অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ফেনীর শিক্ষার্থী নিহত
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. আদিব ফারহান (২০) নামে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে নিউক্যাসল শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আদিব ফারহান ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবার ঢাকার নাখালপাড়া এলাকায় বসবাস করছে। ছয় মাস আগে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান তিনি।
পড়ুন: যশোরের মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহত, আহত বাবা-মা
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আদিব চার বন্ধুসহ ভোরে নাশতা করতে বেরিয়েছিলেন। পথে তাদের প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে আদিব ফারহানসহ সবাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আদিবসহ দুই শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজনও চিকিৎসাধীন।
নিহতের চাচা আবুল হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদিব ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। তিনি এ লেভেল, ও লেভেল শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। মাত্র দুই মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। ছেলের মৃত্যুর খবরে মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন, বাবা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আদিবের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
৯৫ দিন আগে
সিডনির বায়ুদূষণ চরমে, জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত, বায়ুদূষণে দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার তুলনামূলক দরিদ্র দেশগুলো তালিকার শীর্ষস্থানগুলো দখল করে থাকলেও ইউরোপ-আমেরিকার ধনী দেশগুলোর শহরগুলোকে এই তালিকায় দেখা যায় না। ফলে অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত, পরিচ্ছন্ন দেশের কোনো শহর এই তালিকায় থাকবে— তা একপ্রকার অকল্পনীয়। তবে কল্পনাকে হার মানিয়ে সেই দৃশ্য দেখা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিসহ বেশ কয়েকটি শহরে বায়ুদূষণ চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় আইকিউএয়ারের তথ্য বলছে, সিডনির বাতাসের একিউআই স্কোর ৫১৯— হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী স্কোর ৩০০’র বেশি হলেই যা ‘বিপজ্জনক’, সেখানে সিডনির বাতাসের মান ৫০০’র বেশি, একেবারে ‘বিপর্যয়কর’।
হঠাৎ করে সেখানকার বাতাসের মানে এমন চরম অবনতি কেন, তা জানতে দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, আজ (মঙ্গলবার) সকালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া থেকে উঠে আসা এক ধুলিঝড় এসে সিডনির আকাশ ঢেকে দেয়। ঘন ধুলার কুয়াশায় হারিয়ে যায় শহরের পরিচিত দৃশ্যপট— হারবার, স্কাইলাইন, এমনকি দূরের ব্লু মাউন্টেনসও বা নীল পর্বতশ্রেণিও।
আরও পড়ুন: আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ রোধে মাথা ব্যথা নেই সরকারের
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল নিউজ ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সিডনির কিছু এলাকায় বায়ুদূষণের জন্য দায়ী বস্তুকণা পিএম১০-এর মাত্রা পৌঁছায় ৬০০ মাইক্রোগ্রামে। সিডনির দক্ষিণে অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চল ইলাওয়ারায় এই মাত্রা ছিল আরও বেশি, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৯০৩.২ মাইক্রোগ্রাম।
এটি কতটা বিপর্যয়কর দুটি উদাহরণ থেকে চলুন বুঝে নেই। একই সময়ে আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৭৩, মানে ‘অস্বাস্থ্যকর’। আর সেখানে পিএম ২.৫ দূষণ কণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে মাত্র ৮৭।
পিএম ২.৫ কণা প্রতি ঘনমিটারে ৮৭ থাকলেও লাহোরের বাতাস কেবল সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর নয়, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সেখানে সিডনি বা ইলাওয়ারায় দূষণ কণা ছিল পিএম১০, যা আরও ক্ষতিকর এবং তার পরিমাণ তালিকার দুইয়ে থাকা লাহোরের চেয়ে ১০ গুণের বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দূষিত বায়ুর শহর ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাসের এই মান ছিল তখন ১০৭, যা পরে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায় নেমে আসে ৫৭-তে।
এসব সূক্ষ্ম কণা ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি চোখ, নাক ও গলায় জ্বালাও সৃষ্টি করতে পারে বলে নাগরিকদের সতর্ক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এমন পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে যারা হাঁপানি বা শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বাইরে না যাওয়া, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা এবং প্রয়োজনে নাক-মুখ ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যগত কোনো উপসর্গ দেখা দিলে বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন ১৮০০ ০২২ ২২২-এ যোগাযোগ করতে কিংবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ০০০ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রুরাল ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, খরার কারণে সৃষ্ট ধুলা প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় রূপ নিয়ে সিডনি ও আশপাশের অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ায় এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে শহরের বাতাসের মান চরমে পৌঁছালেও ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অবশ্য তা কিছুটা কমে আসে বলে খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুপুর পড়তেই ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি
ও হ্যাঁ, আজ সকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যখন বায়ুদূষণে নগরবাসী নাকাল, তখন প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে কেমন আছে আমাদের ঢাকা, তা তো বলা হলো না!
আজ সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৬০, আইকিউএয়ারের মতে বাতাসের মান ‘ভালো’ থেকে ১০ দূরে; অর্থাৎ ‘মাঝারি’ হলেও তা মন্দ নয়। আর দূষিত শহরের তালিকায় অবস্থান? ৪২তম।
১৯২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করলেন আলবানিজ
নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ের মধ্যদিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ।
আনুষ্ঠানিক ভোট গণনা কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে না। তবে সারা দেশে লিবারেল ন্যাশনাল জোটের শোচনীয় পরাজয়ের পর আলবানিজের বামপন্থী সরকার নাটকীয়ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (৩ মে) আলবানিজ বলেছেন, ‘আজ অস্ট্রেলিয়ার জনগণ মূল্যবোধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, ন্যায্যতা, আকাঙ্ক্ষা ও সুযোগ সৃষ্টির জন্য। এটি প্রতিকূলতায় সাহস দেখানোর শক্তি এবং যাদের প্রয়োজন তাদের প্রতি দয়া দেখানো।’
জোট নেতা পিটার ডাটন নিজের ২৪ বছর ধরে জয় পাওয়া নিজের আসনে হেরেছেন। তিনি দলের পরাজয়ের জন্য নিজের সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করে দলীয় এমপিদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
২১৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ফাইনালে ভারত
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করে বেড়ায় ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের। তবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে উঠে এতদিন পর সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে চার উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ২৬৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ৯৬ বলে ৭৩ রান করে দলটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এছাড়া মিডল অর্ডারে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি করেন ৬১ রান।
ভারতের হয়ে দশ ওভারে মাত্র ৪৮ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। এছাড়া দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও রবীন্দ্র জাদেজা নেন দুটি করে উইকেট।
২৬৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত।
তিনে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলিই এদিন ভারতের জয়ের ভীত গড়ে দেন। ৯৮ বলে ৮৪ রান করার পথে শ্রেয়াস আইয়ার (৪৫), অক্ষর প্যাটেল (২৭) ও লোকেশ রাহুলের (৪২*) সঙ্গে গড়েন যথাক্রমে ৯১, ৪৪ ও ৪৭ রানের জুটি।
পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই যখন জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করেছে ভারত, ঠিক তখনই একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে আউট হন ২৪ বলে ২৮ রান করা হার্দিক পান্ডিয়া। পরে জাদেজাকে নিয়ে ভারতীয়দের জাহাজ জয়ের বন্দরে নোঙর করেন রাহুল।
এদিন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পেলেও কার্যকর সময়ে ভারতীয় ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকেই কেবল ভারতকে রুখে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় দলটি। পরে সময় যত গড়িয়েছে, জয়ের পাল্লা ভারতের দিকেই তত ভারী হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে নাথান এলিস ৪৯ রান খরচ করে এবং অ্যাডাম জ্যাম্পা ৬০ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি জিতলেও বৃষ্টির কারণে পরের দুই ম্যাচ পণ্ড হয়। ফলে ওই এক ম্যাচ জিতেও অপরাজিত থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দুবারের শিরোপাধারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২৬৪/১০ (৪৯.৩ ওভার) (স্মিথ ৭৩, ক্যারি ৬১, হেড ৩৯; শামি ৩/৪৮, জাদেজা ২/৪০, চক্রবর্তী ২/৪৯)।
ভারত: ২৬৭/৬ (৪৮.১ ওভার) (কোহলি ৮৪, আইয়ার ৪৫, রাহুল ৪২*; এলিস ২/৪৯, জ্যাম্পা ২/৬০)।
ফলাফল: ভারত চার উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বিরাট কোহলি।
২৭৫ দিন আগে
রেকর্ডের মালা গেঁথে নতুন ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া
৩৫১ রান তুলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গড়া ২১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেই রেকর্ড এক দিনও ধরে রাখতে পারল না জশ বাটলার অ্যান্ড কোং। দ্বিতীয় ইনিংসেই তা টপকে একাধিক রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বেন ডাকেটের অনবদ্য ১৬৫ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেটে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের রেকর্ডটি ভেঙে এদিন রেকর্ড বইয়ে নিজেদের নাম তোলে ইংলিশরা।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন বেন ডাকেট। তবে ইংলিশদের এসব রেকর্ড ম্লান করে পাঁচ উইকেটের এক স্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্টিভেন স্মিথ অ্যান্ড কোং। ৪৭.৩তম বলটিতে ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেক্স ক্যারি।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড (৩৫৬) গড়ল অজিরা। তাছাড়া আইসিসির যেকোনো ওয়ানডে ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ওভালে ভারতের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়া করে জয়ই ছিল তাদের সর্বোচ্চ।
আরও আছে; এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান তাড়ার জয়।
এছাড়া এ জয়টি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। তাদের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ৪৩৪ রানের; ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই ম্যাচটি খেলে তারা।
আরও পড়ুন: ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ৬ উইকেটে করা পাকিস্তানের ৩৬৮ রান তারা পেরিয়ে যায় এক ওভার বাকি থাকতেই। ৭ উইকেটে সেদিন ৩৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচে ১৫৬ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ট্র্যাভিস হেড।
আর টানা দুটি সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড দেখল গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রেকর্ড অত্যন্ত বিরল।
আজকের ম্যাচে ৮৬ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন জশ ইংলিস।
মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করে ব্যক্তিগত রেকর্ডেও নাম উঠিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরেন্দর শেবাগের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম শতকের মালিক এখন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ ছাড়াও আরও রেকর্ড হয়েছে ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে দুই দল মিলে মোট ৭০৭ রান সংগ্রহ করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ মোট রানের রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে মোট ৬৫৯ রান সংগ্রহ করে দুই দল। সেদিন ভারতের চার উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ফলে ১৭ রানের হার দেখতে হয় দলটিকে।
ম্যাচটি আজ মোট ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে দুদলের ব্যাটাররা (ইংল্যান্ড ৭, অস্ট্রেলিয়া ১৬), যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার ১৬টি ছক্কা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডটি এখনও রয়েছে ভারতের দখলে। ২০১৩ সালের ১১ জুন ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮টি ছক্কা হাঁকান ভারতের ব্যাটাররা।
২৮৫ দিন আগে
ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
রিয়ারে প্রথমবার আইসিসি ইভেন্টে খেলতে নেমেছেন ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেট। নেমেই দিনটিকে শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেও স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রানের পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড।
এটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের ইনিংসটিই এতদিন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।
এদিন ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বেন ডাকেট। ১৪৩ বলে ১৭টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৬৫ রান করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে এটি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে পথে তিনি ২০০৪ সালের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের ন্যাথান অ্যাস্টলের করা অপরাজিত ১৪৫ রানের স্কোরটি ছাড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নতুন দলে নাম লেখালেন সাকিব
ডাকেট ছাড়াও এদিন হাসে জো রুটের ব্যাট। শুরুর দিকে দুই উইকেট হারানোর পর ৭৮ বলে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে ডাকেটের সঙ্গে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় ৪৩ রানে দুই উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের পরবর্তী উইকেটটি যখন পড়ে, তখন স্কোরবোর্ডে দেখা যায় তিন উইকেটে ২০১ রান। ৩১তম ওভারের শেষ বলে রুট আউট হলে তাই মনে হচ্ছিল স্কোর আরও বড় হবে। তবে রুটের উইকেটের মধ্য দিয়েই হারানো ছন্দ খুঁজে পায় অস্ট্রেলিয়া। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে থাকেন দলটির বোলোররা।
ওই দুই ব্যাটার বাদে অধিনায়ক জশ বাটলারের ২৩ ও শেষের দিকে জোফলা আর্চারের ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই কেবল বলার মতো।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন বেন ডুয়ারশিস, আর দুটি করে উইকেট গিয়েছে অ্যাডাম জ্যাম্পা ও মার্কাস লাবুশেনের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩৫১/৮ (ডাকেট ১৬৫, রুট ৬৮, বাটলার ২৩; ডুয়ারশিস ৩/৬৬, লাবুশেন ২/৪১, জ্যাম্পা ২/৬৪)।
২৮৫ দিন আগে
দেশে জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার
জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ সংকট মোকাবিলা, নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত একশনএইড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আশ্বাস দেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত ক্রিস্টিন টিলি। আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল এবং একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির।
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সবার একাগ্র প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে ক্রিস্টিন টিলি বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে যখন জলবায়ু পরিবর্তনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কথা আমরা তুলে আনতে পারব। এজন্য প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের লড়াইয়ের কথা (আমরা) শুনতে চাই; তাদের সেভাবে সহযোগিতা করতে চাই।’
‘এ লড়াইয়ের যাত্রায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে একশনএইড বাংলাদেশ দেশের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সঙ্গী হতে পেরে আনন্দিত। আশা করছি, জলবায়ু ন্যায়বিচার, নারী অধিকার নিশ্চিতসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।’
আরও পড়ুন: পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
নারী ও তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের কথা বৈশ্বিক পর্যায়ে উঠে আসবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল।
তার কথায়, ‘অস্ট্রেলিয়া ও একশনএইড বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা দুপক্ষই জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য (আমরা) কাজ করতে চাই। বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কমিউনিটির পাশে থাকতে চাই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, নারী ও তরুণ কমিউনিটির জীবন-জীবিকার মানোয়ন্নন ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করতে চাই। তাদের কণ্ঠই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘১৯৮২ সালে ভোলায় জলবায়ু বিপর্যয়ের মোকাবিলার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে একশনএইড বাংলাদেশ। জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই অব্যাহত রয়েছে। আমরা লক্ষ করি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে দেশের নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্বে তাদের জীবনমান উন্নয়নে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব বলে আমরা আশা রাখি।’
বৈঠকের একপর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত সম্মুখ সারির কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন ক্রিস্টিন টিলি। এ সময় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার দুলালী বেগম এবং শ্যামনগরের রেক্সোনা খাতুন জলবায়ু বিপর্যয়কালে কাটানো দুর্ভোগ আর মোকাবিলার কথা তার কাছে তুলে ধরেন।
এ সময় জলবায়ু নিয়ে কাজ করা তরুণদের প্রতিনিধি রায়হান নুরনবীসহ বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান কমিশন ও একশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮৬ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও সামোয়ার ১২ প্রবাসীকে পুরস্কার প্রদান
ক্যানবেরা, ২১ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও সামোয়ার ১২ প্রবাসীকে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রবাসী দিবস ও জাতীয় অভিবাসী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো, বাংলাদেশি পণ্য আমদানি এবং শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানসহ দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. মো. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপরও জোর দেন তিনি।
বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. শহিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন নাঈম, সাফাত বিন আজাদ, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী ফয়সাল মিয়া, সামোয়া প্রবাসী মো. শাহাজান এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ মুরাদ ইউসুফ ও নিউজিল্যান্ড প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম খানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. মোহাম্মাদ আলী মনি, অধ্যাপক এম আখতার হোসেন ও ফিজি প্রবাসী ড. কবির আল মামুনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি হিসেবে সফলদের মধ্যে রামিম জাইয়ান খান ও অ্যানি রেনেসা সাবরিনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবসের এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণকারীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ সময় বক্তব্য দেন ক্যানবেরায় কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আবুল হাসান সৈয়দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাঈদ। অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
৩৪৯ দিন আগে
ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি নিলামে
সর্বকালের সেরা ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ব্যাগি গ্রিন টুপিটি নিলামে উঠেছে। নিলামে টুপিটে বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার কিছু বেশি।
বিখ্যাত ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহ্যামস টুপিটি নিলামে তোলে। নিলাম অনুষ্ঠানে টুপিটিকে ‘সূর্যে রং জ্বলে যাওয়া ও জীর্ণ’ বলে উপস্থাপন করা হয়। তবে তা বিশেষ এই টুপিটির মূল্য নির্ধারণে কোনো প্রভাব ফেলেনি। নিলামের ওঠার ১০ মিনিটের মধ্যেই সেটি বিক্রি হয়ে যায়।
৩ লাখ ৯০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলারে টুপিটি বিক্রি হয়। এর সঙ্গে নিলামঘরের ফি যুক্ত করে মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
১৯৪৭-৪৮ সালে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় টুপিটি পরেছিলেন স্যার ব্র্যাডম্যান। ওই সিরিজে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের শততম সেঞ্চুরি করেন। ঘরের মাঠে সেটিই ছিল তার শেষ সিরিজ।
৩৬৬ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
উদ্ভাবনশীলতা ও উৎপাদনশীলতার বাস্তবিক সন্নিবেশে নিহিত থাকে একটি দেশের সমৃদ্ধির রূপকল্প। এই মেলবন্ধন গঠনের একদম অঙ্কুরে কাজ করে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিকদের কারখানাই নয়, বরং উন্নত দেশ গঠনের জন্য দক্ষ কর্মীর মূল যোগানদাতা। যুগের সেরা সব মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটিয়ে ঠিক এই তত্ত্বটিরই ব্যবহারিক রূপ দান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওশেনিয়া মহাদেশের এই বৃহত্তম ভূ-খণ্ডে যুগ যুগ ধরে চলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা চর্চা। পড়াশোনার জন্য বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবীদের কাছেই দেশটি এখন প্রথম পছন্দ। চলুন, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, জীবনযাত্রার খরচ, ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ ২০২৫ সালের জন্য শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীবান্ধব নগরীর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (৫) ও সিডনি (৬)। অর্থাৎ জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও এই মেগাসিটি দুটোতে অনায়াসেই জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
তাছাড়া এ দুটো শহরসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছরই থাকে কিউএস র্যাংকিং-এ। যেমন ২০২৪-এ প্রথম অর্ধশতকের মধ্যে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন (১৩)
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি (১৮)
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (১৯)
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৩০)
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি (৩৭)
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (৪০)
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন উচ্চ র্যাংকিং-এ থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এগুলোর প্রত্যেকটি দুইয়ের অধিক বিষয়ের পাঠদানের জন্য সেরা। প্রকৌশল, প্রযুক্তি, মেডিসিন, কলা ও মানবিকের নাম করলে প্রায়শই ঘুরে ফিরে এই বিদ্যাপীঠগুলোর নাম আসে।
উদ্ভাবনশীলতা নিয়ে ওশেনিয়ার এই দ্বীপ দেশটির রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিগত কয়েক যুগে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তাদের একটা বিরাট অংশ ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী।
বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ অস্ট্রেলিয়া। এর ফলেই দেশটির নাগরিকরা উন্নত মানের অবকাঠামো, আধুনিকতা ও সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবার মতো সুবিধাগুলো পেয়ে থাকে। সব মিলিয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গঠনে উন্নয়নশীল দেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড
· ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
· ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড
· ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি
· আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়:
· অ্যাকাউন্টিং
· অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স
· কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ফরমেশন টেকনোলজি
· সাইকোলজি
· ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
· আর্কিটেক্চার
· ইঞ্জিনিয়ারিং
· হেল্থ সায়েন্স অ্যান্ড নার্সিং
· বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
বছর জুড়ে সাধারণত তিনটি মৌসুমে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মৌসুমগুলো ফেব্রুয়ারি, জুলাই ও নভেম্বর ইন্টেক হিসেবে পরিচিত।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোর্সে ভর্তির সুযোগ থাকে ফেব্রুয়ারি ইন্টেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ বা জুনের শুরু পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ করা হয় আগের বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ইন্টার্নশিপ বা কর্মসংস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে এই মৌসুমটিই সর্বাধিক উপযুক্ত।
জুলাই ইন্টেকের আবেদন নেওয়া হয় এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত। অতঃপর ভর্তি শুরু হয় জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের শুরুর দিকে। তারপর নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি।
সর্বশেষ নভেম্বর ইন্টেকে আবেদনের সময় সেপ্টেম্বর মাস। ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকে নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই আবেদনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল। মৌসুমগুলোকে কেন্দ্র করে এই ওয়েবসাইটগুলোতে ভর্তির যাবতীয় শর্ত, কোর্সের পর্যাপ্ততা ও আবেদনের সময়সীমা হালনাগাদ করা হয়। তাই অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জানতে প্লাটফর্মগুলোতে চোখ রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· অনলাইন আবেদনপত্র
· একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট: স্নাতকের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের নথি, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকের নথি এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র: ন্যূনতম যোগ্যতা স্বরূপ আইইএলটিএস স্কোর ৬, টোফেল আইবিটিতে ৬৪, কেম্ব্রিজ ইংলিশ: অ্যাড্ভান্স্ড-এ ১৬৯, বা পিটিই (পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ) একাডেমিক-এ ৫০।
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· এসওপি (স্টেটমেন্ট অব পার্পাস) বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)
· রিসার্চ প্রোপোজাল (ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য)
· পেশাগত অভিজ্ঞতাপত্র (এমবিএ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে)
· বৈধ পাসপোর্ট
· সাম্প্রতিক ছবি
· অধ্যয়ন ফি প্রদানের জন্য আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ: কমপক্ষে কোর্সের প্রথম ১২ মাসের ফি। কোর্স ১২ মাস বা তার কম হলে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করতে হবে।
· স্বাস্থ্য বীমা স্বরূপ ওএসএইচসি (ওভারসিজ স্টুডেন্ট হেলথ কভার)
· আবেদন ফি: সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ৪ হাজার ৯৩ থেকে ৮ হাজার ১৮৫ টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার = ৮১ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এর বাইরেও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। কোনো কাগজ বাংলায় হলে তা অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করে মূল কপিসহ অনুদিত কপি স্ক্যান করতে হবে। এখানে অনুবাদককে অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।
৪৩৬ দিন আগে