শিক্ষা সচিব
আগামী সপ্তাহে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা এমপিওভুক্তির সম্ভাবনা: শিক্ষা সচিব
স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
বুধবার সচিবালয়ে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান। অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার দুই দিন আগে সচিব মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
সচিব বলেন, ‘বেসরকারি মাদরাসার জন্য জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাবে, সেখান থেকে অনুমোদন এলে আমরা নতুনভাবে এমপিওভুক্তি শুরু করব। বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ২০০৬ সালের আগে স্বীকৃতি পেয়েছে, কিন্তু আগের সরকার বৈষম্যমূলকভাবে এমপিও দেয়নি, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আশা করছি, চলতি অর্থবছর থেকেই এটি শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সালের পর থেকে নতুন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা সচিবকে সরানো হয়েছে: মাহফুজ আলম
স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘আমি আসার পর থেকেই এমপিওভুক্তির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। মনে হয় সাইন করতে পারলাম না। এমপিওর সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে আছে। উনি মালয়েশিয়ায় না গেলে হয়তো এ কয়েকদিনে হয়ে যেত। কাল যদি হয় ভালো, না হলে আগামী সপ্তাহে হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
তিনি জানান, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার ভবনের জন্য একটি প্রকল্প সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন এতে সম্মতি দিয়েছে।
আরেকটি প্রকল্পের উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘আমরা দুই হাজার মাদরাসায় ভবন নির্মাণ করব। ২০০৬ সালের পরে বা এখন পর্যন্ত যেসব মাদরাসা ভবন পায়নি, সেগুলোর সংখ্যা ৬ হাজার ৩৮৯টি। এর মধ্যে একেবারেই ভবন পায়নি ৩ হাজার ২২টি, আর ২০০৬ সালের আগে ভবন পেলেও গত সরকারের আমলে কিছু পায়নি ৩ হাজার ৩৫৯টি মাদরাসা রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১১৪ দিন আগে
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গুচ্ছ অধিভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং মেধারভিত্তিতে ভর্তির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দশ দিনের মধ্যে শিক্ষা সচিব ও ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে সপ্তম মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। এর ফলে তারা মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ভর্তি হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডিত আবদুস সামাদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী জাওয়াদ বদরুদ্দোজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। পরে ব্যারিস্টার বাদল বলেন, হাইকোর্ট রুল জারি করে রিটকারীদের ক্ষেত্রে সপ্তম মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। এর ফলে তারা মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ভর্তি হতে পারবেন।
এর আগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে মাইগ্রেশনবন্ধ করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্তে পিষ্ঠ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। সেশনজট এড়াতে যেভাবে তড়িঘড়ি করে ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছিল তার ফল তো পেলোই না শিক্ষার্থীরা, বরং ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। উল্টো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এতে চরম বিপাকে শিক্ষার্থীরা।
২০ আগস্ট পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট আপডেট করার নামে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে রাখে প্রায় দুই মাস। এরপর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় ভর্তি কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত ছয়টি মেধাতালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু থাকলেও সপ্তম মেধা তালিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ৫৫ এর বেশি নাম্বার পাওয়া শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশনের সুবিধা নিতে পারছে না। যেহেতু একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাচ্ছিল, এখন মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। উপরের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও তারা এখন আর সেখানে ভর্তি হতে পারবে না।
উপাচার্যদের কাছে শিক্ষার্থীদের দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, গুচ্ছ ভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্তে তারা ভালো স্কোর নিয়ে ভালো সাবজেক্ট এ পড়ার সুযোগ পাবে না ও পছন্দমতো আবেদনের সুযোগ পেলেও একটি প্রতিষ্ঠানে (বিশ্ববিদ্যালয়ে) ভর্তি থাকায় তা পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। মাইগ্রেশন চালু করে ও সিট ফাঁকা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ না করার দাবিও জানানো হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে।
তারা বলছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে ভালো স্কোর করেও তারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে বা ভালো সাবজেক্টেভর্তি হতে পারবেন না। যা তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। একজন শিক্ষার্থী কম স্কোর নিয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে বা ভালো সাবজেক্টে ভর্তি হলেতারা অবিচারের শিকার হবেন।
তবে সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন উপাচার্য বলেন, সপ্তম মেধাতালিকা থেকে গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সেটিই বহাল রাখা হয়েছে। এটি পরিবর্তন হচ্ছে না। গুচ্ছভুক্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাইগ্রেশন বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ না করলে ক্লাস শুরুর প্রক্রিয়া অনেক পিছিয়ে যাবে। এতে সেশনজট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না মর্মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
১০৭৪ দিন আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
১৭৭৯ দিন আগে