ফটোগ্রাফি
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
নেশা বা পেশা যাই বলা হোক না কেন; ফটোগ্রাফি এখন আর চারপাশের প্রকৃতি ও মানুষকে ফ্রেমবন্দি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল কন্টেন্টের অবতারণা দারুণভাবে প্রভাবিত করছে সৃজনশীলতাকে। ছবি তোলার পরেও অকৃত্রিম কন্টেন্টগুলোতে নৈপুণ্যের পরশ দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন ধরনের শিল্প। ফলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও তৈরি হয়েছে নজরকাড়া এই শিল্পের বাজার। এভাবে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জন্য। আজকের নিবন্ধটি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন সেরা কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। চলুন, ঘুরে আসা যাক ছবির ডিজিটাল বাজার থেকে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার সেরা ৭টি প্ল্যাটফর্ম
অ্যাডোবি স্টক
বিখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাডোবির উচ্চ মানের গ্রাফিক পরিষেবা অ্যাডোবি স্টক। পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় ১৮ বছরের যে কোনো বাংলাদেশি সহজেই এই সাইট থেকে আয়ের চেষ্টা করতে পারবেন।
তাদের ওয়েবসাইটের কন্ট্রিবিউটর পাতায় গিয়ে ‘জয়েন নাউ’তে ক্লিক করে খুব সহজেই খুলে নেওয়া যাবে একটি অ্যাডোবি আইডি। নিবন্ধনের সময় অন্যান্য তথ্যগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে বাংলাদেশিরা ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মের মাধ্যমে ট্যাক্স তথ্যাদি জমা দিবেন।
সাইন-আপ প্রক্রিয়া শেষ করার পর পরই আপলোড করা যাবে নিজের তোলা সেরা ছবিগুলো। অবশ্য ছবিগুলো কোনও স্বীকৃত ব্যক্তি বা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পদের হলে, সেগুলোতে যে তার স্বত্ব আছে- এই মর্মে তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
এই সাইট প্রতিটি স্টক ছবির জন্য ৩৩ শতাংশ রয়্যালটি দেয়। সাধারণত কন্ট্রিবিউটররা প্রতি ছবি বাবদ কমপক্ষে শূন্য দশমিক ৩৩ (৩৬ দশমিক ২৩ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১২ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩১৮ দশমিক ৪৬ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) পেয়ে থাকেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা হলে তারা অর্থপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শাটারস্টক
উচ্চমানের ছবির জগতে সুপরিচিত একটি নাম শাটারস্টক। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোনো ফটোগ্রাফি উৎসাহী যুক্ত হতে পারবেন এর বিশাল কম্যুনিটিতে। নিবন্ধনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে তাদের ওয়েবসাইটের সাবমিট পাতায়। এখানে নাম, ইমেল ও মেইলিং ঠিকানা দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সাইন-আপ সম্পন্ন করা যাবে।
তারপর কয়েকটি ছবি জমা দিতে হবে। যেগুলো শাটারস্টকের নিজস্ব পর্যালোচকদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। কন্ট্রিবিউটরকে খেয়াল রাখতে হবে, ছবির কপিরাইট যেন শুধুমাত্র তার নিজের হয়।
বাংলাদেশিদের অবশ্যই ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মে ট্যাক্সের তথ্য জমা দিতে হবে। সাইটটি পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় বাংলাদেশিরা সহজেই পেমেন্ট নিজেদের ব্যাংকে নিতে পারবেন।
শাটারস্টক থেকে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি উপার্জন করা যায়। ধরা যাক, কোনো গ্রাহক ৩০টি ছবির জন্য ১১১ দশমিক ২০ মার্কিন ডলারের প্যাকেজটি কিনলেন। এখানে ১৫ শতাংশ রয়্যালটি পাওয়া কন্ট্রিবিউটররা তাদের প্রতি ছবির জন্য ৫৬ সেন্ট (৬১ দশমিক ৪৪ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) করে পাবেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা পড়লেই টাকাটা তোলার জন্য তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
৫০ বছরের কূটনৈতিক বন্ধন: থাই দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফটোগ্রাফি ও ভিডিও প্রতিযোগিতার আয়োজন
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস একটি ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এ প্রতিযোগিতার শিরোনাম ‘মোর অ্যালাইক দ্যান উই মাইট থিঙ্ক: আনপ্যাকিং লিঙ্কেজ অ্যান্ড সিমিলারিটিজ বিটুইন থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ’।
বৃহস্পতিবার ঢাকার থাই দূতাবাস জানিয়েছে, এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য হল থাই ও বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে গভীর বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা। যাতে ফটোগ্রাফের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে থাকা বিভিন্ন মিল উঠে আসে।
দূতাবাস ব্যক্তিগত বা যুগল হিসেবে বয়স ও বাসস্থান নির্বিশেষে থাই ও বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ছবি আহ্বান করেছে।
প্রতিযোগীরা এখন থেকে ৩১ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা) ছবি জমা দিতে পারবেন।
আরও অনুসন্ধানের জন্য প্রতিযোগীরা ফেসবুকের মাধ্যমে ঢাকায় রয়্যাল থাই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বা [email protected] এই ঠিকানায় ইমেল করতে পারেন।
ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস শুধুমাত্র সময়সীমার মধ্যে পাওয়া ফটোগ্রাফ বিবেচনা করবে এবং ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে দূতাবাসের ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের জন্য ৩০টি শর্টলিস্ট করা ছবি (১৫ জোড়া) নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণের অগ্রগতির প্রশংসা থাই রাষ্ট্রদূতের
ক্যামেরার চোখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি এ বছর শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে। আয়োজিত হচ্ছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারপার্সন হাবিবা রহমান বলেন, এ প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জমা দেয়া ১৮ শতাধিক ছবি থেকে বাছাই করা সেরা ১০০ ছবি স্থান পেয়েছে।
আর এ সেরা ১০০ ছবি থেকে আমরা ১০ টি ছবি নিয়ে আলোকপাত করেছি যা দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, প্রকৃতি ও আবেগের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: ঢাবি কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
বাংলাদেশ
আলোকচিত্রী: মো. রবিউল হোছাইন, উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ
ছবিটি তোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের ডিন কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনকারী কয়েকটি ঘটনার সাক্ষী এ স্থানটি। শিব নারায়ণ দাসের নকশা করা মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম এ স্থানেই উত্তোলিত হয়। তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আব্দুর রব স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে এ পতাকা উত্তোলন করেন।
সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রেট ক্যামেরার দুর্দান্ত ফোন অপো রেনো ৬
সম্প্রতি দেশের বাজারে অপো নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় রেনো সিরিজের নতুন ফোন রেনো ৬। এখন চলছে ফোনটির প্রি-বুকিং। রেনো ৬ এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, এতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ফটোগ্রাফি ও ক্যামেরা ফিচার। ফোনটির সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার ফিচার ফটোগ্রাফি মানুষকে দিবে নতুন অভিজ্ঞতা।
বরাবরের মতো রেনো ৬ ফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে রেনো গ্লো দিয়ে যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। হালকা-পাতলা রাখতে ফোনটির পুরুত্ব রাখা হয়েছে মাত্র ৭.৮ মিলিমিটার ও ওজন মাত্র ১৭৩ গ্রাম। ফলে খুব সহজেই যেকেউ যেকোন পরিস্থিতিতে ফোনটিকে তালুবন্দি করতে পারবেন। অতিরিক্ত ব্যবহারেও ফোনটি থাকবে নতুনের মতো। কারণ, এতে রয়েছে স্ক্যাচ প্রতিরোধক।
আরও পড়ুন: দেশে অপোর রেনো ৬ বিক্রি শুরু
চমৎকার ছবি তোলার জন্য ফোনটিতে রাখা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেট আপ। আছে শক্তিশালী এআই হাইলাইট ভিডিও। কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি টেকনিক ব্যবহার করে অপো সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার নিয়ে এসেছে। সেলফি প্রেমীদের জন্য এর ক্যামেরায় রয়েছে সলিড ৪৪ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এই ক্যামেরা যেকোন আলোতে নিখুঁত ছবি পাওয়া যাবে। ভ্লগ বা ইউটিউবে ভিডিও করার জন্য রেনো ৬ এ আছে এআই হাইলাইট ভিডিও ফিচার। পছন্দমতো পোর্ট্রেট স্টাইল বাছাই করে এআই প্যালেটে সিঙ্গেল ক্লিক করে দারুণ সব ছবি পাওয়া যাবে।
৪ হাজার ৩১০ এমএইচ ব্যাটারি থাকার কারণে ফোনটির চার্জ যেমন দেরিতে ফুরাবে তেমনি ৫০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জ থাকার কারণে দ্রুত চার্জিং হবে। ফোনটিতে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট থাকার কারণে টানা ব্যবহারেও কোথাও ফোনটি আটকাবে না। মাত্র ৪৮ মিনিটে ফোনটি শতভাগ চার্জপ্রাপ্ত হবে। সুপার পাওয়ার সেভিং মুড থাকার কারণে মাত্র ৫ শতাংশ চার্জ থাকলেও ন্যাভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করে সবার সাথে সংযুক্ত থাকা যাবে। সুপার নাইটটাইম স্ট্যান্ডবাই মোড থাকার কারণে রাতের বেলায় মাত্র ৩ শতাংশ চার্জ খরচ হবে।
আরও পড়ুন: আসছে অপোর রেনো সিরিজের নতুন ফোন, থাকছে সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার
মাল্টি কুলিং সিস্টেম থাকার কারণে রেনো ৬ সহজে গরম হবে না। তাছাড়া র্যাম এক্সপ্যানশন প্রযুক্তি থাকার কারণে ৩জিবি,৫জিবি,৭জিবি পর্যন্ত মেমোরি বাড়ানো সম্ভব।
৮জিবি র্যাম ও ১২৮জিবি রম সম্বলিত রেনো ৬ দুই কালারে বাজারে পাওয়া যাবে। স্টাইলিশ অরোরা ও স্টেলা ব্ল্যাক কালারের ফোনটির দাম পড়বে ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা।
রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
সম্প্রতি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে এনেছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে সর্বপ্রথম ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন ‘ম্যাগডার্ট’। ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং, ইকোসিস্টেমে নেতৃত্ব দিতে ৩রা আগস্ট ম্যাগনেটিক ইনোভেশন ইভেন্টের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে সল্যুশনটি উন্মোচন করে রিয়েলমি। বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://cutt.ly/realme_MagDart_Launch
আরও পড়ুনঃ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
এ সল্যুশনে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম ৫০ ওয়াট ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জার, ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্টেড প্রথম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন রিয়েলমি ফ্ল্যাশ ও অন্যান্য বেশ কিছু ম্যাগনেটিক চার্জিং পণ্য। ম্যাগডার্ট সল্যুশনটি ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
রিয়েলমির প্রথম কনসেপ্ট ফোন ‘রিয়েলমি ফ্ল্যাশ’ এ রয়েছে ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি। ম্যাগডার্ট ওয়্যারলেস চার্জিং এর ৫০ ওয়াট এর সাহায্যে এই ব্যাটারি মাত্র ৫ মিনিটে ০ থেকে ২০ শতাংশ এবং মাত্র ৫৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
৫০ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারে একটি সক্রিয় এয়ার কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা চার্জ দেওয়ার সময় তাপমাত্রা অনুকূলে রাখে এবং দীর্ঘ সময় উচ্চ স্তরে চার্জিং পাওয়ার বজায় রাখে। অন্যদিকে, ১৫ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারটি মাত্র ৩.৯ মিলিমিটার পুরু যা বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জার; এটি তাপ উৎপাদন কমাতে ও দীর্ঘ হাই-পাওয়ার চার্জিং সময় প্রদানে সক্ষম।
রিয়েলমির এই ইনোভেশন ইভেন্টে ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক ও একটি বিশেষ চার্জিং বেসও উন্মোচন করা হয়েছে। একসঙ্গে এই দুটি স্মার্ট সল্যুশন ভার্টিক্যাল চার্জিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চলতি পথে চার্জ দিতে চাইলে রিয়েলমির ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে চার্জ দেয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
এছাড়া, ম্যাগডার্টের সঙ্গে অন্যান্য স্মার্ট সল্যুশনও লঞ্চ করা হয়েছে। পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে ম্যাগডার্ট বিউটি লাইট। সিনেমা দেখার সময় বা ভিডিও কল করার সময় ফোনকে ধরে রাখার জন্য ম্যাগডার্ট ওয়ালেটকে কিকস্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। রিয়েলমি জিটি ম্যাগডার্ট চার্জিং কেস; ম্যাগডার্ট টেকনোলজিতে রিয়েলমি জিটি-কে চার্জিং সমর্থন করবে।
প্রতিনিয়ত রিয়েলমি বিশ্বব্যাপী তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য লিপ-ফরওয়ার্ড প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভ জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে রিয়েলমি ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সঙ্গে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও বেশি এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও অনেকগুলো স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্মার্টফোনের আকর্ষণই যখন ক্যামেরা: ভিভো এক্স৬০প্রো
গ্রাহকের চাহিদা যখন ক্যামেরা তখন স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোও সেই চাহিদা পূরণে ব্যস্ত। বাজারে আসছে একের পর এক দারুণ ক্যামেরা স্মার্টফোন।তবে, কিছু স্মার্টফোন সবকিছু ছাড়িয়ে যায়। বাজারে এখন তেমনি স্মার্টফোন ভিভো এক্স৬০প্রো।
এই স্মার্টফোনের মূল আকর্ষণ ক্যামেরা, যা দিয়ে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফিও করা সম্ভব অনায়াসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পথচলার ৩ বছর পার করল ভিভো
শুরুর দিনগুলোতে মুঠোফোন ব্যবহারের প্রধান লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক যোগাযোগ। এরপর সময়ের ধারাবাহিকতায় রেডিও এবং গান শোনাসহ, ছবি তোলা, ভিডিও করা এবং গেমিংয়ের মতো নানা উপযোগিতা যুক্ত হয়েছে। প্রাত্যাহিক জীবনের প্রায় সকল কর্মকাণ্ডেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। আর এখন স্মার্টফোন ক্যামেরা হয়ে উঠেছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
স্মার্টফোন বাজার বিশ্লেষকরা জানান, ক্রেতারা স্মার্টফোনের বিভিন্ন স্পেসিফিকেশনের মধ্যে তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব দেন ক্যামেরার ফিচারে। আর তরুণদের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষেই থাকে স্মার্টফোন ক্যামেরা।
আরও পড়ুন: দেশে এল ভিভো ভি২০ এসই
ভিভো এক্স৬০প্রো-তে যা রয়েছে
কার্ল জেইসের লেন্স: ভিভো এক্স৬০প্রো কার্ল জেইস লেন্সের সহ-প্রকৌশলীযুক্ত একটি ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করছে। জেইস লেন্স ব্যবহার করে অনেকগুলো শীর্ষস্থানীয় ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছে। যা বর্তমানে পেশাদার সিনেমাটোগ্রাফারদের জন্য পছন্দের লেন্সগুলোর মধ্যে একটি। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই কার্ল জেইস লেন্সের। ভিভো এক্স৬০প্রো পেশাদার ফটোগ্রাফার, সিনেমাটোগ্রাফার এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য হতে পারে অন্যতম আকর্ষণ।
গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রো প্রযুক্তি: সাধারণত, পেশাদার ফটোগ্রাফাররা ছবি ও ভিডিওকে আরও নিখুঁত এবং পরিষ্কার করে তুলতে গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবহার করেন। ভিভো গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রো প্রযুক্তিটি এক্স৬০প্রো স্মার্টফোনে সংযোজন করেছে। গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন চলমান অবস্থায় ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে। যার ফলে ছবি বা ভিডিও কেঁপে যায় না।
আরও পড়ুন:বিশ্বের প্রথম গিম্বল স্ট্যাবিলাইজার ফোন ভিভো এক্স৬০প্রো বাজারে
অন্ধকারেও ভালো ছবি: ক্যামেরার অ্যাপারচার যত কম হয় ক্যামেরা আলো ধারণ করতে পারে তত বেশি। ফলে অন্ধকারেও পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ছবি ওঠে। ভিভো এক্স৬০প্রো’র ক্যামেরা অ্যাপারচার ১ দশমিক ৪৮ মি.মি.।
বলা হচ্ছে, এটি বাজারে থাকা কম অ্যাপারচার রেটের মধ্যে একটি। ফলে রাতের ঝকঝকে ছবি তুলবে ভিভো এক্স৬০প্রো।
সুপার প্যানারোমা: প্যানারোমা মোডে ছবি তুলতে গিয়ে হাত হালকা একটু নড়ে গেলেও ছবি ভেঙে যায়। কেননা কেঁপে যাওয়ার পর প্যানারোমা নতুন করে শ্যুট করা শুরু করে। এই সমস্যায় অনেকেই পড়ে থাকেন। কেননা হাত, মোবাইল বা ক্যামেরা কোনোটিই একবারে একইভাবে সোজা রাখা কঠিন। এই সমস্যার সমাধান করবে ভিভো এক্স৬০প্রো।
ভিভো এক্স৬০প্রো সুপার প্যানোরোমা নাইট মোডের সাথে জেইস লেন্স এবং গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রোসহ কো-ইঞ্জিনিয়ারড টেকনোলজি সংযোজন করেছে। যৌথ এই প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার এবং ভিভো'র নিজস্ব এআই সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে সুপার প্যানোরোমা নাইট মোড; ব্যবহারকারীদের দারুণ ছবি তুলতে সহায়তা করে ।
এইচডিআর নাইট পোট্রেট: ভিভো এক্স৬০প্রো নিয়ে এসেছে হাই-ডাইনামিক-রেঞ্জ (এইচডিআর) নাইট পোট্রেট। এটি ছবির ফ্রেমের সূক্ষ্ন-পরিমাপ নির্ধারণ করে এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন অবয়বকে পরিমিত আলোর সাথে প্রস্ফুটিত করে দারুণ ছবি তুলতে সাহায্য করে।
১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার স্মার্টফোন নিয়ে এলো রিয়েলমি!
তরুণদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমি প্রথমবারের মতো তাদের স্মার্টফোনের সাথে নিয়ে এসেছে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।