মানসিকতা পরিবর্তন
শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমাতে শব্দদূষণ রোধ জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমাতে শব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এজন্য মানসিকতা পরিবর্তন করে অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি হতে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নাক, কান, গলা ও হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটে বিশ্ব শ্রবণ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন আলোচনা সভার আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানসিকতার পরিবর্তন: নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন।’
সভায় উপদেষ্টা বলেন, শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার ১৯ খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে: রিজওয়ানা
তিনি বলেন, শব্দদূষণ শ্রবণক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার শব্দ ও উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে।
সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হর্ন বাজানো, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করা জরুরি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী।
এতে আরও বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. জাহানারা আলাউদ্দিন, সদস্য সচিব কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতালের প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ খান ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. আলী ইমাম।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে: রিজওয়ানা হাসান
আলোচনা সভায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ বক্তাগণ শ্রবণ সমস্যা কমাতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।
২৭৭ দিন আগে
কয়েকটি বিখ্যাত স্কুলে আচ্ছন্ন হবেন না: অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সন্তানদের ভালো শিক্ষা অর্জনের জন্য বিখ্যাত কয়েকটি স্কুলে ভর্তি করতে হবে, অভিভাবকদের এমন মানসিকতা পরিবর্তন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে মাত্র কয়েকটি বিখ্যাত স্কুল রয়েছে। আমরা অনেকেই মনে করি যে কোনো মর্যাদা থাকবে না। আবার কেউ কেউ মনে করে যে তাদের ছেলেমেয়েরা সেই স্কুলগুলোতে পড়াশুনা না করলে শিক্ষা পাবে না। এই মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: আমার স্বপ্ন, একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসএসসি ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, বিজ্ঞানী, সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা ও নেতাসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জেলা পর্যায়ের স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এই ধরনের স্কুলগুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘প্রসিদ্ধ স্কুলগুলোর পক্ষে ভালো ফলাফল দেখানো সহজ, কারণ তারা সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করে।’
তিনি বলেছিলেন যে কৃতিত্ব তাদের (শিক্ষক এবং বিদ্যালয়) কে দেয়া উচিত যারা মধ্যমমানের ছাত্রদের তৈরি ও বিকাশ করতে পারে এবং তাদের সম্ভাব্য সেরা ফলাফল অর্জন নিশ্চিত করতে পারে। তিনি বলেন, ‘তাদের সমর্থন দেয়া উচিত এবং পুরস্কৃত করা উচিত।’
এ বছর মাদরাসা (দাখিল) ও কারিগরি শিক্ষাসহ ১১টি বোর্ডের অধীনে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি স্কুলে যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেতে পারে সেজন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১৫ দশমিক ৯৯ লাখ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দুই দশমিক ৬৮ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক দশমিক ৫৩ লাখ। চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
১১০৩ দিন আগে
‘মানসিকতা পরিবর্তনই কেবল দেশে ধর্ষণের সংস্কৃতি নির্মূল করতে পারে’
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রায়শই ধর্ষণকে ভয় দেখানোর হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তেমন সমাজ বাংলাদেশে নারীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধের অবসান ঘটাতে শুধুমাত্র কঠোর আইনই নয় সেইসাথে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
১৭৮৪ দিন আগে