একিউআই স্কোর
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি নেই
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর আজ শুক্রবার মুখ বের করেছে সূর্য। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রৌদ্রজ্জ্বল সকাল শুরু করেছে ঢাকাবাসী। তবে রাস্তায় যানবাহনের কম চাপ ও বাইরে মানুষের কম আনাগোনা সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি হয়নি।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল সেয়া ৯টার দিয়ে ঢাকার বায়ুমানে বরং কিছুটা অবনতি লক্ষ করা গেছে। গতকাল এই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, আজ তা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮৫।
তবে গতকাল দূষণের এই সূচক ৭৯ নিয়েও বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্দশ। আজ মানে কিছুটা অবনতি হলেও এই তালিকার অষ্টাদশ স্থানে অবস্থান করছে শহরটি।
এই সময় ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। এরপর ১৬৬ ও ১৬৪ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল উগান্ডার কাম্পালা ও কঙ্গোর কিনশাসা।
বরাবরের মতো আজও শীর্ষ পাঁচেই ছিল পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ১৬১, আর পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর স্কোর ১৫৯। অর্থাৎ, সবচেয়ে দূষিত পাঁচটি শহরের বাতাসের মানই আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’।
এই সময় ভারতের দিল্লিকে এই তালিকার সপ্তমে অবস্থান নিতে দেখা যায়। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৩৪।
বৃষ্টিতে ঢাকার মানে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। একিউআই স্কোরের কিছুটা পরিবর্তন হলেও শহরটির বায়ুমান এখনও ‘ভালো’ হয়ে উঠতে পারেনি, বলা চলে ‘ভালো’ মানের কাছাকাছিও যেতে পারেনি।
কারণ বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি নেই
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪৭ দিন আগে
বৃষ্টির পরেও ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’
বর্ষাকালে ঢাকার বাতাসের মানে বরাবরই উন্নতি দেখা যায়। গত কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঝড়েছে অনবরত বৃষ্টি। এতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। তবে এখনও ভালো হয়ে উঠতে পারেনি বাতাস। আজ সকালে বৃষ্টিপাতের পরও ঢাকার বাতাসের ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার (২ জুন) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৫, যেখানে এই স্কোর ১০১ এ পৌঁছালেই তা সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৪তম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা।
তবে আজ ইরাকের রাজধানী বাগদাদ যে শুধু দূষিত বাতাসের শীর্ষে অবস্থান করছে তা-নয়। শহরটির বাতাস হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের জন্য ‘বিপজ্জনক’, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। কারণ বাগদাদদের একিউআই স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮৮৮ তে। অন্যদিকে, একই সময়ে সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হলো থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, যেটির একিউআই স্কোর মাত্র ১১।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে ‘মাঝারি’, আর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি কমতেই ঢাকার বাতাসে দূষণের হানা
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৮৬ দিন আগে
দুপুর পড়তেই ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি
আজ রবিবার; সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। ফলে কর্মচাঞ্চল্যে দিন শুরু হওয়ার সঙ্গে দূষিত বাতাসের মধ্যে সকাল শুরু হয় ঢাকার। তবে সকাল গড়িয়ে দুপুর পড়তেই রাজধানীর বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে।
রবিবার (২৫ মে) সকাল ৬টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১০৪, আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী যা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। পরের ঘণ্টায় তা আরও বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১১১-তে। ফলে অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিয়ে সকাল শুরু করে ঢাকা।
তবে তারপর থেকে রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে কমতে থাকে দূষণের মাত্রা। সকাল ৯টায় তা কমে আসে ৭৬-এ। এরপর দুপুর ১২টায় তা আরও কমে ৫৬-তে এসে ঠেকেছে। অর্থাৎ সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মানে উন্নতি হয়ে দুপুরে ‘মাঝারি’ মানে উন্নীত হয়েছে ঢাকার বায়ুমান।
শুধু তা-ই নয়। আর সামান্য উন্নতি হলেই শহরের বাতাসের মান ‘ভালো’ দেখবে নগরবাসী। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও বায়ুমান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট আইকিউএয়ারের তথ্য সে কথাই বলছে।
কারণ কণা দূষণের একিউআই মান যখন শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আর ঢাকার বাতাসের মানের সূচক এখন তার চেয়ে মাত্র ৬ পয়েন্ট দূরে।
আরও পড়ুন: একটু বৃষ্টিতেই হাঁটুজল ঢাকায়, নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে
একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১৯৪ দিন আগে
সংবেদনশীলদের জন্য ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান প্রতিনিয়তই অস্বাস্থ্যকর হয়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে ঢাকার বাতাস ১০৭ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কিনসাসা যথাক্রমে ১৮৪ , ১৪০, ও ১৩১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন অতি ক্ষুদ্রকণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়।
সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বাংলাদেশের মোট বায়ুদূষণের ৩৫ শতাংশই আশপাশের দেশগুলো থেকে আসছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, যা আন্তঃদেশীয় দূষণ নামে পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম জানান, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে যে দূষণ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে সেইসব দেশে যে দূষণ যায়, সেটিই হচ্ছে আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ।
আন্তঃসীমান্ত দূষণের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিমালয় থেকে, আবার ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীনের একটি অংশ থেকে দূষণ বাংলাদেশে আসে। এতে পুরো বাংলাদেশের ওপর দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে এটা বেশি আসে।’
১৯৭ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় প্রায়ই প্রথমদিকে থাকে ঢাকা। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে ১৫২ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। এ বাতাস শহরটির মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (সোমবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
সৌদি আরবের রিয়াদ, পাকিস্তানের লাহোর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরগুলি যথাক্রমে ২৯৬, ১৯৪ এবং ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংবেদনশীলদের জন্য ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০০ দিন আগে
সংবেদনশীলদের জন্য ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় প্রথমদিকে অবস্থান করে তিলোত্তমা শহর ঢাকা। শহরটির বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
রবিবার (১৮ মে) সকাল ৯টা ৩ মিনিটে ১১৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় দশম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
বাহরাইনের মানামা, কাতারের দোহা ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৪৩, ২৩০ ও ২০৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেটা বেড়ে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে গরম কমার পূর্বাভাস, বাড়বে বৃষ্টি
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের ৩টি প্রধান উৎস হলো— ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘দূষণে শহরটি ক্রমাগত বসবাসের অযোগ্য হলেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’ সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সটি আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ ছুটির দিনেও ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষণে বিশ্বের দ্বিতীয়
২০১ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের প্রায়ই প্রথম সারিতে থাকে রাজধানী ঢাকা। শহরটির বাতাস দিন দিন আরও বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে বাসিন্দাদের জন্য।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৮ টা ৫৭ মিনিটে একিউআই স্কোর ১৭৭ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা। বায়ুমান সূচক অনুসারে শহরটির বাতাস আজ বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
পাকিস্তানের লাহোর, ইরাকের বাগদাদ ও মিশরের কায়রো যথাক্রমে ২৩৯, ১৯৭ ও ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেটি বেড়ে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০৬ দিন আগে
সংবেদনশীলদের জন্য ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রায়ই উপরের দিকে থাকে রাজধানী ঢাকা। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরটির বাতাসের দূষণের মাত্রাও দিন দিন বাড়ছে।
শনিবার (১০ মে) সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে একিউআই স্কোর ১৪৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঢাকা। বাতাস বায়ুমান সূচক অনুসারে শহরটির বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কিনসাসা যথাক্রমে ২৪৪, ১৯৩ ও ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে কলকাতা ও দুবাই।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেটি বেড়ে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ সারা দেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০৯ দিন আগে
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে ঢাকা
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। বাসিন্দাদের জন্য শহরটির বাতাস হয়ে উঠেছে ‘অস্বাস্থ্যকর’।
বুধবার (৭ মে) সকাল ৮টায় ৩৫মিনিটে একিউআই স্কোর ১৭৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এই মাত্রার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেনীবদ্ধ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, চীনের উহান ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ১৭৪, ১৬৫ ও ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় দশম স্থানে ঢাকা, বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেটি বেড়ে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২১২ দিন আগে
বিশ্বে বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে। একইসঙ্গে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে শহরটিকে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে জনবহুল শহরটির বাতাস মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীনের বেইজিং, উগান্ডার কাম্পালা ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর যথাক্রমে ১৬৭, ১৬১ ও ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২৭৫ দিন আগে