কানাডা
৩৭তম ফোবানা সম্মেলন ১ সেপ্টেম্বর কানাডায় শুরু
ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকার (ফোবানা) ৩৭ তম সম্মেলন আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১- ৩ তারিখে কানাডার মন্ট্রিয়ল শহরে শেরাটন লাভাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনাতনে (ভিআইপি লাউঞ্জ) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফোবানা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান।
আতিকুর রহমান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা, সাবেক চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কবির কিরণ ও ২০২২’র লসএঞ্জেলেস ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারি সৈয়দ এম হোসেন বাবু, সংগীতশিল্পী ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব লস এঞ্জেলেসের প্রতিনিধি কাবেরী রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩৩তম ফোবানা সম্মেলন ৩০ আগস্ট নিউইয়র্কে শুরু
৩৭তম ফোবানা মন্ট্রিয়লের আহবায়ক সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত থেকে সাংবাদিকদের কনভেনশনের বিষয়াদি অবহিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বৃহত্তম বাংলাদেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফোবানা। এবার দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়ল ফোবানা সম্মেলনটি করতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনটির কনভেনার হচ্ছেন উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় সংগঠক মনিরুজ্জামান এবং মেম্বার সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান ও অভিজিৎ দে।
ফোবানার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ভাষাকে উত্তর আমেরিকায় বসবাসরাত বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উজ্জীবিত রাখা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এর প্রচার ও প্রসার করা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলন ও এক্সপো ২০২৩ (আইইএসই) ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি
মার্কিন নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র সম্মেলন ২৯-৩০ মার্চ
বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি সহযোগিতা চায় কানাডা: সফররত মন্ত্রী
কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষিখাতে, বিশেষ করে খাদ্য সঞ্চয় এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী হারজিত এস সজ্জন এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মুখপাত্র জানান, সফররত কানাডার মন্ত্রী কৃষি ও শিক্ষায় বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় গণভবনের ভিতরে একটি বড় কৃষি খামার গড়ে তোলার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেন কানাডার মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী কানাডার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। কানাডার বিনিয়োগকারীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: হৃদরোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার রপ্তানি করার জন্য কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দেয়।
বাংলাদেশ বৃহৎ জনসংখ্যার একটি ছোট দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার স্থানীয় জনগণকে খাওয়ানো এবং উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানি বা খাদ্যের জন্য অন্যান্য দেশকে সহায়তা করার জন্য এই ছোট অঞ্চলেই উল্লেখযোগ্য হারে উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফল হয়েছে, কারণ এদেশের বিজ্ঞানীরা অনেক উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় দেশের; বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক জমি পতিত ছিল। লবণাক্ত ও খরা সহনশীল জাতগুলোর বিকাশের ফলে এগুলো চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য তার সরকারের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে হাসিনা বলেন, সরকার তাদের সেচ, কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি প্রদান করে এবং অন্যান্য অনেক কর্মসূচির আওতায় তাদের সহায়তা করে।
তিনি বলেন, সরকার একটি মাইক্রো-সেভিং প্রোগ্রাম চালু করেছে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকরা তাদের অর্থ সঞ্চয় করতে পারে এবং এটি থেকে ঋণও নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সেচের ক্ষেত্রে, সরকার এখন প্রকৃতি সংরক্ষণের স্বার্থে ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ভূ-পৃষ্ঠের পানির ব্যবহারকে গুরুত্ব দেয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে তিনি নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে আরও বেশি এলাকা উন্নয়নে এবং কক্সবাজার থেকে আরও রোহিঙ্গাদের তাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য স্থানান্তর করতে কানাডার সহায়তা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপনের ব্যবস্থা করতে নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচর দ্বীপের উন্নয়ন করেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে কৃষি নিয়ে গবেষণা বাড়ান: বিজ্ঞানীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সেখানে উন্নত জীবনযাত্রার জন্য স্থান সম্প্রসারণ করা গেলে কক্সবাজার থেকে আরও বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা যেতে পারে, এ বিষয়ে দাতাদের সহায়তা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে কিছু রোহিঙ্গা মানব ও মাদক পাচার এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মতো বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পে নারীরা; বিশেষ করে শিশু ও কিশোরী মেয়েরা একটি অমানবিক পরিবেশে জীবনযাপন করছে। ভাসানচরে গেলে তারা সুষ্ঠু পরিবেশ পাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ মূলত অভিযোজন ও প্রশমনের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো স্থানীয় সমাধানের মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জীবন ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি কমানোর দিকে মনোনিবেশ করে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার সেন্টার, সাইক্লোন রেজিলিয়েন্ট হাউস এবং গ্রিনবেল্ট তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এবং বিদেশের বাজারে দক্ষ শ্রম রপ্তানি করে রেমিট্যান্সের বহিঃপ্রবাহ বাড়াতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তির বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
কানাডায় ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: একজনের মরদেহ ঢাকায় আসবে ২৪ ফেব্রুয়ারি
কানাডার টরন্টোতে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর একজনের মরদেহ ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পরিবারকে অবহিত ও আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোতে অবস্থিত হাইকমিশন ও কনস্যুলেটের সঙ্গে প্রয়োজনে অফিস সময়ের পরেও,এমনকি ছুটির দিনেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।
শনিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, কনস্যুলেট টরন্টোর দুটি ফিউনারেল হোমের (শেষকৃত্যের ঘর) সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কারণ তারাই তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ পরিবহনের জন্য ডেথ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবস্থা করছে।
নিহতদের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট হাসপাতাল ও শেষকৃত্যের ঘর থেকে ডেথ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করবে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টরন্টোতে সোমবার রাতে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
টরন্টোস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও হাইকমিশন নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহত শিক্ষার্থীর দ্রুত ও পূর্ণ আরোগ্য কামনা করেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারকে জানানো হয়, আহত শিক্ষার্থীর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তার উন্নতি হচ্ছে।
এদিকে নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোস্থ হাইকমিশন ও কনস্যুলেট নিহত শিক্ষার্থীদের মরদেহ পরিবহনে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
হাইকমিশনার প্রয়োজন হলে টরন্টোতে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজারদের এই প্রক্রিয়াটি সহজতর করার পাশাপাশি টরন্টোতে আসতে ইচ্ছুক পরিবারের সদস্যদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিটের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি ৩ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
কানাডার ডান্ডাস স্ট্রিট ওয়েস্টের ৪২৭ নম্বর মহাসড়কের দক্ষিণমুখী র্যাম্পে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে ও অপর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতের দুর্ঘটনা সম্পর্কে টুইট বার্তায় অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে থাকা চারজনকেই শনাক্ত করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে স্টাডি পারমিট নিয়ে টরন্টোতে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় ২০ বছর বয়সী এক নারী ও পুরুষ এবং ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়। চালকের আসনে থাকা আহত ২১ বছর বয়সীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণের সময় বরিশাল ক্যাডেট কলেজ শিক্ষার্থী নিহত
কানাডার সংবাদমাধ্যম সিবিসি বলেছে যে উক্ত চারজনের পরিবারকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে।
টরন্টো পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ওই এলাকায় ডাকা হয় এবং বলা হয় যে একটি গাড়ি উল্টে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যায়।
টরন্টো ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নেভাতে ও আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
প্যারামেডিকেল টিম বলেছে, দুজনকে ঘটনাস্থলে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং আরও দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ নিশ্চিত করে যে তৃতীয় ব্যক্তিও মারা গেছে।
সড়কটি খুলে দেয়া হলেও এ ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কেমব্রিজে বাংলাদেশি-আমেরিকান শিক্ষার্থী নিহত: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
কানাডা বাংলাদেশে পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে গতবছর পটাশিয়াম সার নিয়ে বিশ্বব্যাপী চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। আমরা বেলারুশ থেকে পটাশিয়াম সার কিনতে পারি নি। তখন সরকারের প্রচেষ্ঠায় কানাডা আমাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে ৫ লাখ টন পটাশিয়াম সার প্রদান করে। যার ফলে রবি মৌসুমে ও চলমান বোরো মৌসুমে সার সংকট দেখা দেয় নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের নেতৃত্বে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের (সিসিসি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, কানাডা প্রতিনিধিদলের সদস্য কানাডা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর এঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন, কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিম ডগলাস ও পরিচালক এন্টনি রিজক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ও বাণিজ্য সহজতর করতে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছেন।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
বৈঠকে কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল কানাডা থেকে ক্যানুলা আমদানির ক্ষেত্রে সয়াবিন ও পাম তেলের সমপরিমাণ আমদানিশুল্ক নির্ধারণের অনুরোধ জানান। বর্তমানে ক্যানুলা আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিশুল্ক সয়াবিন ও পাম তেলের দ্বিগুণ বলে তারা জানান।
এছাড়া, বাংলাদেশে ডাল রপ্তানি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি নেয়ার কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিখাতে যে বিশাল অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন, তা পৃথিবীতে বিরল। অর্থনীতিতে যত চাপই আসুক, কৃষি উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ে এমন কোন পদক্ষেপ নিবেন না প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য, প্রধানমন্ত্রী সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ ও কৃষির সার্বিক উন্নয়নে বিশাল অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ: কানাডার প্রকাশনা
কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’ অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এর আগে আইএমএফ প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ ও ভারত একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ, যা ৫০টি বৃহৎ অর্থনীতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আইএমএফ পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট ২০২২ সালের ২৯শে ডিসেম্বর 'দ্য টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এটি মোট দেশীয় পণ্যের (জিডিপি) পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলোকে তালিকাভুক্ত করেছে।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে তার সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিগত ১২/১৩ বছরে ৬ প্লাস জিডিপি প্রবৃদ্ধির কারণে।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কানাডার প্রকাশনা বাংলাদেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিবিদরা কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীনও দেশের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৮২৪ ডলার
ড. আতিউর বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে ২৮তম বৃহত্তম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এর অর্থনৈতিক পরিমাণ হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, দেশকে এখন দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, সুশাসন এবং স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার মোট বাজেটের প্রায় ১২ শতাংশ ব্যয় করেছে। যা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, র্যাপিড ম্যাস ট্রানজিট, কর্ণফুলী টানেল এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নসহ মেগা প্রকল্পে অবদান রেখেছে।’
ফলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে একটি অর্থনৈতিক বুম ঘটছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশি দেশ ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে চলে গেছে। এর আগে এটি ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল।
২০২২ সালে ৩ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন জিডিপি নিয়ে যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে পঞ্চম স্থান দখল করেছে ভারত।
তালিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও জার্মানি। বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির বাকি পাঁচটি দেশ হল- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া ও ইতালি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে দুটি বড় ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমত, বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বিশ্ব অর্থনীতির আকার ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১০১ দশমিক ৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ ২৪.৩৮% কমেছে: ইআরডি
এলএনজি আমদানি অব্যাহত থাকবে, আরও টার্মিনাল স্থাপন হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
কুখ্যাত ফরাসি সিরিয়াল কিলার নেপালের কারাগার থেকে মুক্ত
স্বীকৃত ফরাসি সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আমেরিকান এবং কানাডিয়ান পর্যটককে হত্যার দায়ে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ শেষে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
শোভরাজকে কাঠমান্ডুর সেন্ট্রাল জেল থেকে বের করে দেয়ার পর তার ভ্রমণ নথি প্রস্তুত করার জন্য ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরে একটি কঠোর প্রহরায় পুলিশ কনভয়ে তিনি অপেক্ষা করবেন।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছেন যে নেপালের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শোভরাজকে খারাপ স্বাস্থ্য, ভাল আচরণ এবং ইতোমধ্যে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ করায় তাকে মুক্তি দেয়া হবে। নেপালে যাবজ্জীবন সাজা ২০ বছর।
আদেশে আরও বলা হয়েছে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।
শোভরাজের অ্যাটর্নি গোপাল সিওয়াকোটি চিতান সাংবাদিকদের বলেছেন যে ভ্রমণ নথিগুলোর জন্য নেপালে ফরাসী দূতাবাসে অভিবাসন বিভাগকে অনুরোধ করতে হবে।
এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। বড়দিনের ছুটির জন্য সপ্তাহের শেষ দিকে অফিস বন্ধ থাকে।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে যে তিনি ইতোমধ্যে তার ৭৫ শতাংশেরও বেশি সাজা ভোগ করেছেন, যা তাকে মুক্তির যোগ্য করে তুলেছে। এছাড়াও তার হৃদরোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ফরাসি ব্যক্তি অতীতে বেশ কয়েকজন পশ্চিমা পর্যটককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি আফগানিস্তান ও ভারতে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করেছেন বলে মনে করা হয়।
১৯৭০ এর দশকে থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল, ইরান এবং হংকং ছাড়া নেপালে ২০০৪ সালে অভিযুক্ত হওয়ার পরে তিনি প্রথমবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।
শোভরাজকে চুরির সন্দেহে নয়াদিল্লির সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা বেষ্টিত তিহার কারাগারে দুই দশক ধরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৭ সালে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ফ্রান্সে নির্বাসিত করা হয়েছিল। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কাঠমান্ডুতে পুনরুত্থিত হন।
তার ডাকনাম দ্য সার্পেন্ট একজন ছদ্মবেশী এবং পালাবার কারিগর হিসাবে তার খ্যাতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যাই ‘সিরিয়াল কিলার’ মুন্নার নেশা
ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউক্রেন-রাশিয়ার বাজার বন্ধ থাকায় কানাডাসহ অন্য দেশ থেকে গম আনা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। গমের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গমের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এটা নিয়ে আমাদের এক বড় ব্যবসায়ী বললেন, তাদের একটি জাহাজ তুরস্কে আটকে ছিলো। সেটা রওনা হয়েছে। সেখানে ৫৫ হাজার টন গম রয়েছে। অর্থাৎ গমেরও সরবরাহ বা সাপ্লাই ঠিক হয়ে যাবে। তবে ইউক্রেন হলো আমাদের প্রধান সরবরাহকারী দেশ। সেখান থেকে আনতে পারলে গমের বাজার স্থিতিশীল হবে। তবে এখন দাম বেশি পড়লেও দেশের ঘাটতি মেটাতে কানাডা থেকে এনে আনার দেয়ার চেষ্টা করছি। অনেক ব্যবসায়ীরা কমিটমেন্ট করেছে তাদের যা প্রয়োজন তা আনতে পারবে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, যে পরিমাণ গম আমাদের আমদানির কথা ছিলো সেখানে একটু ঘাটতি দেখছি। ইউক্রেন রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে গম সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে আমাদের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে সমস্যার জন্য অন্য বাজার থেকে গম কেনা শুরু করেছে। যদিও দাম একটু বেশি পড়ছে। কানাডা থেকে আসছে তাদের মানও ভালো। এই বাজারটা যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না।
গত দুই তিন দিনে ডালের দাম প্রায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে আমাদের নির্ধারিত দামেই দিচ্ছি। ডালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সে কারণে হয়তো দাম কিছুটা বাড়তে পারে। ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে দেখবে তারা যে দামটা বাড়িয়েছেন সেটা যৌক্তিক কিনা সেটা তারা দেখবে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে সে প্রভাবটা এখানে এসে পড়েছে।
সভায় রড সিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,আমাদের আরও একটু ডিটেলে যেতে হবে। বিশ্ববাজারে দাম কমার ফলে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিলো ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সে সুবিধা পাচ্ছি না। এখন ডলারের দাম যদি কমে তাহলে আমরা ভোক্তাদের সে সুবিধা দিতে পারবো। খাদ্যের যে উৎপাদন সব মিলিয়ে খাদ্যের কোন সমস্যা হবে না। মানুষের মূল ফোকাস থাকে খাদ্যে। সেটা ঠিক থাকলে কোন সমস্যা হয় না। অন্যদিকে আপস করা যায় কিন্তু খাদ্যে আপস করা যায় না।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
আটলান্টিক কানাডা উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফিওনা
প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাস নিয়ে আটলান্টিক কানাডা উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফিওনা। শনিবার সকালে দেশটির পূর্বাভাসকারীরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।
শুক্রবার রাতে ফিওনা হারিকেন থেকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে।
যদিও আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও ফিওনার প্রভাবে এখনও হারিকেনের মত তীব্র বাতাস প্রবাহিত হতে, প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হতে ও সমুদ্রে বড় আকারের ঢেউ তৈরি হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় দুই লাখ সাত হাজার নোভা স্কোটিয়ার পাওয়ার গ্রাহক মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছেন।
দ্রুত ধাবমান ফিওনা শনিবার ভোরের আগে নোভা স্কটিয়ার মাটিতে আঘাত করবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে বারমুডা উপকূল পার হওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়টি আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে
কানাডিয়ান হারিকেন সেন্টার নোভা স্কটিয়া, প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড ও নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলীয় বিস্তৃতির জন্য একটি হারিকেন সতর্কতা জারি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলেছে, প্রবল বাতাসসহ শক্তিশালী ক্রান্তীয় সাইক্লোন হিসেবে ফিওনা এই অঞ্চলে আঘাত হানবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘এটি মারত্মক হতে যাচ্ছে।’
ট্রুডো নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী শুনুন এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।’
যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, শুক্রবার দিনশেষের দিকে ফিওনা ক্যাটাগরি ২ শক্তিতে ছিল। সেসময় এটি সর্বোচ্চ ১০৫ মাইল (১৬৫ কিমি) বেগে বাতাস বয়েছিল। এটি হ্যালিফ্যাক্স, নোভা স্কটিয়ার প্রায় ১৪০ মাইল (২২০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে কেন্দ্রীভূত ছিল। যা ৪৬ মাইল (৭৪ কিলোমিটার) বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে যাচ্ছিল। হারিকেন সৃষ্ট বাতাস কেন্দ্র থেকে ১৮৫ মাইল (২৯৫ কিলোমিটার) পর্যন্ত বাইরের দিকে প্রসারিত হয়েছিল এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় সৃষ্ট বায়ু ৩৪৫ মাইল (৫৫৫ কিলোমিটার) পর্যন্ত বাইরের দিকে প্রসারিত হয়েছিল।
নোভা স্কটিয়ার ডার্টমাউথের কানাডিয়ান হারিকেন সেন্টারের আবহাওয়াবিদ ইয়ান হাবার্ড বলেন, ‘এটি অবশ্যই আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি হতে চলেছে।’
হাবার্ড বলেছেন, ঝড়টি শীতল জলের ওপর দিয়ে যাওয়ার কারণে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং হারিকেনের শক্তি নিয়ে এটি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
সিবিএএ গঠনে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য জনসম্পৃক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতির একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কানাডা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএএ) গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিবিএএ এর নির্বাহী পরিষদের (এক্সকো) সভাপতি খোরশেদ খাস্তগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সিবিএএ-এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) তৌফিক হাসান, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়) এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সিবিএএর সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এজাজ মোহাম্মদ, এক্সকো সদস্য কাজী মঈনুর রহমান এবং এহতেশাম জিলহান বিন সেলিম।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাক্ষাতে সিবিএএ এক্সকো প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার পূর্ববর্তী হাইকমিশনার বেনোইট প্রেফন্টেইন ২০১৯ সালে সিবিএএ প্রতিষ্ঠাকালে এর পূর্ণ সমর্থন জানান এবং তাঁর সাথে সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ, নরওয়েজিয়ান ন্যাশনাল ও গ্রামীণ ফোনের সাবেক সিইও মাইকেল ফোলি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীর।
প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আরও জানায়, সম্প্রতি সিবিএএ কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ২৮ ধারার অধীনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পর রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (আরজেএসসি) কর্তৃক নিবন্ধিত হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও কানাডার হাইকমিশনাররা প্রয়োজনমত নির্দেশনা প্রদান করে এক্সকোর সম্মানিত কো-চেয়ার হিসেবে কাজ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ডিজি (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) কে সিবিএএ এর সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন যাতে এই ধরনের একটি পূর্ণ সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্মের জন্য পারস্পরিক যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে এক্সকো প্রতিনিধিদল পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশের সিনিয়র সচিব (বাণিজ্য) তপন কান্তি ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য আলোচনা করেন। সিবিএএ এক্সকোর অনারারি কো-চেয়ার হাইকমিশনার নিকোলস ও সিবিএএ গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরজেএসসির সাথে সিবিএএকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এক্সকো প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়ে তপন ঘোষ সিবিএএ এর সাথে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাছাড়া এ প্লাটফর্মের কার্যকর ব্যবহারে সব ধরনের সমর্থনের আশ্বাস দেন যাতে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।
সিবিএএ কানাডাকে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য পছন্দের গন্তব্য হিসেবে আরও বেশি প্রচার করার লক্ষ্যে একটি শেয়ার্ড কমিউনিটি তৈরি করতে মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য আরও বেশি লোককে উৎসাহিত করতে চায়।
সিবিএএ এক্সকো প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় অবস্থানরত কানাডার হাইকমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ইনকর্পোরেশন চলাকালীন সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানায়। বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উচ্চ আশাবাদ ও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল