ডব্লিউইএফ
দাভোসে দ্বিতীয় দিনে ১৪ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) দ্বিতীয় দিনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিন অন্তত ১৪টি বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস বিষয়ক মন্ত্রী ভল্ফগ্যাং স্মিডের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন।
ডব্লিউইএফের বার্ষিক সভার ফাঁকে অনুষ্ঠিত এ সভায় এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাভোসে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস, পরিকল্পনায় ৪০টির বেশি কর্মসূচি
উপপ্রেস সচিব আজাদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফাঁকে বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন।
বুধবার ড. ইউনূসের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠক।
ড. ইউনূস মঙ্গলবার বিকালে ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং সেখানে পৌঁছানোর পর থেকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ছয়টি বৈঠক করেছেন।
এর আগে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রমুখ।
২০২৫ সালের বার্ষিক সম্মেলন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের জড়ো করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধিকে চাঙা করা এবং ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তর পরিচালনা করা।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ড. ইউনূস
'কলাবোরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ' প্রতিপাদ্যের এই বছরের সম্মেলনটি আহ্বান করা হয়েছে এবং প্রোগ্রামটি পাঁচটি বিষয়ে স্বতন্ত্র তবে অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত ধারণাগত অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত।
বৈঠকে ১৩০টিরও বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা এবং ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ৬০টি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ৩৫০ জন সরকার প্রধান একত্রিত হবেন।
৩১৭ দিন আগে
সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো বার্তায় শোয়াব বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে গৃহীত সাহসী সংস্কারগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করতে সহায়তা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এর পূর্ণ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার জন্য আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলুন: সুইস বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি ২০২৪ সালের ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোস-ক্লিস্টারসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ৫৪তম বার্ষিক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। এবারের বার্ষিক সভার থিম হচ্ছে- ‘রিবিল্ডিং ট্রাস্ট’।
যথারীতি, ১০০টিরও বেশি সরকার, সকল প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১ হাজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সংস্থা, প্রাসঙ্গিক নাগরিক সমাজ এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো যোগ দেবে।
তিনি তার (শেখ হাসিনা) নতুন নেতৃত্বের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘আমি সত্যিই আপনাকে এই প্রচেষ্টায় যুক্ত করতে আগ্রহী এবং দাভোসে আপনাকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আপনার দলের ঐতিহাসিক বিজয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দয়া করে আমার অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আমি আপনাকে এবং আপনার সহকর্মীদের নতুন মেয়াদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফলতা কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
৬৯৫ দিন আগে
লিঙ্গ সমতায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, টানা অষ্টমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশ।
দেশটি ২০১৪ সাল থেকে তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের থেকে এগিয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ডব্লিওইএফ গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২-এ বাংলাদেশ ছয় ধাপ পিছিয়ে ১৪৬ টি দেশের মধ্যে ৭১ তম স্থানে আছে।দেশগুলো লিঙ্গ সমতায় পৌঁছানোর কতটা কাছাকাছি রয়েছে তার ভিত্তিতে এ বেঞ্চমার্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
ডব্লিউইএফ এর চারটি মূল ভিত্তি হলো- অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ, শিক্ষাগত অর্জন, স্বাস্থ্য ও অস্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। এই পরিমাপগুলোর ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের ১৬ তম সংস্করণ অনুসারে, দেশের নারীদের ক্ষেত্রে ২০২১ থেকে ২০২২ সালে সামগ্রিক লিঙ্গ সমতা হ্রাস পেয়েছে। এটি শিক্ষাগত অর্জনে দুর্বল পারফরম্যান্সের কারণে ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশটি অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগের দিক থেকে খুব খারাপ স্কোর করেছে। ১৪১ অবস্থানে থেকে এটি শুধুমাত্র মিশর, ভারত, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে।
লিঙ্গ সমতা অর্জনে সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা আইসল্যান্ড ১৩ তম বারের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক লিঙ্গ-সমতাভিত্তিক দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে৷আফগানিস্তানে যা সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
১২৩৯ দিন আগে
ডব্লিউআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্পিকার
নারী উন্নয়নে দীর্ঘদিন কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে 'ওমেন ইকোনমিক ফোরাম' (ডব্লিউইএফ) পরিচালিত ‘উইকি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ ফর: উইমেন অব দ্যা ডিকেড ইন পাবলিক লাইফ অ্যান্ড লিডারশিপ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
১৭৬৩ দিন আগে