জাদুঘর
কাঙাল হরিনাথের প্রেসটি খণ্ড খণ্ড আকারে যাচ্ছে জাদুঘরে
চুক্তিনামার তিন দিন পর গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এম এন প্রেসটি কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত করে তার বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এগুলো জাদুঘরে নেওয়া হয়। তবে এখনো জাদুঘরে স্থাপন করা হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে কুমারখালী পৌরসভার কুণ্ডুপাড়ায় তার বাস্তুভিটা থেকে প্রেস হস্তান্তরের কাজ শুরু করেন জাতীয় জাদুঘরের কর্মকর্তারা। এ কাজে সহযোগিতা করেন কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় জাদুঘরের কিপার ও সংরক্ষণ রসায়নবিদ আকছারুজ্জামান নুরী, প্রদর্শন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ, কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অনুপ কুমার সাহা প্রমুখ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে সকাল থেকেই ছাপাখানাটি স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। কয়েকটি খণ্ডে বিভিক্ত করে সন্ধ্যায় সেগুলো জাদুঘরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে জাদুঘরে এখনও স্থাপন করা হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্য এখনই কাউকে স্থানান্তরের বিষয়টি জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গরু চুরির সালিশে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ
জাপানের ‘মিরাইকান’ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাপানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইমার্জিং সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন পরিদর্শন করেছেন।
যা ‘মিরাইকান’ নামে পরিচিত এবং টোকিওর কত-কুতে অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে মিরাইকানের বিভিন্ন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মিরাইকান’-এ পৌঁছালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
নজরুল বলেন, পরিবেশবান্ধব বায়ুমণ্ডলে মানবজাতি কীভাবে টেকসই উপায়ে টিকে থাকতে পারে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন, প্লাস্টিক এবং অন্যান্য মানব ক্রিয়া কীভাবে মানবজাতি ও গ্রহের অন্যান্য প্রাণীদের জীবনকে বিপন্ন করে এবং কীভাবে এটি থেকে বাঁচতে হয় সে সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্পেসশিপের একটি প্রদর্শনীও উপভোগ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা সফরকালে তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মিরাইকানের দর্শনার্থীরা প্রতিদিনের সহজ প্রশ্ন থেকে সাম্প্রতিক প্রযুক্তি, বৈশ্বিক পরিবেশ, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং জীবন বিজ্ঞান পর্যন্ত আজকের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উপভোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে ভালো ব্যবসার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
খুলনা রেল স্টেশনে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর, দর্শনার্থীদের ভিড়
খুলনা মহানগরীর অত্যাধুনিক রেল স্টেশনের উত্তর প্রান্তে ট্রেনের একটি বগিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে স্থানীদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। জাদুঘরের এই চিত্র প্রর্দশনী উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মের পথচলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয়োজনে খুলনা স্টেশনে শনিবার থেকে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমান জাদুঘর স্থাপন করা হয়। চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
জানা গেছে, রেলের একটি বগির ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের ২০টিরও বেশি ছবি স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্যকাল, বিবাহিত জীবন, মিশনারী স্কুল, রোজ গার্ডেন, ভারতের মহত্মা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, প্রভাত ফেরীতে মওলানা ভাষানীর সঙ্গে, চশমা, ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের মন্ত্রিসভা, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একে ফজলুল হকের সঙ্গে, ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা মামলা থেকে মুক্তি, ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধির ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ এই জাদুঘর আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দৌলতপুরে, ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর নওয়াপাড়া এবং ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর যশোরের দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকার সেরা ১০টি জাদুঘর: ইতিহাস রোমন্থনের সঙ্গে জ্ঞান আহরণের অভাবনীয় সুযোগ
একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-সভ্যতার অগ্রগতি জানার জন্য জাদুঘর একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক জাদুঘরগুলোও যেন ঠিক সেভাবেই ধরে রেখেছে পুরো বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্যকে। শুধু তাই নয়, দর্শনীয় স্থান হিসেবেও ঢাকার জাদুঘরগুলো অনন্য। নতুন প্রজন্ম এই জায়গাগুলোতে বিচরণের মাধ্যমে শত বছরের বাংলাকে খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পারে। তাই ঢাকার শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প সময়ের শিক্ষাসফরের জন্য এর জাদুঘরগুলো হতে পারে উপযুক্ত স্থান। চলুন, জেনে নেয়া যাক ঢাকার কয়েকটি সেরা জাদুঘরের ব্যাপারে।
বাংলাদেশের ইতিহাস সমৃদ্ধ ঢাকার সেরা ১০টি জাদুঘর
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ
প্রাক-ইতিহাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম এই চমৎকার সংগ্রহশালাটি। এটি পাথর, ধাতু ও কাঠের ভাস্কর্য, সোনা, রুপা ও তামার মুদ্রা, পোড়ামাটির নিদর্শন এবং অন্যান্য পুরাকীর্তিতে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ১৯১৩ সালের ২০ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘ঢাকা জাদুঘর’ নামে। ১৯১৩ সালের ৭ আগস্ট বাংলার তৎকালীন গভর্নর থমাস গিবসন-কারমাইকেল আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেছিলেন। ১৯১৫ সালের জুলাই মাসে এটি ঢাকার নায়েব-নাজিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের ১৭ নভেম্বর এর নাম ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর’ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে বাংলাদেশের সেরা ১০টি ভ্রমণ স্থান
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, ধানমন্ডি
ধানমন্ডি ৩২-এ অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনটি ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ নামে পরিচিত। এখানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবর রহমানকে তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এখান থেকেই ১৯৬২ সালের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, অসহযোগ আন্দোলন, এমনকি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের রূপরেখাও তিনি তৈরি করেছিলেন এই বাড়ির কনফারেন্স টেবিলে।
১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্টের উদ্যোগে এই বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
স্বাধীনতা জাদুঘর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
এই দৃষ্টিনন্দন জাদুঘরটি মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়াও এটি ১৬ থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের শাসনামল থেকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা পর্যন্ত সমগ্র জাতির ইতিহাস প্রদর্শন করে। এটিই দেশের প্রথম এবং একমাত্র যাদুঘর,যা মাটির নিচে নির্মিত হয়েছে। জাদুঘরটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৬৭ একর কমপ্লেক্সের অংশ, যা আগে রমনা রেসকোর্স নামে পরিচিত ছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
জাদুঘরটি ২০১৫ সালের ২৫শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। জাদুঘরটির ওপরে ঠিক মাঝখানে আছে আলোর টাওয়ারটি, যা স্বাধীনতা স্তম্ভ নামে পরিচিত। প্রায় ৫০ মিটার উঁচু টাওয়ারটি কাচের প্যানেল দিয়ে তৈরি, যা সাধারণত রাতে আলোকিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আগারগাঁও
১৯৭১-সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এক বিরল সংগ্রহ এই জাদুঘর। প্রদর্শিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, অস্ত্র, মানুষের দেহাবশেষ, যুদ্ধ সম্পর্কিত নথি ও অন্যান্য সরঞ্জাম। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ৪৫ বছর ধরে জাদুঘরটিতে ২১ হাজারেরও বেশি নিদর্শন সংগ্রহ করা হয়েছে।
২০০৯ সালে জাদুঘরের নতুন ডিজাইনের জন্য একটি স্থাপত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এখানে স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম ও নাহিদ ফারজানা তাদের নকশার জন্য প্রথম পুরস্কার জিতেছিলেন। এই নকশার ভিত্তিতেই ২০১৩ সালে আগারগাঁওয়ে নতুন ভবনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং নির্মাণকাজ শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন প্রাঙ্গণ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭-এর ১৬ এপ্রিল উন্মুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
আহসান মঞ্জিল, ইসলামপুর
ঢাকার নবাবদের অফিসিয়াল আবাসিক প্রাসাদ ও আসন ছিল এই আহসান মঞ্জিল। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৮৫৯ সালে, আর সম্পন্ন হয়েছিল ১৮৭২ সালে। বাংলাদেশের এই অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শনটি ইন্দো-সারাসেনিক রিভাইভাল স্থাপত্যে নির্মিত হয়েছিল। ভবনটির রাজকীয় সম্মুখ অংশটি বুড়িগঙ্গা নদীর দিকে প্রশস্ত। নদীর ধারে এর খোলা প্রশস্ত সিঁড়ি বিশাল ত্রি-খিলানযুক্ত পোর্টালগুলো পর্যন্ত নিয়ে যায়। সিঁড়ির সামনের বাগানে একসময় একটি ফোয়ারা ছিল, যা আজ নেই। বিল্ডিংটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশের বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে একটি খোলা বারান্দা।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর, আগারগাঁও
২০১৪ সালের অক্টোবরে ঢাকার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় এই বিশেষ জাদুঘরটি। এখানে রয়েছে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বিভিন্ন ধরনের বিমান ও যুদ্ধ সরঞ্জাম। বিএএফ (বাংলাদেশ এয়ারফোর্স) জাদুঘরে আছে চারটি প্রধান গ্যালারি। এর মধ্যে এয়ার ফোর্স গ্যালারিটিতে আছে কিছু স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ছবি। মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিতে আছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বিভিন্ন বছরের পদক ও ইউনিফর্ম নিয়ে রয়েছে গোটা একটি গ্যালারি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি সেনাদের মূল্য প্রদর্শনের জন্য সর্বশেষ গ্যালারিটির নাম ‘শান্তিরক্ষী কর্নার’। এগুলো ছাড়াও আছে ‘স্যুভেনির কর্নার’, যেখান থেকে জাতীয় বিমান বাহিনীর মনোগ্রামসহ পোস্টার, মগ ও টি-শার্ট কেনা যায়।
বিএএফ জাদুঘর স্থাপিত হয় ১৯৮৭ সালের ১৭ জুন। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর এখানে তিন দিনব্যাপী আর্মি অস্ত্রশস্ত্রের শোসহ মিলিটারি মার্চ অনুষ্ঠিত হতো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ১০টি প্রাকৃতিক ঝর্ণা, জলপ্রপাত কোথায়? কীভাবে যাবেন?
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, আগারগাঁও
এই জাদুঘরটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি সংযুক্ত বিভাগ। ১৯৬৫ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নির্বাহী আদেশে এটি গঠিত হয়।
জাদুঘরে বেশ কয়েকটি গ্যালারি রয়েছে, যেমন ভৌত বিজ্ঞান গ্যালারি, ফান সায়েন্স গ্যালারি, জৈবিক বিজ্ঞান গ্যালারি, প্রযুক্তিগত গ্যালারি, আইটি গ্যালারি ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও রয়েছে একটি বিজ্ঞান পার্ক, একটি আকাশ পর্যবেক্ষণ, এবং একটি বিজ্ঞান গ্রন্থাগার। জাদুঘরটি বিভিন্ন ধরণের শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম যেমন- জনপ্রিয় বিজ্ঞান বক্তৃতা, বৈজ্ঞানিক চলচ্চিত্র শো এবং শিশুদের বিজ্ঞান উৎসব ইত্যাদির আয়োজন করে। তরুণ বিজ্ঞানীদের কাজের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে একক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘরটি।
আরও পড়ুন: ভ্রমণের উপকারিতা: দেশ বিদেশ ভ্রমণ আপনার মধ্যে কি পরিবর্তন আনতে পারে?
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবদানকে স্মরণার্থে নির্মিত এই জাদুঘর। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করে। বাঙালি পুলিশ অপ্রত্যাশিতভাবে আক্রমণের শিকার হয়ে রাইফেলসহ হাতের কাছে অন্য যা কিছু পেয়েছিলো তাই নিয়েই নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করে। অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হন সেই রাতে।
দেশ স্বাধীনের বহু বছর পর ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় এই জাদুঘর। এতে থাকা বিভিন্ন উপকরণ ও প্রতীক যুদ্ধের সময় পুলিশ সেনাদের আত্মত্যাগকে চিহ্নিত করে। জাদুঘরের গবেষণা ইউনিট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ কাউন্সিল চত্বরে নিহত একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেছে।
টাকা জাদুঘর, মিরপুর
দেশের বিশিষ্ট শিল্পী, স্থপতি ও ইতিহাসবিদরা জাদুঘরটি চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে একত্রে কাজ করেছেন। এই জাদুঘরকে সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন উপায়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও নোট সংগ্রহ করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। এখানে আছে পাল, সেন, গুপ্ত, সুলতানী, মুঘল ও ব্রিটিশ আমলের হাজার হাজার মুদ্রা ও নোট। বাংলাদেশ নিউমিসম্যাটিক কালেক্টরস সোসাইটি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা জাদুঘরে বিভিন্ন যুগের ১০০টি মুদ্রা হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার সেরা ভাস্কর্যগুলো
ঐতিহাসিক এই সংগ্রহশালায় রয়েছে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ আমলের ৪৮টি মুদ্রা, নাসিরুদ্দিন নুসরত শাহের ২৯টি, শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের চারটি, সিকান্দার শাহের পাঁচটি, গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের তিনটি, রুকুনউদ্দিন বারবক শাহের তিনটি, নাসিরুদ্দিন মাহমুদের দুটি, মাহমুদ শাহের একটি, শাহজাহানের একজন, বাদশা আলমগীরের দুইটি, ইসলাম শাহের একটি এবং শাহ আলমের যুগের একটি মুদ্রা।
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর, শেরেবাংলা নগর
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জনগণকে জানাতে সামরিক জাদুঘরটি উন্মুক্ত করা হয় ২০০৪ সালে। নভো থিয়েটারের পাশে অবস্থিত এই জাদুঘরটিতে জনসাধারণ বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারেন। বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর ১৬ ডিসেম্বর এবং ২৬ মার্চ ছাড়া অন্যান্য সরকারি ছুটিগুলোতে বন্ধ থাকে। হলের ভিতরে দুটি বড় কক্ষ রয়েছে এবং বাইরের মাঠে রয়েছে ২৬টি বিভিন্ন মডেলের ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যুদ্ধযান।
শেষাংশ
ঢাকার সেরা এই জাদুঘরগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর সময় দর্শনার্থীদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। এগুলোর অধিকাংশতেই ছবি তোলা নিষেধ। তাই প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারও সীমিত করা হয়েছে। উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে শুরু করে জাদুঘর প্রাঙ্গনে খাবার বা পানি নিয়ে প্রবেশ করার মত ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিকাংশ নিদর্শন কাঁচ দিয়ে ঘেরা থাকে। তবে উন্মুক্ত জিনিসগুলো হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করা ঠিক নয়। এখানে অনেক বিদেশি দর্শনার্থীও ঘুরতে আসেন। তাদের সঙ্গে সৌজন্যমুলক ও সম্মানসূচক ব্যবহার করতে হবে। সর্বোপরি, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো আমাদের দেশের সম্পদ।
আরও পড়ুন: বাঘা যতীন: যার বীরত্বে কেঁপে উঠেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাসভবনও পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
৪০ দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’ শুরু
শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’-এর দশম আয়োজন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর আয়োজনটি আংশিক সরাসরি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর বিশ্বের ১৯৬টি দেশ থেকে জমা হয়েছিল ২১ শতাধিক প্রামাণ্যচিত্র, যার মধ্য থেকে ৪০ দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে প্রতিদিন চারটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও নির্বাচিত ছবিসমূহ প্রতিদিন স্ট্রিমিং করা হবে। গেল দু’বছরের মতো এবারও ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ এক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সোমবার সকাল ৯টায় হলের নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে যান এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা একসঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ১৮টি হলের সদ্য মনোনীত শীর্ষস্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা কর্মসূচীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
ঢাবির গেস্টরুমে নির্যাতন: ৩ ছাত্র বহিষ্কার
মফিদুল হকের বোন দিলরুবা ইসলাম মারা গেছেন
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও বিশিষ্ট লেখক মনজুরুল হকের বোন দিলরুবা ইসলাম বুধবার ভোরে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
মফিদুল হক ইউএনবিকে বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় তিনি মারা যান।
দিলরুবা ইসলাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
দিলরুবা ইসলামের জানাজা বৃহস্পতিবার বাদ জোহর পরীবাগ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি তিন ছেলে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মারা গেছেন
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
সড়ক দুর্ঘটনার বিচার ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে প্রতীকী কফিন মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সারাদেশে হাফ পাসের প্রজ্ঞাপনসহ মোট ৯ দফা দাবিতে শাহবাগ মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বেলা একটার কিছু আগে আন্দোলনকারীরা প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
আগে থেকেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়া পুলিশ সদস্যরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে তাদের বাধা দেন। পরে তারা শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে অবস্থান নেন। রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ শিক্ষার্থীদের অবস্থান না নিতে অনুরোধ করলে তারা কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করেন।
পরে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্র- টিএসসি'র দিকে যান।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইনজামুল হক রামিম তাদের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও প্রতিবাদী গানের আয়োজন করার ঘোষণা দেন। আর বৈরি আবাহাওয়ার কারণে আজকের এই কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আন্দোলনকারীরা জানান, ‘সড়কে আমাদের সহপাঠীদের রক্ত ঝরেছে। অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। যার বেদনা সেই বোঝে। তাদের পরিবারের আর্তনাদকে আমরা ধারণ করেছি। আমরা সড়কে নিরাপদভাবে চলাচল করতে চাই। এছাড়াও সারা দেশে হাফ পাসসহ নয় দফা দাবির বাস্তবায়ন চাই।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার বলেন, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চেয়েছিল। এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায় আমরা তাদের সেখানে অবস্থান নিতে নিরুৎসাহিত করি। পরে তারা সেখান থেকে টিএসসি চলে যান।
আরও পড়ুন: ১১ দাবি নিয়ে আবারও সড়কে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকদের স্পাউসদের সংগঠন ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা)-এর নির্বাহী কমিটি।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এসময় ফোসা'র প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী পৃষ্ঠপোষক আয়েশা আখতার (ডালিয়া), সভাপতি– পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব)-এর সহধর্মিণী ফাহমিদা সোমা জেবিন এবং সংগঠনের পদস্থ ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শ্রদ্ধা