দেশত্যাগ
এস আলম গ্রুপকে ভুয়া ঋণ: ইসলামী ব্যাংকের ১০ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এস আলম গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদান করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় ইসলামী ব্যাংকের ১০ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, ব্যাংকটির কর্মকর্তা মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, মোহাম্মদ সিরাজুল কবির, মুহাম্মদ কায়সার আলী, তাহের আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, হোসেন মোহাম্মদ ফয়সাল, আহমেদ জুবায়েতুল হক ও এস. এম. তানভির হাসান।
এদিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে, এস আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদানে সহায়তা করা ইসলামী ব্যাংকের অভিযুক্ত কর্মকর্তারা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে চলে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হতে পারে। এজন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া একান্ত আবশ্যক।
প্রসঙ্গত, দুর্দকের করা মামলায় মনিরুল মাওলাকে গতকাল (২৩ জুন) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন একই আদালত।
আরও পড়ুন: সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংকগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় একীভূত করা হবে: গভর্নর
১৬৪ দিন আগে
আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ: দায়িত্ব অবহেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রত্যাহার
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার ও আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে সহযোগীদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারলে পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
দিনাজপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে কার্যালয় ত্যাগের সময় জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ওই ঘোষণা দেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে দেশত্যাগে যারা সহায়তা সহযোগিতা করেছেন, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশকৃত রাজনৈতিক মামলার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত
‘কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনায় যারা জড়িত, অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে,‘ যোগ করেন তিনি। যদি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারেন, তাহলে কী হবে, শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ ছেড়ে দেবেন।’
এর আগে সকালেই খবর ছড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই বার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদ বুধবার শেষ রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
যদিও জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আব্দুল হামিদকেও আসামি করা হয়েছে।
২১১ দিন আগে
আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে সহযোগীদের ধরতে না পারলে পদ ছেড়ে দেব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে সহযোগীদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারলে পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিনাজপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে কার্যালয় ত্যাগের সময় জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ওই ঘোষণা দেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে দেশত্যাগে যারা সহায়তা সহযোগিতা করেছেন, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনায় যারা জড়িত, অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে,‘ যোগ করেন তিনি। যদি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারেন, তাহলে কী হবে, শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ ছেড়ে দেবেন।’
এর আগে সকালেই খবর ছড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই বার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদ বুধবার শেষ রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
যদিও জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আব্দুল হামিদকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯ মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে ৬ শতাংশ: গভর্নর মনসুর
সীমান্তে কৃষকদের ভয়ের কারণ নেই
এর আগে দুপুরে জেলার বিরল উপজেলার মকলেসপুর গ্রামে বোরো ধান ব্রি-ধান-৮৮ কাটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনার মধ্যে দেশের সীমান্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে। সীমান্ত এলাকার কৃষকদের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষি রক্ষায় আমরা কৃষি জমি সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছি। কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।’
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা বেড়ে গেছে এবং কৃষি জমি কমে গেছে। তারপরেও উন্নত জাতের ধান, কৃষক এবং বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রম উৎপাদনকে বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বছর বন্যার কারণে চাল আমদানি করতে হয়েছে, এবার হয়ত আমদানি করতে হবে না। এবার ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে।’
ধান কাটা উদ্বোধন শেষে কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বরেন্দ্রের মহাপরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইনসহ সংশ্লিষ্টরা।
২১১ দিন আগে
মেধা পাচার: তরুণদের জীবনের লক্ষ্যই যখন দেশত্যাগ
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, উন্নত জীবন ও উচ্চশিক্ষার আশায় গত দেড় দশকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দেশত্যাগের পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে সিংহভাগ শিক্ষার্থীর জীবনের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে দেশত্যাগ।
বিশ্বব্যাংকের জরিপ অনুযায়ী, বিগত এক দশকে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে চাকরির বাজারে প্রবেশে হিমশিম খান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীরা। এতে করে তাদের মধ্যে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতা আরও উর্ধ্বমুখী হয়েছে।
রাজধানীর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আয়াজ বিন ফারুক। স্নাতক শেষ করতে আয়াজের বাকি দুই সেমিস্টার। কিন্তু স্নাতক শেষ করে কোন চাকরি করবেন—এ ব্যাপারে এখনও কোনোকিছু ঠিক করতে পারছেন না তিনি।
নিজের হতাশার কথা জানিয়ে আয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্রদের হাতে মূলত তিনটি অপশন। পাস করে হয় বিসিএসের জন্য পড়াশোনা, না হলে ব্যাংক পরীক্ষার জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নেওয়া; আর এসব কিছু না হলে আইএলটিএস দিয়ে বিদেশ যাওয়া।’
আরও পড়ুন: জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেলেন বাকৃবির ১০ মেধাবী শিক্ষার্থী
বাংলাদেশে নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির চাকরি হিসেবে বিসিএস বিবেচ্য। চাকরির নিশ্চয়তা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় অনেক শিক্ষার্থী বিসিএসকে রাখেন পছন্দের তালিকার শীর্ষে। কিন্তু পদের হিসাব করলে দেখা যায়, প্রতিবছর যতজন এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন, তার তুলনায় মোট পদের সংখ্যা নিতান্ত নগণ্য।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ৪৬তম বিসিএসে মোট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০৮ জন আবেদন করেছেন, যেখানে শূন্য পদের সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার ১৪০।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সফিউর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে সবাই লাইন ধরে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে যায়। প্রথম বর্ষ থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে, এমনও অনেকে আছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিসিএস সোনার হরিণ, যার পেছনে না দৌড়ে বিদেশে পাড়ি জমানোই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত বড়সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে।’
শুধু বিসিএস নয়, সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেও অনেক শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছেন বিদেশকে। সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন পাড়ি জমিয়েছেন ফাতেহা জাহান ইকু।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখনও দেশের নারীরা কর্মক্ষেত্রে সমানাধিকার পায় না। দেশের সামাজিক অবস্থাও নারীদের প্রাপ্য মর্যাদা দিতে প্রস্তুত না। এক্ষেত্রে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত মেয়েদের বেশিরভাগরই পছন্দ বিদেশ পাড়ি জমানো।’
আরও পড়ুন: মেধাভিত্তিক ভর্তির দাবিতে মিরপুর সড়ক অবরোধ
মূলত বিদেশে নারীর নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যই দেশের নারী শিক্ষার্থীদের কাছে মুখ্য বলে জানান ইকু।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) হিসাবে, প্রতিবছর ১০ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক পাস করে। এ বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো চাকরির বাজার কিংবা সুষ্ঠু পরিকল্পনা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। রিভার্স ব্রেইন বিডি এবং মেধা পাচার রোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান চাকরির সঙ্গে প্রতি বছর পাস করে বের হওয়া শিক্ষার্থীর অনুপাত বিবেচনা করলেই বোঝা যায়, কেন বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী দেশ ছাড়তে চায়।’
তার মতে, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের ভেতরে চাকরি পাচ্ছে না। যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে গেছেন তারা দেখছেন, ফিরে এলে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে—এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। যারা দেশে আছেন, তাদের অবস্থা দেখে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু পরিকল্পনার বড় অভাবের কারণে চাইলেই রিভার্স ব্রেইন বিডি ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন সম্ভব না বলে মনে করেন এ শিক্ষক।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, দেশে মোট বেকারের ১২ শতাংশ স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পাস। যাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তাদের মধ্যে বরং বেকারত্বের হার কম। অর্থাৎ যারা উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন তাদের জন্য দেশে সন্তোষজনক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করছে পরিসংখ্যান।
অন্যদিকে দেশে যারা চাকরি করছেন তারা নিজেদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে খুশি নন। এছাড়া দেশের অফিস সংস্কৃতি নিয়েও মনঃক্ষুণ্ন তরুণরা। এমনই এক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী ফয়সাল রিমন বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন নতুন নতুন ওয়ার্ক কালচার প্রবর্তন হচ্ছে, সেখানে এখনও মান্ধাতার আমলের নিয়মে চলছে বাংলাদেশ। দেশের বেশিরভাগ অফিসে শ্রম আইনের ধার ধারা হয় না। নিজেদের কাঠামো অনুযায়ী বেতন ও সুযোগ-সুবিধা ঠিক করে কোম্পানিগুলো।’
‘একটা সময় ছিল তরুণরা চাকরিক্ষেত্রে তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন ছিল না। বেতন-ভাতার ব্যাপারে ছিল না সম্যক ধারণা। কিন্তু বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে তরুণ চাকরিজীবীরা নিজেদের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ পাচ্ছে, পারছে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে। সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকায় তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে,’ অভিমত রিমনের।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের ছাত্র শাফায়াত আল রাজি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন শিক্ষার্থীর চাকরি জীবন শুরু হতে হতে বয়স ২৫ পেরিয়ে যায়। এরপর অনেকের ২-৫ বছর শুধু চাকরির জন্য প্রস্তুতিই নিতে হয়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে ১৬-১৮ বছরের মধ্যে একটি ছেলে চাকরিতে প্রবেশ করে এবং আয় করতে শুরু করে।’
নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শাফায়াত বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকতে আমার পড়াশোনার খরচ আমার মা-বাবাকে দিতে হতো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পড়াশোনার পাশাপাশি আমি পার্ট টাইম চাকরি করতে পারছি। আমার বার্ষিক বেতন গড়ে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার ডলার। নিজের খরচ চালিয়ে দেশেও টাকা পাঠাতে পারছি। এটি বাংলাদেশে থাকলে সম্ভব হতো না।’
ইউনেস্কোর হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫২ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছে। দেড় দশক আগে ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল মোটে ১৬ হাজার ৮০৯।
ইন্ট্যারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জের ওপেন ডোর রিপোর্ট-২০২৪ অনুযায়ী, গত বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ১৭ হাজার শিক্ষার্থী পাড়ি জমিয়েছে, যা যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। গত অর্থবছরের তুলনায় এ সংখ্যা ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বেশি।
আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার কাজ চলছে: গভর্নর
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ফেলো গবেষক নুসরাত জাহান চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আসছে, যাদের বড় সংখ্যকই আর দেশে ফিরবেন না। অনেকগুলো কারণের মধ্যে জীবনযাত্রার মান বা সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বাইরেও একটি বড় কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে বিদেশের উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান আর দক্ষতার মূল্যায়নের অভাব আছে, পাশাপাশি নেই পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ।’
তিনি বলেন, ‘অনেকের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে, উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরত গেলেও তাকে প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয় না, যার জন্য তার নতুন দক্ষতা কাজে লাগানোর সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। উচ্চশিক্ষা অর্জনের পরে দেশে ফিরে পূর্বের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করলে নতুন দক্ষতা অনুযায়ী তাকে উপযুক্ত পারিতোষিক না দেওয়ার নজিরও বহু আছে।’
‘এ ছাড়া বাংলাদেশের ওয়ার্ক কালচার অনুযায়ী, একই প্রতিষ্ঠানে বেশিদিন ধরে কর্মরত ব্যক্তিরা তুলনামুলকভাবে প্রমোশন বা আপগ্রেডেশনে এগিয়ে থাকেন। সেখানে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার থেকেও মুখ্য হয়ে ওঠে কর্মরত ব্যক্তির বয়স। কখনও কখনও প্রতিষ্ঠান বা দলীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে হয় চাকরিজীবীদের, যেটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে হরহামেশা দেখা যায়। এছাড়া স্বাধীনভাবে গবেষণা বা মত প্রকাশ করার ফলে নানারকম হয়রানিতেও পড়তে হয়, যদি তা ক্ষমতাসীন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।’
এসব বিবেচনায় বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে অনেক শিক্ষার্থী দেশে ফেরা সমীচীন মনে করেন না বলে জানান এই গবেষক।
জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড করপোরেশনের (ডি+সি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বহু বছর ধরে অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিট্যান্সের ওপর ভরসা করে আসছে। এতে করে ১৯৮০ সালের দিক থেকে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোয় বাংলাদেশের সরকারের আগ্রহ ছিল সর্বাগ্রে। কিন্তু বর্তমান অভিবাসন প্রক্রিয়া আলাদা। এখন যারা দেশ ছাড়ছেন তাদের গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পশ্চিমে। যারা মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক হিসেবে গিয়েছেন তারা একসময় দেশে ফিরে এসেছেন। এখন যারা উন্নত জীবনের আশায় পশ্চিমা দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন, তাদের ফিরে আসার মনোভাব নেই।
যারা ফিরে না আসার সংকল্প নিয়েই দেশ ছাড়ছেন তাদের ব্যাপারে ভাবতে হবে, তাদের দেশে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। রেমিট্যান্সকে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড না বানিয়ে মেধার ওপর গুরুত্বারোপ এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে মেধার সর্বোচ্চ উপযোগিতা আদায়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় প্রতিবেদনে।
২১৬ দিন আগে
রূপপুর ‘দুর্নীতি’: প্রচ্ছায়ার ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকায় শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকও আছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আজ দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম উল্লিখিত ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন— তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, তার দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নওরীন তাসমিয়া সিদ্দিক, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম এবং তাদের দুই মেয়ে শেহতাজ মুন্নাসী খান ও পারিজা পাইনাজ খান। তারা সবাই প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও অন্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ-সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ইউনিট-১ এ রিঅ্যাক্টর স্থাপন সম্পন্ন
প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র পেতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
এতে সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ আরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এজন্য উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রহিত করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
২১৯ দিন আগে
দুর্নীতি: শেখ রেহানার স্বামীসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার স্বামীসহ তাদের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা হলেন—শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম, তাদের দুই মেয়ে শেহতাজ মুন্নাসী খান এবং পারিজা পাইনাজ খান।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক।
আরও পড়ুন: পাপনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তাদের ভাষ্যে, অভিযুক্তরা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া, সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ থাকায় অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক।
২০০৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রচ্ছায়া কোম্পানিটি চালু করেছিলেন বলে জানায় দুদক।
সম্প্রতি গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামক একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা।
২২০ দিন আগে
পাপনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিসিবির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এবং তার পরিবারের আরও ৫ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
এতে পাপন, তার স্ত্রী রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান ও রুশমিলা রহমান, ছেলে রাফসান হাসান এবং মেয়ে জামাই রাকীন আল-মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের আবেদন বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: তিন সন্তান ও স্ত্রীসহ হানিফের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়া শঙ্কা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
২৬৪ দিন আগে
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই আহমেদ সোহাইল ফসিহুর রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমানসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।’
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট গে বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের পর তা আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
২৬৯ দিন আগে
সাবেক মেয়র আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
দুদকের তথ্যমতে, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আইভীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
আরও পড়ুন: লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে আইভীর দুই ভাই আলী রেজী রিপন ও আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে।
নারায়ণগঞ্জে সাততলা বাড়ি, জেলার ঐতিহ্যবাহী চিত্তবিনোদন ক্লাব ভেঙে সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ একর জমি দখল করে সেখানে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্পদ ও দুর্নীতি ছাড়াও আইভীর নামে এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি ও তার আত্মীয়দের নামে থাকা সম্পদের অনুসন্ধান করবে সংস্থাটি।
সূত্র আরও জানায়, আইভী মেয়র হওয়ার পর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আবুল হোসেন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নামে নারায়ণগঞ্জে রয়েছে ৪ থেকে ৫টি ফ্ল্যাট। এছাড়া আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফ হোসেনকে তার পদে পদায়ন না করে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তার গাড়ি চালকের নামে নারায়ণগঞ্জে বরফকল ও পানির কল এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া তার আরও অবৈধভাবে অর্জিত অজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রী রুকমীলার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এস আলম গ্রুপের মালিকসহ তার পরিবারের ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
৩৮৭ দিন আগে
লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রী রুকমীলার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, লিয়াকতের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ তোলা বিল-ভাউচারের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগে চার সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিমের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ যাত্রা বন্ধ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের মালিকসহ তার পরিবারের ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
৪১১ দিন আগে