খামারি
ফরিদপুরে খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়ায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খামারিদের মাঝে আটটি মিল্কিং মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এসব মেশিন বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিজিবি
মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, মানুষকে ঋণের নামে টাকা-পয়সা দিয়ে ১৪ গুণ সুদসহ ফেরত নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ, তারপরও ঋণ শোধ হয় না। এরকম করে বহু মানুষ সর্বস্ব হারাচ্ছে। তারাই আবার নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে সারাদেশে উন্নয়নে ভরপুর করে দেওয়া হবে।
মধুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এলডিপিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. গোলাম রব্বানী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনূন আহমেদ অনিক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুদেব কুমার দাস।
আরও পড়ুন: ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সমৃদ্ধ করে অবিলম্বে বিতরণ শুরু করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
রূপসায় এতিমদের মাঝে দুম্বার মাংস বিতরণের অভিযোগ
এবার দেখা মিলেছে ৪ পাওয়ালা মোরগের!
সাধারণত মোরগ-মুরগি দুই পা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এবার দেখা মিলেছে চার পাওয়ালা মোরগের।
অবিশ্বাস্য হলেও এমন মোরগের সন্ধান মিলেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাইলমারি গ্রামে। ওই গ্রামের আইয়ুব আলী নামে এক খামারির খামারে চার পা বিশিষ্ট মোরগের সন্ধান মিলেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম
এ নিয়ে রীতিমতো এলাকা জুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। আশপাশের গ্রামের মানুষ মোরগটি দেখতে ভিড় করছে ওই খামারে।
খামারি আইয়ুব আলী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পোল্ট্রি মুরগি পালন করে আসছেন। কিছুদিন আগে খামারে পাকিস্তানি জাতের ডিমপাড়া কিছু মুরগি তোলেন তিনি। হঠাৎ একদিন চার পা বিশিষ্ট মোরগটি দেখতে পেয়ে আলাদা করে রাখেন। আস্তে আস্তে মোরগটি খামারেই বড় হয়।
স্থানীয় এক সাংবাদিক খামারে গেলে তিনি বিষয়টি জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার পা বিশিষ্ট মোরগের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ দেখতে ভিড় করতে থাকেন।
এখনও প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মোরগটি দেখতে ছুটে আসছেন।
মুরগি দেখতে আসা মিজানুর রহমান নামে এক দর্শনার্থী জানান, জীবনে চার পাওয়ালা মোরগ দেখিনি। সবই আল্লাহ’র কুদরত।
বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা প্রাণীসম্পদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মামুন খান জানান, এমন ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না। একটা মোরগের সাধারণত দুটো পা হয়। তবে চারটি পা এটা জিনগত ত্রুটি বা ক্রোমোজমের কারণে হয়ে থাকতে পারে।
পাকিস্তানি এ জাতের মোরগ-মুরগি যেহেতু ডিমের জন্য তৈরি হয়, তাই জিনগত ত্রুটি দেখা দিতেই পারে।
কাজেই এটাকে অস্বাভাবিক বলা যাবে না, অবশ্যই ঘটনাটি বিরল।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় জেলের জালে ৩৮ কেজির বাগাড় মাছ!
বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
মাছ, মাংস, ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা খামারিদের অনন্য অর্জন: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা খামারিদের অনন্য অর্জন। খামারিদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই দেশ আজ মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং দুধেও শিগগিরই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত গরুপ্রেমিদের মিলনমেলায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দুগ্ধ ও মাংস শিল্পকে উজ্জীবিত করা সম্ভব। খামারিদের প্রণোদনা দিলে তারা অনুপ্রাণিত হবে এবং এরই ধারাবাহিকতায় দেশের পুষ্টি চাহিদাও মিটবে।
আরও পড়ুন: খামারিরা বিপদে, খুলনায় ১০ লাখ মুরগি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে সমৃদ্ধ জনশক্তি দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। তাই বাজারজাতকরণ অসুবিধা দূরীকরণ, দুধ সংরক্ষণে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং খামারিদের করোনার ক্ষতিজনিত সরকারি প্রণোদনা যথাযথভাবে বণ্টন করে এই শিল্পে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গরুপ্রেমিদের মিলনমেলায় ছোট বড় সকল ধরনের খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি
ফরিদপুরে প্রস্তুত ৫০ হাজার পশু
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ফরিদপুর জেলার ছোট-বড় পশু খামারিরা ৫০ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করেছে। খামারিরা এখন শেষ মুহূর্তে তাদের পশুকে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ফরিদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার নয় উপজেলায় ছোট-বড় ৫ হাজার ১২০ জন খামারি রয়েছে। এর মধ্যে পদ্মার চারঞ্চলের খামারিই বেশি । এই খামারিরা আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অর্ধলক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করেছে। যা নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ ৯৯৯ এ কল দিয়ে ছিনতাইকৃত গরুর ট্রাক উদ্ধার, আটক এক
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা এলাকার বড় খামারি ‘সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদি’ খামারের মালিক সৈয়দ জহুরুল আলম জানান, তার খামারের ৬০টি বড় ও মাঝারি আকারের গরু রয়েছে। তারা উন্নত জাতের অল্প বয়সী গরু কিনে কোরবানির বাজারের জন্য বড় করে তৈরি করেছেন।
এই খামারি জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় ভিটামিনযুক্ত খাবার কাঁচা ঘাস, খড় এবং দানাদার খাবার, খইল, ভুসি ও চালের গুড়া খাইয়ে পশু মোটা তাজা করা হয়েছে। আর এসব খামারে কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেকের।
আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে দুধ নিয়ে বিপাকে খামারিরা
একই এলাকার ‘তাহেরা এগ্রোর’ মালিক আবরার নওশের বলেন, ‘আমার খামারে ৫০টি বড় আকারের গরু কোরবানির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা সারা বছর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে পশুগুলোকে উপযুক্ত করেছি, আশা করছি ভালো দামও পাব।’
ফরিদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে এবারে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আমরা অনলাইনে ও লাইভ ওয়েটে কোরবানির পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। খামারিরা তাদের গরুর ছবি, ওজন ও মূল্য নির্ধারণ করে পেজে পোস্ট দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরায় গরুর ক্ষুরারোগে দুশ্চিন্তায় খামারিরা, ১৫ দিনে ১৮ গরুর মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘জেলায় এ বছর ৪৮ হাজার ৩৪৯টি গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তবে এই জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৬ হাজার। আমরা জেলার চাহিদা পূরণের পরও ১৪ হাজার পশু অন্যত্র পাঠাতে পারব।’
ছাগল খেয়ে ফেলায় গাজীপুরে খামারিকে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ছাগল জবাই করে খেয়ে ফেলার জেরে মাছের খামারিকে পিটিয়ে ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত আজিজুর রহমান (৩৩) ওই গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, মঙ্গলবার উপজেলার রয়েন গ্রামের প্রতিবেশীর এক ছাগল আজিজুরের চাষ করা বেগুন খেতে ঢুকে পড়ে। বেগুন খেত নষ্ট করায় ছাগলটি ধরে ওইদিন রাতে জবাই করে বন্ধুদের নিয়ে খেয়ে ফেলেন তিনি। পরদিন বুধবার বিকালে আজিজুর বাড়ির অদূরে গেলে ছাগলের মালিক ও তার লোকজন আজিজুরকে বেধড়ক পেটায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আহত আজিজুলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত তাকে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ কারাগারে বন্দিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরে ছিনতাইকারী সন্দেহে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
সাভারে পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
ওসি জানান, এঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের স্ত্রী আছমা খাতুন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে প্রতিবেশী মোস্তাক খানসহ জড়িত বেশ কয়েকজনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
খামারি ও উদ্যোক্তাদের দেয়া সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে বুধবার জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
করোনা: ঝালকাঠিতে আর্থিক সংকটে পড়ার আশংকা খামারিদের
চলমান করোনা মহামারির কারণে ঝালকাঠির খামারিরা এ বছরের কোরবানিতে মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ার আশংকা করছেন।
পঞ্চগড়ে গরুর হাট এখনও জমে উঠেনি, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা
পঞ্চগড়ে করোনা পরিস্থিতি, গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ, বন্যাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও হাটবাজারগুলোতে কোরবানির প্রচুর গরু উঠছে।
কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা
আর মাত্র কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদুল আযহা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার ঈদের আগের চিত্র ভিন্ন হলেও থেমে নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গরু খামারিরা।
কোরবানিতে লাভ নয়, আসল পাওয়া নিয়েই শঙ্কাতে কুষ্টিয়ার খামারিরা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার কোরবানির গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কুষ্টিয়ার খামারিরা। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে তাদের শঙ্কাও তত বাড়ছে। লাভের আশা তো দূরে থাক, বাজারে পশু তুলে তা বিক্রি করে আসল তুলতে পারবেন কি না সেটাই এখন খামারিদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।