যাত্রী
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী ও ভাড়া নিলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঈদ যাত্রায় কোনো পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, গতবার যে ভাড়া ছিল এবারও বাস ভাড়া একই আছে। বাস টার্মিনালে চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কেউ যাতে বেশি ভাড়া নিতে না পারে সে বিষয়ে মালিক পক্ষ ও শ্রমিক পক্ষ সচেতন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোথাও ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ থাকলে মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সড়কপথে ডাকাতি প্রতিরোধে প্রত্যেক যাত্রীর ছবি নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক বাসে ড্রাইভারসহ তিনজন স্টাফ থাকে। এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তারা যাতে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মালিকপক্ষকে অবহিত করতে পারে- সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সড়কপথে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এ বিষয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, বিজিবি সবাই সচেতন আছে। যার যার অবস্থান থেকে সবাই দায়িত্ব পালন করছে।
এর আগে উপদেষ্টা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ পর্যন্ত ৩১টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৪ থেকে ৫টা ট্রেন সামান্য লেট ছাড়া সকল ট্রেনই যথাসময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরও ৩৫টি ট্রেন ছাড়বে। সেগুলোও যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, এবার টিকেটে কোনো রকম কালোবাজারি হয়নি। ট্রেনের ছাদে যাতে কোনো যাত্রী যাত্রা করতে না পারে- সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। একই সঙ্গে জনগণকে সচেতন করার অনুরোধ করেন তিনি।
১৮৩ দিন আগে
ঈদযাত্রায় গাজীপুরে যাত্রীদের ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
ঈদ যাত্রায় গাজীপুরের ঢাকা- ময়মনসিংহ ও ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। উত্তরবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে যাত্রীদের।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) চান্দনা চৌরাস্তা ও চন্দ্রা মোরে গাড়ির চাপ থাকায় কিছুটা ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। এছাড়া অন্য অংশে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। গাড়ির সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ভোরে ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা চৌরাস্তা, টঙ্গী স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, গাজীপুরা পয়েন্টে বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভার ও বিআরটি স্টেশন এর কারনণে সড়কের লেন কমে যাওয়ায় ওই সকল স্থানে যান চলাচল করছে ধীরগতিতে।
এদিকে, ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ও কিছুটা অস্বস্তি হয় মূলত যাত্রী উঠানামাকে কেন্দ্র করে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ইউটার্ন নেওয়া, যাত্রী উঠানামার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে এই পয়েন্টে কিছুটা ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।
চান্দনা চৌরাস্তায় জামালপুর, শেরপুরসহ বিভিন্ন রুটে এবং চন্দ্রা মোরে রংপুর, বগুড়া ও গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
যানজট নিরসন ও ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় ড্রোন পর্যবেক্ষণ, মোটরসাইকেল পেট্রোলিং, কুইক রেসপন্স টিম ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুলিশ কাজ করছে। একই সঙ্গে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার অশোক কুমার পাল জানান, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া পোশাক কারখানাগুলো একযোগে ছুটি হলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।
২৫২ দিন আগে
ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। এর আগে ১৪ মার্চ থেকে ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রমী টিকিট দেওয়া শুরু হয়। সে অনুযায়ী ২৪ মার্চের টিকিট অনলাইনে ১৪ মার্চ কেটেছেন যাত্রীরা। আজ বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করছেন সেসব যাত্রী।
সোমবার (২৪ মার্চ) কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ঈদযাত্রার প্রথম দিন তিন ধাপে চেকিংয়ের মধ্যে দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাদের টিকিট নেই তাদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন আসাদ। তিনি বলেন 'আমি ঢাকায় ব্যবসা করি। ঈদের আগে বেশি ভিড় হয়—তাই একটু আগেই যাচ্ছি। টিকেট কাটতে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুরুতে ইন্টারনেট একটু সমস্যা করছিল। পরে কাটতে পেরেছি।'
আরও পড়ুন: ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাতায়াত, খরচ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য
যমুনা এক্সপ্রেসের যাত্রী বোরহান উদ্দিন বলেন 'আমি স্টুডেন্ট। ছুটি হয়েছে আগেই। একটু কাজ ছিল আর ট্রেনে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছেও ছিল। টিকিট কাটতে না পারলে বাসে যেতাম। তবে তিন ধাপে চেকিং এর বিষয়টা ভালো লেগেছে। নিয়মটা সঠিকভাবে পালন হলে শৃঙ্খলা আসবে।'
২৫৫ দিন আগে
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক-যাত্রী নিহত
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় ভ্যান উল্টে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মদিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— কালকিনি উপজেলার রমজানপুর গ্রামের ভ্যানচালক স্বপন খান এবং যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক দক্ষিণ পালরদী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন বলেন, ‘অজ্ঞাত এক পরিবহন ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানটি উল্টে চালক ও এক যাত্রী মহাসড়কের মধ্যে ছিটকে পড়ে। এরপর গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, ‘ঘাতক পরিবহন শনাক্ত করে জড়িতদের আটক করতে থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া এ ঘটনা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
২৬৭ দিন আগে
পাকিস্তানে ট্রেন থামিয়ে প্রায় ৫০০ যাত্রী জিম্মি, দাবি না মানলে হত্যার হুমকি
পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশওয়ারমুখী জাফর এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনের প্রায় ৫০০ যাত্রীকে জিম্মি করছে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তাদের দাবি না মানা হলে সব জিম্মিকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে স্থানীয় গুদালার ও পিরু কোনেরি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানভিত্তিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ট্রেনটি থামানোর আগে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে বন্দুকধারীরা। এতে ট্রেনের চালক আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে চরম আতঙ্কে সময় পার করছেন ট্রেনটির যাত্রীরা। ট্রেনটি বর্তমানে একটি টানেলের মধ্যে আটকা পড়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর বলছে, দুর্গম কারাকোরাম পাহাড়ি এলাকায় ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে বন্দুকধারীরা। সেখানে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের রেলওয়ে পুলিশ বলছে, ট্রেনটি থামিয়ে রাখা হয়েছে। সেটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী রয়েছেন। তাদের মধ্যেও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে, তবে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি একপ্রেস ট্রিবিউন।
হাসপাতালের আশপাশে জরুরি প্রটোকল সক্রিয় করা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গম এলাকা বলে পরিচিত কারাকোরাম পর্বতশ্রেণির এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযান চালাতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গোলাগুলি শুরু করার আগে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত করতে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জানিয়েছে, তারাই ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী পিছু না হটলে যাত্রীদের হত্যা করা হবে।
এই হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকবী বলেন, ‘নিরাপরাধ যাত্রীদের ওপর যেসব নরপশু গুলি চালিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলুচিস্তান সরকার জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অঞ্চলটিতে কয়েক দশক ধরে সরকার, সেনাবাহিনী ও চীনা স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে প্রায়ই হামলা চালিয়ে আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারা প্রদেশটির খনিজ সম্পদের হিস্যা দাবি করে আসছেন।
বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবি করা বিএলএ গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতাবদাী গোষ্ঠী। তাদের অভিযোগ, বেলুচিস্তানের গ্যাস ও খনিজসম্পদ অন্যায়ভাবে শোষণ করছে পাকিস্তান সরকার।
আরেক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্যমতে, গত বছর থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশনে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ১০ জন নিহত
থিংকট্যাংক পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের (পিআইপিএস) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর এবং চলতি বছরের শুরুতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সেই ২০১৪ সালের পর্যায়ে চলে গেছে।
এতে বলা হয়, যদিও ২০১৪ সালের মতো চলতি বছর পাকিস্তানের কোনো সুনির্দিষ্ট অঞ্চল সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিন্তু বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিভিন্ন অংশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ২০২৪ সালে ওই অঞ্চলটিতেই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সবেচেয়ে বেড়েছে।
বিএলএ ছাড়াও বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) নামের আরেকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী অঞ্চলটিতে সক্রিয় বলে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম-সূত্রে জানা জায়।
২৬৮ দিন আগে
ময়মনসিংহে অটোরিকশা-মাহিন্দ্রের সংঘর্ষে অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
ময়মনসিংহের ভালুকায় অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রের সংঘর্ষে অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় অটোরিকশার চালক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে গোয়ারী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ভালুকা উপজেলার সাতেঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আবদুল হামিদ ও চান্দরাটি গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে মনির হোসেন।
আহত অটোরিকশার চালক শাহজাহানকে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় রান্না করতে গিয়ে আগুনে প্রাণ গেল গৃহবধূর
স্থানীয়রা জানান, গফরগাঁও থেকে ভালুকাগামী একটি আটোরিকশার সঙ্গে বিপরীতমুখী মাহিন্দ্রের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে অটোরিকশার দুই যাত্রী মারা যান। চালক আহত হন।
ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল চন্দ্র কুন্ডু বলেন, ‘মাহিন্দ্রার সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।’
২৯৩ দিন আগে
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট চরমে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট, যা ধারণ করেছে তীব্র আকার। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আবদুল্লাহপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল এবং পল্টন এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন অপেক্ষমান শত শত যাত্রী, অথচ দেখা নেই বাসের। যে দু-চারটি বাস যাচ্ছে তারও গেট লাগানো এবং যাত্রীতে ঠাসা, ওঠার নেই কোনো উপায়।
সরেজমিনে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেখা যায়, সড়কে বাস না চললেও রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এবং রামপুরা ব্রিজের শেষ প্রান্তে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে। কেন তারা রাস্তায় নামেনি জানতে চাইলে ভিক্টর বাসের হেলপার সুমন বলেন, নতুন নিয়মানুযায়ী বাস গোলাপি রঙ করতে অনেক বাসই নামেনি রাস্তায়। আর ই-টিকেটিং চালু হলে ড্রাইভার-হেলপার ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই বাকিরাও বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি।
গত সপ্তাহে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর রুটে রাজধানীতে চলাচল করা বাস গোলাপি রঙ করে ই-টিকেটিং এর আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: নওগাঁ থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
প্রাথমিকভাবে ২১ কোম্পানির ২ হাজার ৬১০ বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিংয়ের আওতাভুক্ত করা হলেও আগামীতে এ সংখ্যা এবং রুটের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রঙ করার এ কার্যক্রমে দুই দিন ধরে আব্দুল্লাহপুরের এই রুটে রীতিমতো বাস সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাফিক কার্যক্রম জোরদার করায় অনেকেই মামলার ভয়ে বাস নিয়ে বের হচ্ছেন না। অনেক ড্রাইভার-হেলপার দাবি করছেন ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
অনাবিল বাসের চালক আলমগীর বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় সার্জেন্ট আর চেকপোস্ট। রাস্তায় নামলেই শিওর মামলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস নিয়ে নামা যাবে তখন।’
এদিকে বাসের সংখ্যা কম থাকায় রাস্তায় বেড়েছে রিকশা আর বাইকের চলাচল। একদিকে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে বেপরোয়া বাইক- সব মিলিয়ে এই রুটে একটু পর পর সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।
মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে বের হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, প্রায় আধাঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি তিনি। রিকশা ভাড়া আকাশচুম্বী। সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই রাস্তায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে পুরানা পল্টন যাবেন ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান। রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে এসে ভিড় ঠেলে কোনো রকমে রমজান বসে উঠেছেন। ভেবেছেন, কাকরাইল নেমে সেখান থেকে আবার হেঁটে পুরানা পল্টন যাবেন। কিন্তু ভয়াবহ যানজটের কারণে বাসটিকে চলতে হচ্ছে ঢিমেতালে। পরে মালিবাগ-মৌচাক নেমে আবার হাঁটা শুরু করেন তিনি।
সড়কে দুর্দশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তায় নেমে জানতে পারি ভিক্টর পরিবহনসহ কয়েকটি বাস চলছে না। যে কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিন্তু গাড়ি উঠেও দেখা যাচ্ছে সেটা চলছে না। এতে উভয়সংকটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে বাস সংকটের মধ্যেই রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুনর্বাসন এবং আর্থিক সাহায্যের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন দুবাই ফেরত প্রবাসীরা। এতে করে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, বাংলামোটর, কাকরাইল এবং কাওরানবাজার এলাকাতেও বড় রকমের যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে যানজট এবং বাসের সংখ্যা কেন কম সে ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগের উত্তরা জোনের সহকারী ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) ফজলুল করিম বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আমরাও বাসের সংখ্যা কম পেয়েছে। কিন্তু কী কারণে রাস্তায় বাস কম সে ব্যাপারে এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অনেক বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিং এর আওতায় আসতে চাওয়ায় রঙ করতে দেয়া হয়েছে। এতে করে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বাস নেমেছে রাস্তায়।
বাড্ডা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার শারমিন আক্তার বলেন, গোলাপি রঙের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে অনেক বাসের হেলপার এবং ড্রাইভার ধর্মঘট করেছে। তাই তারা বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি। এতে করেও গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে শুরু কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার দাবিতে রাজধানীর সায়দাবাদ এবং যাত্রাবাড়ি এলাকায় দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে বাস ড্রাইভার-হেলপাররা। এতে করে এসব এলাকার যান চলাচল এক রকমের বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, 'আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজধানীর সড়কে কোনো ভাঙাচূড়া আনফিট গাড়ি চলবে না। ধীরে ধীরে সব গাড়ি ই-টিকেটিং এর আওতায় আনা হবে। এর প্রতিবাদে তুরাগ এবং বলাকা বাসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।'
ই-টিকেটিং এর ডিভাইস সংক্রান্ত কাজের কারণে অনেক বাস সড়কে নামেনি। এছাড়া অনেকে বুঝে না বুঝে এ ব্যবস্থার বিরোধীতা করছে। যারা সড়কে বাস না নামিয়ে উল্টা রাস্তা অবরোধ করছে তাদেরকে কেউ খারাপ উদ্দেশ্য হাসিলে ইন্ধন দিচ্ছে বলে দাবি করেন সাইফুল।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ক্ষোভ জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এটা নতুন কিছু না। কোনো সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের মন মতো না হলে তারা যাত্রী জিম্মির হাতিয়ার ব্যবহার করে। অন্যদিকে সরকার সিদ্ধান্ত দেয় ঠিকই কিন্তু মনিটরিং করে না। এতে করে সড়কে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সরকারের উচিত মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
দ্রুত সমস্যা সমাধান করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আনফিট গাড়ি, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাড়তি ভাড়া রাখা বন্ধ করতে সরকারের শক্তিশালী মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
২৯৮ দিন আগে
জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত, আহত ১
জামালপুরে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জামালপুর-ঢাকা মহাসড়কের সরিষাবাড়ী উপজেলার করগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলা নারায়ণপুরের আব্দুর রাজ্জাক, একই উপজেলার আদর্শ বটতলা গ্রামের নুরজাহাঙ্গীর আল, জামালপুর গেটপাড়ার আব্দুর করিম আলাল, সরিষাবাড়ি উপজেলার নলদাইরের এনাম ফকির ও ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীর উপজেলার আরিফুল ইসলাম। আহত আমজাদ ফকিরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াত নেতার মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, পাঁচজন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি জামালপুর-ঢাকা মহাসড়কের সরিষাবাড়ী উপজেলার করগ্রাম পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই চার যাত্রী নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘাতক ট্রাকের চালক পালিয়েছে।
৩০৮ দিন আগে
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার চলছে
ভারতে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে পুনরায় শুরু হবে আমদানি-রপ্তানি।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দরের হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, আজ (রবিবার) ভারতে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সেখানে সরকারি ছুটি থাকায় ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেন। বিষয়টি আমাদের পত্রের মাধ্যমে জানান।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বন্দরে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাত্রীরা দুই দেশের মধ্যে চলাচল করেন। ফলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
বন্দরের হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের ওয়্যারহাউজে থাকা ভারতীয় আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে খালাস কার্যক্রমসহ আমাদের অফিশিয়াল কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।
এ কারণে ব্যবসায়ীরা শুল্ককর পরিশোধ করে তাদের পণ্য ছাড় করে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান মো. শফিউল আলম।
৩১২ দিন আগে
ঢাকা বিমানবন্দরের সেবা উন্নত হওয়ায় স্বস্তিতে যাত্রীরা
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি হাবিবুর রহমান প্রায় দুই বছর পর প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর দেরি হওয়া ও নানা বিড়ম্বনার কথা তিনি আগে থেকেই জানতেন। তবে এবার তিনি বেশ অবাক হয়েছেন।
রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, 'আমি অল্প সময়ের মধ্যে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে সক্ষম হয়েছি।’
সৌদি আরব ফেরত আরেক প্রবাসী আতাউর রহমানও একই অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশন শেষ করে দেখি আমার লাগেজ বেল্টে আছে। আগে আমাদের এর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। তবে এবার লাগেজ পেতে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি।’
আগে ফ্লাইট থেকে নেমে ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো। এরপর লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। কিন্তু এখন বিমানবন্দরের চিত্র পুরোই বদলে গেছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানিয়েছেন, বর্তমানে সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা বা তার কম সময়ে যাত্রীরা লাগেজ পাচ্ছেন। এই কম সময়ে ডেলিভারির নিশ্চিত করা হয়েছে প্রায় ৮৮ শতাংশ। লাগেজ ডেলিভারির সময় আরও কমিয়ে আমার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, অন্যদিকে লাগেজ চুরি ও কাটা লাগেজ বা লাগেজ থেকে মালামাল চুরি অনেকাংশেই কমে গেছে। বর্তমানে এটি শোনা যায় না বললেই চলে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা করেছি, ফলে লাগেজ কাটা বন্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া ইউএনবিকে জানান, আগে ফ্লাইট থেকে নেমে ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো। এরপর লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন ফ্লাইট অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে। বেল্টে যাওয়ার আগেই লাগেজ পৌঁছে যাচ্ছে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন ও সময় বেশি লাগা দীর্ঘ দিনের সমস্যা ছিল। এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছি। ইমিগ্রেশনে আগে ৩ শিফট ছিল, এখন আমি ৪ শিফট চালু করেছি। ফলে যাত্রী সেবা বেড়েছে।’
তিনি বলেন, যাত্রীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু পদক্ষেপ নিয়েছি। যাত্রী হয়রানি রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি যাত্রী সেবার মান আরও বাড়বে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে যাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সেবা বাড়ানো হয়েছে। ফলে যাত্রীদের অভিযোগও কমেছে।
লাগেজ লেফট বিহাইন্ড সমস্যা উন্নতিকরণ, যাত্রীদের ট্রলি সমস্যা বড় সমস্যা সমাধান, হেল্প ডেস্ক ও যাত্রীদের তথ্য সেবা প্রদান সহজীকরণ, ২৪ ঘণ্টা হট লাইন ও নতুন ওয়েব পোর্টাল, ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু, ফ্রী টেলিফোন বুথ সংখ্যা বৃদ্ধি, শাটল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের হর্নমুক্ত ঘোষিত এলাকায় বেজেই চলেছে হর্ন
লাগেজ লেফট বিহাইন্ড সমস্যা উন্নতি
আগে লাগেজ লেফট বিহাইন্ডে প্রচুর অভিযোগ ছিল। এখন কমে গেছে। বর্তমানে এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যেসব এয়ারলাইন্সের অতিরিক্ত লেফট বিহাইন্ড হয় তাদের আগমনি সিটের ক্যাপাসিটি কমিয়ে এনে এবং সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স সমুহকে সার্বিক সহযোগিতায় লেফট বিহাইন্ড সমস্যা অনেকটা উন্নতি করা হচ্ছে। বর্তমানে ৯৯.৮০ শতাংশ লাগেজ যাত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
যাত্রীদের ট্রলি সমস্যা বড় সমস্যা
যাত্রীদের আরেকটি অসুবিধা হচ্ছে ট্রলি সমস্যা।যাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী ট্রলি সংখ্যা অনেক কম ছিল। বর্তমানে ট্রলির সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৩৬০০ ট্রলি আছে। এটি আরও বাড়ানো হবে। ট্রলি নিয়ে থেকে বের হয়ে বহুতল পার্কিং ও রাস্তার পূর্বপাশ পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় করা হয়েছে।
হেল্প ডেস্ক ও যাত্রীদের তথ্য সেবা প্রদান সহজীকরণ
এছাড়াও যাত্রীদের আরও সেবা দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আগমন এবং বহির্গমন এলাকায় যাত্রীদের তথ্য ও দিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। দেশি ও বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সম্মানিত যাত্রীদের বিমানবন্দরে প্রবেশের পর অনেক সময় সঠিক তথ্য না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়। এই প্রেক্ষাপটে সবার কথা বিবেচনা করে আগমনী এলাকায় দুইটি এবং বহির্গমন এলাকায় তিনটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫৪ জন সহকর্মী ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে যাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য দেবেন।
২৪ ঘণ্টা হট লাইন ও নতুন ওয়েব পোর্টাল
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে যাত্রী সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে এবং একটি ওয়েবসাইট ও ওয়েব পোর্টাল খোলা হয়েছে। যাতে করে যাত্রীরা যেকোনো সহায়তা সহজে পেতে পারেন এবং কোনো অভিযোগ জানিয়ে দ্রুত সমাধান পেতে পারেন ১৩৬০০-তে ২৪ ঘণ্টা হট লাইন কল গ্রহণের মাধ্যমে সেবা দান চলবে। ভেতরে যেন সবসময় সঠিক আপডেট তথ্য ওয়েব সাইট থেকে পাবেন।
ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু
যাত্রীদের জন্য আরেকটি সেবা হচ্ছে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা। যাত্রীদের সিম কার্ড না থাকলে যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয় তাই যাত্রীদের ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে পারছে এবং নেটে হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন কথা বলতে পারছেন।
ফ্রি টেলিফোন বুথ সংখ্যা বৃদ্ধি
এছাড়াও যাত্রীদের জন্য ফ্রি টেলিফোন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ফ্রি কথা বলতে পারেন এবং বিভিন্ন স্থানে টেলিফোন করতে পারছে। ১০টি ফ্রি টেলিফোন বুথ চালু আছে।
শাটল বাস সার্ভিস চালু
যাত্রীদের সেবামূলক আরেকটি সার্ভিস শাটল বাস চালু করা হয়েছে চলতি বছরে। যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দর শাটল বিমানবন্দর থেকে নিকটস্থ বাসট্যান্ড রেল স্টেশন ও আসা যাওয়ার সহজ করতে বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে এসি বাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বছরে আন্তর্জাতিক রুটে প্রায় ৫৫ হাজার ফ্লাইট এবং অভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ৫৩ হাজার ফ্লাইট পরিচালিত হয়। বাৎসরিক প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ লাখেরও বেশি যাত্রী আন্তর্জাতিক রুটে এবং প্রায় ২৩-২৫ লাখের বেশি অভ্যন্তরীণ রুটে যাতায়াত করে। ২০২৩ সালে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে ২০২৪ সালে সব ধরনের ফ্লাইটে চাহিদা অধিক থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে বেবিচক: বেবিচক চেয়ারম্যান
৪১১ দিন আগে