গরু
কুড়িগ্রামে আগুনে বসতঘরসহ গরু পুড়ে ছাই
কুড়িগ্রামে আগুনে পুড়ে সাইদুল ও মাইদুল ইসলাম নামে দুই দিনমজুরের ৫টি বসতঘর ও ৬টি গরু পুড়ে মারা গেছে।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে ঝাকুয়াবাড়ি গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতির দাবি করছে পরিবারগুলো। ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব হওয়া পরিবারটির পাশে আর্থিক সহায়তা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পরিবারের লোকজন শুক্রবার ঈদের দাওয়াত খেতে গেলে রাত ৯ টার দিকে সাইদুলের গোয়ালঘর থেকে হঠাৎ আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে তারা দৌড়ে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করা হলেও এতে দুই পরিবারের থাকার বসতঘর ও গোয়ালঘরে থাকা ৬টি গরু পুড়ে মারা যায়। কীভাবে আগুন লেগেছে কেউ জানে না।
স্থানীয় শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, সাইদুলের বাড়িতে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি গোয়াল ঘরে গরু ও বসতঘরসহ আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম শফি বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবার দুইটিকে ইউএনও স্যারসহ আমি দেখে আসছি। পরিবার দুইটিকে সব প্রকার সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. সিব্বির আহমেদ বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা করেছে এবং পরবর্তী জেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভাষানটেকে আগুনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
ঢাকার হাজারীবাগে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
কুড়িগ্রামে গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে নুরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে থানাঘাট-ভূরুঙ্গামারী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের উত্তর পাথরডুবী গ্রামের অকিবর রহমানের ছেলে। মৃত নুরুজ্জামান পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। তিনি গ্রাম থেকে গরু কিনে ভূরুঙ্গামারী হাটে বিক্রি করতেন।
আরও পড়ুন: বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
পরিবারের বরাত দিয়ে পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর জানান, শনিবার ভূরুঙ্গামারী হাটে গরু বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। মইদাম ভূষিরভিটা এলাকায় পৌঁছালে ভটভটি উল্টে মারাত্মক আহত হন নুরুজ্জামান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পর রোগীর পালস কমে যাওয়ায় স্যালাইন দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাদিহা আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানার শোক
নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
বগুড়ায় গানের তালে তালে গরুর ‘র্যাম্প শো’
বগুড়ায় গানের তালে তালে গরুর ‘র্যাম্প শো’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যতিক্রমী এই র্যাম্প শোতে দেখা গেছে, গানের তালে শতাধিক গরু হাজার হাজার দর্শনার্থীর সামনে হাঁটছে। হাঁটার সময় সঙ্গে থাকা গরুর মালিকরা তাদের গরুর জাত, বয়স ও দাম সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছেন।
পরে র্যাম্প শো শেষে মালিকরা তাদের গরু নিজ নিজ স্টলে নিয়ে যান।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে টিএমএসএস বিনোদন পার্কে ‘বিডিএফএ উত্তরবঙ্গ গরু মেলায়’ এ র্যাম্প শোর আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
শুক্রবার সকাল থেকেই ২১৬টি স্টলে বিভিন্ন জাতের গরু, মহিষ, ছাগল, দুম্বাসহ অন্যান্য শখের পশু নিয়ে প্রদর্শনী শুরু করেন খামারিরা।
খামারিরা ব্রাহমা, আরসিসি, নর্থ বেঙ্গল গ্রে, শাহীওয়াল, সিজারিয়ান, ভুট্টীসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু মেলায় দেখা গেছে। মেলার মাঠে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ ছিল ১ হাজার ৪০০ কেজি ওজনের অস্ট্রাল গরুকে ঘিরে। এ ছাড়াও শিং বড় কয়েকটি গরু দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় করেন।
রিয়াদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেক মেলা দেখেছি কিন্তু এই প্রথম গরু মেলা দেখলাম। মেলায় গরুর বিভিন্ন প্রজাতি চিনলাম।’
বগুড়া ভান্ডার অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও উত্তরবঙ্গ গরু মেলার প্রধান সমন্বয়ক তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব বলেন, মেলায় উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার খামারিরা তাদের বিভিন্ন জাতের গরু নিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে মোট ২১৬টি স্টল রয়েছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ গরুর র্যাম্প শো। শনিবার পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলার ফাঁকে ফাঁকে গরুর র্যাম্প শো চলবে।
তিনি বলেন, এর আগে, বেলা ১১টার দিকে মেলার উদ্বোধন করেন বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদার, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারি।
ব্যতিক্রমী এ মেলায় হাজার হাজার দর্শক অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে নদী থেকে গ্রেনেড উদ্ধার
বগুড়ায় ময়লার ভাগাড়ের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে গরুর বাজারে নজর কেড়েছে ‘কালা বাবু’
এবারের কোরবানির গরুর বাজারে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আলোচিত নাম ‘কালা বাবু’। যার ওজনে ২৩ মণ ছাড়াবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ গ্রামের খামারি মো. রাসেল গরুটি পালন করেছেন। বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি উপজেলাবাসীর নজর কেড়েছে। শখ করে গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। প্রায় ৩ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন-পালন করেছেন কালা বাবুকে একটি ঘরের মধ্যে। সম্পূর্ণ দেশি ঘাস আর বিভিন্ন ধরণের ভূসি খাইয়ে বড় করছেন।
আরও পড়ুন: এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
গরুর মালিক রাসেল জানান, এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্যে প্রায় ৩ বছর ধরে তিনি নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন–পালন করেছেন গরুটি। শখ করে নাম রেখেছেন কালা বাবু। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভূসি, খইল খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে গরুটিকে। পরম যত্নে গরুটি পালন করতে পরিবারের সদস্যরাও কষ্ট করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি তিন বছর আগে আরেকটি গরুর সঙ্গে বাছুর হিসেবে ক্রয় করা হয় বলে জানান রাসেল।
সীতাকুণ্ডে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোরবানি উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে গরু রয়েছে ৩০ হাজার ৮৬৮টি, ছাগল রয়েছে ৭ হাজার ৬৯০, মহিষ রয়েছে ৩৪১ ও ভেড়া রয়েছে ৪ হাজার ৮৮৫টি। কিন্তু এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে গরু ২৫ হাজার ২৫৪টি, ছাগল ৭ হাজার ৫২০, মহিষ ৯৯৪ ও ভেড়া ৩৫৮টি। কোরবানি উপলক্ষে চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৩৫৮টি পশু বেশি রয়েছে সীতাকুণ্ডে।
আরও পড়ুন: এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
কুড়িগ্রামে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের নতুন শৌলমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আমির হামজা (৫২) ওই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সোনা মিয়া জানান, কৃষক আমির হামজা বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে গরুর খাবারের জন্য ঘাস কাটতে যান। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে স্থানীয়রা ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে মৃত কৃষকের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত, আহত ৪
কিশোরগঞ্জে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবক নিহত
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার পশু। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব পশু প্রস্তুত করেছেন সাতক্ষীরার খামারিরা।
জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোরবানির গরু পাঠানো যাবে অন্য জেলায়।
এছাড়া এ বছর ভারত থেকে গরু না আসায় খামারিরা বেশ খুশি। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে আশানুরুপ লাভ করতে না পারার আশঙ্কা খামারিদের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরবানিতে ৮,৬০৬ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে: প্রাণিসম্পদ বিভাগ
সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর ৯ হাজার ৯২৬ জন খামারি কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করেছেন। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত।
আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে।
যা পাশ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
এদিকে, অন্যবারের তুলনায় এবার লাভ কম হবার আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার খামারি মজনুর রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। আমরা যারা শহরাঞ্চলে গরু পালন করি তারা পুরোটাই বাজার থেকে কেনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, যার ফলে একটি গরু পালন করতে যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সামান্য লভ্যাংশ থাকছে।
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী কুশখারী গ্রামের খামারি অজিয়র রহমান বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু সীমান্ত দিয়ে না আসায় আশার আলো দেখছেন গরুর খামারিরা।
তিনি বলেন, অন্যান্যবছর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসার কারণে দেশি খামারীর মালিকরা গরুর ভালো দাম পেত না।
এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তার আশা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, সাতক্ষীরায় কোরবানির গরুর চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি। আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। প্রায় ৩৫ হাজার গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে। যা পার্শ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, গো-খাদ্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরাতেও ‘নেপিয়ার ঘাস’ নামে একপ্রকার ঘাস বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছেন তারা। এতে কিছুটা হলেও খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত
কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের কৃষক বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান কোরবানির ঈদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার জন্য একটি গরু লালন-পালন করেছেন।
তাদের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই গরুটিকে উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গরুটিকে উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হন।
বুলবুল আহমেদ কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন এবং বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রীকে তাদের বিরল ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় খেলাধুলার আরও ব্যাপক প্রসার করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
মোটরগাড়ি কিংবা হেলিকপ্টারে নয়, এবার বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া গরু ও মহিষের ১০ টি গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে গেলেন নিরব নামে এক যুবক। আর এ বিয়ে দেখতে ভিড় জমান শত শত নারী-পুরুষ।
শুক্রবার (২৭ মে) বিকালে এমনই এক ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন করা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে।
স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়ণপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে নিরব হোসেন সাব্বিরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাশের দুর্গাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামে মেয়ে ইসরাত জাহান এশা আকতারের।
নিরবের বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে বরবেশে গরুর গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যাবে। ছেলের বউও আসবে গরু গাড়িতেই।
বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে গরু ও মহিষের ১০ গাড়ি সংগ্রহ করে নিরবের বাবা। আর এই গরু-মহিষের গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে বরবেশে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যান নিরব।
গ্রাম বাংলার হরিয়ে যাওয়া টাপুর যুক্ত গরু-মহিষের গাড়ি দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমান বর ও কনের বাড়িতে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে গরু-মহিষের গাড়িতে বরযাত্রার দৃশ্য অবলোকন করেন। ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন অনেকেই।
এমন আয়োজনে খুশি বর-কনের পরিবারসহ এলাকাবাসী। গ্রাম বাংলার এ পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ লাখ টাকা মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে!
উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৫ গরুর
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে মাজেদ আলী নামে এক কৃষকের পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে দফায় দফায় বজ্রপাতে মাজেদ আলীর গোয়ালে থাকা তার পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়। এতে মাজেদ আলীর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (মক্কা) বলেন, বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মাজেদ আলীর গোয়ালে থাকা পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময় কোনও মানুষ হতাহত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এক সঙ্গে পাঁচটি গরু মারা যাওয়ায় মাজেদ আলী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জ্বল হোসেন জানান, বজ্রপাতে পাঁচটি গরুর মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জেনেছেন।
বিষয়টি তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মতলব উত্তরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
ঝিকরগাছায় নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
সুন্দরবন থেকে গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে কৃষক
বাগেরহাটের সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া গৃহপালিত গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক কৃষক। পরে আহতাবস্থায় ৬২ বছর বয়সী মো. ফজলু গাজীকে শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার ডান পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
ফজলু গাজীর বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলার উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে।
তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, বনে প্রবেশের অনুমতি ছিলো না। তাই ‘ভয়ে’ দুদিন কাউকে কিছু জানায়নি তারা।
ফজলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, তাদের বাড়ি সুন্দরবনের একদম কাছেই। একটা বেড়িবাঁধ, তারপর ছোট নদীর অপর পাশে বন।
মঙ্গলবার সকালে তাদের একটি গরু ছাড়া পেয়ে শুকিয়ে যাওয়া ভোলা নদী পেরিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে।
বেলা ১১টার দিকে গরু আনতে নদীর ওপারে সুন্দরবনের ভেতরে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তার স্বামী।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে বাঘের আক্রমণে কৃষক আহত হওয়ার বিষয়টি শনিবার সে জানতে পারেন। ওই কৃষক অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। একারণে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেছিল। অবৈধভাবে যেন কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ না করে এজন্য বনসংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই মাকিং করা হচ্ছে। এর পরেও মানুষ অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করছে।
এসিএফ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার আরও জানান, ওই কৃষক কি উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাঘের চামড়াসহ ২ চোরা শিকারী আটক
সুন্দরবনের ফরেস্ট অফিসের কাছে ৩ বাঘ, আতঙ্কিত বনরক্ষীরা