মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে এএসআই ক্লোজড
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার অভিযুক্ত এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শাকিল ফরাজী (২৬) গজারিয়া উপজেলার মধ্য বাউশিয়া গ্রামের এমদাদুল হক ফরাজীর ছেলে।
অভিযুক্ত সুমন মিয়া গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এএসআই)।
আরও পড়ুন: নড়াইলে চাঁদাবাজির মামলায় সাংবাদিক দাবি করা ৩ জন গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী শাকিল ফরাজী জানান, মধ্য বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ডে খাজা আজমেরী ভ্যারাইটিজ স্টোর তার নামে একটি দোকান আছে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি গজারিয়া থানার এএসআই সুমনের মাধ্যমে জানতে পারেন তার নামে নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে।
বিষয়টির প্রতিবাদ করে তিনি এএসআই কে জানান, গত কয়েক মাসের ভেতরেও তিনি বন্দর যাননি।
এ সম্পর্কিত কাগজপত্র দেখতে চাইলেও অপারগতা পোষণ করেন এএসআই ।
এরপর সোমবার সকাল ৯টার দিকে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারে শাকিল ফরাজীকে দোকান থেকে তুলে নেন অভিযুক্ত এএসআই । এসময় গাড়িতে তারা ছাড়াও আরও তিনজন ছিলেন।
চালক গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চর বাউশিয়া এলাকার এক নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়েই একটি পিস্তল দেখিয়ে তাকে দুই লাখ টাকা দিতে বলেন এএসআই ।
তার দাবিকৃত টাকা না দিলে মাদক মামলার আসামি হিসেবে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ সময় শাকিল ফরাজী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে ভুক্তভোগীকে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করে। এরমধ্যে লোকজনের ভিড় পরে যায়। তারা ব্যবসায়ীকে নির্জন স্থানে নিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত। স্থানীয়রা অভিযুক্ত এএসআইকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই সুমন জানান, ‘তার এক বন্ধু নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় কর্মরত। সেখানে শাকিলের নামে একটি মাদক মামলা হয়েছে। সেই বন্ধু গজারিয়া থানায় আসে এবং বিষয়টি নিয়ে তারা নিরিবিলি কথা বলার জন্য শাকিলকে ওই বাগানে নিয়ে যায়।’
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে এএসআই সুমনকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: ঢাবির ২ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
মুন্সিগঞ্জে নজিরবিহীন পুলিশ মোতায়েন
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে মুন্সীগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
সড়ক পথে ৪০টিসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথসহ গুরুত্বপূর্ণ ৮৪টি স্থানে পুলিশিং চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। যান চলাচল কমে গেছে।
নাশকতার আশঙ্কায় অনেকেই গাড়ি বের করছে না। লোকজনের চলাচলও কমে গেছে।
গণপরিবহন না পেয়ে যাত্রীরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিরাজ করছে আতঙ্ক।
পুলিশ বলছে, জনসাধারণের জানমাল রক্ষার জন্যই তারা তৎপর। দু’একটি মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ঢাকামুখী যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ তল্লাশি শুরু করলেও শুক্রবার তা আরও জোরদার করা হয়।
পুলিশ জানায়, কোন প্রকার অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গজারিয়া উপজেলার জামালদী, ভাটেরচর, আনারপুরা, ভবেরচর, দঁড়িবাউশিয়া, মধ্যম বাউশিয়া, পাখির মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশের মোবাইল টিম, অভিযানিক টিম, স্টাইকিং ফোর্স ও নৌপুলিশের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে দিনভর পদ্মা সেতু টোল প্লাজা থেকে ঢাকামুখী কুচিয়ামোড়া সেতুর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহল দেখা যায়।
শ্রীনগরের ছনবাড়ি মোড়, মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনে তল্লাশির চিত্র দেখা যায়।
পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন বলেন, মহান বিজয় দিবস ও ৩১ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে ৬ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও নৌপথসহ ৩২ জেলার প্রবেশ দ্বার মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে ৮৪ টি পুলিশিং চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে চলছে বাস ধর্মঘট
মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে ৪ বছর পর ফেরি চালু
মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া রুটে চার বছর পর বহু প্রতিক্ষীত ফেরি চলাচল উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ফেরি চলাচল উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
এর ফলে গজারিয়া উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হলো। এতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েরও দূরত্ব কমবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দর এলাকায় সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ দু’টি এলপিজি প্লান্টের কার্যক্রম ঝুঁকিতে ফেলবে
বেলা ১২ টায় ফেরি 'স্বর্ণ চাপা' গজারিয়ার কাজীপুরা ঘাট থেকে রওয়ানা দিয়ে ২০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের চরকিশোরীগঞ্জ প্রান্তে পৌছায়। প্রথম ট্রিপে ফেরিতে চারটি যান পারপার করা হয়।
এর আগে মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া মেঘনায় এই ফেরি সার্ভিস ২০১৮ সালের ৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রশাসন) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, যানবাহনের চাপ বাড়লে পর্যায়ক্রমে ফেরিও বাড়ানো হবে।
এই রুট চালু হওয়ার ফলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব কমবে।
রাত দিন ২৪ ঘন্টা সব ধরনের যানবাহন পারাপার করা হবে। দেড় কিলোমিটারের দূরত্বের এই ফেরি রুটে এখন তিনটি ফেরি চলবে।
এতে গজারিয়ার সঙ্গে দূরত্ব কমবে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রশাসন) মো. রাশেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল আবেদিন, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পদ্মার ভাঙনে গোয়ালন্দে ফেরি চলাচল ব্যাহত
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
মুন্সিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক সেনা কর্মকর্তার ছেলের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার লস্করপুর নতুন রাস্তা বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফ ঢালী (২৩) একই এলাকার তৈয়ব ঢালীর ছেলে।
অভিযুক্ত মো. জান্নাত (২৪) ওই এলকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বিজিবি সদস্য নিহত
শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান, হাসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদের চাতালের দিন মজুর শরিফ শেখ কাজের ফাঁকে ঢালীবাড়ি এলাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। অভিযুক্ত জান্নাত প্রায়ই তার কাছ থেকে ঝালমুড়ি খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেতেন। শনিবার বিকালে একই কাজ করলে ঝালমুড়ি বিক্রেতা জান্নাতের কাছে টাকা চাইলে তিনি তাকে মারধর করেন।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আহত
শরিফ শেখ বিষয়টি ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদকে জানালে তিনি লোকজন নিয়ে জান্নাতের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চায়। তখন অভিযুক্ত জান্নাত তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে ইউপি সদস্য হারুন সরে গেলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দিন মজুর শরিফ ঢালীর বুকে ছুরিটিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হেনা আহমেদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
ওসি জানান, এ বিষয়ে এখনও মামলা হয়নি। পুলিশ বখাটে জান্নাতকে আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রথমবার ঝুট নিয়ে ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজ
মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর নদীবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো গার্মেন্টসের অপ্রয়োজনীয় ১১১ মেট্রিকটন ঝুট নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেছে বাংলাদেশি পাতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি রাজ্জাকু’। শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় ঝুটের প্রথম চালান নিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি।
এই উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে এমভি রাজ্জাকু নামে জাহাজটিকে রং বেরংয়ের বেলুন, পতাকা দিয়ে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। তার আগেই জাহাজ ভর্তি করা হয় রপ্তানি পণ্য।
বাংলাদেশের মোক্তার হোসেন ট্রেডার্স রপ্তানিকৃত এই পণ্য নিচ্ছে ভারতের ভানসালি ইন্টারন্যাশনাল।গার্মেন্টেসের অপ্রয়োজনীয় ১১১ মেট্রিক টন রপ্তানিকৃত জুট থেকে আসবে ২৬ হাজার ৮৫ মার্কিন ড্লার।
আরও পড়ুন: প্রথমবার জাপান থেকে ১২৮০টি গাড়ি নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের আগে নৌপথে এই রপ্তানি বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের সহ ব্যবস্থাপক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘গার্মেন্টেসের অপ্রয়োজনীয় ১১২ মেট্রিক টন ঝুট নিয়ে মুন্সীগঞ্জের নদী বন্দর থেকে প্রথমবারের মত রওনা হচ্ছে এমভি রাজ্জাকু। এই রপ্তানি সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে যাচ্ছে। এছাড়া রপ্তানিকৃত পণ্য ভারতে পৌছতে সময় লাগবে ছয় দিন।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ মেট্রিকটন গার্মেন্স পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এই ঝুট যাবে ভারতের আসাম, মহারাষ্ট্র, হারিয়ানা, তামিলনাড় ও রাজস্থানে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বন্দর) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক শর্মিলা বেগম, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মো আব্দুল হাকিম, রাজস্ব কর্মকর্তা আবুল কালাম আজদ ও সজল চক্রবর্তী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মের্সাস মোক্তার ট্রেডাসের মালিক মো. মোক্তার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের প্রথম ট্রায়াল জাহাজ মোংলা বন্দরে
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে প্রথম জাহাজ
লঞ্চে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
বনভোজন নিয়ে যেখানে গ্রামটিতে ছিল উচ্ছাস সেখানে এখন শোকের মাতম। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দিতে চলন্ত লঞ্চে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিখোঁজের প্রায় ৮ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে কলেজ ছাত্র নিলয়ের (১৮) লাশ উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামসংলগ্ন পাঙ্গাসিয়া খালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মৃত নিলয় হোগলাকান্দি গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে গজারিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এছাড়া তার সঙ্গে থাকা আরও সাত বন্ধু আহত হয়েছে। এরা হলো রিফাত, মিনহাজ, ফয়সাল প্রধান, রাব্বি, শাকিল, নাহিদ ও শরিফ। এদের সবাইকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রাম সংলগ্ন মেঘনার শাখা পাঙ্গাসিয়া ছোট নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন জানান, পিকনিক যাওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে এমএল হাসিব নামে একটি লঞ্চ ভাড়া করেন তারা। লঞ্চটি গ্রামে নিয়ে আসার পথে হোগলাকান্দি গ্রাম সংলগ্ন পাঙ্গাসিয়া খাল দিয়ে লঞ্চ নেয়ার জন্য বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় লঞ্চের ওপরে থাকা নিলয় হাত দিয়ে তার উচু করার চেষ্টাকালে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। আর তার সঙ্গে থাকা অন্যরা আহত হন এবং কয়েকজন পানিতে পড়ে যান। অন্যরা তীরে উঠতে পারলেও নিলয়কে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তিনি আরও জানান, নিখোঁজ নিলয়ের লাশ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মুন্সীগঞ্জে গাড়ি খালে পড়ে দুই কিশোর নিহত
শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ৭ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশপথ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে ৭ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি। পরে টানা ৭ ঘণ্টা পরে স্রোতের তীব্রতা কমে গেলে সোমবার ভোর ৫টার পরে ফেরি চলাচল আবার শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় নদী পারাপারের জন্য দুই শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন আটকা পড়ে। ফেরি জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করতে গিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দুর্ভোগে পড়ে হয়েছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সোমবার ভোর থেকে ফেরি কুঞ্জলতা, বেগম রোকেয়া, বেগম সুফিয়া কামাল, কুমিল্লা, ফরিদপুর দিয়ে রাতে আটকে থাকা যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
এই নৌপথে এখন মোট পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নৌযান বন্ধ অব্যাহত
উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে নৌপথটির শরীয়তপুরের জাজিরা টার্নিংয়ে যাত্রীবাহী বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামালের মুখোমিুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়। এছাড়া পদ্মায় ছিটকে পরে নিখোঁজ পিকাপ ভ্যান চালক শামীমের খোঁজ এখনো মিলেনি। এই ঘটনার চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিসি। ফেরি দুটির দায়িত্বরত জুনিয়র মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার পরিবর্তে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করে পদ্মা নদী পার হওয়ার অনুরোধ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহন পারাপারের জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ১০টি এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় চারটি ফেরি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সকালে শিমুলিয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। চাপের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, তবে ঘাটে শৃঙ্খলা আছে।’
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়ায় ফেরিতে বড় ধরনের যানবাহন পার করা হচ্ছে না। ছোট গাড়ি পার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া লঞ্চের টিকিট পাওয়া যাবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিমুলিয়ায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করতে পুনরায় অনুরোধ করছি।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘাটে মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়ায় ১০টি ভালোমানের ফেরি রাখা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। তখন শিমুলিয়াঘাটে সমস্যা থাকবে না। ঘাটে গাড়ির জন্য ফেরি অপেক্ষা করবে।’
তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
ঢাকার কাছাকাছি মনোমুগ্ধকর রিসোর্টগুলো অতি ব্যস্ততায় পর্যুদস্ত নগরবাসীকে দিয়েছে হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায়। স্বল্প মেয়াদের ছুটি কাটাতে নিত্য বাড়তে থাকা শব্দ দূষণের শহর ছেড়ে তারা পাড়ি জমান প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে। প্রাত্যহিক জীবনের প্রায় সবগুলো সুবিধা থাকার ফলে প্রতিটি উৎসবেই এগুলোর চাহিদা বাড়ছে। সেদিক থেকে ঈদের দীর্ঘমেয়াদী ছুটি কাটানোর জন্য সেরা উপায় হতে পারে এই রিসোর্টগুলো। চলুন, জেনে নেয়া যাক এবারের পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুদের নিয়ে ঈদে ছুটি কাটানোর মতো ঢাকার কাছাকাছি কয়েকটি আকর্ষণীয় রিসোর্টের খোঁজ।
ঢাকার নিকটবর্তী চমৎকার রিসোর্টে কাটাতে পারেন ঈদের ছুটি
জল ও জঙ্গলের কাব্য, গাজীপুর
টঙ্গীর পুবাইলের প্রায় ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এই রিসোর্টটিকে ঢেকে দেয়া হয়েছে বাঁশ, পাটখড়ির বেড়া, দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি ও ছনের ছাউনি দিয়ে। রিসোর্টের নিজস্ব জমিতে ফলানো শাক-সবজি এবং বিলের মাছ রান্না করে পরিবেশন করা হয় দর্শনার্থীদের।
সারা দিন ঘুরে দেখতে খরচ করতে হবে ১৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। আর তাতে রাতে থাকা যোগ করলে মূল্য দাড়াবে ৪৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকা। এখানে দর্শনার্থীদের নেয়া হয় গ্রুপে, আর সেই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ১০ জনের হতে হয়।
আরও পড়ুন: ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
এখানে আসতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে নরসিংদী কিংবা কালিগঞ্জের পথে পুবাইল কলেজ গেট আসতে হবে। পুবাইল কলেজ গেট থেকে এই রিসোর্টের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের গ্রামের চিনাশুখনিয়াতে অভিনয় শিল্পী-দম্পতি তৌকির আহমেদ ও বিপাশা হায়াত গড়ে তুলেছেন নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। প্রায় ২৫ বিঘা জমির উপর দাড়িয়ে আছে রেস্তোরাঁ, সুইমিংপুল, কনফারেন্স সেন্টার, এবং প্রাকৃতিক উপকরণে সুসজ্জিত ১১টি এসি কটেজ। সিনেমার শুটিং-এর জন্য প্রসিদ্ধ এই জায়গাটিতে সুব্যবস্থা আছে মুভি থিয়েটার, বাচ্চাদের খেলাধুলা, মাছ ধরা ও নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর।
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় এসে ক্যান্টনমেন্ট হয়ে কাপাসিয়ার দিকে যেতে হবে। এই পথে রাজাবাড়ী বাজারের দিকে প্রায় সাত কিলোমিটার যেয়ে, অগ্রণী ব্যাংক থেকে ডান দিকে দেড় কিলোমিটার পরেই এই রিসোর্ট।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
ধরন ভেদে এর আবাসনগুলোতে খরচ পড়বে প্রায় ৬,৫০০ থেকে ২৮,০০০ টাকার মত। একদিনের প্যাকেজে সর্বনিম্ন ১০ জনের জন্য সর্বমোট খরচ বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা। গ্রুপ ছাড়া সাধারণ লোকজন ৫০০ টাকা টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকতে পারেন।
ঈদের ছুটিতে ২০২২-এর ২ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত কটেজ ভাড়ার উপর ২৫ শতাংশ ছাড় থাকছে।
সুবর্ণভূমি রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর ছুঁয়ে গড়ে উঠেছে এই রিসোর্টটি। এর সুইমিং পুলসহ নানা খেলাধুলার সরঞ্জাম ও দোলনার মত সুযোগ-সুবিধাগুলো অনেকটা ম্লান হয়ে যাবে এর প্রকৃতির স্নিগ্ধতার কাছে।
আরও পড়ুন: নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
বিলাসবহুল রিসোর্টটির কটেজগুলোর সাধারণ খরচ ১১,০০০ থেকে ২৮,৫০০ টাকা। তবে ডে আউট প্যাকেজে রুম ভাড়া পড়ে সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা। আর রাতে থাকতে হলে ১১,৫০০ থেকে ১২,৫০০ টাকা গুণতে হয়।
যাত্রাবাড়ী পেরিয়ে মেঘনা ব্রিজের আগে হাতের ডানে গোলিতে নেমে চলে যেতে হবে ইসমানীর চর লোহার ব্রিজ। এই ব্রিজের নিচে বাইপাস সড়কটি নিয়ে যাবে সরাসরি সুবর্ণভূমি রিসোর্টে।
সারাহ রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের রাজাবাড়িতে পরিবার নিয়ে সুন্দর সময় কাটানো আরও একটি মনোমুগ্ধকর জায়গা এই সারাহ রিসোর্ট। প্রায় ২০০ বিঘার রিসোর্টটিতে তৈরি হয়েছে একদম স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে। বাংলো ও ভিউ টাওয়ার থেকে শুরু করে একটি শতভাগ নিখুঁত রিসোর্টের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবি আছে এখানে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড ডে ট্যুর: একদিনে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক
এই বিলাসবহুল রিসোর্টে থাকতে হলে খরচ করতে হবে ৮,৫০০ থেকে ৬৬,০০০ টাকা। সারা বছর ব্যাপি ডে লং প্যাকেজের মূল্য থাকছে ৩০০০ টাকা।
রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাজাবাড়ী বাস স্টপ থেকে ডান দিকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে সারাহ রিসোর্ট।
ছুটি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের প্রখ্যাত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষে নির্মিত এই রিসোর্টটির জায়গা প্রায় ৫০ বিঘা। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে শহুরে স্পোর্টস জোন, রেস্তোরাঁ, সুইমিংপুল, এমনকি ক্যাম্পিং-এর সুবিধা। এছাড়াও আছে ছনের তৈরী ঘর, ২১ টি কটেজ, মাছ ধরার ও নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা, সবজি ও ফুল-ফলের বাগান এবং গ্রামীণ পিঠার ব্যবস্থা। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ পাখির কলরব, বাঁদুড়, শিয়ালের হাঁক, জোনাকি আলো এবং ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ধরন ভেদে কটেজগুলোর ভাড়া ৮০০০ থেকে ১৭,০০০ টাকা। ৭-৮ জনের গ্রুপের জন্য ডে আউট প্যাকেজ জনপ্রতি ২,৫৩০ টাকা।
গাজীপুরের চৌরাস্তায় থেকে গাজীপুর ডিসি অফিস হয়ে তিন কিলোমিটার দূরে আমতলী বাজারের কাছেই ছুটি রিসোর্ট।
ড্রিম স্কয়ার, গাজীপুর
গাজীপুরের মাওনার অজহিরচালা গ্রামের প্রায় ১২০ বিঘা জমি নিয়ে তৈরি এই বিশালাকৃতির রিসোর্টটি। বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছে বিস্তীর্ণ এলাকা পরিণত হয়েছে সবুজের সমারোহে। এখানকার মুল আকর্ষণগুলো হলো ডেইরি ফার্ম, তেলের ঘানি, মৎস্য হ্যাচারি, কম্পোস্ট সার প্লান্ট, বায়োগ্যাস প্লান্ট এবং প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা প্রকান্ড কয়েকটি লেক। শীতকালে এখানকার সর্পিলাকারের তিনটি লেকে ভীড় করে হাজারো অতিথি পাখি।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
ক্যাটাগরি অনুযায়ী এখানে থাকার জন্য খরচ হবে ৬,০০০ থেকে ৫৪,০০০ টাকা।
গাজীপুরের মাওনা থেকে পশ্চিমের রাস্তায় কিছুটা এগিয়ে উত্তরে পাঁচ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছানো যাবে ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টে।
মাওয়া রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলাস্থ কান্দিপাড়া গ্রামে পদ্মা পাড় ঘেষে গড়ে উঠেছে আকর্ষণীয় এই পর্যটন কেন্দ্রটি। প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই সারি সারি নারিকেল ও সুপারি গাছ ঘেড়া একটি মনোরম দীঘি স্বাগত জানাবে। পাড়ে বাধা নৌকা শান্ত জলে ভেসে বেড়ানোর হাতছানি দিবে। দীঘির এক পাড়ে আছে একটি ক্যাফেটেরিয়া আর অন্য দিকে রয়েছে ১৮ টি সারিবদ্ধ কটেজ। সেই কটেজগুলোতে যাওয়ার জন্য আছে আবার রঙিন দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
ক্যাটাগরি ভেদে কটেজগুলোর ভাড়া ১৫০০ থেকে ১২,০০০ টাকা। এছাড়া শুধু দিনের অর্ধেক অংশ ঘুরে বেড়ানোর জন্য ৩০ টাকা টিকেট কেটে ঢোকা যায়।
অঙ্গনা রিসোর্ট, গাজীপুর
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সূর্যনারায়ণপুর গ্রামটি অবস্থিত গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ এই গ্রামেই গড়ে তুলেছেন অঙ্গনা নামের রিসোর্টটি। প্রায় ১৮ বিঘা জমি সাজানো হয়েছে মাটির ঘর, বাগান, পার্ক, সুইমিং পুল, ব্যাডমিন্টন কোট, লেক, মসজিদ, ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি বাংলো এবং দুটি খেলার মাঠ দিয়ে।
রিসোর্টটির কটেজের একদিনের জন্য রুম প্রতি ভাড়া ৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠান বা পিকনিকের জন্য ভাড়া দিতে হয় ৭০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন মহামায়া, উপভোগ করুন প্রকৃতির সৌন্দর্য
রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টের এমপি চেকপোস্ট থেকে প্রায় সাত কিলোমিটারের পথ অঙ্গনা রিসোর্ট।
রিভেরি হলিডে রিসোর্ট, গাজীপুর
মোটামুটি বাজেটের রিসোর্ট হিসেবে গাজীপুরের সালনার এই রিসোর্টটি একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে।
লেকে বুনো হাঁসের জলকেলি দেখতে দেখতে পুকুর পাড়ে বসে আড্ডা হতে পারে। অথবা বড় বড় খেজুর ও আমগাছের ছায়ায় সবুজ বেঞ্চগুলোতে বা ঘাসে বসে উদাস সময় কাটিয়ে দেয়া যেতে পারে। প্রতিটা মুহুর্তই পাথেয় হয়ে থাকবে সারা জীবনের জন্য।
আরও পড়ুন: দেশে অবকাশে থাকার শীর্ষ ৩ জায়গা
এখানকার বাংলোর রুম গুলোতে থাকতে খরচ হবে ক্যাটাগরি ভেদে ৪০০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে শিমুলতলী সড়ক ধরে সালনা পৌছে বামে দুই কিলোমিটার গেলেই পাওয়া যাবে রিভেরি হলিডে রিসোর্ট।
জলেশ্বরী রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরস্থ ফাউগান নামক এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে জলেশ্বরী রিসোর্ট। সবুজের গালিচার মাঝে এখানে বানানো হয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট, বিশাল লেক ও খেলার মাঠ।
ডে লং প্যাকেজের খরচ ক্যাটাগরি ভেদে ৫,০০০ থেকে ৬,৫০০ টাকা। রাতে থাকার প্যাকেজে খরচ হবে ৭০০০ থেকে ৮৫০০ টাকা। কমপক্ষে ১০ জনের গ্রুপের জন্য নির্ধারিত প্যাকেজ হচ্ছে জনপ্রতি ১,৭৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের কোথায়, কীভাবে যাবেন?
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা পার হয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজার থেকে ফাউগান বাজার পেরিয়ে কিছুটা সামনেই জলেশ্বরী রিসোর্ট।
পরিশিষ্ট
ঢাকার কাছাকাছি এই ১০টি রিসোর্টে রয়েছে গ্রামীণ পরিবেশ এবং শহুরে সুযোগ সুবিধা। পরিবার, পরিজন, আত্মীয় বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসা স্মরণীয় করে রাখতে পারে ঈদের ছুটিকে। শুধু দারুণ কিছু মুহুর্তের অবতারণা করবে তা নয়; ছুটির পর কর্মজীবনে ফিরে যেতে নব উদ্যম সঞ্চার করবে শরীর ও মন জুড়ে। রিসোর্টগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে নিজের বাসায় থাকার মত অভিজ্ঞতা ও শতভাগ নিরাপত্তার সুবিধা। তাই দলবেধে বনভোজন ও রোমাঞ্চপ্রিয় ভ্রমণপিপাসুদের পাশাপাশি পরিবার নিয়ে বিনোদন সন্ধানী মানুষগুলোরও প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে এই দর্শনীয় স্থানগুলো।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
তিন ফসলি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান কৃষকরা
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রতিনিয়ত তিন ফসলি জমির মাটি কাটা, কৃষি জমি ভাঙন ও জমিতে ফসল উৎপাদন করতে না পেরে তিন ফসলি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকরা।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ফটকের সামনে অবৈধধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন এবং পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় প্রতিরোধে এক মানববন্ধনে এ হস্তক্ষেপ চান কৃষকরা।
মানববন্ধনের পাশাপাশি এ বিষয়ে দিনব্যাপী ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘কৃষক বাঁচাও’ও প্রদশিত করা হয়। দুপুর ১১টা থেকে এই প্রদর্শনী চলে বিকাল ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২ কৃষকের আত্মহত্যা: তদন্তে সরকারি প্যানেল গঠিত
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ভুক্তভোগী এলাকা সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক। এছাড়াও ভুক্তভোগী সাধারণ কৃষক, জনগণ ও মুন্সিগঞ্জের ১৪টি সংগঠনের কর্মীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিন ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। যারা এই অবৈধ ব্যবসা করছেন তারা প্রতিদিন অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নেন। অভিযানের বিষয়টি আসলে এসব কর্মকর্তারা আগেই ভূমিখেকোদের জানিয়ে দেন। ফলে আগে থেকেই তারা সাবধান হয়ে যান।
বক্তারা বলেন, মুন্সিগঞ্জের বাসাইল, লতব্দী ও বালুরচরে এ যাবৎ প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে সমুদ্রের মতো করা হয়েছে। বর্তমানে আরও প্রায় ১০০-১৫০ বিঘা জমির মাটি কাটার মহাপরিকল্পনা চলছে। লতব্দী ইউনিয়নের উত্তর পাশে ধলেশ্বরী নদীর পাড় ঘেষে ১২ থেকে ১৫টি অবৈধ ইটের ভাটা প্রভাবশালী ও তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। যা গ্রামের মাত্র ২শ গজের মধ্যে।
তারা আরও বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা জমির মাটি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে কেটে নিয়ে ভাটায় সরবরাহ করছে। ফলে বিক্রমপুরের আলু বলে খ্যাত জেলার যে লক্ষমাত্রা তা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। সরিষা, ডাল, ধানসহ কোনো শস্যই চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন কোন এক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে এই সমস্যা সমাধান হয়।
আরও পড়ুন: জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা!