ফুলগাজী
ফেনীতে বন্যা: সব হারিয়ে নিঃস্ব ৪৯ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ৯১৫ ঘরবাড়ি
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর তিন উপজেলা—ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার ১৩২টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি। এখনও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রয়েছেন বন্যাদুর্গতরা। ফুলগাজীতে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯টি পরিবার এখন অন্যের ঘরে (আত্মীয় বা পাশের প্রতিবেশীর বাড়িতে) আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে বাঁশের খুঁটির ওপর পলিথিন বা প্লাস্টিকের ত্রিপল দিয়ে মাথার ওপরে ছাউনি করে অবস্থান করছেন। গত শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বন্যার আবাসন খাতের ক্ষয়ক্ষতির এ চিত্র তুলে ধরা হয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজীতে ২০টি এবং পরশুরামে ২৮টি কাঁচা ও আধাপাকা ঘর সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতি ঘর দুই লাখ টাকা ধরে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—ফুলগাজীতে ৪৯৫টি, ছাগলনাইয়ায় ৩০৪টি এবং পরশুরামে ৬৯টি ঘরবাড়ি। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ কোটি টাকা।
গত রবিবার সরেজমিনে ফুলগাজীতে গিয়ে দেখা যায়, বন্যায় বিধ্বস্ত বসতভিটায় বসে আছেন উত্তর দৌলতপুর গ্রামের হোসনে আরা বেগম। পাশের একটি ছোট্ট স্কিম ঘরে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে। এক বন্যা আমাকে পুরো নিঃস্ব করে দিয়েছে। কোনো কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। ছোট তিন সন্তানকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছিলাম। এক সপ্তাহ পর ফিরে এসেছি। কী করে ঘর তুলব—মাথায় আসছে না। এখন পর্যন্ত আমাদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে বইছে। ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৬৭টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর পশ্চিমমাথা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রাজুসহ চার বন্ধু বেড়িবাঁধের ভাঙনকবলিত স্থানে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। একপর্যায়ে রাজু প্রবল স্রোতে ভেসে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৪টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর, রাধানগর ও শুভপুর ইউনিয়নেরও ১৫টির বেশি গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় বারবার ভেসে যায় স্বপ্ন, টেকসই বাঁধ চায় ফেনীবাসী
ফেনী সদরে ৯টি এবং দাগনভূঞা উপজেলার ২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু জায়গায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চালে পর্যন্ত উঠেছে বন্যার পানি।
পানি নামার পর এসব এলাকার মানুষ আশ্রয় খুঁজছেন। দুর্গতদের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে কাজ করছে। চলতি মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পরশুরাম অংশে ২২টি ও ফুলগাজী অংশে ১৯টি—মোট ৪১টি স্থানে নদীভাঙন দেখা দেয়।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় আবাসনসহ আরও কয়েকটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এনজিও ও সংগঠন আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে পুনর্বাসনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।’
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এবারের বন্যায় ফেনীতে প্রায় এক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা পেলে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
আবাসন খাত ছাড়াও এবারের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৩৮ কোটি ৭ লাখ, মৎস্য খাতে ৮ কোটি ৭১ লাখ, প্রাণিসম্পদ খাতে ৬৫ লাখ, সড়ক খাতে ৯০ কোটি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতি ৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
গত বছরের (২০২৪) ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ৭০ হাজার ৪১৫টি আধাপাকা ও কাঁচা ঘর, আসবাবপত্র এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আনুমানিক ৫৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ওই বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭ হাজার ৩৫০টি পরিবার এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫৬ হাজার ৬৫টি ঘর।
১৩৭ দিন আগে
ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
ফেনীর ফুলগাজীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। হতাহতদের মাঝে সিএনজিচালক ছাড়া সবাই একই পরিবারের সদস্য।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় উপজেলার আমজাদ হাট-মুন্সিরহাট সড়কের শনিরহাট মনিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহত সিএনজিচালক সাইফুল ইসলাম হাড়িপুষ্করণী এলাকার নুর হোসেনের ছেলে এবং ৮ মাস বয়সী নিহত শিশু আনাস কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার চিওড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে।
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আকরাম হোসেন, তার স্ত্রী জান্নাতুল মুন্নী, হাসিম বিন আকরাম ও জামাল উদ্দিন শশুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আমজাদ হাট-মুন্সিরহাট সড়কের শনিরহাট মনিপুর এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষ হয়।
পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সিএনজিচালক সাইফুল ও আরোহী শিশু আনাছকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্ব বসন্তপুর এলাকার ইউপি সদস্য জয়নাল আবদীন জানান, সিএনজিচালক সাইফুল ব্যতীত দুর্ঘটনায় হতাহত সবাই হাড়িপুষ্করনী এলাকার গ্রাম সরকার লুৎফুলের বাড়ির একই পরিবারের সদস্য। তারা ওই বাড়ির এক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে বাড়িতে এসেছিলেন।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান, দুর্ঘটনার পর পিকআপচালক শাহীনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও সিএনজি পুলিশ জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নানী-নাতনি নিহত
চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
৭৪১ দিন আগে
মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। রবিবার মধ্যরাতে দৌলতপুর গ্রামের দুইটি স্থানে বাঁধ ভেঙে উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ি আর এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কের ফুলগাজী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এক ফুট পরিমাণ পানি উঠেছে। ফুলগাজী ব্রিজের উত্তর পাশ্বে দারুল উলুম মাদরাসার ওপর দিয়ে ফেনী-পরশুরাম সড়ক পানিতে থইথই করছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার রাতে ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর অংশের দুইটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ওই ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, ঘনিয়ামোড়া ও বৈরাগপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ফুলগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, পানির তোড়ে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে আমার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনের মুখ খোলা থাকায় মুহুরী নদীর পানির সঙ্গে বাজারের ময়লা-আবর্জনাও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। প্রতিবছর এভাবে বন্যার পানি এসে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর আলীম বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের দুইটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে। মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ি আর এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, রাতে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। সকালে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা নেবে। পানি একটু কমলেই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩১তম
১১৭৩ দিন আগে
ফেনীর ফুলগাজীতে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের পর ১৪৪ ধারা জারি
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে শনিবার ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ফুলগাজী শাখার মধ্যে সংঘর্ষের পর ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এবং তা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুন নাহার স্বাক্ষরিত আদেশ অনুযায়ী, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ফুলগাজী শাখা ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। দুই দল একসঙ্গে তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে ফেনীতে মাদরাসার অধ্যক্ষ আটক
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, শুক্রবারের হামলার আগে আওয়ামী লীগের সদস্যরা তাদের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির প্রস্তুতি সভায় আরেকটি হামলা চালায়। এতে তাদের ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
তবে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মজুমদার দাবি, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিজাম কোম্পানির ওপর বিএনপির লোকজন হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে আহত করে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন জানান, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ওই এলাকায় টহল জোরদার করেছে। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সতর্ক রয়েছি।’
১২৫২ দিন আগে
পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর নিয়ন্ত্রণের দুটি স্থানের বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বন্যায় মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়িসহ এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ওই ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, ঘনিয়ামোড়া ও বৈরাগপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
ফুলগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, পানির তোড়ে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আমার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফুর নাহার বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, রাতে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। সকালে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্তি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে। পানি একটু কমলেই মেরামত শুরু হবে।
১২৬৪ দিন আগে
মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থান ভেঙে গেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই উপজেলার ফেনী-পরশুরাম সড়কটিও পানিত ডুবে গেছে। ফলে ওই সড়কে সকাল থেকে ছোট যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর, ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রাম প্লাবিত হয়।
এ বিষয়ে ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন: যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা
ফুলগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, বিকালে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। দুপুরে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
এর আগে ১ জুলাই টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিতে ভেসে যায় কয়েকশত পুকুরের মাছ। নষ্ট হয় জমির ফসল ও সড়ক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হয়েছে সব গেট
১৫৬২ দিন আগে
ফুলগাজীতে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত
ফেনীর ফুলগাজীতে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।
১৭৩৮ দিন আগে
স্কুলছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ: পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ফেনীর ফুলগাজীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলায় শুক্রবার সকালে রাঙামাটি থেকে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৭৪৩ দিন আগে