আত্মত্যাগ
হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ এনেছে: প্রধান উপদেষ্টা
জুলাইয়ে শহীদদের ত্যাগ জাতিকে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘জুলাই আমাদের নতুন করে আশার আলো- একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে। আসুন সবাই মিলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।’
সোমবার (৪ আগস্ট) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পড়ুন: ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, যাদের যূথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে আমি এই দিনে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, আজ আমি স্মরণ করছি সেই সব সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর ও পেশাজীবীদের, যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে শাহাদত বরণ করেছেন। গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আহত সকল জুলাই যোদ্ধা, চিরতরে পঙ্গু হওয়া ও দৃষ্টিশক্তি হারানো সকল জুলাই যোদ্ধাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল— একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ সকল লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল খাতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই শহীদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সকল সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলমান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
১২২ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ‘গণমিনার’ নির্মাণের উদ্যোগ
২৪’র জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মরণে সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশগ্রহণে ‘গণমিনার’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’। কমিটিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানায় আয়োজক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আয়োজক কমিটির সদস্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুতফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খোরশেদ আলম ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্থপতি কামার আহমাদ সাইমন প্রমুখ।
আয়োজকরা বলেন, গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটিতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হচ্ছেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক এই নাগরিক উদ্যোগটির লক্ষ্য হলো ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান এবং শহীদদের স্মৃতিকে স্মারক রূপে সংরক্ষণ করা— যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানুষের মধ্যে আত্মত্যাগ ও প্রতিরোধের চেতনা সঞ্চারিত হয়।
‘গণমিনারের’ স্থান হিসেবে রাজধানীর বীর উত্তম মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান রোড (পুরাতন বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী লিঙ্ক রোড) ও বিজয় সরণির মধ্যবর্তী সবুজ চত্বরকে নির্বাচন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ওই জমি বরাদ্দ, অর্থ ও প্রকৌশল সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১ হাজার ৪০০ শহীদের নাম ও পরিচিতি খোদাই করে প্রস্তাবিত ‘গণমিনারে’ সংরক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ২৪’র রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থান ৭১’র স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে: উপদেষ্টা আসিফ
এই ভূখন্ডে গত ২৫০ বছরের প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের ইতিহাস চিত্র ও খোদাইয়ের মাধ্যমে গণমিনারে তুলে ধরার পরিকল্পনাও রয়েছে।
আয়োজকরা বলেন, এই 'গণমিনার' হবে এমন এক স্মরণস্থল, যা রাজনৈতিক বিভাজন অতিক্রম করে সকল মত ও পথের মানুষের সম্মিলিত গণউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হবে।
গণমানুষের সম্পৃক্ততার লক্ষ্যে গণচাঁদা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
১৬৮ দিন আগে
সত্যিই শ্রমের ঘামের মূল্য দিচ্ছি?
আজ পহেলা মে—মহান মে দিবস। ইতিহাসের পাতায় এ দিনটি লেখা আছে রক্তে ও আত্মত্যাগে।
১৮৮৬ সালের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রক্তাক্ত ঘটনা আজও শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের অনুপ্রেরণা। সে আন্দোলনের ফলেই বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা, ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের ধারণা প্রতিষ্ঠা পায়।
২১৮ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ রয়েছে। আমরা একটি বিশেষ অবস্থা পার করছি।
তিনি বলেন, আমরা যদি সেই পরিবর্তনটা আনতে না পারি, তাহলে তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। তাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকব।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি আরও বলেন, আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। তাহলে পরিবর্তনটা আসবে। কারণ ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ রয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ভবনের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগের সরকারি দপ্তরসমূহের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট সরকার ছিল না। কোনো অঘটন ঘটেনি। আপনারা দায়িত্ব পালন করেছেন, কাজ চালিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি কর্মকর্তারা মোকাবিলা করছেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি হলো-নিরাপত্তা। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সরকারের প্লাস পয়েন্ট। এতে করে পরে ওই ধরনের ঘটনা কম ঘটবে।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও বন্যাজনিত রোগ মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবেন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন
৪২৪ দিন আগে
স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ জাহানারা ইমাম: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহকে 'দুর্যোগ' হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানে না দেশের জন্য জাহানারা ইমামের ভূমিকা কত বলিষ্ঠ।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্যই সম্মিলিতভাবে এ দায়িত্ব নিতে হবে। তাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপনের একমাত্র পথ হতে পারে এটিই।
এছাড়া শহীদ জননীর ইতিহাস যেন দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লেখনি অনুপ্রাণিত করেছে।
বিশেষ করে যাতক দালাল নির্মূল কমিটির যখন আন্দোলন চলছিল, যুদ্ধাপরাধীদের আস্ফালনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি জাহানারা ইমাম।
জাতির পক্ষ থেকে এই মহান আত্মত্যাগের জন্য জাহানারা ইমামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৫৭৯ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরুন: রাষ্ট্রদূত ইমরান
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরান।
রবিবার (১৭ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ এর আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, শিশুদের জন্য রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রদূত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (কর্মাস) মো. সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি।আরও পড়ুন: জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, জাতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এবং বিশ্বে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মই হবে প্রধান চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি স্বাধীনতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
পরে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটেন এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
দূতাবাসের এই দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লায় বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
৬২৭ দিন আগে
গণতন্ত্রের জন্য শাওনের আত্মত্যাগ স্মরণে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
নিহত যুবদল কর্মী রাজা আহমেদ শাওনের গায়েবানা জানাজার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের জন্য তার আত্মত্যাগকে স্মরণ করার কথা জানায় বিএনপি।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শতাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা (নিহতের মরদেহের অনুপস্থিতিতে পড়া জানাজা) অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্প্রতি ভোলায় নূরেআলম ও আবদুর রহিমকে একইভাবে হত্যার পর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে শাওনকেও গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের কর্মসূচি ছিল, সরকারের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের পুলিশ বাহিনী সারাদেশে অনেক জায়গায় গুলি চালায়। শাওন নারায়ণগঞ্জে শাহাদাত বরণ করেন।’
আরও পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারের জন্য শাওন নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, এটা বৃথা যাবে না।
ফখরুল বলেন, ‘তার আত্মত্যাগ আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির (নিঃশর্ত) জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছিলাম তাকে আরও জোরদার করতে উৎসাহিত করবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দেশের মানুষকে এই সংগ্রামে সম্পৃক্ত করব এবং রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করব।’
তিনি বলেন, শাওনের আত্মত্যাগ তাদের দল চিরকাল মনে রাখবে। ‘আমরা সকল রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের (সরকারকে) পরাজিত করার জন্য আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব। আসুন আমরা সবাই শাওনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, শাওনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ২টায় তাকে দাফন করা হয়েছে। ‘তার দলীয় সহকর্মী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের কাউকেই তার নামাজে জানাজায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গুম-খুনের মাধ্যমে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। ‘তারা বিরোধী দলগুলোকে নির্মূল করতে চায়। বিশেষ করে তারা বিএনপি ও খালেদা জিয়াসহ এর নেতাদের নির্মূল করতে চায়।’
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন
এর আগে বৃহস্পতিবার শাওন হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার গায়েবানা জানাজাসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
এছাড়া সারাদেশে দলের সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শনিবারও সারাদেশের সব শহর ও জেলা শহরে বিক্ষোভ করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শাওন নিহত এবং ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিএনপির দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশ করতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
১১৮৯ দিন আগে
নিহত নেতাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেব না: বিএনপি
তাদের দল গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে সারাদেশে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দল নিহত নেতাদের আত্মত্যাগ ও তাদের পরিবারের কান্না বৃথা যেতে দেবে না।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং চলমান লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গতকাল (সোমবার) থেকে আমরা সারাদেশে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি উপজেলা ও থানা পর্যন্ত নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছি। সারা দেশের মানুষ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছে।
মঙ্গলবার চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হত্যা, বলপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও দমন-পীড়নের শিকার দলের কিছু নেতা-কর্মী এবং এর সঙ্গে জড়িতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলন নস্যাৎ করতে লক্ষ্মীপুর ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ তাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সমস্যা হলো এত দমন-পীড়ন, হত্যা ও গুম করার পরও তারা বিএনপিকে দমন করতে পারছে না। ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসছে বিএনপি। তাদের ক্ষোভ ও ভয়ের পেছনে এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ভোলা, ফেনী, নেত্রকোণা ও চট্টগ্রাম থেকে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা নূরে আলমের পরিবারের সদস্যসহ ১৪ জন নিহতের স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রকামী মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, ‘নূরে আলম ও আবদুর রহিমের সন্তান, স্ত্রী, মা, ভাই-বোনেরা এখানে বসে আছে। আমরা তাদের কান্না বৃথা যেতে দেব না। ভয়ঙ্কর দানবীয় শাসকদের সরিয়ে বাংলাদেশকে জনগণের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।’
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় ফিরলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে এবং যারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন এই বিএনপি নেতা।
এছাড়া নূরে আলম ও আবদুর রহিমের পরিবার যাতে সারা জীবনের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারে তার জন্য তাদের দল সম্ভাব্য সবকিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:অন্যের সহায়তায় যারা ক্ষমতায় আছে তারা বাংলাদেশকে শাসন করতে পারে না: ফখরুল
বাম জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন
জ্বালানি সংকটের পেছনে রয়েছে দুর্নীতি, লুটপাট, আত্মঘাতী চুক্তি: বিএনপি
১১৯৯ দিন আগে
বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন। কেননা তিনি তার দৃঢ়তা, বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শীতা দিয়ে অবিস্মরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন।
রবিবার ‘বঙ্গমাতা এ প্যারাগন অব ওমেন্স লিডারশিপ এন্ড ন্যাশন বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’- এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সেমিনারে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
১২১৬ দিন আগে
ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছে জাতি
কোভিড-১৯ মহামারির বাস্তবতায় ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ভাষা শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করছে জাতি।
১৭৪৮ দিন আগে