স্বীকৃতি
সবচেয়ে দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলালিংক
উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক দেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্কের’ স্বীকৃতি হিসেবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
গত চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে বাংলালিংক এই পুরস্কার পেয়ে আসছে। এই স্বীকৃতি বাংলালিংকের নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে।
৩২ দশমিক ৬৫ এমবিপিএস স্পিড স্কোর নিয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকের ওকলা স্পিডটেস্ট রিপোর্টে গত চার বছরে টানা অষ্টমবারের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাপ থেকে প্রতিদিন সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। নেটওয়ার্কের সক্ষমতা, মান ও উপযোগিতা সঠিকভাবে জানার জন্য বিশ্বব্যাপী এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অ্যাপ।
আরও পড়ুন: বাংলালিংক ইনোভেটর্স ৪.০ বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা
এই অর্জন সম্পর্কে বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, দেশের দ্রুততম মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলালিংকের গ্রাহককেন্দ্রিক নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, মানুষের আস্থাভাজন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার জন্য আমরা নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি দ্বিগুণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলালিংক দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেবার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করছে। এছাড়াও, টেলিকম সেক্টরে ইন্টারনেট সেবার উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে বাংলালিংক একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
ওকলার প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন বাই বলেন, স্পিডটেস্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের অংশগ্রহণমূলক পরীক্ষা নিরীক্ষা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার পর, বাংলালিংককে দেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওর্কের’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে টানা আট বার শুধু বাংলালিংক ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।
স্টিফেন আরও বলেন, ২০২৩ সালের তৃতীয় থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে বাজারে নেটওয়ার্ক সেবাপ্রদানকারী সব মোবাইল নেটওয়ার্কের গতি ও কর্মক্ষমতা তুলনার ভিত্তিতে শুধু একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, বাংলালিংককে টানা চার বছর বাংলাদেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি গ্রাহকদের জন্য বাংলালিংক-এর মান সম্পন্ন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টারই ফলাফল।
দেশজুড়ে চার কোটি ৩০ লাখের বেশি দ্রুতবর্ধনশীল গ্রাহকসংখ্যা ও ১৬ হাজার মোবাইল টাওয়ার নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ স্পেকট্রাম বরাদ্দকারী মোবাইল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংকের জন্য এই অর্জনটি নিঃসন্দেহে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল শুরু করেছে বাংলালিংক ও টেলিটক
ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এক প্রেস কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের একটি অংশ বলছে, এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়টিই তুলে ধরেছে এ ঘটনা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করার আগে মুশফিকুল ফজল আনসারি দুটি অনুচ্ছেদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা মনে করেন, ওই পর্যবেক্ষণে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকেরই এড়ানো উচিত।
আনসারি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়ও প্রকাশ পেয়েছে। জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে যেসব দেশ জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সিনিয়র সাংবাদিকরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা একটি পুরোনো তৎপরতা। এটিকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা বলা যায় না, কারণ তিনি এই প্রশ্নগুলোর জবাবও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তিনি যে পোর্টালটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সমর্থিত প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভ্যানগার্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
জাস্টনিউজ নামে পরিচিত ওই পোর্টালের বিষয়বস্তু মিথ্যা বিবরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। অগ্নিসংযোগকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও তারেক রহমানকে তার অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে তারা বিভিণ্ন প্রতিবেদন করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করে।
এর আগেও, আনসারি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তখন শিক্ষাবিদরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং রাজনৈতিক এজেন্ডায় চালিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সেই আনসারিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মিথ্যা দোষারোপ করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দাবি করতে দেখা যায়। যা বিরোধীরা তাদের অগ্নিসংযোগের সহিংস কাজ এবং নির্বাচনি প্রচার বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক দাবির ন্যায্যতা দেয়।
নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের 'বিরোধীদের পক্ষে' কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আনসারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে 'স্বাধীন গণমাধ্যম আউটলেটগুলোকে' 'সরকারপন্থী' হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক তাবিউর রহমানের মতে, এই কৌশলটি খুবই অশুভ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সামনে তিনি সরকারের ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে বের হয়ে লোকটিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে দেখা যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না বলে দাবি তাবিউরের।
তাবিউর রহমান বলেন, 'অগ্নিসন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের লম্বা লম্বা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগলাভের এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার অব্যাহত থাকা উচিত নয়।’
আনসারির অতীতের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, 'এ ধরনের প্রচারণাকে সাংবাদিকতার কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়- কেবল কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে পারে। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি ভালো হাতিয়ার।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারোর স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে আছে- এমন ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, কারো স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দল বিএনপির আচরণেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন বিএনপি হতাশা ও ঘৃণায় জ্বলছে, কারণ তাদের দল নির্বাচন বর্জন করার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এখন তারা ঈর্ষান্বিত।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ স্বপ্রণোদিতভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা করছে।’ বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিবাদের নামে সহিংসতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও কাদের বলেন, 'বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন অস্পষ্ট এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের এই কর্মকাণ্ডকে আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে মনে করি।’
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার আছে। তবে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা বিশৃঙ্খলা করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
দেশের সেরা হাউজওয়্যার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল আরএফএল
দেশের সেরা হাউজওয়্যার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে গৃহস্থালী পণ্যের ব্র্যান্ড আরএফএল হাউজওয়্যার। দেশসেরা ব্র্যান্ডের মধ্যে আরএফএল হাউজওয়্যার সব ক্যাটাগরিতে তৃতীয় ও প্লাস্টিক পণ্য ক্যাটাগরিতে সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১৫তম আসরে দেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হয়।
এনসার্চের অংশীদারিত্বে ও ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।
আরও পড়ুন: সেরা ভ্যাটদাতা সম্মাননা পেল প্রাণ-আরএফএলের ৪ প্রতিষ্ঠান
দেশজুড়ে ভোক্তাদের অংশগ্রহণে পরিচালিত জরিপের ওপর ভিত্তি করে এবছর পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার ৪০টি ক্যাটাগরিতে ১১০টি ব্র্যান্ডকে পুরষ্কার দেওয়া হয়। এরমধ্যে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড ও সব ক্যাটগরি মিলে সেরা ১৫ ব্র্যান্ডকে পুরষ্কার দেওয়া হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আরএফএল হাউজওয়্যার এ নিয়ে টানা ১৩ বার দেশের সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য বড় অর্জন। ভোক্তাদের আস্থা ও ভালবাসায় এ সম্মান অর্জন করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা সবসময় মনে করি, সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার পথে ভোক্তার আস্থা ও ভালবাসাই আমাদের প্রেরণা।’
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল প্রাণ-আরএফএল
কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ নয়: মুখপাত্র
বাংলাদেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের' প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি এবং বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত যা বলেছি তা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলতে চাই।’
এর আগে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর', কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জীবন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সহ্য করবেন না, যা বিরোধীরা প্রায়ই করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি- জাতিসংঘের সচিবালয়, সংস্থা ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে সহায়তা করতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।’
১৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয় এবং ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে তা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না।
এক প্রশ্নকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি এ বিষয়য়ে মুখপাত্রের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েছেন।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং ওইসব ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া মহাসচিবের কাজ নয়। বিষয়টি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র
ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র।
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এ বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
জামদানি বয়ন শিল্প, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর প্রায় ছয় বছরের বিরতিতে বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
উল্লেখ্য, ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়।
তবে ২০২২ সালে পুনরায় নথিটি জমাদানের সুযোগ দিলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন।
এছাড়াও নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, উপস্থিত মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে তাদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
এখানে উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সমর্থন: মন্ত্রী
বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) একতরফা নির্বাচনের জন্য ‘সরকারের পুতুল’ হিসেবে কাজ করছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মেরুদণ্ডহীন ও পুতুল নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নির্বাচনের তফসিল বাস্তবায়নে জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: তারেক ও বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সারা দেশে যারা আন্দোলন করছে, তাদের উপর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা, আওয়ামী লীগপন্থী পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়ে হায়েনার মতো আক্রমণ করেছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, রাজনীতিতে বিপজ্জনক অচলাবস্থা নিরসনে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া চলমান আন্দোলনকে বানচাল করতে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অনিবার্য গণঅভ্যুত্থানের পদাঙ্ক শুনছে বাংলাদেশিরা। স্বৈরাচারী নিপীড়কের পতনের কাউন্টডাউনের মধ্যে আরেকটি একতরফা ও পর্যায়ক্রমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপপ্রয়াস চলছে।’
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার ও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, পিটিয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন দিয়ে হত্যা করার মতো মারাত্মক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করে আওয়ামী লীগ দেশের বাইরে প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে তারা সফল হতে পারছে না। সারা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে, বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার মূলত একতরফা নির্বাচনের কৌশল।’
রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫১০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন সফল করার জন্য তিনি দেশের জনগণ, বিএনপি ও সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে দেশে বিএনপি-জামায়াত নামে কোনো দল থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য শুনে দেশের মানুষ হতবাক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে এবং দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে বিএনপিকে বিভক্ত করার অশুভ প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেনি।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা যতদিন থাকবে ততদিন বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংকট চরমে, জনগণ প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত: রিজভী
১০ হাজার কোটি টাকার কোম্পানির স্বীকৃতি পেল নগদ
যাত্রা শুরুর ৪ বছর পর ১০ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেল মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ। ফলে বিশ্বের ১ হাজার ২০০টির মতো ইউনিকর্ন স্টার্টআপের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (২৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি স্বীকৃতি ‘ফাস্টেস্ট টু ইউনিকর্ন অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেছেন নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩’ অনুষ্ঠানে নগদকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ৮ ক্যাটাগরিতে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার মিশন নিয়ে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন নগদের। ৪ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ১ বিলিয়ন ডলারের (১০ হাজার কোটি টাকার) স্টার্টআপ কোম্পানি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
১০ আগে বিশ্বব্যাপী ইউনিকর্ন স্টার্টআপের ধারণার শুরু হয়। একটি স্টার্টআপের সামগ্রিক মূল্যমান ১০০ কোটি ডলারের সমান হলেই তাকে ইউনিকর্ন কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে বিশ্বে ১ হাজার ২০০টির মতো ইউনিকর্ন স্টার্টআপ রয়েছে।
ইউনিকর্ন স্টার্টআপকে স্বীকৃতি দেওয়ার এমন আয়োজন দেশে এবারই প্রথম। আর সে আয়োজনে প্রথম স্বীকৃতি পেল ডাক বিভাগের সহযোগী মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।
সামিটে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে তিনি বাংলাদেশে স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলতে নগদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বীকৃতি গ্রহণের পর নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘নগদ পরিবার ও আমার জন্য আজকের এই দিন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তার স্বীকৃতি পেলাম। আর কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. সামসুল আরেফিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে নগদে ওয়ালেটে অ্যাড মানি চালু
উপবৃত্তি বিতরণে নগদ-এর সঙ্গে সরকারের পাঁচ বছরের চুক্তি সই
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: দক্ষিণ এশিয়ায় ইউএস-বাংলার অনন্য স্বীকৃতি
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দক্ষিণ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের বিমান পরিবহন শিল্পে একের পর এক অনন্য নজির স্থাপন করে চলেছে। অর্জন করেছে বিভিন্ন সাফল্যের মাইলফলক।
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন স্টার রেটিং ১৯৯৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি মানসম্পন্ন অর্জনের মর্যাদাপূর্ণ, দীর্ঘতম প্রতিষ্ঠিত ও অনন্য চিহ্ন এবং এয়ারলাইন এক্সিলেন্সের একটি বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক, পেশাদার অডিট বিশ্লেষণ ও এয়ারলাইন পণ্য এবং ফ্রন্ট-লাইন সেবার মানগুলোর মূল্যায়নের পরে পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
এয়ারলাইন স্টার রেটিংগুলো অডিট অফিস দ্বারা একটি এয়ারলাইনের মানের মানের বিশদ, পেশাদার বিশ্লেষণের পরে প্রদান করা হয়। মানগুলোর একটি সাধারণ রেটিং ৫০০ থেকে ৮০০টির মধ্যে পণ্য এবং সেবা মূল্যায়ন আইটেমের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে। এটি এয়ারলাইনের এয়ারপোর্ট সেবা এবং সমস্ত প্রযোজ্য কেবিন এয়ারক্রাফট-এর ওপর ভিত্তি করে অনবোর্ড স্ট্যান্ডার্ডগুলোকে বিবেচনা করে থাকে৷
১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইনের সেবা ও মানের ওপর অ্যাওয়ার্ড দেয় স্কাইট্র্যাক্স। স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসের জন্য কোনো এয়ারলাইনকে আবেদন করতে হয় না, কোনো ফি দিতে হয় না, বিজয়ী এয়ারলাইন্সকে পুরস্কার ইভেন্টে যোগদানের জন্য কোনো অর্থও দিতে হয় না। আর এসব কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসকে বলা হয় ‘এভিয়েশন শিল্পের অস্কার’।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে নেপাল এয়ারলাইন্সের জরুরি অবতরণ
মালদ্বীপে বাংলাদেশের সেরা এয়ারলাইন্স এর পুরস্কার পেল ইউএস-বাংলা
বাংলাদেশে ১৯৭১’র গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচারণা জোরদার করুন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেতে তৃণমূল থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
ফোরামের কার্যকরী সভাপতি নুরুল আলম ও মহাসচিব লেখক ও সাংবাদিক হারুন হাবীব মঙ্গলবার বঙ্গভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আত্মস্থ করার জন্য সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে একাত্তরের বিজয় বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি সোনালী অধ্যায়।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘৭১ সেক্টর কমান্ডার ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’-এর সার্বিক কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা সভাপতিকে অবহিত করেন।
তারা রাষ্ট্রপতিকে জানান, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছে।
তারা এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফোরামের তাদের পরবর্তী কাউন্সিলে যোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি