আত্মতুষ্টি
আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আগামী পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ দেশ পাহারা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরপর চতুর্থবারসহ পাঁচবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগবে না। যেভাবে ভোটের বাক্স পাহারা দিয়েছি, রাজপথ পাহারা দিয়েছি, সেভাবে আমরা আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের আলোচনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে, তবু নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। চমৎকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বিশ্বের ৮০ টি দেশ, ৩২ টি আন্তুর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে। এসব দেখে বিএনপি এখন হায় হায় করে, লিফলেট বিতরণ করে, আর কী করা যায় ভাবছে। আশা করি তারা আর আগের মতো নাশকতার পথে যাবে না। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাই আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব আমরা।'
এ সময় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যাঙ ছোট হলেও আওয়াজ বড়ো, ছোট কিছু রাজনৈতিক দল এবং পরিত্যক্ত নেতাদের ইদানীং বড় আওয়াজ শোনা যায়। তাদের নাম বলতে চাই না, কিন্তু তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মঞ্চে ১০০ জন, সামনে ২০ জন আর বাকিটা মিডিয়া নিয়ে তাদের সভা হয়।’
আরও পড়ুন: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
অর্থনীতি নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বেশ স্থিতিশীল। কিন্তু, বৈশ্বিক ভূ-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই।
রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত প্রাক-বাজেট (২০২৩-২৪) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি ও এলসি খোলার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এ কারণেই আমাদের রিজার্ভ এখনও বেশ স্থিতিশীল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত সন্তোষজনক নয় এবং আমাদের রাজস্ব আদায়ও কম, তাই কর নেট বাড়ানোর বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
ট্যাক্স অটোমেশন, কর ব্যবস্থার সরলীকরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কৃষি, চামড়া, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে আরএমজি সেক্টরের মতো সুবিধা পাওয়া উচিত।
এম এ মান্নান তার বক্তব্যে এলডিসি উন্নীতকরণের পর প্রতিযোগিতামূলক হতে আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপর জোর দেন।
তাছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও অস্থিতিশীলতা বিবেচনায় আগামী বাজেট অতি উচ্চাভিলাষী হবে না বলেও জানান তিনি।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি)-এর সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সেকো ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
সেশনের বক্তারা কর ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ এবং ডিজিটাইজেশন বা অটোমেশনের ওপর জোর দেন।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম প্রাক-বাজেট আলোচনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের সংবিধান মানলে বিএনপি'র অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত: পরিকল্পনামন্ত্রী
দেশের কোভিড নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই
দেশের আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকায় কোভিড-১৯ মহামারি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে বলে মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই। কেননা মারাত্মক এ ভাইরাস যে কোনো নতুন ধরনের মাধ্যমে ফের বেড়ে যেতে পারে।