মে) দিবাগত রাত ১১টার দিকে শহরের আলোরুপা মোড়ের জেলা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল যোগে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা প্রথমে পার্টি অফিসে তালা ভাঙচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে লুটপাট করে এবং কার্যালয়ের কিছু জিনিস বাইরে বের করে এনে অফিসের ভিতরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সরে যায়।
এ সময় জাতীয় পার্টির পাশের মার্কেটের দোকানগুলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে জাতীয় পার্টির কার্যালয় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কালীমন্দিরে আগুন, খতিয়ে দেখছে ফায়ার সার্ভিস
ঘটনাস্থলে ছুটে আসা লালমনিরহাট পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এসে দেখি পুরো অফিস পুড়ে গেছে,কারা এ হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে বিষয়টি দলীয় উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আশে পাশে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর নবী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
১৮৭ দিন আগে
বরগুনায় মাজার ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, আহত ২০
বরগুনার আমতলীর ইসমাইল শাহ মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সোলায়মান, রেজাউল, বাদল মৃধা, দুলাল মৃধা, আবু বকর, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. মামুন, আবুল কালাম, জোবায়ের ও ফজলুল করিমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানন, বরগুনার আমতলীর ইসমাইল শাহ মাজারে ২৮তম ওরশ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক ও জনতা এসে মাজার কর্তৃপক্ষকে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু মাজারের প্রধান খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা চলাকালীন এক পর্যায় তার সমর্থক ও কিছু জনতা লাঠিসোটা নিয়ে মাজারে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ওই ওরশে আসা হাজার হাজার ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে মাজার ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী শাখার সভাপতি ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাঙচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়।
ইসমাইল শাহ মাজারের প্রধান খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের দাবী, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠিসোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় ও আগুন দেয়। এতে মাজারের ভেতরের গিলাব ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা ভক্তদের মারধর ও মাজারের বাক্সে থাকা টাকা পয়সা লুটপাট করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদ বলেন, ‘মুফতী মাওলানা ওমর ফারুকসহ আমাদের বেশ কিছু সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ জনতা গিয়ে মাজারের প্রধান খাদেমকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পূজা ও গান-বাজনা করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ। এক পর্যায় তার ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর গায়ে হাত তুলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে মাজারটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬২ দিন আগে
আত্মহত্যার ঘটনাটি বিভ্রান্তিমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে: প্যানারোমা কর্তৃপক্ষ
গাজীপুরে প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় এক নারী শ্রমিক পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার ঘটনাটি বিভ্রান্তিমূলকভাবে ছড়িয়ে সড়ক অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে ওই নারী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনার সঠিক তদন্তে তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ছুটি মঞ্জুর না করার কারণে ওই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে প্যানারোমা কর্তৃপক্ষ। শুধু তা-ই নয়, ঘটনাটির তদন্ত চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ, যানবাহনে আগুন
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২ মার্চ) আফছানা আক্তার (২৯) নামে প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের সুইং শাখার এক জুনিয়র অপারেটর বেলা দেড়টার দিকে ওই কারখানার ছাদ থেকে পড়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মা নাজমা বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় আফছানার স্বামী হৃদয় খান ওরফে মল্লিক মিয়াকে (৩০) আসামি করে মামলা করেন।
মল্লিক মিয়া বিভিন্ন সময় আফছানাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
নিহত আফছানা ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শারীরিক দূর্বলতার কারণে তিনি চাকরি না করার কথা জানালে তার স্বামীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। এরপর তাকে মারধর করা হয় বলেও মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ওই নারী (আফছানা) আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ জানায়, বাসন থানা পুলিশকে খবর দেওয়ার পর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করার পর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পরদিন গতকাল (সোমবার) সকালে আফছানার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্যানোরামা অ্যাপারেলসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কারখানার শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ ছিল, আফছানা আক্তার অসুস্থ হয়ে কারখানা থেকে ছুটি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার ও কারখানার ওয়েস্টেজ মালামালের গুদামে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
২৭৫ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে প্রয়াত এমপি স্বপনের দুটি বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সয়দাবাদ পুনর্বাসন এলাকায় সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের প্রয়াত এমপি আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুর রহমান স্বপনের দুটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করে এ বিষয়টি প্রচার করে।
প্রায় ১০ মিনিটের এ ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মিছিল নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পুনর্বাসন এলাকায় ওই দুটি বাড়িতে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের আস্তানা, সয়দাবাদে হবে না—মর্মে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। ভাঙচুর শেষে তারা মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে স্বপনের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, ওই এলাকায় তিনটি প্লটে প্রয়াত এমপি স্বপনের তিনটি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি একতলা ও একটি দোতলা মিলে দুটি পাকা বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
প্রয়াত স্বপন ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগে এসব বাড়ি তিনি মেয়েদের নামে লিখে দেন। বর্তমানে এসব বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, ‘এ ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
৩০০ দিন আগে
ফেনীতে সাবেক এমপিদের বাড়ি ও আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাসুদ চৌধুরীর বাড়িসহ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর পৌরসভার বারাহীপুরের বাড়ি ও শহরের স্টেশন রোড এলাকায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, ফেসবুক গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে হামলার ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তারা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে নাসিমের বাড়ির দিকে রওনা দেন। সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পরে ফেনী রেলস্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয়রাও অংশ নেয়। এছাড়া মাসুদ চৌধুরীর সোনাগাজী গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। তবে সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ছাত্র প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন শাকিল বলেন, ‘বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি-৩২ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ধ্যায় প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিপ্লবী ছাত্র সমাজ ও আহত ভাইরা মিলে আজকে এখানে কর্মসূচি পালন করি।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ‘পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।’
এর আগে, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নাসিমের ফেনীর বাসভবন ও স্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
৩০১ দিন আগে
ঝিনাইদহে শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ঝিনাইদহের ১২৩ ফুট উঁচু দেশের বৃহত্তম শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন শমশেরনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, শমশেরনগরের শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এরপর ভাঙচুর করা ম্যুরালগুলো বারবাজার শহরে এনে সড়কের ওপরে রেখে আগুন দিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সমন্বয় হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনা পরিবারের কোনো ম্যুরাল থাকবে না, থাকবে না ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্নও।’ এজন্য শেখ মুজিবের ওই ম্যুরালগুলো ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন শমশেরনগর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসের এই শেখ মুজিব টাওয়ার তৈরি করেছিলেন।
৩০১ দিন আগে
শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় রাত দেড়টার সময় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রটেকশনের অভাবে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত আগুন নেভাতে স্পটে যেতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার ইউএনবিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উশৃঙ্খল জনতা রাজধানীর বনানীতে সেলিমের বাসায় আগুন দিয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ফায়ার সার্ভিসে গাড়ি ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।
এরআগে বুধবার রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির বেশির ভাগই মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় ও অফিসে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে অন্তবর্তী সরকার।আরও পড়ুন: এবার ডিবি হেফাজতে সোহানা সাবা
এতে বলা হয়, ‘অন্তবর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।’
সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
৩০১ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২: সরঞ্জাম লুটতে ব্যস্ত অনেকে, কেউ করছে চুরি
শেখ মুজিবুর রহমানে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গতকাল (বুধবার) রাতে শুরু হওয়া ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কর্মকাণ্ড এখনও চলছে। তবে বৃহস্পতিবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লুটপাট।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভিড় একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। এর মধ্যেই কেউ কেউ ইট, লোহার জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
এমনই একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো খুলছি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করব বলে।’
এ সময় ইট হাতে চলে যেতে দেখা যায় অনেককে। ইট সংগ্রহ করতে ভাঙনের কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। আরও দেখা যায়, একটি পোড়া গাড়ি ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ।
আগুনে দেওয়াল পুড়ছে, তবু তারা লোহা ও বিক্রয়যোগ্য যা কিছু আছে, লুট করতে ব্যস্ত।
মাইকিং করে ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে সবাইকে সরে আসতে বললেও অনেকেই পরোয়া করছেন না।
এর মধ্যে সেখানে আবার খাবারের দোকান বসিয়েছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
হায়দার আলী নামে এক দই বিক্রেতা বলেন, ‘আজকেই এখানে প্রথম আসছি। আগে টাউনহলে বিক্রি করতাম। এখানে ভাঙচুরের জন্য মানুষ বেশি, তাই বিক্রিও বেশি হচ্ছে।’
শুধু দই নয়, এই ঘটনা ঘিরে গড়ে ওঠা অন্য খাবারের দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ করা গেছে।
৩০ টাকা দরে স্যান্ডউইচ বিক্রি করছেন শফিকুর রহমান। আজই প্রথম এসেছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যদিন আসব কী করতে? এত মানুষ এখানে আছে বলেই আজ এসেছি।’
অনেকে শুধু দেখতে এসেছেন। কেউ বলছেন, ছবি তুলতে এসেছেন।
লুটপাটের মাঝে কেউ কেউ চুরি, পকেটমারিও করছে। সব মিলিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল ধানমণ্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিতে।
৩০১ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
গত ছয় মাসে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি জানিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে তার একটি হচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদের অপমান, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা করেছেন।
দ্বিতীয়টি, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালে যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি-৩২’র ঘটনায় একটি মহলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: হাফিজউদ্দিন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে—এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
৩০১ দিন আগে