আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে, স্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন যেমন ছিল, সাম্প্রতিক কয়েক দিনের ঘটনায় আমি বলব, সেটা কিছুটা খারাপের দিকে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে দ্রুতই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।’
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
রাজবাড়ীর ঘটনায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘রাজবাড়ীর ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। পাঁচজনকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তা তখনই জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ অবশ্যই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
যাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেই ডিসি ও এসপিকে দায়িত্বে রেখে কি সুস্থ তদন্ত সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘কারও অবহেলা বা গাফিলতি ছিল কিনা, সেটা তদন্তেই বের হবে। আগে থেকেই কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিলে তদন্তের গুরুত্ব নষ্ট হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আর কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।’
রাজবাড়ীতে গত কয়েকদিন আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তারপরও কেন এই মব ঠেকানো গেল না। গতকাল হাটহাজারীতেও এমন একটা ঘটনা ঘটল। তাহলে কি আপনারা মব ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছেন? এমন অভিযোগ নাকচ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হইনি। যারা এসব ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আসলে আমরা অনেকটাই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। সমাজে ধৈর্যের অভাব তৈরি হয়েছে। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচনে এসব পরিস্থিতি জনগণের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, তখন তাদের কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে যেতে জনগণকে বাধা দেওয়ার মতো শক্তি কারও নেই।’
৮৯ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনে ৪৭ হাজার কেন্দ্রে থাকছে বডি-ওর্ন ক্যামেরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত রাখতে দেশের ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে একটি করে বডি-ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সারা দেশের আনুমানিক আট লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ বাহিনীর মধ্যে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্ট গার্ড এবং সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব বাহিনীকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসাররা যেন কারো বাসায় না থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সঙ্গে আনসার এবং পুলিশ সবাই থাকবে।
কারা বডি-ওর্ন ক্যামেরা পাবেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪৭ হাজার ভোট কেন্দ্রের প্রতি কেন্দ্রেই একটি করে বডি-ওর্ন ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। পুলিশের মধ্যে যিনি সিনিয়র পদধারী থাকবেন, তার কাছে বডি-ওর্ন ক্যামেরা থাকবে৷’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে এসপি-ওসিদের বদলি হবে লটারির মাধ্যমে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত সব বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন পোলিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিবে।’
তিনি বলেন, ‘বাহিনীগুলোর প্রশিক্ষণের পর তাদের মহড়া দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভালোভাবে হতে পারে— সে অনুশীলন করা হবে।’
পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭৬ কর্মকর্তাকে সংযুক্তিতে বদলি করার বিষয় উপদেষ্টা বলেন, এটা রুটিন বিষয়৷ এটা সবসময় চলমান থাকবে।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১২০ দিন আগে
নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব প্রস্তুতি আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনকালীন প্রস্তুতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের জন্য যে তারিখই নির্ধারণ করুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব প্রস্তুতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আছে।
শনিবার (১৪ জুন) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে ছোটখাটো ঘটনা ঘটবেই। তবে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন কথা বলা যাবে না।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আগের তুলনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। এবার কোরবানির ঈদে ছোটখাটো চুরি বা ছিনতাই ছাড়া বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঈদ যাত্রা থেকে শুরু করে সামগ্রিক যানজট পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি দেশে রাস্তা থাকার কথা ২০ শতাংশ, সেখানে রাস্তা আছে ৭ শতাংশ। তার ওপরে দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য যানজট নিরসন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: তারেক দেশে ফিরতে পারেন যেকোনো সময়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এর আগে সকালে উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে পুলিশের হাতে মরণাস্ত্র না দেয়ার ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের একেক অংশের হাতিয়ারের চাহিদা একেক রকমের। চাহিদা অনুযায়ী তা সরবরাহ করা হবে। আর্মড পুলিশের হাতিয়ারের সঙ্গে নৌ পুলিশের মিল নেই, আবার নৌ পুলিশের সঙ্গে শিল্প পুলিশের মিল নেই। সবদিক বিবেচনা করে প্রয়োজনমাফিক হাতিয়ার সরবরাহ করা হবে।
তবে পুলিশের হাতে ভারী অস্ত্র দেয়া থেকে সরকার বিরত থাকবে বলে জানিয়েছেন এ উপদেষ্টা।
১৭৪ দিন আগে
ঈদে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদুল আজহার সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৯ জুন) যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ঈদুল আজহার সময় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া রাজধানী বা অন্য কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন: এপ্রিল নয়, ডিসেম্বরই নির্বাচনের উপযুক্ত সময়: ফখরুল
ঈদের ছুটির সময় আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় পরিদর্শনে যান।
এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শনের সময় তিনি দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ডেস্ক, নারী ও শিশুবিষয়ক ডেস্ক ও লকআপ ঘর পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের আবাসন ও খাদ্যের মান সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
১৭৯ দিন আগে
দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক।’
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে রাজধানীর ছয়টি থানা (খিলক্ষেত, ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জনদুর্ভোগ নিরসন ও থানার সেবার মান আরও উন্নত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজধানীর থানাগুলোকে নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জনগণ উপকৃত হবে বলে অভিমত দেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা জানান, রাজধানীর বেশ কয়েকটি থানা ভাড়া ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন জনগণের সমস্যা হচ্ছে, অন্যদিকে থানাগুলোও কাঙ্ক্ষিত মানের সেবা দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজস্ব জায়গায় ভবন নির্মাণ করে থানাগুলোকে স্থানান্তরের চেষ্টা করছি আমরা। ভালো জায়গায় থানা হলে জনগণের যেমন সুবিধা হবে, তেমনি থানাগুলো আরও সক্রিয় হবে ও কার্যক্রম চালাতে সুবিধা হবে।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেনি উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশ জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটার কোনো শঙ্কা নেই। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক, এটিকে আস্তে আস্তে আরও ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ঈদে সবাই ছুটিতে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এসময় তিনি আরও জানান, কোনো নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা যেন ছাড় না পান সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুষ্কৃতিকারী তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
২৪৭ দিন আগে
যেভাবেই হোক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
যেভাবেই হোক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসে নিজ বাসভবনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশিল করার চেষ্টা করছে। দেশ থেকে স্থানান্তর হওয়া টাকা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তারা।’
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে র্যাব নতুন করে গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের মা-বোনদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সব সময় সজাগ আছি। আইনশৃঙ্খলা আমি এসে যেভাবে পেয়েছি, তার চেয়ে উন্নতি হয়েছে কি না, সেটা আপনাদের ওপরই ছেড়ে দিলাম।’
এ সময় পদত্যাগ এবং তার ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘যে কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে, ওই কারণগুলো যদি আমি উন্নতি করে দিতে পারি, তাহলে তো আর কোনো পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। তারা তো চাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন উন্নতি হয়, আমি সেই ব্যবস্থা করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে এবং এটা আরও উন্নতি হতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: উত্তরার ঘটনায় সঙ্গে-সঙ্গেই অ্যারেস্ট করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সারাদেশে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে, কিন্তু অপরাধীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার কিন্তু করা হচ্ছে। তবে যে পরিমাণ গ্রেপ্তার করা উচিত, সেই পরিমাণ হয়তো হচ্ছে না। যেমন, বাসে ডাকাতির জন্য ইতিমধ্যে তিনজনকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার চলতে থাকবে।
২৮৪ দিন আগে
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি কীভাবে করা যায় সে চেষ্টা চলছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আজকের সভায় ঢাকার আইনশৃঙ্খলা কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে, তবে আরও উন্নত করার জায়গা রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সভার সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে আপনার বলতেন, মোহাম্মদপুর একটা সময় ঝামেলাপূর্ণ এলাকা ছিল, বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। অন্যান্য এলাকায় এই মডেলে কাজ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তাঘাটে দোকানপাট বসে। এগুলোকে আপাতত যেন এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আমি রাস্তার কথা বলছি, ফুটপাত নয়।
তিনি বলেন, আপনাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে। একটা দোকান সরিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পর আবার আরেকটা দোকান চলে আসে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে যেসব পুলিশ এসেছেন, তাদের অলিগলি চিনতে সময় লাগবে। তাদেরকে একটু সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, ক্রিমিনাল যেই হোক, যে দলেরই হোক, তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। সে যত বড় প্রতাপশালী হোক না কেন, ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজী যেন কোনো অবস্থায় না হয়।
তিনি বলেন, সড়ক দখল করে যেন কোনো দোকান না বসে সেগুলো মনিটরিং করা হবে। আপনাদেরও সহযোগিতা লাগবে। মূল সড়কে যেন অটোরিকশা না আসে, সেজন্য তাদের চার্জ দেওয়ার পথ বন্ধ করতে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।
বৈঠকে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৯৩ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি মোতায়েন
বেনাপোল বন্দরের সুরক্ষা দিতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে বেনাপোল পোর্ট থানা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার ভক্ত।
এছাড়া যশোর-৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন।
সভায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বেনাপোল বন্দরকে সচল রাখতে হবে। বিশৃঙ্খলা ঘটালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বেনাপোল গড়তে বেনাপোলবাসীকে তার পাশে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, বেনাপোল পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল মান্নান ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৪৮১ দিন আগে
আ. লীগ ও বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনদুর্ভোগের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে শনিবার রাজধানীর সব প্রবেশপথে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডিএমপি কমিশনার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সব প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দলগুলো এই কর্মসূচি পালনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনদুর্ভোগের গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ডিএমপি সব রাজনৈতিক দলকে আগামীকালের অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আগামীকাল উভয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
৮৬০ দিন আগে
শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো: মেয়র প্রার্থী জায়েদা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জায়েদা বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমি নির্বাচনে আমার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু
তিনি ভোটারদের নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমও তার মায়ের সঙ্গে একই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে বৃহস্পতিবার সকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
৯২৫ দিন আগে