কানাডা
জনপরিসরে নামাজসহ ধর্মীয় আচারানুষ্ঠান নিষিদ্ধ হচ্ছে কানাডার কুইবেকে
কানাডার কুইবেক প্রদেশে জনসমক্ষে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে আরও কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে প্রাদেশিক সরকার। নতুন এই আইনের সমালোচনা করে অনেকে একে ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। এই নীতি, বিশেষ করে, মুসলমানদের ধর্ম পালনের ওপর বড় পরিসরে প্রভাব ফেলবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ক্ষমতাসীন শাসক জোট অ্যাভেনির কুইবেক জনপরিসরে ধর্ম পালনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাদের উত্থাপিত বিল ৯ অনুসারে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রার্থনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সড়ক ও পার্কের মতো জনসমাগমস্থলও এই নিষিদ্ধ স্থানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এই বিধিনিষেধ অমান্য করলে ১ হাজার ১২৫ কানাডিয়ান ডলার বা প্রায় ৯৮ হাজার ২৮৫ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে, পূর্বানুমোদিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের জনসমাবেশ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে রাজ্য সরকার ২০১৯ সালে বিল ২১ নামে একটি বিল পাস করে, যা সে সময় বিতর্কের জন্ম দেয়। ওই বিলে কর্মক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের ধর্মীয় প্রতীক পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়। সেই বিধিনিষেধের পরিধি এখন ডে–কেয়ার সেন্টার, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ওপরও সম্প্রসারিত করতে চায় শাসক দল। নতুন বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসহ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ হিজাব পরে বা মুখ ঢেকে আসতে পারবে না।
কুইবেকের ধর্মনিরপেক্ষতা-বিষয়ক মন্ত্রী জঁ-ফ্রাঁসোয়া রোবের্জ বলেন, নতুন এই বিধানগুলো বিতর্কিত হলেও প্রদেশকে সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে নিয়ে যাওয়ার সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মন্দির, গির্জা বা ঐ ধরনের জায়গা নয়।’
গত রবিবার নটর-ডেম ব্যাসিলিকার বাইরে ‘মন্ট্রিয়াল৪প্যালেস্টাইন’ নামের একটি সংগঠন বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর সেখানে প্রার্থনা করার পরই মূলত জনসমক্ষে প্রার্থনা নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্তটি আসে।
৫ দিন আগে
কানাডায় ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের, অনিশ্চয়তায় ইউএসএমসিএ চুক্তি
কানাডার পণ্যে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর অতিরিক্ত ১৫ বা ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এতে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) নতুন করে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নেকে লেখা চিঠি আপলোড দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী ১ আগস্ট থেকে এই শুল্কহার বাস্তবায়িত হবে।’ কানাডা পাল্টা পদক্ষেপ নিলে শুল্ক হার আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
চলতি বছর মার্চে ট্রাম্প কানাডা থেকে আমদানি করা গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এরপর জুনে তিনি কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেন। এবার তিনি জানালেন, এই শুল্কহার অন্যান্য কানাডিয়ান পণ্যের ওপরও কার্যকর হতে পারে।
এর আগে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক্সে লিখেছিলেন, ‘আমরা আমাদের শ্রমিক ও ব্যবসার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অটল থাকব।’ তবে, নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর চলমান আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা
২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নাফটা বাতিল করে এই নতুন ইউএসএমসিএ চুক্তি চালু করা হয়। বর্তমানে, কানাডা ও মেক্সিকো তিন দেশের চুক্তি স্থিতিশীল করতে নতুন করে সমঝোতার পথ খুঁজছে।
চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী দেশের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যদিও কানাডার জ্বালানি রপ্তানিতে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এই দুই দেশ অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
যদিও ইউএসএমসিএ’র আওতায় কিছু পণ্য এখনও শুল্কমুক্ত থাকছে। গত ৬ মে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও কার্নির মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কার্নি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর প্রস্তাবিত ডিজিটাল সার্ভিস কর প্রত্যাহার করেন।
তবে, ট্রাম্প ক্রমেই বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করছেন। তিনি সম্প্রতি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘সরাসরিই বলি, বাকি দেশগুলোকে এখন থেকে ১৫ বা ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।’
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে গড়িয়েছে। দেশটির একটি ফেডারেল আদালত এরই মধ্যে রায় দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। এই আপিলের শুনানি আগামি ৩১ জুলাই ওয়াশিংটনের আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪৬ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগে ‘নতুন সহযোগিতা’ প্রত্যাশা চীন ও কানাডার
চীন ও কানাডা বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের কাছে ‘ব্যাপক সহযোগিতা’ প্রত্যাশা করেছে। একই সঙ্গে দেশগুলো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠককালে চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একথা জানান।
শুক্রবার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩২তম এআরএফ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠককালে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার উদ্যোগে চীনের পূর্ণ সমর্থনের কথঅ জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া চিকিৎসা পর্যটন এবং পানি ব্যবস্থাপনার মতো অনেক অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে চীনের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের কথা স্মরণ করে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে টেক্সটাইল, জ্বালানি, হালকা প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পড়ুন: শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে চীনের দেওয়া রাজনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকটের জরুরি ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এই বিষয়ে চীনের সমর্থন কামনা করেন।
জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
পরে বিকালে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং সহনশীলতা তৈরির মাধ্যমে এটি বাড়ানোর বিষয় প্রাধান্য পায়।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কানাডার সমর্থন দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফরহাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পড়ুন: সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ঢাকা–ইসলামাবাদের সঙ্গে কাজ করছে বেইজিং: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১৪৭ দিন আগে
কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ‘অন্যায় কর’ আরোপের অভিযোগ এনে কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডার নতুন এই ডিজিটাল করকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সরাসরি ও প্রকাশ্য আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে ট্রাম্প ব্যক্তিগত সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে বলেন, ‘কানাডা খুবই কঠিন এক বাণিজ্যিক অংশীদার। এখন দেশটি আমাদের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ডিজিটাল কর বসাচ্ছে। এটি আমাদের দেশের ওপর সরাসরি ও স্পষ্ট আক্রমণ।’
তিনি বলেন, ‘তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইউ) পথ অনুসরণ করছে। ইউ একই কাজ করেছিল এবং বর্তমানে তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। এই অনৈতিক করের কারণে, আমরা কানাডার সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য আলোচনা এখনই বাতিল করছি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে তাদের কী পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে কানাডাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ খনিজ সরবরাহ নিয়ে সফল চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরেই দেশটির শেয়ার বাজারে ব্যপক উন্নতি দেখা গেছে। এর মাঝেই ট্রাম্পের কানাডা বিষয়ক ঘোষণাটি এল।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বে আদেশ কার্যকর হচ্ছে
এর আগে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি চলতি মাসে অ্যালবার্টায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছিলেন, ‘আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা এগিয়ে নিতে দুই দেশই সম্মত হয়েছে।’
তবে আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া কানাডার নতুন ডিজিটাল সার্ভিসেস ট্যাক্স নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি থমকে গেছে। এতে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট, অ্যামাজন, মেটাসহ মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের বছরে আনুমানিক ৩০০ কোটি ডলার গুনতে হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে উত্তর আমেরিকার দুই বড় অর্থনীতি ও অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী বা অংশীদারের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হলো বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১৫৯ দিন আগে
কানাডা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে গণভোটের প্রস্তাব আলবার্টার প্রধানমন্ত্রীর
পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষের সম্মতি পেলে কানাডা থেকে আলাদা হতে আগামী বছর একটি গণভোটের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ আলবার্টার প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল স্মিথ।
সোমবার (৫ মে) সরাসরি সম্প্রচার হওয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘প্রদেশটি কানাডা থেকে বিছিন্ন হয়ে যাক, আমি ব্যক্তিগতভাবে তা চাচ্ছি না।’ এ সময়ে ঐক্যবদ্ধ কানাডার মধ্যে একটি শক্তিশালী ও সার্বভৌম আলবার্টা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ড্যানিয়েল স্মিথ বলেন, ‘গত এক দশকে আমাদের প্রদেশের ওপর অটোয়া যেভাবে চেপে বসেছে, সেটা চলতে থাকবে কিনা; আলবার্টার জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’
আরও পড়ুন: কানাডার নির্বাচনে জয় পেল প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসার এক সপ্তাহ পর ড্যানিয়েল স্মিথের এমন ঘোষণা এসেছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতির ওপর ক্রমাগত শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একান্নতম অঙ্গরাজ্য হিসেবে একীভূত করতে চাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মার্ক কার্নির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
একটি প্রাদেশিক গণভোটের জন্য আবেদনকারীদের যেসব শর্ত পূরণ করতে হতো, সেই বাধা কমিয়ে আনতে একটি আইন প্রণয়ন করেছে আলবার্টার ক্ষমতাসীল দল ইউনাইটেড কনজারভেটিভ। তবে আইনটি এখনো পার্লামেন্টে পাস হয়নি।
আইনটি পাস হয়ে গেলে নাগরিকদের নেওয়া উদ্যোগে গণভোটের নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি গণভোটের জন্য ১০ শতাংশ ভোটারের সই লাগবে, আগে যেটা ছিল ২০ শতাংশ।
এছাড়া আবেদনে এক লাখ ৭৭ হাজার ভোটারের সইয়ের জন্য আগে যেখানে ৯০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সেটা বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
আলবার্টার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ সুবিধা কিংবা সহায়তা চাচ্ছি না, বরং উন্নয়ন এগিয়ে নিতে আলাদা হতে চাচ্ছি, যাতে আমাদের বিপুল সম্পদ আমরা রফতানি করতে পারি।’
‘জনগণকে কীভাবে আমরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সামাজিক সুবিধা দেব, আমরা সেটা বেছে নেওয়ার জন্য স্বাধীনতা চাই; এমনকি সেটা যদি অটোয়ার পরিকল্পনার তুলনায় ভিন্নভাবেও করা হয়,’ বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব নীতির কারণে আলবার্টার লোকজন ক্ষুব্ধ, সেগুলোর অবসানে একটি আলোচক টিম গঠন করবেন বলেও জানিয়েছেন ড্যানিয়েল স্মিথ। আলবার্টাবাসীর কষ্ট ও আইডিয়ার কথা শুনতে ধারাবাহিকভাবে একটি প্যানেল আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এডমন্টনের ম্যাকইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জন সরোসকি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা যে একেবারে বিচ্ছিন্নতার দিকে যাবে, তা আমি বলতে পারছি না। তাদের অভাব-অনুযোগ গুরুতর। কিন্তু বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা একেবারে অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: মরক্কো ছেড়ে কানাডায় যাওয়া রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
এরআগে ১৯৮০ ও ১৯৯৫ সালে কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যেতে গণভোটের আয়োজন করে ফরাসিভাষী প্রদেশ কুইবেক। কিন্তু দুবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে।
এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘আমি মনে করি না, স্মিথ বিচ্ছিন্নতা চাচ্ছেন। যেহেতু আলবার্টার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ আছে, সেই ভাবনা থেকে কানাডার কাছ থেকে কিছু সুবিধা আদায় করতে চাচ্ছেন তারা।’
২১২ দিন আগে
শত বছরের পুরনো লাইব্রেরিতে ‘লক্ষণরেখা’ টানলেন ট্রাম্প
পৃথিবীর নানা দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব অতি পরিচিত দৃশ্য। দেশগুলো যখন ভাগাভাগি আর নিজ ভূখণ্ড বুঝে নিতে মরিয়া, সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভিন্ন বার্তা দিত হ্যাসকেল ফ্রি লাইব্রেরি অ্যান্ড অপেরা হাউস। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্তে অবস্থিত এই লাইব্রেরিতে বসে যেকোনো সময় যেকোনো দেশে বসে বই পড়া যায়—এমনকি দেখা যায় থিয়েটারও।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এরই ধারাবাহিকতায় অনন্য এই লাইব্রেরিটিও হারাতে বসেছে গৌরব। এতদিন অবাধে লাইব্রেরির এক অংশ থেকে আরেক অংশ চলাফেরা করা গেলেও এবার কানাডার নাগরিকদের জন্য ‘লক্ষণরেখা’ টানলেন ট্রাম্প। শতবছরের পুরোনো হ্যাসকেল ফ্রি লাইব্রেরিতে কানাডার নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রীতি এক যৌথ বিবৃতিতে কিউবেক প্রদেশের সীমান্তবর্তী স্ট্যানস্টেড শহর কর্তৃপক্ষ ও হ্যাসকেল ফ্রি লাইব্রেরি অ্যান্ড অপেরা হাউস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ভবনটিতে কানাডীয়দের প্রবেশ বন্ধের একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারমেন্টের ডার্বিলাইন গ্রাম ও কানাডার কুইবেকের স্ট্যানস্টেড শহরের সীমান্তে অবস্থিত এই হ্যাসকেল ফ্রি লাইব্রেরি অ্যান্ড অপেরা হাউস। ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের এই ভবনটি বিশ শতকের শুরুর দিকে তৈরি করা হয়েছিল। এই ভবনের রয়েছে দুটি পৃথক ঠিকানা। একটি কানাডার, অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ঢোকার পথ কেবল যুক্তরাষ্ট্রে।
এতদিন অনানুষ্ঠানিক একটি চু্ক্তির মাধ্যমে পাসপোর্ট ছাড়াই লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতেন কানাডীয় নাগরিকরা। কানাডীয়রা হেঁটে সীমান্ত পার করে প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়ে ভবনটিতে প্রবেশ করতেন। দুই দেশের সীমান্তকে আলাদা করতে লাইব্রেরির ভিতর একটি রেখা টানা আছে। তবে স্বাধীনভাবেই এই লাইন পার করে এখানে বই পড়তেন অনেকে।
তবে গত মঙ্গলবার থেকে কেবল কার্ডধারী ও লাইব্রেরির কর্মীরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যদের কানাডা অংশের বের হওয়ার জরুরি পথ ব্যবহার করতে হবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে কানাডার সব নাগরিককেই কানাডার অংশ দিয়েই প্রবেশ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত দেশদুটির আন্তঃসীমান্ত সহায়তা ও সম্প্রীতি নষ্ট করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সীমান্তবর্তী ডার্বি লাইন অঞ্চলটির বাসিন্দা আলিসন হওয়েল বলেন, ‘এই লাইব্রেরিটি তার কাছে কেবল বই দেওয়া নেওয়ার জায়গা নয়, শত বছর ধরে এখানে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটেছে। তবে আলিসনের মতো অনেকেরই আশঙ্কা, ট্রাম্পের নতুন নীতির কারণে এই সম্প্রীতি নষ্ট হতে চলেছে।’
আলিসন বলেছেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের সম্পর্কে গভীর বিভেদ সৃষ্টির পথ আরও সহজ করে তুলবে।’
ডারবি লাইন গ্রামে মাত্র ৭০০ মানুষ বসবাস করেন, অন্যদিকে স্ট্যানস্টেডে ৩ হাজার লোকের বাস। অন্যান্য দেশের সীমান্তগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি পরস্পর সংযুক্ত। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নানা নীতির ফলে এই সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়েছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পরই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার ইচ্ছে পোষণ করেন ট্রাম্প। পরে কানাডার পণ্যে অতিরিক্ত কর আরোপ করেন, জবাবে কানাডাও পাল্টা শুল্কারোপ করে।
এরপরেই সীমান্তে থাকা লাইব্রেরিতে কানাডীয়দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিল ট্রাম্প প্রশাসন, কঠোর করেছেন সীমান্ত সুরক্ষাও। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা, যাদের জীবন প্রণালী নানাভাবে পরস্পরের সঙ্গে জড়িত।
ভারমাউন্টের নিউপোর্টের মেয়র রিক উফোর্ড চেজ বলেন, ‘আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য এই লাইব্রেরিটি একটি শক্তিশালী প্রতীক। রাজনৈকিতভাবে খাতা-কলমে সীমান্তের অস্তিত্ব থাকলেও এখানকার বাসিন্দাদের জন্য বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।’
সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সংহতি প্রদর্শনের জন্যই দুই দেশের সীমান্তে এই লাইব্রেরিটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতির ফলে সেই লক্ষ্য লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মনে করছেন লাইব্রেরির পাশের দুই এলাকার বাসিন্দারা।
কুইবেকের বাসিন্দা বুদ্রো বলেন, ‘দুই দেশ, দুই সম্প্রদায়কে এক করার জায়গা এটি। এখানে আমরা সবাই বন্ধু, পরিবার। আমরা একসঙ্গে বাস করি এখানে।’
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার কারণে কানাডা অংশে নতুন একটি প্রবেশদ্বার নির্মাণে প্রায় ১ লাখ ডলার খরচ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটির কোনো প্রয়োজন ছিল না। বরাবরই যু্ক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশদ্বারটিই সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা গেলে বেশ ভালো হতো।’
২১৭ দিন আগে
মরক্কো ছেড়ে কানাডায় যাওয়া রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
মরক্কোতে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে না ফিরে কানাডায় গিয়ে সেখান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা ও বিগত সরকারের সাফাই গাওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের জেরে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর মরক্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এ সত্ত্বেও তিনি স্বপদে বহাল থেকে এ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। এরপর গত ৬ মার্চ তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ হারুন ফেসবুকে ‘A Plea for Bangladesh-and for Myself Subject: Bangladesh’s Descent into Anarchy under Yunus-The World’s Silence is painful’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি পূর্ববর্তী ‘নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের’ গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন করে ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এরূপ রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।”
“বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ও মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তার এবং তার পরিবারের (সদস্যদের) পাসপোর্ট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না জানিয়ে ভবিষ্যতেও যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
২৬৫ দিন আগে
ট্রাম্পের মোকাবিলায় কানাডা কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিচ্ছে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ মোকাবিলায় কানাডায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নিকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রবিবার ( ৯ মার্চ) ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতৃত্ব বাছাইয়ের ভোটে জয়ী হয়ে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫৯ বছর বয়সী সাবেক এই ব্যাংকারের।
এর আগে চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয়প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর, ঘোষণা ট্রাম্পের
কানাডায় খাদ্য ও বাসস্থানের মূল্যবৃদ্ধি, অভিবাসন বেড়ে যাওয়ায় ট্রুডোর ওপর পদত্যাগের চাপ দিতে থাকে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা। নিজ দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। নানামুখী চাপের কারণে আগামী অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জানুয়ারিতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার কথা জানান ট্রাম্প। এ ছাড়াও কানাডার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি, যা গত সপ্তাহে কার্যকর হয়েছে।
কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ট্রাম্প মারাত্বক আঘাত হেনেছে বলে মনে করেন কানাডীয়রা। এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন উত্তর আমেরিকার দেশটির নাগরিকরা। তারা আমেরিকাতে ভ্রমন, এমনকি প্রতিবেশী দেশটির পণ্য কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন।এমন পরিস্থিতিতে বহুদিন ধরে চলা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কানাডাবাসী বর্তমানে এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চান, যিনি আমেরিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পরিবর্তে ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
তবে এসবের মধ্যেও জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। রবিবার লেবার পার্টি কাকে ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন; তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে মার্ক কার্নির নাম।
কে এই মার্ক কার্নি?
কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ইংল্যন্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সফলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবিলা করেছেন।
কানাডাতে ব্যাংক সুদের হার সর্বনিম্ন ১ শতাংশে নামিয়ে এনে ঋণ দেওয়া অব্যাহত রেখে বাজারে অর্থের প্রবাহ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মার্ক কার্নি, এ কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি যে কেবল ঋণ সম্পর্কে একটি ভালো নীতি তৈরি করেছিলেন, তাই নয়; জনগণের কাছে এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন যা সবার বোধগম্য হয়। তিনিই প্রথম কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান যিনি সুদের হারকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এত কম রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ অনুসরণ করেছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের পিটিশনে সই
জানুয়ারিতে কার্নিকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর থেকেই মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে একের পর এক সমর্থন পেয়ে চলেছেন তিনি।
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় কার্নির একক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিষয় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নেলসন ওয়াইজম্যান। তার ভাষ্যে, প্রথমত, ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (অন্য প্রার্থী) ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় ফ্রিল্যান্ডও পিছিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সংসদে থাকা লিবারেল সদস্যদের সমর্থন আদায়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি অন্যতম একটি বিষয়, কার্নির পেশাগত অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা দেন ওয়াইজম্যানে।
লিবারেল পার্টির যেসব নেতারা সংসদে নিজেদের পদ হারানোর ভয়ে ছিলেন এবং যারা মনে করেন ফ্রিল্যান্ডের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম; তারা কার্নিকে সমর্থন দিয়েছেন বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বিল্যান্ড মনে করেন, ট্রাম্প যেভাবে কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন, এরকম সংবেদনশীল একটি মুহূর্তে কার্নির শান্ত স্বভাব ও অসাধারণ পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত অনেক কানাডিয়ানকে আশ্বস্ত করেছে।’
কার্নির এই শান্ত স্বভাব কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রের সম্পূর্ণ বিপরীত বলে মনে করেন তিনি। বিল্যান্ডের মতে, পলিয়েব্র একদম পুরোদস্তুর একজন রাজনীতিবিদ। তিনিও ট্রাম্পের মতো জনপ্রিয়তাবাদী বক্তব্য দেন।
ট্রাম্পের শুল্কারোপের ফলে কানাডার অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব রুখে দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করে দেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে এমন এক সরকারপ্রধান চান কানাডার নাগরিকরা। কানাডার নির্বাচন উত্তর আমেরিকার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হয়ে উঠছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৭১ দিন আগে
মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের পিটিশনে সই
মার্কিন ধনকুবের ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিল করতে একটি পিটিশনে সই করেছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে দেশটির স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে। একারণে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত মাস্কের জন্মসূত্রে পাওয়া কানাডার নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে এই পিটিশনে সই করেছেন দেশটির নাগরিকরা।
দ্য কানাডিয়ান প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেখক কোয়ালিয়া রিড এই পিটিশনটি কানাডার হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করেন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি ও মাস্কের সমালোচক চার্লি অ্যাঙ্গাসের অর্থায়নে এই পিটিশনটি হয়েছে।’
ট্রাম্পঘনিষ্ঠ মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি টেসলা, স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর প্রধান। মায়ের সূত্রে কানাডার নাগরিক মাস্ক। কানাডার সাসকাচোওয়ান প্রদেশের রাজধানী রেজিনা তার মায়ের জন্মস্থান।
আরও পড়ুন: কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থে’ ৫১তম অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প: ট্রুডো
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাস্ককে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা রিডের পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক ‘ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে কানাডার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত’ হয়েছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কানাডার পণ্যে উচ্চ শুল্কারোপ করেন। এছাড়াও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার হুমকি দেন। এতে কানাডার জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
পিটিশনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া মানে মাস্ক এমন এক ‘বিদেশি সরকারের সদস্য, যারা কানাডার সার্বভৌমত্ব মুছে ফেলতে চায়।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে মাস্কের নাগরিকত্ব অবিলম্বে বাতিল করার এবং তার কানাডীয় পাসপোর্ট প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে পিটিশনে। ট্রাম্প আগেও ট্রুডোকে ব্যঙ্গ করে ‘গভর্নর’ বলেছেন। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রধান নির্বাহীদের গর্ভনর বলা হয়।
গেল জানুয়ারিতে কানাডার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো, এই ঘোষণার পর মাস্ক এক্সে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানিয়েছে, সাধারণত এ ধরনের পিটিশনটি স্বীকৃতি পেতে কমপক্ষে ৫০০ স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। তাহলে সেটি হাউস অব কমন্সে উপস্থাপন করা যায় এবং সরকারিভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
রিডের পিটিশন সহজেই এই শর্ত পূরণ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, রোববার রাত পর্যন্ত পিটিশনে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার স্বাক্ষর পড়েছে এবং ক্রমেই স্বাক্ষরের সংখ্যা বাড়ছে। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।
কানাডার হাইস অব কমন্সের কার্যক্রম আগামী ২৪ মার্চ পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পার্লামেন্টের সদস্যদের ফিরে আসার আগেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৮৩ দিন আগে
বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যে ‘ফিপা’ ব্যবসায়িক আস্থা বাড়াতে পারে: মন্ত্রী হুসেন
কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন এগ্রিমেন্ট (ফিপা) সই করা হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন।
দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে এফআইপিএ নিয়ে কারিগরি আলোচনা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছে কানাডা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কানাডার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী হুসেন বলেছেন, ‘এফআইপিএ সই হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত বোধ করবে। তারা এটিকে একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখবে।’
এসময় ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা কানাডাকে বাংলাদেশের যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে তাদের উৎপাদন কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর এবং দেশটিকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে কানাডার মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডার মন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের যেকোনো বৈধ শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবেন এবং সম্প্রতি কানাডা যেসব শিক্ষার্থীর স্টাডি পারমিটের সংখ্যা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। আমরা ভিসা সীমিত করেছি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন কিছু নেই। বাংলাদেশের যেকোনো বৈধ শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাই।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আবারও কানাডার সহায়তা কামনা করেন।
তিনি বলেন, 'বেগম পাড়া বলে পরিচিত একটি পুরো এলাকা আছে, যেখানে দুর্নীতিবাজদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছে। দুর্নীতি রোধে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি, কারণ দুর্নীতি সর্বত্র।’
বাংলাদেশকে কানাডা সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কানাডায় জনগণের অর্থ লুটপাট করে দুর্নীতি চাই না।’
সাক্ষাৎকালে কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের আশা ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য আপনার ও আপনার সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ও কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা নিয়েও আলোচনা করেন।
২৯৭ দিন আগে