সূচক
উত্থানে ভালো সপ্তাহ কেটেছে পুঁজিবাজারে, বেড়েছে সূচক
গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনের উত্থানে ভালো সপ্তাহ কেটেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। এতে বেশিরভাগ কোম্পানির বেড়েছে সূচক, শেয়ারের দাম এবং সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পুরো সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। ৫৩৫০ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেনে শুরু হয়ে সপ্তাহ শেষে সূচক বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৪ পয়েন্ট।
উত্থান হয়েছে ডিএসই'র বাকি দুই সূচকেও; বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট এবং শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহ জুড়ে লেনদেনে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৪১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১২৯ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৩১ শতাংশ। ৬৮৯ কোটি টাকার গড় লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৯০৭ কোটি টাকা। বাজার ভালো করায় আস্থা ফিরে পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা, বেড়েছে বাজার মূলধন। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ফান্ড, টেলিকম, চামড়া শিল্প এবং পর্যটন খাত ছাড়া সবকটি খাতে দাম বেড়েছে শেয়ারের। বিশেষ করে ব্যাংকখাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, লেনদেন বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
পড়ুন: পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু সূচকের উত্থান দিয়ে
অন্যদিকে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ, লেনদেন বেড়েছে ২৬ শতাংশ। সাধারণ বীমাখাতে উত্থান হয়েছে ৮৬ শতাংশ এবং জীবন বীমা খাতে উত্থানের পরিমাণ ৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেক্সিমকো ফার্মা, তৃতীয় ওরিয়ন ইনফিউশন। শীর্ষ পাঁচে আছে সিটি ব্যাংক এবং বিচ হ্যাচারি।
সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫২ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে বেশিরভাগের। ১৯২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১০ কোম্পানি। দামে পরিবর্তন আসেনি ১৬ কোম্পানির শেয়ারের।
সিএসইতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে আছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ, সালভো কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রি এবং সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
অন্যদিকে সিএসইতে দরপতনে তলানিতে এক্সিম ব্যাংক, মেট্রো স্পিনিং, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
১০৩ দিন আগে
১৫ দিন পর পুঁজিবাজারে লেনদেন ৯৫০ কোটি টাকা ছাড়াল
১৫ দিনের উত্থান-পতনের মিশ্রধারা শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা, বেড়েছে সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে প্রধান সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইসি ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৪০০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৪ কোম্পানির, কমেছে ৯৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড— সবকয়টি ক্যাটাগরিতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২২১ কোম্পানির মধ্যে ১৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৪১ কোম্পানির ১৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে পূবালি ব্যাংক।
সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। সারাদিনে ডিএসইতে ৯৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৮০১ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস এবং ৫ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে আইসিবি ইমপ্লোয়িস প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
পড়ুন: সূচকের বড় উত্থান ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতোই উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬১ পয়েন্ট।সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ২০৮ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮, কমেছে ৫৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে ১৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে সিএসইতে, যা গতদিন ছিল ১৩ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
১০৮ দিন আগে
পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের পতন
পুঁজিবাজারে দ্বিতীয় কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের পতন হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে। এ সময়ে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
এই সময়ে ঢাকার ১১১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: ঢাকার পুঁজিবাজারে বড় উত্থান, সূচক প্রায় ৫ হাজার পয়েন্ট
ঢাকার মতোই পতনের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনও। সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৭টি কোম্পানির মধ্যে ২১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৫২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় প্রথম ঘন্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা এবং সিএসইতে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১৪৯ দিন আগে
সূচকের পতনে শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শুরু
সূচকের পতন দিয়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের দুই শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সবকটি সূচকই কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ পয়েন্ট কমে গেছে। পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ৮ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস৩০ কমেছে ১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন
সূচক কমলেও বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখী। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১৫৬টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১০০টির কমেছে এবং ৮৯টি অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৬৫ কোম্পানির মধ্যে ২২টির দাম বেড়েছে, ৩১টির কমেছে এবং ১২টি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথম ঘণ্টায় সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০ লাখ টাকার বেশি।
১৮৯ দিন আগে
উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু, সূচক বাড়লো দুই বাজারে
টানা তিন কার্যদিবসের পতন কাটিয়ে চলতি সপ্তাহে প্রথম দিনের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা দশদিন সরকারি ছুটি থাকবে। দীর্ঘ এ ছুটির সমন্বয়ে ঈদের আগে দুই শনিবার ১৭ মে এবং ২৪ মে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু রাখার ঘোষণা দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সে হিসাবে চলতি সপ্তাহে শনিবার (১৭ মে) লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে, যার ধারা বজায় ছিল শেষ অবধি।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসই'র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে। ২৭৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১৪৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ৫৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে। ৫ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
২৬ কোম্পানির ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৬২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৯৬ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শাইনপুকুর সিরামিকস। অন্যদিকে ৫.৩০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মার্কেন্টাইল ইসলামি ইনস্যুরেন্স।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: বেহাল সূচক, ব্যাংক খাতে বিপর্যয়
উত্থান চট্টগ্রামের বাজারেও
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৮ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪, কমেছে ৫৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
৯.৯১ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নিটল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এবং ৯.৮৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
২০১ দিন আগে
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: বেহাল সূচক, ব্যাংক খাতে বিপর্যয়
পুঁজিবাজারে এক সপ্তাহের লেনদেনে কমেছে সবকটি সূচক, লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২১ পয়েন্ট। ৪৯০২ পয়েন্টে লেনদেন শুরু করে সূচক দাঁড়িয়েছে ৪৭৮১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২.৪৭ শতাংশ কম এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ঢাকার বাকি দুই সূচকেরও বেহাল দশা। শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএসের সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। গত ক'দিনের লেনদেনে শরীয়া খাতে সূচকের পতন ৩.২৯ শতাংশ, যা অন্য যেকোনো সূচকের তুলনায় সর্বোচ্চ।
বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ারের হয়েছে ভরাডুবি। ২.৭৬ শতাংশ সূচক কমেছে ডিএস-৩০ এ। এক সপ্তাহের লেনদেনে মোট সূচক কমেছে ৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া তালিকাভুক্ত ৩২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৪ কোম্পানির।
টানা পতনে বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক লেনদেনে। এক সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেন কমেছে ৩২.৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শেষ
গড় লেনদেন ৪৮০ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩২৪ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা কমেছে ১৯.৫২ শতাংশ।
খাতোয়ারি ধস
বিনিয়োগকারীদের আস্থার শেয়ার ব্যাংক খাতে বড় ধস নেমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের সামগ্রিকভাবে শেয়ারের দাম কমেছে ৪৭.৮২ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের শেয়ারেও বিনিয়োগকারীরা ভরসা রাখতে পারছেন না তার বড় প্রমাণ লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমে আসা। এ খাতে লেনদেন কমেছে ৩১.২৪ শতাংশ।
পৃথকভাবে ১০ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়লেও দাম কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের পাশাপাশি সুবিধা করতে পারেনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও। তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক শেয়ারের দাম কমেছে ২৬.৫৫ শতাংশ, মোট শেয়ার লেনদেন কমেছে ১৯.৫৩ শতাংশ।
খাতভিত্তিক শেয়ারে সবচেয়ে করুণ দশা আবাসন খাতে। এ খাতে দাম কমেছে ৬০ শতাংশ ওপরে আর লেনদেন কমেছে ৫৩ শতাংশ।
পুরো সপ্তাহ শুধু সাধারণ বীমা আর মিউচুয়াল ফান্ড ভিত্তিক শেয়ারের দাম বেড়েছে, বাকি সবকটি খাতের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বড় পতন হয়েছে, সার্বিক সূচক কমেছে ২২৬ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ৩০০ কোম্পানির মধ্যে ২০৩ কোম্পানির দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৭৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছে বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। সারা সপ্তাহের লেনদেন সিএসই'র শীর্ষ শেয়ার সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ২২ শতাংশ দাম হারিয়ে চট্টগ্রামে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
২০১ দিন আগে
ফের পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের সবকটি সূচক
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে পতনের পর তৃতীয় দিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমেছে ও লেনদেনে অংশ নেয়া তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১০ পয়েন্ট ও বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৭ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দামই নিম্নমুখী। ৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৯২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’– তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৫৩টি ও অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ২১ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির।২২ কোম্পানির ১৬ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। রেনেটা সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ২৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৪৩ কোটি টাকা। ৯.৯১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার সিটি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ৬.৭৭ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এনআরবি ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৬ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪, কমেছে ১২৭টির ও অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে সোনালি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার এবং ৯.৮২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে কেডিএস এক্সেসোরিস লিমিটেড।
২০৪ দিন আগে
পুঁজিবাজার: লেনদেন শেষে সূচকের উত্থান, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর
পতন দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। তবে প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচকের সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার বাজার।
শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৮৯ কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরে পতন হয়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩ কোম্পানির।
২১ কোম্পানির ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। বেকন ফার্মা সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক এবং কোম্পানির শেয়ারের দাম সন্তোষজনক হলেও লেনদেনে সুবিধা করতে পারেনি ডিএসই। সারাদিনে মোট ৩৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নর্দান ইসলামি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে সাড়ে ৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯১, কমেছে ৭১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২১ কোটি টাকার ওপরে।
৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে রয়েছে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স পিএলসি।
২০৬ দিন আগে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলো দেড়শ' পয়েন্ট, দায়ী পাক-ভারত উত্তেজনা নাকি অন্যকিছু?
বড় পতনের মুখে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। একদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্ট। সূচক হ্রাসের কারণ হিসেবে পাক-ভারত উত্তেজনাকে দায়ী করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। অনেকে আবার বলছেন গুজব ছড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসই'র প্রধান সূচক কমে ১২০ পয়েন্ট। এরপর লাগাতার পতনে লেনদেন শেষে সূচকের পতন ঠেকেছে ১৪৯ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজারে অর্থ যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বাজার পতন প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্পষ্টত পাক-ভারত উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে করে একদিনে বাজারের এই হাল। যদি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘ যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়বে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আবু আহমেদ বলেন, ‘রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বড় ধাক্কা খেয়েছে। তখন বাজার স্বাভাবিক করতে ফ্লোর প্রাইস চালু করা হয়েছিল। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হলে বাজার আবারও বড় অস্থিরতার সম্মুখীন হবে।’
ঢাকার বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৪৯৫১ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু করে দিন শেষে প্রধান সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮০২ পয়েন্টে। একদিনের লেনদেনে বাজার সূচক হারিয়েছে ৩ শতাংশ।
শুধু প্রধান সূচক না, শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ৪১ এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪০ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে ৩৮৫ কোম্পানি দর হারিয়েছে, বেড়েছে মাত্র ৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ,বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম তলানিতে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া এ ক্যাটাগরির ২১৯ ভালো কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর কমেছে ২১৫ কোম্পানির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই দশা; সিএসইতে সারাদিনের লেনদেন শেষে সার্বিক সূচক কমেছে ২৭০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৭০ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৮৭ কোম্পানির। ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
তবে পাক-ভারত উত্তেজনাকে বাজার পতনের একমাত্র কারণ হিসেবে মানছে না ডিএসই। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘যদি পাক-ভারত যুদ্ধের কারণেই বাজারে পতন হয় তাহলে বাংলাদেশের বাজারের থেকে খারাপ অবস্থা হওয়ার কথা পাকিস্তান এবং ভারতের বাজারের। কিন্তু তেমনটা হয়নি। এতে করে বোঝা যায় পাক-ভারত উত্তেজনা বাজার পতনের অনুঘটক হলেও প্রধান কারণ না।’
আরও পড়ুন: ঢাকার পুঁজিবাজারে এ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন
ভারতের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশটির সেনসেক্স সূচক প্রায় ৮০০ পয়েন্ট এবং নিফটি ১৫০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছিল, তবে বাজার খোলার কয়েক মিনিটের মধ্যে ক্ষতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে এবং লেনদেনেও ফিরেছে স্থিতিশীলতা। খাতভিত্তিক সূচকে মধ্যে মিডিয়া, ভোগ্যপণ্য এবং ওষুধ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তবে অটো স্টক এবং ব্যাংক খাত তুলনামূলক ভালো করেছে যা বাজারের মন্দাভাব অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে।
যেখানে ভারত বাজার সামাল দিলো সেখানে বাংলাদেশ কেন ব্যর্থ- এমন প্রশ্নের জবাবে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পাক-ভারত উত্তেজনার পুরোটাই কৃত্রিম প্যানিক। বাজারে প্যানিক সৃষ্টি করায় দরপতন হয়েছে। আগে থেকেই বাজারের অবস্থা বেহাল ছিল। এখন পাক-ভারত উত্তেজনার আতঙ্ক ছড়িয়ে বাজারকে একদম তলানিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘অযোগ্য মানুষ দিয়ে কমিশন চালানো হচ্ছে। যতদিন না কমিশনে পরিবর্তন আনা হবে ততদিনে বাজার ভালো হবে না। বাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের ভরসা পুরোপুরি উঠে গেছে। বাজারের অংশীজনরা আর অর্থলগ্নি করতে চাচ্ছেন না। পাক-ভারত উত্তেজনা একটি ইস্যুমাত্র। মূল সমস্যা বাজার কাঠামো এবং প্রশাসনিক দুর্বলতায়।’
সূচকের পতনের মধ্যেই ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। ব্রোকারেজ হাউজের কর্তাব্যক্তিরা জানান, বুধবার লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে প্যানিক ছড়ানো হয়। এতে করে বিনিয়োগকারীরা দেদারসে শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলশ্রুতিতে বাজারের এ বেহাল দশা।
২১১ দিন আগে
ঢাকার পুঁজিবাজারে এ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন
একের পর এক সূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে এবার বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ঢাকার পুঁজিবাজারে। গড়ে ৪৫০ কোটি টাকার ওপর হওয়া লেনদেন এসে ঠেকেছে ৩০০ কোটিতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা এ বছরে সর্বনিম্ন। একদিনের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি টাকা।
লেনদেন কমার পাশাপাশি প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪ পয়েন্ট। নেতিবাচকের ঘরে ছিল শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস। তবে লম্বা পতন শেষে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানরই দাম ছিল নিম্নমুখী। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে ১১৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২১৪ কোম্পানি এবং ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি, জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানি দাম হারিয়েছে। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত ২১৫ কোম্পানির মধ্যে ৭১ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর নেমেছে ১১৮ কোম্পানিতে।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৫ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে। বাকি ২৩ কোম্পানির ইউনিটের দাম ছিল নিম্নমুখী এবং অপরিবর্তিত আছে ৯ কোম্পানির দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৫ কোম্পানি প্রায় ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে রেনেটা সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং ৯.৯৩ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
অব্যাহত পতন চট্টগ্রামে
ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতনের ধারা অব্যাহত আছে, সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৭ কোম্পানির মধ্যে ৭২ কোম্পানির দাম বাড়লেও কমেছে ১১৩ কোম্পানির দাম এবং ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
আরও পড়ুন: পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। মোট ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬ কোটি টাকার ওপরে।
৯.৮২ শতাংশ দর বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে বিচ হ্যাচারি।
২২৫ দিন আগে