জ্বালানি খাত
দেশের জ্বালানি খাতে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
দেশের জ্বালানি খাতে প্রতিদিনই কমছে গ্যাসের মজুদ, বাড়ছে না বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিমাণ—এমন অভিযোগ তুলে আগামীতে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার (১০ আগস্ট) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫’ শীর্ষক সেমিনারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ম. তামিম বলেন, সরকার জ্বালানি খাতের বকেয়া শোধ করতে সক্ষম হলেও ভর্তুকি কমাতে পারেনি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি।
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে, যেখানে চাহিদা ৩৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ ২০২৫ সালে গ্যাসের অভাব বেড়ে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়াবে—যা আগামীতে আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তামিম।
তিনি বলেন, “২০৩৫ সালে পেট্রোবাংলা গ্যাস মজুদের পরিমাণ ধরেছে ৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ তারা ধরে নিয়েছে দেশে আর নতুন করে গ্যাসের মজুদ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেখানে জ্বালানির ৭০ শতাংশ গ্যাস নির্ভরশীল, সেখানে গ্যাসের এ অভাব অত্যন্ত শঙ্কাজনক।”
বিদ্যুতের বিষয়ে তামিম জানান, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট হলেও সঞ্চালন সক্ষমতা ১৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট, যেখানে সঞ্চালন হয় প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট। ২০৩০ সাল অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে ২৬ হাজার মেগাওয়াটে। অল্প সময়ের মধ্যে সঞ্চালন সক্ষমতা বাড়াতে না পারলে ভুগতে হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
জ্বালানি বিষয়ে একই শঙ্কা ব্যক্ত করে আরেক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এজাজ হোসেন বলেন, “বর্তমানে প্রতি ঘনফুট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা; সেই দিন দূরে নয় যখন ১০০ টাকা খরচ করলেও এক ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে না।”
পড়ুন: জুলাইয়ে দেশের অর্থনীতির গতি বেড়েছে, পিএমআই ৮.৪ পয়েন্ট
অনেকে বলেন, আমদানি করে গ্যাস আনা হবে; কিন্তু যেসব পাইপলাইন রয়েছে সেগুলো ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অথবা ভঙ্গুর। তাই ইচ্ছামতো আমদানি করে গ্যাস আনা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
অভিযোগ করে জানান, যাকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে অতিরিক্ত আরও দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। এতে কাজের চাপ বেড়েছে এবং অগ্রগতি হয়নি। এক বছরে এত বড় মন্ত্রণালয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি, এমনকি পরিবর্তন আনতে দৃশ্যমান কোনো চেষ্টাও করা হয়নি।
জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “প্রতিটি মিল মালিক জ্বালানি সংকটে ভুগছে। একদিকে গ্যাসের অভাবে উৎপাদন বন্ধ, অন্যদিকে ব্যাংকের উচ্চ সুদহার—সব মিলিয়ে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”
জ্বালানি পরিকল্পনার অভাব প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, “সরকার এক এক সময়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম এক একভাবে নির্ধারণ করে। দেশে কোনো নীতির স্থায়িত্বের গ্যারান্টি নেই।”
তিনি বলেন, সরকারে জ্বালানি খাতে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া উচিত। এতে ব্যবসায়ীরাও সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের রূপরেখা সাজাতে পারবেন।
১১৬ দিন আগে
জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভ্চ্ছোদূত
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তর শীর্ষক সংলাপে যোগ দিয়েছেন সুইডেনের রাজকন্যা এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র শুভেচ্ছাদূত ভিক্টোরিয়া।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকায় ইউএনডিপি ও সুইডেন দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তর ত্বরান্বিত করা: টেকসই আগামীর জন্য সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন সহযোগিতা’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তর প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এ সংলাপ আয়োজন করা হয়।
টেকসই উন্নয়ন বলবৎ রাখার যৌথ প্রয়াস হিসেবে, এই সংলাপে সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার মূল অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
গত বছরের অক্টোবর থেকে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু মোকাবিলায় এসডিজির পক্ষে বৈশ্বিক জনমত তৈরির উদ্দেশ্যে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। এই সংলাপে তার উপস্থিতি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্বকেই আরও জোরদার করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তরে বেসরকারি খাতের ভূমিকার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা মাসরুর রিয়াজ।
জ্বালানিখাতে সবুজ রূপান্তরের জন্য চালিকা শক্তি, চ্যালেঞ্জ ও কৌশলগুলো নিয়ে ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমানের তত্ত্বাবধানে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী ইয়োহান ফরসেল, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির এবং ‘এসবিকে টেক ভেঞ্চারস’-এর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির।
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে সালমান এফ. রহমান বলেন, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা রয়েছে, আর এতেই স্পষ্ট হয় টেকসই পরিবেশ ও নিরাপত্তাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। টেকসই পণ্যের জন্য অবশ্যই বেশি বিনিয়োগ করতে হবে এবং ক্রেতাদেরও বাড়তি মূল্য পরিশোধের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে।
সুইডিশ মন্ত্রী ইয়োহান ফরসেল বলেন,‘এখানে প্রচুর পরিমাণে বেসরকারি বিনিয়োগ রয়েছে এবং আমরা যদি এর কিছু শতাংশ দারিদ্র্যদূরীকরণে ব্যয় করতে পারি তবে এটি একটি বিশাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত হবে। বাংলাদেশে আমাদের ৫০টিরও বেশি সুইডিশ কোম্পানি কাজ করছে। আমি মনে করি এটা বেশ ভালো একটা খবর কিন্তু আমাদের সামনে আরও ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।’
বাংলাদেশে সুইডিশ কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও সুইডেন ও ইউরোপে বিনিয়োগ করবে। এই অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত জায়গায় নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মদির বলেন, ‘উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সত্যিই অসাধারণ। তাছাড়া, বাংলাদেশকে এমন কিছু সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে যার জন্য আদতে তার নিজের জনগণ দায়ী নয়। আর এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা প্রয়োজন পারস্পরিক সংহতি, কারণ কিছু সমস্যা সবাইকে একসাথে সমাধান করতে হবে। আমাদের একে অন্যের কথা শুনতে হবে, নিজ নিজ আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতে হবে এবং সবাই নিজ নিজ অঙ্গীকারকে কার্যকর করতে হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্য উভয়ের জন্য আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ সমাধানে পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
বেসরকারি খাতের দায়িত্ব সম্পর্কে সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে বেসরকারি খাতকে উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং তা অবশ্যই নীতিমালা মেনে। অন্যান্যদের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমাদের বেসরকারি খাতকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’
আলোচনা সভায় সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি এইচএন্ডএম, গ্রামীণফোন, এরিকসন, ম্যারিকো, ইউনিলিভার, ভলভো, অ্যাটলাস কপকো এবং স্ক্যানিয়ার মতো বিভিন্ন বেসরকারি খাতের কোম্পানির প্রতিনিধিরা ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
৬২৪ দিন আগে
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জানতে চায় জ্বালানি খাতে বছরে কত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত?’
রাজধানীর মিরপুর এলাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠে জাতীয় পার্টির মিরপুর ও শাহ আলী থানা ইউনিটের কাউন্সিলে বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি জানান, যারা প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন তাদের তালিকাও তারা জানতে চান। অর্থ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। অর্থ পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ না করে সরকার নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে বর্তমান সরকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাঁচাতে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করছে না।
ড. জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের স্বার্থের কথা বললে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজেন।
দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে চলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি নেতা বলেন, আমাদের বোকা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন সারা দেশে এখন লোডশেডিং হচ্ছে? ডলারের দাম কেন এত বেড়েছে? জ্বালানির দাম এত বেড়েছে কেন?
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: জিএম কাদের
১২১০ দিন আগে
‘বৈচিত্র্যময় জ্বালানি খাত সময়ের দাবি'
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী একটি বৈচিত্র্যময় জ্বালানি খাত গড়ে তোলার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যা সমাধানের জন্য সৃজনশীল সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।’
মঙ্গলবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজিত 'বৈচিত্র্যময় শক্তি, সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ' -শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা সেচ পাম্পে ডিজেলের পরিবর্তে সৌর শক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সৌর সেচ পাম্প চালু করতে পারি, তবে এটি অর্ধ মিলিয়ন মেট্রিক টন ডিজেল সাশ্রয় করতে পারে।’
সরকারের গ্যাস আমদানি নীতির পক্ষে ড. চৌধুরী বলেন, এটি বহুমুখী জ্বালানি-মিশ্রণ নীতির অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত যশোরের সবজির বাজার
তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয় যে দেশে গত ৫-১০ বছরে কোনো খনন হয়নি। বরং, গত পাঁচ বছরে ৩৫টি কূপ খনন করা হয়েছে, যার মানে বছরে গড়ে সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে।’
সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসেকা আয়েশা খানম, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সচিব মো. (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
অনুষ্ঠানে ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া পৃথক দুটি উপস্থাপনা করেন।
তার পক্ষে নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট একটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আজ অবধি চুক্তির সুবিধা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি খাতে সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস দেখিয়ে তার (বঙ্গবন্ধুর) পথ অনুসরণ করতে হবে।
তিনি সকলকে ঐক্য ও ধৈর্যের মাধ্যমে জ্বালানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানান।
বেগম ওয়াসেকা আয়েশা খানম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও মৌলিক গবেষণা কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
অন্যদিকে হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার পরিবহন খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার উৎসাহিত করতে বৈদ্যুতিক যানবাহন নীতি প্রণয়ন করেছে। ‘নবায়নযোগ্য বিকল্প হিসেবে অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মডুলার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথাও ভাবা হচ্ছে।
নাজমুল আহসান বলেন, পেট্রোবাংলা আগামী কয়েক বছরে ৪৬টি কূপ খননের একটি পদক্ষেপ শুরু করেছে, ‘যার ফলে জাতীয় গ্রিডে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে’।
এবিএম আজাদ বলেন, বিপিসি একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা গভীর সমুদ্র থেকে চট্টগ্রামের জ্বালানি শোধনাগারে পেট্রোলিয়াম পরিবহনে বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
১২১৪ দিন আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেলা মারিন-এর শুভেচ্ছাপত্র হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
ফিনল্যান্ডের এই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হতে পারে।
রিতভা বলেন, তার দেশ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো বিদ্রোহের অনুমতি দিই না।’
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, তার সরকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং সে সময় ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে।
বাংলাদেশে প্রচুর হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো সেখানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের (বিদেশ) নীতি হল-সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সার আমদানি করলেও এখন শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে আরও খাদ্য উৎপাদনের জন্য কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পশ্চিমা হস্তক্ষেপের কারণে সত্যিকারের কূটনীতির কোনো জায়গা নেই: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে গতবারের চেয়ে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
১২৭৬ দিন আগে
জ্বালানি খাত উন্নয়নে মার্কিন বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে: নসরুল হামিদ
দেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বাংলাদেশ সফররত ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের (বিল্ডিং অন ফিফটি ইয়ার্স অফ ফ্রেন্ডশিপ) প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
শেভরন কর্পোরেশনের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে আর প্রায়র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউএস জেনারেল ইলেকট্রিকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী মাহেশ পলাশিকর, এক্সন মোবিলের মার্কেট ডেভেলপমেন্টের প্রধান শাহরুখ খান মির্জা এবং শেভরন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার এরিক ওয়ালকার বৈঠকে অংশ নেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমান সংকট এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় বাংলাদেশ নিজস্ব জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান ও উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বৃহৎ কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি মধ্যপর্যায়ের মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, ক্লিন এনার্জি এবং জ্বালানির নতুন উৎস অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের তিনি বলেন, ‘অফশোর, অনশোর অনুসন্ধান, গভীর সাগরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের পাশাপাশি প্রযুক্তি সহায়তা বিনিময়ে দুই দেশই লাভবান হবে।’
প্রতিমন্ত্রী মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং, সেই স্বপ্ন পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ দেশের জ্বালানি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে চায় মার্কিন ব্যবসায়ীরা
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৩০৪ দিন আগে
প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস ডেনমার্কের
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রযুক্তি ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
সোমবার বাংলাদেশে সফররত ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ এবং দেশটির উন্নয়ন ও সহযোগিতামন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ডেনিশ মন্ত্রী বলেন, ‘সহযোগিতার একটি নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে এবং ডেনমার্কের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: গ্রিন ট্রানসিশনে অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের ডকুমেন্ট সই
প্রায় ৩৯ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ (উন্নয়নের) রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে উচ্চ পর্যায়ের সম্মান অর্জন করেছে।
তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের রাজকুমারী ঢাকায়
ক্রাউন প্রিন্সেস প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।
শেখ হাসিনা ডেনমার্ককে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জীবন ও জীবিকার জন্য ভাসানচর গড়ে তুলেছে এবং সেখানে শ্রমিকদের কল্যাণে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
এছাড়া জলবায়ু ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং সরকার জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে এবং সমস্যা মোকাবিলায় কিছু বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ তিনদিনের সফরে সোমবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসতে পারেন ২৮ এপ্রিল
১৩১৯ দিন আগে
বাংলাদেশের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
মহামারি পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য ঋণ হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
আর্থিক সহনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এই সহায়তা দক্ষতা উন্নয়ন, গ্রিননহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং জ্বালানি খাতের নীতিগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণকে সমর্থন করবে। এই পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতের প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সহনশীলতা তৈরি করতেও সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, বিশ্বব্যাংক জরুরি প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০২০ সাল থেকে টিকাদান ও করোনা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে বাংলাদেশকে তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এই সহায়তা সবুজ, স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার এবং কম কার্বন নিঃসরণ করতে দেশটির নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রোগ্রামটি জাতীয় কর নীতির উন্নয়নে সহায়তা করে, যা বাণিজ্য কর আধুনিকীকরণেও সহায়তা করবে। নতুন নীতিগুলো অনাবাসিক ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাসহ বিদেশি সংস্থা, সোশাল মিডিয়া এবং ক্লাউড পরিষেবা সংস্থাগুলোকে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে এবং অর্থ প্রদানে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বিশ্বব্যাংকের মতে, পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের স্থিতিশীলতা ও দক্ষতা জোরদার করার জন্য নতুন আইন প্রস্তুত করা হবে, যা ডিজিটাল এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবাগুলোকেও উৎসাহিত করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের প্রধান বার্নার্ড হ্যাভেন বলেছেন, এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে সবুজ ও স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করবে।
ঋণটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মেয়াদে প্রদান করা হবে।
১৩৪৪ দিন আগে
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য দেশটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সাপ্লাই চেইন কর্মসূচি পরিচালনা করবে এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বলানিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করবে যা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি বিনিয়োগ রোডম্যাপের আওতায় অস্ট্রেলিয়া ‘নিম্ন নিঃসরণ প্রযুক্তি স্টেটম্যান্ট’ প্রকাশ করেছে এবং এ খাতে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
অস্ট্রেলিয়া একটি বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তার বিবেচনা করবে জানিয়ে দেশটির হাইকমিশনার বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অস্ট্রেলিয়া নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্ববান অংশীদার।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ‘সোনালী’ সুযোগ দেখছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার
১৫০২ দিন আগে
জ্বালানি খাতে মাসুল বাড়াচ্ছে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা
জ্বালানি খাতে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপের কারণে অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের ব্যয় বাড়ছে। বিশেষ করে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এবং সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ব্যবসায় মাসুলের ওপর এর বড় প্রভাব পড়ছে।
১৭৭০ দিন আগে