অগ্নিসংযোগ
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের ধীতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে জুলহাস নামের একজনের আধাপাকা ঘরে তালা দিয়ে পেট্রোল ছুঁড়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে জুলহাস, ২ শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হন। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্বার করেন।
দোহার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আধাঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের অপরাধ বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে দোহার থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
কারওয়ান বাজারে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ২
বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগে ইআরডিএফবির নিন্দা
ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের সংগঠন এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সহিংসতার পরিবর্তে গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষাবিদদের এই প্লাটফর্ম।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করতে বিএনপির ডাকা হরতালের প্রাক্কালে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় চলন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চারজনের মৃত্যু হয়।
ইআরডিএফবি সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, যে সংখ্যাগরিষ্ঠ নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণে দেশ যখন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে অপরাজনীতির নৃশংস উদাহরণ তৈরি করল বিএনপি-জামায়াত জোট।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে ইআরডিএফবির সেমিনার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সভা-সমাবেশ, ধর্মঘটের অনুমতি দেয়।
তিনি আরও বলেন, যাই হোক, সংবিধান কখনই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বা কোনো ধরনের নাশকতার অনুমতি দেয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘গো ভোট’ র্যালি করেছে ইআরডিএফবি
দেশের গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে যোগ্য জবাব দিতে তরুণসহ সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই শিক্ষাবিদ।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
মোড়েলগঞ্জে নৌকা প্রতীকের অফিসে অগ্নিসংযোগ
মোড়েলগঞ্জে নৌকা প্রতীকের অফিসে অগ্নিসংযোগবাগেরহাট-৪ আসনে (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের একটি নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার(৩১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের এই ঘটনা ঘটে।
দুষ্কৃতকারীরা ওই আগুন দিয়েছে বলে মনে করছেন প্রার্থী ও স্থানীয় প্রশাসন। তবে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে ৭ জানুয়ারি ভোট দিন: শেখ হাসিনা
নৌকার প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা তার নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আগুনে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা আগুন দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ খালিদ হোসেন জানান, ওই এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগুনের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
ফরিদপুর-৩ আসন: নৌকার দুটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনে নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগর প্রতীকের প্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৫টি হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নৌকা প্রতীকের দুইটি নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নিয়াজ জামান সজিব দাবি করেন, ফরিদপুর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের শোভারামপুর ও সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দয়ারামপুর এলাকায় গভীররাতে অগ্নিসংযোগ করে ক্যাম্পে থাকা চেয়ার, টেবিল ও পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-১ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা
এদিকে শুক্রবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ১নং কেন্দ্রের সদস্য সচিব এবং বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মী সিদ্দিক শেখ, আব্দুল আজিজকে মারধর করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সম্বনয়কারি সোয়েবুল ইসলাম অভিযোগ তুলে জানান, কোনো উস্কানি ছাড়াই নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোফাজ্জল হোসেন সকালের দিকে লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। এ সময় তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় ।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উভয় ঘটনাই পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও তার সহযোগীরা মানুষের মন জয় করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস ও হত্যার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের এটি জানা উচিত এবং তাদের সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত।’
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশব্যাপী পালিত বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। তারা বরং লুটপাট, অর্থপাচার ও জনসাধারণের টাকা লুটপাটের শাসন চায়।
তিনি বলেন, ‘তারা ভোটে আসতে চায় না কারণ তারা ভালো করেই জানে দেশের মানুষ অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী ও খুনিদের ভোট দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানে, তাই তারা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে এবং সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেটে জন্মায়নি। এই দল এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই দল বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। তারা (বিএনপি) এভাবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত বা দমন করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
অপরাধী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ও রেললাইনে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যারা রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত জনগণকে তাদের আটক করে ভাল শিক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এদেশে চলতে দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার মিত্ররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে অগ্নিসংযোগ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ভোট ও খাবারের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সংস্কৃতি এনেছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে নির্বাচিত করবে এবং কে সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে তাকাবে না এবং বাঙালিরা একাত্তরে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছিল সেভাবে আরও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
যারা অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট অপসারণের আশ্রয় নেয়, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে পরাজিত দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মারা এখন এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মানুষ হত্যা করছে এবং আরও হত্যার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব জায়গায় ফিশপ্লেট অপসারণ করা হয় সেখানে জনগণ এগিয়ে এলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।’
তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এসব মানুষ কেবল ধ্বংস করতে জানে, তারা তৈরি বা গড়তে জানে না। তারা মানুষকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের সময় অপরাধীদের হাতে নাতে ধরার জন্য সবাইকে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত ও মানুষ হত্যায় রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারে, খুনিরা গণতন্ত্র দিতে পারে না, দেশের মানুষকে তা বুঝতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি বলেই আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তিত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের স্বাধীন দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা শান্তিতে থাকবে এবং উন্নত জীবন পাবে। এটা আমাদের লক্ষ্য।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী তারানা হালিম প্রমুখ।
শহীদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও নুজহাত চৌধুরীর সন্তানেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
পাইকগাছায় জানালা দিয়ে এজলাস কক্ষে অগ্নিসংযোগ
খুলনার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এজলাস কক্ষে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরের কোনো এক সময় ওই কক্ষের ভাঙা জানালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আসামির কাঠগড়া ও আইনজীবীদের বসার চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৭টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
জানা যায়, বুধবার ভোরে আদালতের এজলাস কক্ষের জানালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় মুসল্লিরা আগুন জ্বলতে দেখে তাৎক্ষণিক আদালতে অবস্থানরতদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আদালত চত্বরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে অগ্নিসংযোগ করা হতে পারে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
২৪ ঘণ্টায় ৭টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মোট ৭টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং এর মধ্যে ঢাকায় ৫টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এ সময় ৬টি বাস ও একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকা শহর, আশুলিয়া ও ফেনী জেলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো ঘটেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট নিয়োজিত ছিল বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অবরোধ ও হরতাল চলাকালে ২৭০টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। যানবাহনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৬৮টি বাস, ৪৪টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ডভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল ও ২৭টি অন্যান্য পরিবহন।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টায় ১১ অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ১২টি যানবাহন: ফায়ার সার্ভিস
২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
অক্টোবরের শেষ থেকে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা অবরোধ ও হরতাল চলাকালে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বিরোধী দলগুলোর ডাকা সর্বশেষ সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিটের ১০ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গত দেড় মাসে অগ্নিসংযোগে ২৬৩টি গাড়ি ও ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাস ১৬২টি, ট্রাক ৪৪টি, কাভার্ডভ্যান ২৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি ও অন্যান্য ২৬টি যানবাহন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: র্যাবের ৪১৮ টহল দল মোতায়েন
অক্টোবরের শেষ থেকে হরতাল-অবরোধে ২৫৩টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
দিনাজপুরে মধ্যরাতে বাসে আগুন
দিনাজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এতে বাসটির বিভিন্ন অংশ পুড়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন বলেন, মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় টার্মিনালে পার্ক অবস্হায় বাসটির দরজা-জানালা বন্ধ করে বাইরে গিয়েছিলেন হেলপার। কিছু সময়ের মধ্যে বাসটিতে আগুন জলতে দেখতে পান টহল পুলিশের সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, ফারার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।
ফরিদ হোসেন বলেন, বাসটিতে আগুনের সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন তারা। তবে অবরোধ আহ্বানকারী কর্মীরা সুযোগ বুঝে বাসে আগুন দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমিজ আলম। জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।