অংশীদারিত্ব
সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্কের আশাবাদ বাংলাদেশের
সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে অবস্থিত ফেডারেল প্রাসাদে সুইস ফেডারেল কাউন্সিলের এর প্রেসিডেন্ট এ্যালেন বারসেটের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান মঙ্গলবার বিকালে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রদূতের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ডের মধ্যে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।
সুফিউর রহমান সুইস প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূতকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাঁকে রাষ্ট্রাচার প্রথা অনুযায়ী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
বৈঠকে সুইস প্রেসিডেন্ট তাঁর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জেনেভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মুস্তাফিজুর
তিনি মিয়ানমার থেকে আগত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মিয়ানমারে তাঁদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষত সুইস সরকারের জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত রহমান বাংলাদেশের বিগত দশকগুলোর উন্নয়ন অভিযাত্রায় সুইজারল্যান্ডের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পূর্ণ অংশীদারিত্বে রূপান্তরের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা এবং পেশাগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরালো করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে সুইজারল্যান্ডের উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুইস বিনিয়োগের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সুইস ব্যবসায়ীদের গভীর আগ্রহ রয়েছে বলে সুইস রাষ্ট্রপতি জানান।
রাষ্ট্রপতি বারসেট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল ক্ষেত্রে বিশেষত অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।
সুইস প্রেসিডেন্ট এ্যালেন বারসেট বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সুইজারল্যান্ডে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন এবং এ সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত সুফিউর বুধবার অপরাহ্নে বার্নে সুইস প্রেসিডেন্ট কর্তৃক প্রদত্ত নববর্ষের অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন এবং সুইস পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: জেনেভায় গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার মতো আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি ‘কৌশলগত’ পর্যায়ে উন্নীত করতে চায় জাপান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরের সময় এই বিষয়ে সম্ভাব্য আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা এটিকে বৃদ্ধি করতে চাই। আশা করি আমরা আমাদের অংশীদারিত্বকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব বলতে আমরা একমত হতেই পারি।’
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাসে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপিত
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় এটি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন যে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হবে।
ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)নিয়ে জাপানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি খুব ব্যাপক, তবে কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয় বা কোনও দেশের পক্ষেও না।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে এফওআইপি এর অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। ‘আমরা আমাদের ব্যবহারিক সহযোগিতার প্রচার চালিয়ে যাব।’
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সংযোগ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি হচ্ছে বাস্তব সহযোগিতার অংশ; যা তারা প্রচার করে।
বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন যে চ্যালেঞ্জ আছে, তবে বিনিয়োগের পরিবেশের উন্নতি হবে বলে আশা করছি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ২৯শে নভেম্বর-১ ডিসেম্বর, ২০২২ জাপান সফরে যাবে। সেসময় বৃহৎ প্রকল্পে ‘বিনিয়োগ ও অর্থায়নের’ মাধ্যমে উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জাপানের ‘শক্তিশালী সম্পৃক্ততা’ চাইবে বাংলাদেশ।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে বলেন যে জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি ‘উত্তম বিনিয়োগকারী’ এবং তারা অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
মোমেন বলেন, ‘মূল কথা হল জাপান অর্থায়নে সক্ষম এবং তারা সবসময় কোনো কঠিন শর্ত ছাড়াই অর্থায়ন করে। তাদেরও প্রযুক্তি আছে।’
২০১৪ সালের মে মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টোকিওতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করেন এবং তারা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-জাপান ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ শুরু করেন।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবে ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০২২ সাল বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: বিনিয়োগ ও বড় প্রকল্পে অর্থায়ন খুঁজবে বাংলাদেশ
নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
ঢাকায় নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রদূতেরা বলেছেন যে তাদের দেশগুলো আগামী ৫০ বছর ও তার পরেও বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও টেকসই’ অংশীদারিত্ব করতে চায়, যেখানে বৃহত্তর সহযোগিতার লক্ষ্যে সুযোগ অন্বেষণে প্রধান খাতগুলো থাকবে-জলবায়ু, সবুজ রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সুস্থ মহাসাগর, লিঙ্গ সমতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।
কসমস ডায়ালগে যৌথভাবে প্রস্তুত মূল বক্তব্য প্রদানকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর সভেনডসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেনও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব, বহুপক্ষীয়তা, বৈশ্বিক সংহতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর বিভাগ ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ তার চলমান রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ইউএনবি’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত পণ্ডিত-কূটনীতিক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
এছাড়া, আলোচনায় আরও যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও ড. লাইলুফার ইয়াসমিন।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, ‘এই ৫০ বছরে আমরা একসাথে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা করেছি। আমাদের অংশীদারিত্ব চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের মধ্যদিয়ে হয়েছে। আর আমরা দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, এটা বলা ন্যায্য হবে যে নর্ডিকরা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার ও বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকার অংশীদারিত্ব আরও জোরদারের আশা
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বক্তারা।
শুক্রবার (১০ জুন) এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিও এবং জাইকার যৌথ উদ্যোগে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
‘বাংলাদেশের সাথে জাইকা: ৫০ বছরে পর্দাপণ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক এ সেমিনারে কি-নোট বক্তব্য দেন জাইকার সিনিয়র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মারি আকিইয়ামা।
জাপানের সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প খাত, একাডেমিয়া এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রয়াত্রায় ভবিষ্যতে জাইকার অংশীদারিত্ব কীভাবে আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে গতবারের চেয়ে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় জার্মানি
জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার মরগান বলেছেন, তারা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি এখানে শুনতে এবং শিখতে এসেছি; এবং আমরা একসঙ্গে মিলে কি করতে পারি তা দেখতেও এসেছি। আমি মনে করি আমাদের একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
তিনি আরও বলেন,এটা স্পষ্ট যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি সক্ষমতা থেকে একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়।
শনিবার বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির জলবায়ু বিষয়ক প্রথম দূত জেনিফার মরগান এসব কথা বলেন।
দূত বলেন, দ্রুত সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং স্পষ্ট এর (জলবায়ু পরিবর্তনের)প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
জার্মান জলবায়ু দূত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জ্বালানি দক্ষতার বিষয়ে কাজ করতে চাই এবং কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতার প্রচেষ্টা বাড়াতে পারি তা দেখতে চাই।’
৪ এপ্রিল প্রকাশিত জাতিসংঘের আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) প্রতিবেদনে দেখায় যে, গত এক দশকে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের বৃদ্ধি কমেছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নির্গমন অর্ধেক করা, লক্ষ্যমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাসহ আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ঢাকার
ঢাকা-ওয়াশিংটন ৮ম অংশীদারিত্ব সংলাপ শুরু
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার অষ্টম ‘অংশীদারিত্ব সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এই দ্বিপক্ষীয় সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এটাই প্রথম দুই দেশের মধ্যে হওয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
এই সংলাপের মাধ্যমে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ বোঝাপড়া’ করতে চায় এবং ব্যবধান দূর করে সম্পর্কের পরিধি আরও বাড়াতে চায়।
আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরুর আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি নুলান্ড একই ভেন্যুতে তেতে-এ-তেতে কথা বলেন।
বাংলাদেশ সংলাপে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপন করবে। কারণ বাংলাদেশের দাবি, নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘অযৌক্তিক এবং একটি বিশেষ মহলের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে এগুলো আরোপ করা হয়েছিল’।
গত ১০ ডিসেম্বর র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর,বাংলাদেশ অবিলম্বে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরালো অংশীদারিত্ব চায় সুইজারল্যান্ড
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরালো অংশীদারিত্ব চায় সুইজারল্যান্ড। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ইগনাজিও ক্যাসিস বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ‘আগের চেয়ে জোরালো অংশীদারিত্বের’ কথা তুলে ধরেন।
প্রেসিডেন্ট ক্যাসিস কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার, শান্তি ও সমৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়নসহ ভবিষ্যৎ সহযোগিতার প্রধান প্রধান ক্ষেত্রের ওপর আলোকপাত করেছেন।
পাঁচ দশক আগে এই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সুইজারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে কিছু বাংলাদেশি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রচার পক্ষপাতমূলক: রুশ রাষ্ট্রদূত
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই মাইলফলকের স্মরণে সুইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অভিনন্দন বার্তায় সুইস প্রেসিডেন্ট দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্রমাগত বিস্তৃতি ও গভীরতর করার ওপর জোর দিয়েছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী আসনের প্রার্থী সুইজারল্যান্ড। এজন্য বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পৃক্ততা আরও প্রসারিত’ করার দিকে নজর দেশটির।
আরও পড়ুন: এফএওকে একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব শেখ হাসিনার
রবিবার দূতাবাস জানায়, গত পাঁচ দশক ধরে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের এক নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগী।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তায় এক দশমিক দুই বিলিয়ন সিএইচএফ (এক দশমিক তিন বিলিয়ন ইউএস ডলার) বিনিয়োগ করেছে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্ব: বিশেষজ্ঞদের অগ্রাধিকারমূলক জলবায়ু পদক্ষেপ বিষয়ক আলোচনা শুক্রবার
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রকৃত বাস্তবতা এবং বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি প্রশমনের প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা তুলে ধরা হবে ‘বিল্ডিং অন দ্যা আউটকামস অব কপ২৬: প্রায়োরিটি ক্লাইমেট অ্যাকশনস এহেড অব কপ২৭’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে। শুক্রবার এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের অংশীদারিত্বে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) আয়োজিত এই ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে জলবায়ু অংশীদারিত্ব জোরদার করার উপায় নিয়েও আলোচনা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন উইং) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিএডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক, এর উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজান আর খান এবং এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড রিসার্চ সিস্টেম-এর ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসালটেন্ট ড. হাসিব মো. ইরফানউল্লাহ ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যোগ দেবেন।
ইউএনবি’র পরিচালক নাহার খান ওয়েবিনারটি পরিচালনা করবেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইউএনবি ফেসবুক পেজ এবং এর ইউটিউব চ্যানেলে এর প্রিমিয়ার হবে।
যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে গত ৩১ অক্টোবর -১৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ২৬ তম জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কপ২৬)অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনের ফলে প্যারিস চুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের লক্ষ্যগুলোর প্রতি পদক্ষেপ নিতে সবদল একত্র হয়েছে।
কপ২৬ এর সভাপতি হিসেবে, যুক্তরাজ্য বলেছে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ করতে হবে। কারণ তারা গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তিটি নিশ্চিত করার জন্য আগামী মাসগুলোতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবে এবং পরিকল্পনাগুলোকে কাজে পরিণত করবে।
চারটি লক্ষ্য সামনে রেখে যুক্তরাজ্য সভাপতিত্ব করবে। সেগুলো হলো- কার্বন নির্গমন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা; জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল নিশ্চিত করা; অর্থ সরবরাহ করা এবং একসঙ্গে কাজ করা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সভাপতিত্বের সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা।
ইউএনএফসিসি-এর কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (কপ২৭) এর ২৭তম অধিবেশন এই বছরের নভেম্বরে মিশরের শার্ম এল-শেখে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে দেশ: টিআরএনবি ওয়েবিনারে বক্তারা
বাংলাদেশে করোনার প্রভাব নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার
‘ইশো’র নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব-বাঁধন
ট্রেন্ডী ফার্নিচার ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ইশো’র নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুজন তারকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
ইশো’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেন বলেন, ‘সাকিব ও বাঁধন-কে পাশে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমাদের ভিশন ও ব্র্যান্ডের প্রতি তাঁরা দুজনই আস্থাশীল, যা আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। উভয় তারকাই তাদের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে ট্রেন্ড-সেটার হিসেবে পরিচিত। তাই এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ঘরে আমাদের ইশো পণ্য পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে বলে আমি আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: ডেকো ইশো গ্রুপের সঙ্গে ফসল ডট কমের চুক্তি স্বাক্ষর
সাকিব আল হাসান বলেন,‘স্বল্পসময়ের মধ্যেই ইশো অনলাইন বিক্রয়ে দেশের এক নাম্বার ফার্নিচার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় তাঁরা কেন অনন্য এবং তাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে। আমি নিজেও ‘ইশো’র আসবাবপত্র ও নকশার একজন ভক্ত। তাই পছন্দের ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হতে পেরে বিশেষভাবে আনন্দিত।’ তিনি আরও বলেন, আমি যেমন সর্বদা সেরার তালিকায় থাকতে স্বচেষ্ট থাকি, তেমনি ইশোও দেশের সেরা ফার্নিচার ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে সর্বদা স্বচেষ্ট।
আজমেরী হক বাধন বলেন, ‘ইশো’র সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত এবং এর কিছু কারণও রয়েছে। প্রথমত, তাদের পণ্য, যা অন্যকোনো ব্র্যান্ডের নেই ও ব্যক্তিগতভাবে আমি পছন্দ করি। দ্বিতীয়ত, ‘ইশো’র প্রতিষ্ঠাতা, যিনি শুধু ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠার জন্যই নয় বরং পুরুষ শাসিত এই শিল্পে নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে দেশে ফিরেছেন এবং সফলও হয়েছেন। ইশো দেশের মানুষের আসবাবপত্র বাছাইয়ে পছন্দ ও রুচি পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিসির জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড় সাকিব
মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত মিলার
মানবপাচার রোধে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অব্যাহত অংশীদারিত্বের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।